জাতীয়
বাংলাদেশ সরকারকে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অভিনন্দন

জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট। অস্ট্রেলিয়া বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।
সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি প্রদান এবং ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফহুইটলামের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুদেশের দৃঢ় সম্পর্কের সূচনা হয়।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন আল্লামা সিদ্দীকী। তিনি বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয়টি উল্লেখ করেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি অ্যান্ড্রু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন এবং শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য এ সময় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

জাতীয়
একদিনে এনবিআরের ৪৯ কর্মকর্তা বদলি

একদিনেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ৪৯ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জন অতিরিক্ত কমিশনার ও ২৪ জন যুগ্ম কমিশনার রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন-১ শাখার দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আবুল মনসুরের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ বদলির কথা জানানো হয়।
বদলি হওয়া ২৫ অতিরিক্ত কমিশনার হলেন—মির্জা সহিদুজ্জামান, প্রমীলা সরকার, শামীমা আক্তার, মো. খায়রুল কবির মিয়া, ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, আবুল আ’লা মোহাম্মদ আমিনুল ইহসান, মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, নাহিদ নওশাদ মুকুল, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মো. মিলন শেখ, মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান, মো. জিয়াউর রহমান খান, মো. রুহুল আমিন, আব্দুল রশীদ মিয়া, সাধন কুমার কুন্ডু, মোছা. শাকিলা পারভীন, খোজিস্তা আখতার, মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, নুসরাত জাহান, মোহাম্মদ বাপ্পী শাহরিয়ার সিদ্দিকী, রাকিবুল হাসান, রাফিয়া সুলতানা, রেজভী আহম্মেদ ও কামনাশীষ।
বদলি হওয়া ২৪ যুগ্ম কমিশনার হলেন- মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন, শাহীনূর কবির পাভেল, সারমিন আক্তার মজুমদার, হাসনাইন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী, মো. মিজানুর রহমান, মো. পায়েল পাশা, মো. নূর উদ্দিন লিমন, তাহমিনা আক্তার পলি, মো. শাকিল খন্দকার, স্নিগ্ধা বিশ্বাস, লুবনা ইয়াসমীন, মোহাম্মদ নাহিদুন্নবী, মো. খায়রুল আলম, নিতীশ বিশ্বাস, চপল চাকমা, সুশান্ত পাল, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. পারভেজ রেজা চৌধুরী, অথেলা চৌধুরী, মো. সানোয়ারুল কবির, কাজী ইরাজ ইশতিয়াক ও ছৈয়দুল আলম।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত এই কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বদলি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। তবে একসঙ্গে ৪৯ জনের বদলি বড় একটি ঘটনা।
জানা যায়, বদলি হওয়া অনেক কর্মকর্তা এনবিআর বিলুপ্তি ও চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবির আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কেউ কেউ এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সদস্যও ছিলেন। এ আন্দোলনে যুক্ত থাকার অপরাধে এনবিআরের ২৭ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলছে। কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
২০ শতাংশ শুল্ক অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি সফলতা: আইন উপদেষ্টা

বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বতী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ। অ্যানাদার সাকসেস অব ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট।
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় নতুন এ হার ঘোষণা করা হয়।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, অন্যান্য দেশের মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
ভারতের তুলনায় কম শুল্ক হওয়ায় একে একটি সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, আজ আমরা সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক এড়াতে সফল হয়েছি। এটা আমাদের পোশাক খাত ও এ খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য সুসংবাদ।
একই সুর বাংলাদেশ গার্মেন্টস প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের কথাতেও।
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই বাংলাদেশের জন্য খুশির খবর। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বাজার হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় প্রথমে ভারতকে সেই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, আমাদের চেয়ে ভারতের ওপর বেশি শুল্ক নির্ধারণ হয়েছে—২৫ শতাংশ। অর্থাৎ, মার্কিন ক্রেতারা এখন বাংলাদেশকেই চীনের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
কাফি
জাতীয়
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে প্রতারণা, সতর্ক করল হাইকমিশন

বাংলাদেশ থেকে সাবাহ প্রদেশে কর্মী নেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক নেই। সাবাহ প্রদেশের কর্তৃপক্ষ থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি।
শুক্রবার (১ আগস্ট) মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী প্রেরণের কথা বলে মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাসপোর্ট এবং নগদ টাকা সংগ্রহ করছে বলে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গোচরীভূত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী নেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক নেই।
এ ছাড়া সাবাহ প্রদেশের কর্তৃপক্ষ থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সাবাহ প্রদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে কর্মী নেওয়া সংক্রান্ত চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের প্রতারক চক্রের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হতে এবং এদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকতে মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
সাবাহ প্রদেশ কর্তৃপক্ষ থেকে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের অনুমতিপ্রাপ্ত হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে।
কাফি
জাতীয়
সারাদেশে অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১২৬১

সারাদেশে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ২৬১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মামলা এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৭৪৯ জন।
শুক্রবার (১ আগস্ট ) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে মোট এক হাজার ২৬১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৭৪৯ জন এবং অন্যান্য অপরাধে গ্রেপ্তার হন আরও ৫১২ জন।
এ ছাড়া অভিযানে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি, ককটেলসহ অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত আরও অনেক জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
কাফি
জাতীয়
স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো আসলে নন-ডিসপোজাল (অপ্রকাশ্য)। অনেক কিছু জানলেও এখন বলা সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি করা হয়নি, কোনো সামরিক চুক্তিও হয়নি। সরকারের জন্য একটি সফলতা।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডের বাসায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আমেরিকার পাল্টা শুল্কহার কমার প্রতিক্রিয়ায় এ সময় শফিকুল আলম বলেন, ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অন্য কোনো শর্ত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যতটুকু সম্ভব বিষয়গুলোকে সহজিকরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতামূলক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাছাকাছি শুল্ক থাকায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকছি না। পাশাপাশি বাণিজ্য ঝুঁকিও কমে যাচ্ছে।
কাফি