জাতীয়
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম ‘সমদূরবর্তী’ দূত হিসেবে হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ড. টমাস সুলিয়কের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) বুদাপেস্টের সেনদর প্রাসাদে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্ট্রদূত।
অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জানায়, রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম অস্ট্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ড. টমাস সুলিয়কের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হিরোস স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত সিয়াম।
পরিচয়পত্র উপস্থাপনের পর হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন রাষ্ট্রদূত। হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হওয়া টমাসকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জানান। তারা বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
গত ৯ মে আসাদ আলম সিয়ামকে অস্ট্রিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
১৯৯৫ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেওয়া সিয়াম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেশাদার কূটনীতিক সিয়াম ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মন্ত্রণালয়ে চিফ অব প্রটোকলের দায়িত্ব পালনের আগে ইউরোপ উইংয়ের মহাপরিচালক ছিলেন। এছাড়া সিয়াম ফিলিপিন্স এবং পালাউয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি ইতালির মিলানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে সহকারী হাই-কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া জাকার্তা ও ব্যাংককে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন সিয়াম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইন জুয়ার কারণে মুদ্রাপাচার বাড়ছে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, অনলাইন জুয়া, হুন্ডি প্রভৃতি কারণে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাওয়ায় দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের মাত্রা বহুলাংশে বেড়েছে। প্রযুক্তিগত এ উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনলাইন জুয়া/বেটিং, গেমিং, ফরেক্স/ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও হুন্ডি প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন দেশ থেকে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার রোধসহ সব ধরনের অর্থপাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়া/বেটিং ও হুন্ডির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৮৬টি ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাব বিএফআইইউ কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা
খোলাবাজারে নগদ ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলারের দর ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণের পর খোলাবাজারে এমন প্রভাব পড়েছে। তবে এ দরেও চাহিদামতো ডলার পাচ্ছেন না অনেকে।
খোলাবাজারে পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দরও বেড়েছে আড়াই থেকে ৩ টাকা। গতকাল ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এরকম ব্যাংক আজ ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করেন এমন একজন জানান, ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে সব সময় ডলারের দর বেশি থাকে।
তিনি জানান, গতকাল সকালেও নগদ ডলার ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর গতকাল বিকেলে খোলাবাজারে তা বেড়ে ১১৯ টাকায় উঠেছিল। আজ আরও বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিআইপি সম্মাননা পেলেন ১৮৪ ব্যবসায়ী
রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকার ওয়াটার গার্ডেনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেওয়া হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তানি ও টেড) কার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে অর্জন, বিশেষ করে ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের যে অর্জন তা সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। বাংলাদেশ এ জায়গায় পৌঁছাবে তা অনেকে বিশ্বাস করতো না। ২০০৯ সালে যেখানে রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের একটু বেশি, আজকে সেই রপ্তানি আয় প্রায় চার গুন বেড়ে ৬৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। যার জিডিপির আকার প্রায় ৪৬০ বিলিয়নের ওপরে। এসবগুলো অর্জনই সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। উনি ব্যবসা-বাণিজ্যে লজিস্টিক যে সাপোর্ট দিয়েছেন এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেটি অনস্বীকার্য। আজকে রপ্তানি বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় নিয়ামক শক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা ১৪০ জনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য সিআইপি প্রদান করেছি। সেই সঙ্গে এ দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই তাদের স্বীকৃত স্বরূপ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ মোতাবেক ৪৪ জনকে সিআইপি ট্রেড হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রপ্তানি আয় হওয়ায় চা খাতের একটি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য এক বছর মেয়াদে সিআইপি (রপ্তানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিরা পরবর্তী বছরের সিআইপি (রপ্তানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।
২০২২ সালের পণ্য বা সেবার খাতওয়ারি মনোনীত সিআইপিদের (রপ্তানি ও ট্রেড) মধ্যে কাঁচাপাটে দুই জন, পাটজাত পণ্যে চারজন, চামড়াজাত দ্রব্যে ছয়জন, হিমায়িত খাদ্যে চারজন, তৈরি পোশাকে (ওভেন) ১৮ জন মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কৃষিজাত দ্রব্যে পাঁচজন, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং এ পাঁচজন, হালকা প্রকৌশলী পণ্যে চারজন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে তিনজন, হস্তশিল্পজাত পণ্যে চারজন, স্পেশালাইজড বা হোমটেক্সটাইল পণ্যে চারজন, তৈরি পোশাকে (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, সিরামিক পণ্যে একজন, প্লাস্টিকজাত পণ্যে চারজন, টেক্সটাইলে (ফেব্রিক্স) সাতজন, কম্পিউটার সফটওয়্যারে দুইজন, আসবাবে একজন, বিবিধ পণ্যে ২৭ জন ও ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সিআইপি হয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সিআইপি (ট্রেড ক্যাটাগরি) মনোনীত হয়েছেন ৪৪ জন।
সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (রপ্তানি) নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়। আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রপ্তানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।
সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীরা সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ‘লেটার অফ ইন্ট্রোডাকশন’ প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পাবেন।
সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন, যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ইসি কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার মাত্রা নগন্য ছিল। ইভিএমে ২১টি উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ১১৫টি উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। গড় হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, হাওড়ে বৃষ্টির কারণে ভোটের হার কম ছিল। আবার বড় একটি দল নির্বাচনে আসেনি; তাই তাদের সমর্থকরাও ভোটে অংশ নেননি। এ কারণেও ভোটের হার কম হতে পারে।
প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এ ধাপে মোট ১,৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এরই মধ্যে প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ হস্তান্তর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘বিএফডিসি রেডি-টু-কুক ফিশ’ সামগ্রী আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) গণভবনে এ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এ সময় একটি মিল্কিং মেশিনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম বিশেষত রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রমের ফলে কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন। তিনি কর্মজীবী মহিলাদের রান্না সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দূরদর্শী দিক নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ঢাকা শহরের ১৬টি স্পটে ৬টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ভিত্তিতে বিএফডিসি রেডি ফিস বাজারজাত করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ স্পটগুলো হলো- ১) মিরপুর ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড, ২) বনানী, নেভী হেডকোয়ার্টার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ সংলগ্ন), ৩) সচিবালয়ের দক্ষিণ গেইট, ৪) মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর, ৫) স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, ৬) মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর, ৭) ধানমন্ডি ৬ নম্বর, ৮) আজিমপুর কলোনি, আজিমপুর, ৯) লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন, ১০) সচিব কোয়ার্টার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার), ১১) দুদক অফিস সংলগ্ন, সেগুনবাগিচা, ১২) এজিবি কলোনি, মতিঝিল, ১৩) শংকর, ধানমন্ডি, ১৪) সেচভবন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার), ১৫) ধানমন্ডি ২৮, ও ১৬) মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।
এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিশ’ বাজারজাত করা হচ্ছে।