জাতীয়
মৎস্য খাতের উন্নয়নে ১৭২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে জাপান
মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ, কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান সরকার। এ টাকা অনুদান হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি ‘বিনিময় নোট’ ও ‘অনুদান চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন। জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি ‘বিনিময় নোট’ এবং ঢাকায় নিযুক্ত জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে ‘অনুদান চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃক কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের আইরিশ এল-এন্ডিং সেন্টার শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ টাকা ব্যয় হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানিয়েছে, প্রকল্পের জন্য জাপান সরকারের অনুদান সহায়তায় মৎস্য আহরণ, উপকূলে অবতরণ এবং হস্তান্তরে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া কক্সবাজারে বিএফডিসির মৎস্য আহরণ কেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উন্নত করার মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ও উপকূলে অবতরণের মান উন্নয়ন, জেলেদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থায় উন্নতি করতে ব্যয় হবে।
ইআরডি জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ জাপান সরকার ৩২ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ইউএস ডলারের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে। বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। নমনীয় ঋণ ছাড়াও জাপান বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে, যার মধ্যে মানব সম্পদ উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশ সুরক্ষা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দশ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮১ কোটি ডলার
চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
রবিবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ৭৩ কোটি ১০ লাখ, ৬৭ কোটি ৯০ লাখ , ৭১ কোটি ৮০ লাখ ও ৭৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
এদিকে মে মাসের প্রথম ১০ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ৪ থেকে ১০ মে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর মে মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ দেশে এসেছে ১৪ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেশে এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজশাহীর আম বাজারজাতের তারিখ নির্ধারণ
রাজশাহী থেকে চলতি মৌসুমের আম বাজারজাতকরণের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চলটির জেলা প্রশাসন। আগামী ১৫ মে রাজশাহীর বিভিন্ন বাগানের গাছ থেকে নিরাপদ আম পাড়া, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ শুরু হবে। তবে ম্যাংগো ক্যালেন্ডার মেনে প্রথমেই নামবে গুটি জাতের আম। জাতআম গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগসহ মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসতে শুরু করবে আগামী ২৫ মে থেকে। এরপর ১০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি আম নামবে রাজশাহীর বাজারে।
রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর আম নামানোর সময় নির্ধারণের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিয়ময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় আম পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। সেখানেই এই ‘ম্যাংগো ক্যালেন্ডার’ চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিসি শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এর সুখ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়েই। তবে মৌসুমের নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজারে যেন কোনোভাবেই কেউ অপরিপক্ব এবং কেমিক্যাল মিশ্রিত কোনো আম নামিয়ে বিক্রি করতে না পারে। আর সেজন্যই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে আজ সভার আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি জানান, নির্দিষ্ট তারিখের আগে কেউ আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটি আম আগামী ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়া ২৫ মে থেকে সুস্বাদু রসাল আম গোপালভোগ, রানিপছন্দ ও লক্ষণভোগ, হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন।
রাজশাহী জেলার সব আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রেই একই ম্যাংগো ক্যালেন্ডার কার্যকর থাকবে। এছাড়াও বহুল পরিচিত কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছরই সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান।
সভায় রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২১৭
নির্মাণ থেকে শুরু করে উৎপাদন কার্যক্রমে মান ধরে রাখায় দেশে নতুন করে আরও দুটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়া কারখানা দুটি হচ্ছে গাজীপুরের এমটি সোয়েটার্স ও উত্তরখানের কেসি বটম অ্যান্ড শার্টওয়্যার কোম্পানি। ফলে দেশে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২১৭–তে দাঁড়িয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজ রোববার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১১টি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।
কারখানা দুটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এই সনদ পাওয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি শর্ত পালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। এমটি সোয়েটার্স ও কেসি বটম অ্যান্ড শার্টওয়্যার কোম্পানি উভয়েরই লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। তাদের অর্জিত নম্বর যথাক্রমে ৮২ ও ৮১। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান দুটি সবচেয়ে মর্যাদাশীল সনদ লাভ করেছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, পরিবেশবান্ধব ২১৭ কারখানার মধ্যে লিড প্লাটিনাম ৮৩টি, লিড গোল্ড ১২০, লিড সিলভার ১০ ও সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে ৪টি। অর্থাৎ ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ কারখানাই লিড প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখা হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী ঈদুল আজহার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার আবারও বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশাবাদ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, এটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মদিবসের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, তবে এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবি’র সঙ্গে আলোচনা করছি; ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদের বিশ্রামের প্রয়োজন আছে; শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না; সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না। সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে প্রতিদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করবে; বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে শনিবারের ক্লাস আমাদের হয়তো চালু রাখতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করবো।
প্রসঙ্গত, তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আইএলওর সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন ও বিচার মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় নিশ্চয়ই সন্তোষজনক, বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা।
বৈঠক শেষে আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমাদের আলোচনা চলছে। আগামীকাল (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আবার আলোচনা শুরু হবে। আমি এখন কিছু বলব না, আগামীকাল আলোচনা শেষে বলব।
কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রম আইনের সংশোধন নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কিছু পরামর্শ আছে। সেগুলো কতটা আমাদের দেশের স্বার্থে যৌক্তিক, সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা কোনটা গ্রহণ করতে পারব, কোনটা গ্রহণ করতে পারব না, সেক্ষেত্রে কিছুটা বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে আজ প্রায় আড়াই ঘণ্টায় ১৭টি পয়েন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। আরও ২৪টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা বাকি আছে। সেগুলো শেষ হওয়ার পর আপনাদের বিস্তারিত জানাব।
কাফি