Connect with us

বীমা

রিস্কবেজড সুপারডিশন বাস্তাবায়নে কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান

Published

on

সোনালী

রিস্ক বেইজড সুপারভিশন বাস্তাবায়নে দেশের সকল লাইফ ও নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) বিমা খাতের জন্য রিস্কবেজড সুপারভিশন গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইডিআরএ। বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই আহবান জানান।

সভায়  দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিস্কবেজড সুপারভিশন বাস্তবায়ন করা কিছুটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে মত দেন বিমা কোম্পানির প্রতিনিধিরা। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে রিস্কবেজড সুপারভিশন গাইডলাইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হবে। সভায় আইডিআরএর সব সদস্য, নির্বাহী পরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জীবন বীমা কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সভাপতি এবং বিভিন্ন বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় রিস্কবেজড সুপারভিশন গাইডলাইনের খসড়া উপস্থাপন করেন সহকারী পরিচালক মো. আবু মাহমুদ।

এসময় আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা একটি বৈশ্বিক শিল্প বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশে প্রচলিত নিয়মনীতি অনুসরণ করে টেকসই বিমা শিল্প গড়ে তুলতে হবে। রিস্কবেজড সুপারভিশন গাইডলাইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হবে। তিনি উন্নত বিশ্বে প্রচলিত রিস্কবেজড সুপারভিশন আমাদের দেশে দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এই জন্য প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। রিস্কবেজড সুপারডিশন বাস্তাবায়নে কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ঝুঁকিভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় কোম্পানিগুলোর ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে যার মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। কোম্পানিগুলোর রিস্ক প্রোফাইলের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয় এবং ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভাজন করে আনুপাতিকভাবে নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

এ প্রক্রিয়ায় গুণগত ও পরিমাণগত বিভিন্ন চলক ও তথ্যাদি বিবেচনা করা হয়। বিমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে পলিসিহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ‘রিস্কবেজড সুপারভিশন’ বিমা শিল্পে সর্বাধুনিক টুলস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন বিমা কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের মতামত দেন। রিস্কবেজড সুপারভিশন গাইডলাইন আধুনিক বিশ্বে প্রচলিত থাকলেও আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়ন করা কিছুটা জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে তারা মত প্রকাশ করেন। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীমা

বিমা কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশ ব্যয় কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতায়

Published

on

সোনালী

দেশে ব্যবসা করা সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ৮০ শতাংশই উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা বাবদ খরচ হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখা নিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এমন তথ্য উপস্থান করেছে।

আইডিআরএ কার্যালয়ে বুধবার (১৫ মে) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইডিআরএ চেয়ার‌ম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এতে আরও অংশ নেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং নন-লাইফ বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা।

সভায় নন-লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বর্তমান চিত্র উপস্থাপন করেন আইডিআরএ’র উপ-পরিচালক মো. সোলায়মান। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০২২ সালে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ নন-লাইফ বিমা কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের খাতওয়ারী চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অধিকাংশ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ ব্যয় হয় উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য ভাতাদিতে, যা মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ৮০ শতাংশ।

আইডিআরএ’র পরিদর্শন ও তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোম্পানির আকারের তুলনায় অত্যাধিক জনবলের কারণেই ব্যয় বেশি হয়। পারিবারিক সদস্য, আত্মীয়দের জনবলে নিয়োগ করা হয়, যারা প্রকৃতপক্ষে কর্মরত থাকেন না। চাকরি না করেও বেতন-ভাতাদি খাতে এই ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।

সভায় বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিরা নানা প্রতিন্ধকতা এবং তা উত্তরণের জন্য পরামর্শ দেন। প্রতিনিধিরা জানান, কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে এক হীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তারা বিমাগ্রাহকদের অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিশন/প্রিমিয়াম প্রদানে ছাড় দিয়ে থাকে, যা আর্থিক বিবরণীতে ‘ব্যবস্থাপনা ব্যয়’ হিসেবে প্রতিফলিত হয়। এ ধারা বন্ধ হওয়া উচিত।

শেখ কবির হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলোর সম্পূর্ণ অটোমেশনের অন্তর্ভুক্তকরণ অনেকাংশে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়া ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে আইডিআরএ সর্বদা চেষ্টা করছে। প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন সভা, সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি বিমা, মৎস্য বিমা, গৃহায়ণ বিমা, ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করা হয়েছে। কোর সফটওয়্যারের ক্লাউডের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে অটোমেশনে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

সোনালী লাইফে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

Published

on

সোনালী

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে ১৮ এপ্রিল কোম্পানির পর্ষদ স্থগিত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুলসহ এ বিষয়ে আদেশ দেন। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

১৮৮ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে আইডিআরএ সোনালী লাইফের পর্ষদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম এম ফেরদৌসকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। গত রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। প্রশাসক এম এম ফেরদৌস রোববারই যোগ দেন বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল সোমবার কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামানের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত প্রশাসক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন। কোম্পানিটির আগের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পদত্যাগের পর গত জানুয়ারি থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান।

সোনালী লাইফের পরিচালক ছিলেন ২০ জন। এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, অর্থাৎ সাতজনই এক পরিবারের। অর্থ আত্মসাতের প্রধান ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। অন্যরা তাঁরই স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ ও মেয়ের জামাতা। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে নিরীক্ষক নিয়োগ, নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ, মালিকপক্ষের সশরীর শুনানি গ্রহণ ইত্যাদি প্রক্রিয়া শেষ করেই আইডিআরএ প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

আইডিআরএর মুখপাত্র ও পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, আইডিআরএর সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে যে কেউ আদালতে যেতেই পারেন। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইডিআরএ সোনালী লাইফের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে আইডিআরএর প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তও হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু চেম্বার জজ আদালত পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিলে আইডিআরএর সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে এবং প্রশাসক নিয়োগ হয়।

আইডিআরএর পক্ষ থেকে সোনালী লাইফকে ১৮ এপ্রিল চিঠি দিয়ে জানায়, কোম্পানির স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি দেশি বা বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে সোনালী লাইফের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা করা হবে প্রশাসকের দায়িত্ব।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

কর্পোরেট সংবাদ

ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল প্রাইম ব্যাংক

Published

on

সোনালী

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেয়েছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরীর হাতে অনুমোদনের এ চিঠি হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিআরপিডি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক আশরাফুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রাইম ব্যাংকের চিফ ব্যাংকান্স্যুরেন্স অফিসার মিয়া মোহাম্মদ রবিউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকাস্যুরেন্স মূলত ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব, যেখানে ব্যাংক কর্পোরেট এজেন্ট হিসেবে বীমা কোম্পানীর পণ্যগুলো তাদের নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রয় করবে। গ্রাহকদের বিস্তর পরিসরে বিভিন্ন সেবা সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে প্রাইম ব্যাংক।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকান্স্যুরেন্স সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্রাহকদের ইন্স্যুরেন্সের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম হবে প্রাইম ব্যাংক।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বদলে যাচ্ছে বিমার নিয়ম, এক ছাদের নিচে ভারতের সব বিমা

Published

on

সোনালী

বদলে যাচ্ছে বিমা। জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা বা অন্য যে কোনো বিমা। এবার থেকে ইন্স্যুরেন্স করালে আপনি আর কোনও কাগজের সার্টিফিকেট বা বন্ড পাবেন না। পহেলা এপ্রিল থেকেই ভারতে শুরু হয়ে গেছে নতুন নিয়ম। বিমা রাখা থাকবে ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টে। তবে বিষয়টা এখনও অনেকে জানেন না। অনেকে আবার শুনে থাকলেও ঠিক ধারণা নেই।

যারা শেয়ার কেনা-বেচা করেন তাঁরা জানেন ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে সমস্ত সংস্থার শেয়ার একসঙ্গে রাখা থাকে। এবার সেই ব্যবস্থাই সব ধরনের বিমার ক্ষেত্রেও চালু হতে চলেছে। ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএআই) নির্দেশ দিয়েছে এখন থেকে বিমা সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রাহককে ডিজিটাল মাধ্যমে পলিসি ডকুমেন্ট দিতে হবে। সমস্ত বিমা জমা থাকবে একটিমাত্র বৈদ্যুতিন ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টে।

১লা এপ্রিল থেকেই যে নিয়ম চালু হয়ে গেছে। ফলে এবার আপনি কোনও বিমা কিনতে গেলে প্রথমেই ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এজন্য কোনও টাকা লাগবে না। ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলার পর যতবার যে কোনও সংস্থার যে কোনও বিমা কেনা হবে, তা সবই ওই একটা অ্যাকাউন্টে জমা থাকবে। বিমাকারী সেখানে গিয়েই পলিসির সব তথ্য দেখতে পারবেন।

জীবন বিমা। স্বাস্থ্যবিমা। গাড়িবিমা। সবক্ষেত্রে একই নিয়ম। তবে যাদের কাছে এখনই পুরনো বিমার কাগজ আছে। মানে যারা কোনও পলিসি কন্টিনিউ করছেন। তাদের ক্ষেত্রে ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলাটা বাধ্যতামূলক নয়। পুরনো পেপার ডকুমেন্ট দেখিয়েই তাঁরা ক্লেম করতে পারবেন।

তবে কেউ যদি চায় যে পুরনো বিমা ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টে রাখবেন তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে তা রাখতে পারবেন। আরেকটা বিষয় হল নতুন বিমার ক্ষেত্রে ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে তো হবে। তবে বিমাকারী চাইলে কাগুজে নথি দিতে বাধ্য থাকবে বিমা সংস্থা। এই অধিকার বিমাকারীর থাকছে।

আর আইআরডিএআই’র নির্দেশ অনুযায়ী যে সংস্থার কাছে নতুন বিমা করানো হবে, তারাই বিমাকারীর ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্ট খোলানোর ব্যবস্থা করবে। এজন্য বিমাকারীকে ঝামেলা পোয়াতে হবে না। ডিজিটাল মাধ্যমে বিমা রাখার জন্য রিপজিটরি হিসাবে চারটে সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিমাকারীর কোনও সরাসরি লেনাদেনা থাকবে না। তারা বিমাকারীর ই-ইন্স্যুরেন্স অ্যাকাউন্টটার দেখভাল করবে।

এবার দেখা যাক-এ ব্যবস্থায় সুবিধা কী হবে। বিমা শিল্পমহল বলছে সুবিধা অনেক। অনেক সময় কাগজের পলিসি বন্ড হারিয়ে যাওয়ায় টাকা পেতে সমস্যায় পড়েন বিমাকারী বা তাঁর পরিবার। নয়া ব্যবস্থায় সেই হয়রানি কমবে। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার ব্যবহার করে যে কেউ তার পলিসির স্টেটাস চেক করতে পারবেন। নতুন বিমা কিনলে আপনা থেকেই তা ই-অ্যাকউন্টে জুড়ে যাবে। সহজে বদলানো যাবে ঠিকানা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নমিনি সংক্রান্ত তথ্য। একাধিক পলিসির ক্ষেত্রে তথ্য সংশোধনের জন্য আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে হবে না।

আরেকটা বিষয় হলো- যে সংস্থার কাছ থেকে বিমা কেনা হবে, বিমাকারীকে সেই সংস্থার কাছে যেতে হয়। আইআরডিএআই একটা অনলাইল ইন্যুরেন্স মার্কেটপ্লেস নিয়ে আসছে যার নাম Bima Sugam. এখানে এক ছাদের নীচেই যে কোনও সংস্থার যে কোনওরকম বিমা কেনা যাবে। অভিযোগ জানানো যাবেন। প্রিমিয়াম দেওয়া যাবে। ক্লেম করা যাবে। এনিয়ে বিমা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আইআরডিএআই’র কথাবার্তা শেষ হলেই দ্রুত চালু হয়ে যাবে নতুন ব্যবস্থা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজার

সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যানের আর্থিক অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত

Published

on

সোনালী

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের সদস্য অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো। এ অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ (আইডিআরএ) নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘হুদাভাসি চৌধুরী এন্ড কোং’ কে নিয়োগ দিয়েছিলো। অবশেষে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও অন্যান্য পরিচালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি আইডিআরএ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণে আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদকে সাসপেন্ড করে প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। অথবা মৌখিকভাবে শুনানি করতে চাইলে আগামী ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় আইডিআরএ হাজির হয়ে মৌখিকভাবে শুনানি করতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়, কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১ কোটি ৫ লাখ শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০২৮ সালের ১৪ জুন নগদ অর্থের বিনিময়ে উক্ত শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন প্রদান করে। কিন্তু পরিচালক নূর এ হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ না করেই তাদের নামে প্রতিটি ১০ টাকা করে মোট ৯ লাখ ১৬ হাজার ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। অন্যদিকে মায়া রাণী রায়, আহমেদ রাজীব সামদানী ও হোদা আলী সেলিমের কাছ থেকে শেয়ার প্রতি ২০ টাকা মূল্য গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরদিকে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এফডিআরের বিপরীতে সাউথ বাংলা ব্যাংকে বিনা প্রয়োজনে এসওডি হিসাব খুলে ঋণের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে। পাশাপাশি একই ব্যাংকে কোম্পানির সঞ্চয়ী হিসাব থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকাসহ মোট ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সাউথ বাংলা ব্যাংকেই কোম্পানির আরেকটি হিসাবে জমা করা হয়। এই টাকা উল্লেখিত পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়ের মূল্য হিসেবে দেখানো হয়।

অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে চিঠিতে আরও বলা হয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস তার ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান ও মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার কাছে থেকে ২৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, মোস্তফা কামরুস সোবহানের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩ লাখ শেয়ার, তাসনিয়া কামরুন অনিকার স্বামী শেখ মোহম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে ১২ লাখ এবং ফজিলাতুননেসা রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ৬ লাখ ২৫ হাজার শেয়ার লাভ করে পরিচালক হন।

পরবর্তীতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দস ১৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার তার মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়াকে ও ২ লাখ ৩০ হাজার শেয়ার স্ত্রী ফজিলাতুননেসাকে হস্তান্তর করে। একইসঙ্গে শাফিয়া সোবহান চৌধুরী তার স্বামী মোস্তফা কামরুস সোবহানকে ৬ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করে কোম্পানির আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনের ৯০(জে) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শেয়ার বজায় রাখেন। এর মাধ্যমে পরিবারের ৭ জন সদস্য কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক রেখে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছেন বলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকা হিসেবে মোট ১৮ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই টাকা তিনি নিয়েছেন তার নিজের প্রতিষ্ঠান ড্রাগন সোয়েটারের নামে। পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে এসব টাকা নিয়েছেন। এছাড়া মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন কম্যুনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার লিমিটেড, ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি, ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড ও ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডকে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, আইডিআরএ’র অনুমোদনের আগে এ ধরনের টাকা পরিশোধ অবৈধ। প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি জমি বা ভবন ক্রয়ের অগ্রিম হিসেবে বৈধতা দেয়ার অপপ্রয়াস নেয়া হয়েছে।

এদিকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে ২০২১-২৩ মেয়াদে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন ইম্পেরিয়াল স্যুটস এন্ড কনভোকেশন সেন্টারকে আপ্যায়ন বাবদ ১ কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার ৫৯২ টাকা, ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি ও কম্যুনিকেশন লিমিটেডকে ইআরপি মেইনটেনেন্স ও সোয়েটার ক্রয় বাবদ ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২২৫ টাকা এবং ড্রাগন সোয়টার লিমিটেডকে সোয়েটার ক্রয় বাবদ ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। অর্থাৎ এই তিন বছরের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠঅনে অবৈধভাবে মোট ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা দেওয়া হয়েছে।

আইডিআরএ’র চিঠিতে বলা হয়, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস নিজে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা অবৈধভাবে বেতন নিয়েছেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের ৬ সদস্য যথা- ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকা, ছেলের বউ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা, স্ত্রী ফজলুতুননেসা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা, মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা, মেয়ে তাসনিয়া কামরুন অনিকা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা ও মেয়ের জামাই শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েল প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা এবং আরেকজন সাবেক চেয়ারম্যান নুর এ হাফজা প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা করে ৮ পরিচালক অবৈধভাবে বেতন হিসাবে এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। যা নগদ উত্তোলন করে তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া হয়েছে।

নিজ পরিবারের সদস্য পরিচালকদের মাসিক বেতন বাবদ নেয়া হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অবৈধভাবে বিলাসবহুল অডি কার ক্রয়ে খরচ করা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বোর্ডের অনুমোদন নেই। এছাড়া গাড়ির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কোম্পানির অর্ধবার্ষিক সভায় আলোচনা ও এজিএমে পেশ করার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি বলেও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

অপরদিকে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৭৫০ টাকা। বিদেশে চিকিৎসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ব্যয় ১ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৮শ’ টাকা। গ্রুপ বীমা পলিসি থেকে ড্যানিয়েলকে অবৈধ কমিশন দেয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা।

আইপিও খরচ, ঋণ সমন্বয়, অনুদান, এসি ক্রয়, কোরবানির গরু ক্রয়, বিদেশ ভ্রমণ, পলিসি নবায়ন উপহারের নামে নেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫৯ টাকা। অফিস ভাড়ার নামে ড্রাগন আইটিকে প্রদান করা হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ১৭ টাকা। সম্পূর্ণ ইম্পেরিয়েল ভবনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ১ কোটি ৭২ লাখ ৪২ হাজার ২২৩ টাকা। ড্রাগন সোয়েটার ও স্পিনিং লিমিটেডের ট্যাক্স পরিশোধ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কার্যক্রম কার্যপরিধির মধ্যে সীমিত রেখে নমুনা ভিত্তিক যাচাইয়ের ফলে সকল অনিয়মের তথ্য এ প্রতিবেদনে আসেনি। পূর্ণাঙ্গ চিত্রের জন্য কোম্পানিটির বিস্তারিত নিরীক্ষা প্রয়োজন। কোম্পানির অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন, অস্বচ্ছ হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি, অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল সিস্টেমের অনুপস্থিতি কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের সহায়ক অবস্থা তৈরী করেছে।

বছরে গড়ে ২২ কোটি বা মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা পেটি ক্যাশ হিসেবে ব্যয় হয়েছে এবং অনেক এককালীন বড় অংকের লেনদেন ক্যাশ চেকে হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অর্থ তছরুপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ব্যাংক সিগনেটরিরা প্রায় সকলেই একই পরিবারের সদস্য যার ফলে তাদের স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে বেশিরভাগ অবৈধ লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া আরও বলা হয়, অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে বের করে নেয়া অর্থের পরিমাণ মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের নামে শেয়ার ক্রয় করতে তহবিল থেকে নেয়া হয়েছে ৯ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জমি বা ভবন ক্রয়ের অগ্রিম দেখিয়ে অবৈধভাবে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সোনালী লাইফের তহবিল থেকে অবৈধভাবে দেয়া হয়েছে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আপ্যায়ন, ইআরপি মেইনটেনেন্স এবং সোয়েটার ক্রয় বাবদ সাবেক এ চেয়ারমানের প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
সোনালী
অর্থনীতি11 mins ago

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন

সোনালী
পুঁজিবাজার33 mins ago

সোনালী পেপারের সর্বোচ্চ দরপতন

সোনালী
পুঁজিবাজার48 mins ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

সোনালী
কর্পোরেট সংবাদ54 mins ago

মিডল্যান্ড ব্যাংকের সঙ্গে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি

সোনালী
পুঁজিবাজার56 mins ago

রবিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

সোনালী
পুঁজিবাজার1 hour ago

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৪৬ কোটি টাকার লেনদেন

লেনদেন
পুঁজিবাজার1 hour ago

লেনদেন বেড়েছে শেয়ারবাজারে

সোনালী
জাতীয়2 hours ago

আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড়

সোনালী
আন্তর্জাতিক2 hours ago

হজ ফ্লাইটে আগুন, জরুরি অবতরণ

সোনালী
জাতীয়2 hours ago

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের প্রভাবে উর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য: ভোক্তার ডিজি

সোনালী
রাজধানী2 hours ago

বিমানবন্দরের কাছে ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারে আগুন

সোনালী
রাজধানী2 hours ago

শনিবারেও খোলা থাকবে ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগ

সোনালী
পুঁজিবাজার3 hours ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন চালু রোববার

সোনালী
ধর্ম ও জীবন3 hours ago

একসঙ্গে অনেককে সালাম দিলে উত্তর দেবেন কে?

সোনালী
আন্তর্জাতিক3 hours ago

মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বিশ্বে বেড়েছে ধনীর সংখ্যা

সোনালী
পুঁজিবাজার3 hours ago

ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের লেনদেন শুরু

সোনালী
আন্তর্জাতিক3 hours ago

পাকিস্তানে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

সোনালী
অর্থনীতি4 hours ago

আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি

সোনালী
আন্তর্জাতিক4 hours ago

বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন না দিয়ে শাস্তির মুখে মালয়েশিয়ান কোম্পানি

সোনালী
পুঁজিবাজার4 hours ago

ছয় কোম্পানির লেনদেন বন্ধ রবিবার

সোনালী
লাইফস্টাইল4 hours ago

ঘুম ৮ ঘণ্টার কম হলে বিষন্নতার ঝুঁকি

সূচক
পুঁজিবাজার4 hours ago

দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ৩০৪ কোটি টাকা

সোনালী
জাতীয়4 hours ago

শূন্যপদে এতিম-প্রতিবন্ধীদের কোটা পূরণের সুপারিশ

সোনালী
পুঁজিবাজার5 hours ago

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

সোনালী
জাতীয়5 hours ago

সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১