বীমা
মেট লাইফের নাফিস আকতার শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও

শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে নাফিস আকতার আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে সাফল্যের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের স্বাক্ষর রেখে দেশের ক্রমবর্ধনশীল জীবন বীমা শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা থেকে শান্তা হোল্ডিংসের নতুন উদ্যোগ শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
ইতঃপূর্বে, শান্তা হোল্ডিংস নিজেদের প্রতিষ্ঠিত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, ইকুইটি ও সিকিউরিটিসের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক খাতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদানের পূর্বে, নাফিস আকতার আহমেদ মেটলাইফ বাংলাদেশে চিফ বিজনেস অফিসার (সিসিবিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নাফিস এ আহমেদ তার ২২ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে বিক্রয় ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা উন্নয়ন, বিতরণ, বাজার প্রসারণ এবংস্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীমা খাতের অগ্রগতি ও প্রসারের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
এই প্রসঙ্গে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির উদ্দিন মন্তব্য করেন, ‘নাফিস একজন বলিষ্ঠ ও দক্ষ নেতা, যিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাত এবং গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যুগোপযোগী ধারণা রাখেন। বিগত দুই দশকে তিনি আমাদের দেশের জীবন বীমা খাতে বিভিন্ন ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি আশা করি নাফিস তার দক্ষ নেতৃত্ব এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন”।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে নাফিস এ আহমেদ বলেন, ‘শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে জীবন বীমা শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এই খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আশা করি আমাদের গ্রাহকবৃন্দ, কর্মকর্তাগণ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আমাদেরকে এই উদ্যোগে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন। শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবন আমাদের মূল চালিকা শক্তি এবং দেশের জনসাধারনের আস্থা অর্জন আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী দিনগুলোতে আমরা বীমা শিল্পে নিজেদের অবস্থান সৃদৃঢ় করতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স মানসম্মত ও উদ্ভাবনী বীমা পরিষেবা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। বিশ্বমানের জীবন বীমা পরিষেবা, পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা, এবং উন্নত গ্রাহক সেবার সংমিশ্রণে প্রতিষ্ঠানটি দেশের জীবন বীমা খাতে নতুন একটি মাইলফলক যোগ করবে বলে আশা পোষণ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বীমা
চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গার্ডিয়ান লাইফকে লিগ্যাল নোটিশ

চার কোটি ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাবি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) কোম্পানিটির সাবেক এরিয়া ম্যানেজার মো. ছিদ্দিকুর রহমান আইনজীবীর মাধ্যমে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। ভুক্তভোগীর পক্ষে সিরাজগঞ্জ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের আইনজীবী এডভোকেট এস. এম. দেলোয়ার হোসেন মন্টু উক্ত লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. ছিদ্দিকুর রহমান কোম্পানিটির সিরাজগঞ্জের এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে কোম্পানিতে যোগদান করেছেন। এসময় কোম্পানির অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হয়রানী ও অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাকিবুল হাসান, এএমডি মাহমুদুর রহমান খাঁন, ভিপি আলমগীর হোসেন, এসভিপি আনোয়ার হোসেন, জাফর আহমেদ, ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম শান্ত, ব্রাঞ্চ সার্ভিস শামিম হোসেন, কাওছার হোসেন গং যোগসাজসে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করেন। কিন্তু কোম্পানির অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির কারণে তার টাকার বিপরীতে প্রাপ্য দাবি মেটানো হয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগীর চাকরী চলাকালীন সময়ে সংগঠনের কর্মকর্তা ও বিপনন কর্মীদের বিচ্ছিন্ন করে আর্থিকভাবে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি করা হয়েছে। যাহার আর্থিক ক্ষতির পরিমান ৩০ লাখ টাকা। এছাড়াও ২০২৪ সালের বকেয়া আরও ৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এক পর্যায়ে কোম্পানিটি ছিদ্দিকুর রাহমানের বেতন, বোনাস, টিএ, ডিএ, ভ্রমণ প্যাকেজ, ইনসেন্টিভ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার পরিমান প্রায় ১ কোটি টাকা। কোম্পানিটির কর্মকর্তারা পাওনা টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন প্রকার হুমকী, ধামকী ও মামলার ভয় দেখায়। যখন তিনি আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিবেশে বসবাস করছেন। তখনই পাওনাদী পরিশোধ না করে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তিনি। তার রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নোটিশে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ না করলে বাংলাদেশ বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায়ও নোটিশের কপি প্রেরণ করা হয়েছে।
কাফি
বীমা
বিমায় আস্থা ফেরাতে দরকার প্রযুক্তির আধুনিকায়ন

দেশের বীমা খাতের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে এ খাতের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন দরকার বলে মনে করেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কোম্পানিগুলো পলিসির যেসব তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা করেন সেগুলোর সাথে সফটওয়ারে আপলোড করা তথ্যের গরমিল থাকে। কোম্পানিগুলো প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হলে গরমিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, এতে বাড়বে গ্রাহকের আস্থা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) উদ্যোগে সাভারের শক্তি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ‘বীমা খাতের আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এস এম জিয়াউল হক। এছাড়া দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন শাহনেওয়াজ দুর্জয়, ছিলেন ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসানও।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং খাত প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। এখন কোনো একটি ব্যাংক অন্যায় করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সাথে সাথে চিহিৃত করতে পারে। কিন্ত বীমা খাত এখনও সে পর্যায়ে যেতে পারেনি। ফলে বীমা কোম্পানিগুলো গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না করলেও কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রযুক্তিগতভাবে কোম্পানিগুলো সুসংবন্ধ করার চেষ্টা করলেও কিছু কোম্পানির অসহযোগিতার কারণে সেটি বাস্তবায়ণ হচ্ছে না।
তারা বলেন, বীমা খাতকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করা সম্ভব হলে- গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার সঙ্গে সঙ্গে তার তথ্য পাবেন। এতে একদিকে যেমন বীমার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে, অন্য দিকে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে।
কর্মশালায় দুয়ার সার্ভিসেসর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুয়ারের মাধ্যমে বীমা গ্রাহক সেবা সহজতর ও বীমা খাতের সার্বিক মান উন্নয়নে ১০টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সিস্টেম সমৃদ্ধ ইন্স্যুরেন্স ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইআইএমএস) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের ন্যায় কেন্দ্রীয় পলিসি ডিপোজিটরি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সকল বীমা পলিসির তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং গ্রাহকেদের বীমা দাবি সঠিক সময়ে প্রদান করা হচ্ছে কি না তা তদারকি করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইআইএমএস বাস্তবায়ন করার ফলে এখন অনেক বীমা কোম্পানি বাধ্য হচ্ছে তাদের অভ্যন্তরীন আইটি অবকাঠামো আরো শক্তিশালী করতে। দুয়ারের মাধ্যমে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমাদানের তথ্য অ্যাপ, বীমা পলিসি অন-বডিং বা দ্রুত পলিসি চালু করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ই-কেওআইসি সিস্টেম এবং প্রিন্টেড কাগজের ব্যবহারের বদলে ই-রিসিপ্ট সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে আইআরএফের সভাপতি গাযী আনোয়ার।
বীমা
ফারইস্টের সাবেক সিইওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপাচার মামলা

জালিয়াতি ও প্রতারণা করে তথ্যপাচারের অভিযোগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডর সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আপেল মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বীমা প্রতিষ্ঠানটি। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- ফারইস্ট ইসলামী লাইফের আইটি বিভাগের ইনচার্জ লোকমান ফারুক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ওসমান গনি।
গত মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন কোম্পানিটির আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ১৯, ২১ ও ২২ ধারায় এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ফারইস্ট লাইফের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবহৃত ডিজিটাল সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তথ্য ভাণ্ডারে হস্তক্ষেপ করেন। প্রতারণার মাধ্যমে তারা প্রায় ৫৫ হাজার ৮৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ব্যাংক হিসাব নম্বর, মোবাইল নম্বর, বেতন-ভাতা, কর্মী শনাক্তকরণ নম্বরসহ বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা ‘সাবলাইন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করেন।
এসব স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের ফলে কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং আর্থিক সম্পদের ওপর মারাত্মক হুমকি তৈরি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এসএম
বীমা
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সঙ্গে আইডিআরএ’র সভা

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় আইডিআরএ’র সাথে কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষ-০১ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
সভার সভাপতিত্ব করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য প্রশাসন মো. ফজলুল হক, সদস্য আইন তানজিনা ইসলাম, সদস্য (নন-লাইফ) মো. আবুবকর সিদ্দিক, সদস্য (লাইফ) মো. আপেল মাহমুদ এসিআইআই (ইউকে)।
এছাড়া, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) নির্বাহী কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বিএম ইউসুফ আলী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী জেনারেল ও সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) শফিক শামীম, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল ও জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এস এম নুরুজ্জামান, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ কে এম সারোয়ার জাহান জামীল, অফিস সেক্রেটারী ও ষ্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. আবদুল মতিন সরকার, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইষ্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হসান তারেক, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বায়োজিদ মুজতবা সিদ্দিকী, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স পিএলসির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী গোলাম ফারুক এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম প্রমুখ।
কাফি
বীমা
বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সিইওদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ তথ্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনে

বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) দুর্বলতার কারণে এ খাতে নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আইন লঙ্ঘন করে দায়িত্ব পালনকারী সিইও এবং বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইডিআরএ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ৪ জুন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। একই সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কে অবহিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ বিষয়টি জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিআরএর এ ধরনের কার্যক্রম বীমা কোম্পানিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতাকে উৎসাহিত করছে। বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যানরা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজের স্বার্থরক্ষায় ব্যস্ত, সে জন্য তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনকে সিইও পদে নিয়োগ/পুনঃনিয়োগ করছেন এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পেলেও তাদের দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং প্রিমিয়ামের টাকা যথাযথভাবে ব্যয় না হওয়ার কারণে বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ওই সব বীমা কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে সিইও নিয়োগ না হওয়ায় কোম্পানিগুলোর সঠিকভাবে পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে এবং অন্যান্য বীমা কোম্পানির জন্য এই অনিয়ম দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করছে।
প্রতিবেদনে দেশের পাঁচটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বীমা কোম্পানির চলতি দায়িত্বে থাকা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আইন লঙ্ঘন করে দায়িত্ব পালন করায় তাদের বিরুদ্ধে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গার্ডিয়ান লাইফ, সোনালী লাইফ, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স ও রূপালী ইন্স্যুরেন্সের সিইওরা দীর্ঘদিন ধরে বীমা আইন লঙ্ঘন করে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, ওই কোম্পানিগুলোতে পূর্ণাঙ্গ সিইও নিয়োগে কার্যকর ভূমিকা নিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বীমা আইন অনুসারে কোনো কোম্পানির সিইও পদ সর্বোচ্চ তিন মাস খালি রাখা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আরও তিন মাস বাড়ানো সম্ভব। এর পরও পূর্ণকালীন সিইও নিয়োগ না হলে আইডিআরএ প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারে। কিন্তু এই বিধান দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা ব্যাহত হচ্ছে।
গার্ডিয়ান লাইফের সিইও শেখ রাকিবুল করিম ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি, সোনালী লাইফের মো. রফিকুল ইসলাম ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের এসকে আব্দুর রশিদ ২০২৩ সালের ১ জুলাই, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের মোশাররফ হোসেন ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর এবং রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত জানুয়ারিতে আইডিআরএ গার্ডিয়ান লাইফ ও রূপালী ইন্স্যুরেন্সকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণকালীন সিইও নিয়োগের নির্দেশ দেয়। তবে এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো আইন অমান্য করার সুযোগ পাচ্ছে।
এসএম