জাতীয়
ঈদযাত্রা: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ আগামীকাল
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোববার (২৪ মার্চ) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর শনিবার (৩০ মার্চ) শেষ হবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। এ দিন যারা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করবেন তারা ৯ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন। অনলাইনেই মিলবে সব টিকিট।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেওয়া হয়েছে ৮ এপ্রিলের টিকিট। এদিন যারা টিকিট কিনবেন তারা ৮ এপ্রিল ভ্রমণ করতে পারবেন। অনলাইনেই মিলবে সব টিকিট।
শনিবার সকাল ৮ টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। পূর্বাঞ্চলে চলাচল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ২ টা হতে বিক্রি শুরু হবে। এর মধ্যদিয়ে ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে মিলবে ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট। যা চলবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।
ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। যাত্রীরা ঈদের অগ্রিম যাত্রা ও ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এই টিকিট রিফান্ড করা যাবে না। এছাড়া আন্তঃনগর ট্রেনের সব আসন বিক্রি শেষে বরাদ্দকৃত সাধারণ শ্রেণির মোট আসনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে।
এছাড়া রেলে যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ করতে অগ্নি নিরাপত্তাসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে প্লাটফর্মে প্রবেশ ও জনভোগান্তি এড়াতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন এবং জয়দেবপুর জংশনে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ৯২৫ কোটি ডলার
দেশে ডলার সংকটের কারণে বছরের বেশি সময় ধরে আমদানি পণ্যে সীমারেখা টানা হয়েছে। ফলে আমদানি কমে আসায় ডলার সংকটে স্বস্তি ফেরার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক কোনভাবেই যেন সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারছে না। উল্টো বৈদেশিক লেনদেনের আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়েই চলেছে। চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ঘাটতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল মাত্র ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ের ব্যালান্স অব পেমেন্ট বা বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের হিসাব প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ৯ মাসে আমদানি ১৫ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৪৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। একই সময়ে রপ্তানি ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে ৪০ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি কমে এখন ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়নে নেমেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ঘাটতি ছিল ৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দ্রুত কমা, বিনিয়োগ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন কারণে এমন হচ্ছে। অবশ্য বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে এবং চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজে-কলমে আমদানি কমলেও প্রকৃতপক্ষে কতটা কমেছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ডলার সংকটের এ সময়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে অনেকে এলসি ছাড়াই কিংবা আন্ডার ইনভয়েসিং বা দর কম দেখিয়ে পণ্য আনছেন। এক পণ্যের এলসি খুলে আরেক পণ্য আনার ঘটনাও রয়েছে। এসব অর্থ পরিশোধ হচ্ছে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে। ফলে হুন্ডি চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে প্রবাসে শ্রমিক যাওয়া অনেক বাড়লেও সেভাবে রেমিট্যান্স বাড়েনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা মাত্র ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। অথচ শুধু গত বছর রেকর্ড ১৩ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক বিদেশে গেছেন। আমদানি ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ফলে চলতি হিসাবের ঘাটতি থেকে এখন উদ্বৃত্ত হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছর মার্চ শেষে যেখানে ঘাটতি ছিল ৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আগের মাস শেষে ঘাটতি ছিল ৪ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল অবশ্য ৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অবশেষে স্বজনদের দেখা পেলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ জন নাবিক নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে। জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩ তাদের নিয়ে আসে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি জেটিতে পৌঁছায়।
জাহাজের নাবিকরা এরই মধ্যে স্বজনদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। দীর্ঘদিন প্রাণভয়ে থাকার পর অবশেষে স্বজনদের কাছে পেয়ে নাবিকদের অনেকে কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বজনরা।
জলদস্যুদের কবলে থাকার দিনগুলোকে বিভিষীকার দিন বলে আখ্যা দেন নাবিকদের বরণ করতে আসা একজন স্বজন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সেই দিনগুলোকে আর মনে করতে চাই না।
এক মাস আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করেছে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়। কিন্তু দেশে ফিরলেও স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাদের আরও এক দিন অপেক্ষা করতে হয়।
গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৮ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
৩২ দিন জিম্মি থাকার পর ১৩ এপ্রিল জলদস্যুদের থেকে মুক্ত হয়ে দুবাই যায় জাহাজটি। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আইএলওর পরামর্শ মানার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন যাতে বিশ্বমানের হয়, তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কিছু পরামর্শ দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইএলও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে কিছু বিষয় এসেছিল যে ব্যাপারে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। আমি বলেছি, নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা গ্রহণ করব কি করব না সেটার সিদ্ধান্ত।
‘কিছু কিছু বিষয় আছে ত্রিপক্ষীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের বক্তব্য নোট করেছি, তাদের বক্তব্য সেখানে তুলে ধরব’, যোগ করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আইএলওকে যে সহযোগিতা করার দরকার, আমরা সেটা চালিয়ে যাচ্ছি। সেজন্যই মূলত আমরা তিনদিন ধরে শ্রম আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে মূলত কিছু কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো আমেন্ডমেন্টে থাকার কথা বলা হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সেখানে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য হবে কি হবে না, সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেব। কিছু কিছু ইস্যু আছে, যেগুলো মনে হয়েছে গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সে জন্য এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলবো না। কারণ বিস্তারিত বলতে গেলে হয়তো আমি কোথাও ভুল করব, সেজন্য আমি বলবো না।‘
তিনি বলেন, ‘আইএলও’র কমিটি অব এক্সপার্ট আমাদের আইনটা দেখেছেন, পড়েছেন, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা যে থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। তারা চায় এটা আরও কমে আসুক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে লাভরোডে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ -শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) উদ্যোগে ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অ্যান্ড রোড সেফটি শ্লো-গান কন্টেস্ট-২০২৪ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। এই টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে, সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে উত্তরা হয়ে আব্দুল্লাহপুর দিয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলতো। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের প্রধান কারণ।
মহাখালী বাস মালিক-শ্রমিক ও টার্মিনাল অথরিটির সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্ক করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানা ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।
একই সড়কে যখন বিভিন্ন গাড়ির গতি তিন রকম থাকবে তখন এতে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। আমাদের ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা, সানভীস তনির শোরুম সিলগালা
প্রতারণার অভিযোগে এবার আলোচনায় আসলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম রয়েছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (১৩ মে) গুলশান শ্যুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।
তিনি বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’
আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।
কাফি