শিল্প-বাণিজ্য
ভারত থেকে এলো এক হাজার টন আলু
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে আলু আমদানি করা হয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৪টি চালানে এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে গত ১৩ মার্চ ৮ ট্রাকে ২০০ টন, ১৪ মার্চ ৮ ট্রাকে ২০০ টন, ১৯ মার্চ ১২ ট্রাকে ৩০০ মেট্রিক টন এবং শেষ ২৪ মার্চ রাতে আরও ১২ ট্রাকে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়। আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস।
তিনি আরও বলেন, আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আশা করি, দ্রুতই খালাস হয়ে যাবে।
এ দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমদানিকৃত আলুর তিনটি চালানের ৭০০ টন এরইমধ্যে বন্দর থেকে ছাড়করণ করা হয়েছে। শেষ চালানের ১২ ট্রাকের ৩০০ টন আলু বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বর তিন ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়। এরপর চলতি বছরের মার্চ মাসে চারটি চালানে আরও এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনতে হবে: সালমান এফ রহমান
যারা ট্যাক্স দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তাদের ওপর আরও বেশি ট্যাক্স চাপিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি মনে করেন, যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা উচিত।
বৃহস্পতিবার ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।
যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যে সকল দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।
সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।
বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
ডলারের দাম বাড়ায় দেশে রপ্তানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাত দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পিএইচপি মোটরসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করলো পেরোডুয়া
পিএইচপি গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত পিএইচপি মটরস বিখ্যাত মালয়েশিয়ান অটোমোবাইল ব্র্যান্ড পেরোডুয়ার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করেছে। কোম্পানি দুটি বাংলাদেশে পেরোডুয়ার গাড়ি ও এসইউভি আনবে এবং বাজারে বিক্রি করবে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) চট্টগ্রাম ভিত্তিক অটোমোবাইল কোম্পানিটি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পেরোডুয়ার চারটি মডেল লঞ্চ করতে চলেছে। পিএইচপি মোটরস প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে স্বনামধন্য মালয়েশিয়ান স্বয়ংচালিত ব্র্যান্ডকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি বৈচিত্র্য ও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
এদিন সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে এমসি’র সুনিপুণ নির্দেশনায় শুরু হয়, যা নাতে রাসুলের একটি আত্মা-আলোড়নকারী পরিবেশনার সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানটি ভিভিআইপি, ভিআইপি, পেরোডুয়া ভিআইপি এবং মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার, হাজনাহ মো. হাশিমসহ বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে সাজানো হয়।
সন্ধ্যায় রয়েছে পেরোডুয়া এআরইউজেড, পেরোডুয়া বেজ্জা, পেরোডুয়া এক্সিয়া এবং পেরোডুয়া এমইউভিআই গাড়িগুলোর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এই মডেলগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বয়ংচালিত বাজারের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে সতর্কতার সাথে ডিজাইন করা হয়েছে, যা শৈলী, কর্মক্ষমতা এবং ক্রয়ক্ষমতা একটি নিখুঁত মিশ্রণের মধ্যে।
লঞ্চ হতে যাওয়া পেরোডুয়ার চারটি মডেল
পেরোডুয়া এআরইউজেড: একটি বহুমুখী এসইউভি যা শহুরে রাস্তা এবং রুক্ষ ভূখণ্ড উভয়ই সহজে নেভিগেট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এটি দুঃসাহসী বাংলাদেশী চালকদের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ। এআরইউজেড ১৫০০ সিসি ৭-সিটার এসইউভি।
পেরোডুয়া বেজ্জা: একটি কমপ্যাক্ট সেডান যা তার জ্বালানি দক্ষতা এবং প্রশস্ত অভ্যন্তরের জন্য বিখ্যাত। এটি শহরের যাতায়াত এবং দূর-দূরত্বের ভ্রমণের জন্য পুরোপুরি উপযোগী।
পেরোডুয়া এক্সিয়া: একটি কমপ্যাক্ট হ্যাচব্যাক যা অতুলনীয় জ্বালানি দক্ষতা, তত্পরতা এবং ব্যবহারিকতা প্রদান করে, যা এটিকে শহুরে ড্রাইভিং এবং আঁটসাঁট পার্কিং স্পেসগুলোর জন্য নিখুঁত পছন্দ।
পেরোডুয়া এমইউভিআই: একটি আড়ম্বরপূর্ণ এবং স্পোর্টি হ্যাচব্যাক তার নির্ভরযোগ্যতা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশী অটোমোটিভ মার্কেটের সেগমেন্টে নতুন মান স্থাপন করেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
মোটর শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চায় ব্যবসায়ীরা
স্থানীয় বাজারে অটোমোবাইল শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা বিদ্যমান। কিন্তু বিশাল এই বাজারের চাহিদা মেটাতে গাড়ি ও যন্ত্রপাতির অধিকাংশ নিয়ে আসতে হয় বিদেশ থেকে। এই শিল্পের বিকাশ ও স্থানীয় বাজার ধরার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের সহযোগিতা চান এই খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সরকারের নীতি সহায়তা পেলে দেশেই অটো মোবাইল প্রস্তুত ও উৎপাদন কার্যক্রম বিকশিত হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড অ্যাসেম্বলারস্ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং উত্তরা মটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বড়। অর্থনীতি বড় হওয়ার সাথে সাথে দেশে মোটর শিল্পের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায় অতীতেও যেমন চ্যালেঞ্জ ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে থাকবে। এর মধ্যেই বেসরকারি খাতের এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। এসময় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিকাশের উপরও জোর দেন তিনি।
অটোমোবাইল খাতে ম্যানুফ্যাকচারিং বা প্রস্তুতকরণে ব্যবসায়ীদের কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসা চালাতে গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে এবং হবেও। তবে আমদানি সারাজীবন নয়, এখন সময় হয়েছে আমরা গাড়ি প্রস্তুতকরণে দিকে মনোযোগী হওয়ার। এজন্য কাউকে না কাউকে কাজ শুরু করতে হবে। এসময় অটো মোবাইল উৎপাদনে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় বাড়ছে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনছে। এক্ষেত্রে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করছে। তবে আমদানির সাথে সাথে অ্যাসেম্বলিং এবং তারপর প্রস্তুতকরণে কাজ শুরু করতে হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা দেশে অটোমোবাইল খাতের ভেন্ডর উন্নয়নে জোর দেন। তারা বলেন, অটোমোবাইল খাতের বিশাল বাজার রয়েছে সারাবিশ্বে। এসব বাজার ধরতে দেশে যন্ত্রপাতি তৈরিতে ভেন্ডর উন্নয়ন জরুরি। ভেন্ডর উন্নয়নে প্রণোদনাসহ লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত।
এছাড়া অটোমোবাইল খাতের মেইটেইন্যান্সের জন্য আলাদা অঞ্চল নির্ধারণ করে দেয়া, সময়ের সাথে সাথে এসআরও-তে পরিবর্তন আনা, দেশে ইলেকট্রিক যানবাহন আমদানি সহজীকরণ করা, বিআরটিএ-তে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, ব্যাংকগুলোকে একই নীতি অনুসরণ করাসহ অটোমোবাইল খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের যেকোনো নীতিমালা প্রণয়নে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের মতামত গ্রহণ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন অর রশীদ, কাওসার আহমেদ, নিয়াজ আলী চিশতী, আমির হোসেন নূরানী, মহাসচি মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
করদাতাদের জন্য সুখবর
প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কর-জিডিপি অনুপাতে পিছিয়ে বাংলাদেশ। অর্থপাচার, কর ফাঁকি ও অবৈধ পুঁজিপ্রবাহ, কর আহরণে সনাতনী পদ্ধতি, করদাতাদের আস্থার সংকট এবং করছাড় নীতির কারণেই দেশে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আহরণ হচ্ছে না। আর জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব আহরণও হতাশাজনক। তাই রাজস্ব বাড়াতে করদাতাদের হয়রানি কমাতে বিশেষ উদ্যাগ নিচ্ছে এনবিআর। আর জিডিপির অনুপাতে করের অংশ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা।
জানা গেছে, গত এক দশকে কর-জিডিপি অনুপাত না বেড়ে উল্টো কমেছে। ২০২৩ সালে জিডিপির অনুপাতে করের অংশ দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ। আর ২০২২ সালের কর-জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা ভারতে ছিল ১৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিসহ করদাতাদের হয়রানি কমাতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে এনবিআর। আগামী বাজেটে ব্যক্তি ও কোম্পানি সব শ্রেণির করদাতাকে স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে হবে। এ পদ্ধতিতে রিটার্ন অ্যাসেসমেন্ট করা হয় না। বর্তমানে ব্যক্তি করদাতাদের স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দিতে হয়। অন্যদিকে কোম্পানি করদাতারা স্বনির্ধারণী ও সাধারণ- দুই নিয়মেই রিটার্ন জমা দিতে পারেন। সাধারণ নিয়মে জমা দেওয়া রিটার্ন অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে চূড়ান্ত কর আদায় করা হয়। আর স্বনির্ধারণী পদ্ধতির রিটার্ন অডিট করা হয়।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, অ্যাসেসমেন্ট প্রথা বাতিল হলে কমপ্লায়েন্ট করদাতাদের হয়রানি কমবে। তবে এক্ষেত্রে রাজস্ব ঝুঁকির প্রবণতাও তৈরি হবে। যেমন অডিটে না পড়লে অস্বচ্ছ কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমাফিক রিটার্ন জমা দিয়ে পার পেতে পারে। অর্থাৎ আইনের মধ্য থেকে কোম্পানি কর ফাঁকির সুযোগ পাবে।
অন্যদিকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। বর্তমানে বছরে যাদের সাড়ে ১৬ লাখ টাকার বেশি আয়, তাদের ২৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। এটিকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে এক কোটির বেশি টিআইএন-ধারী আছেন। তাদের মধ্যে ৪০ লাখ টিআইএন-ধারী আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী এখন ৪৪ ধরনের সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন স্লিপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশে করদাতার সংখ্যা অনেক থাকলেও কম সংখ্যক লোক আয়কর দিয়ে থাকেন। এ জন্য তারা করজাল বিস্তারের পরামর্শ দিয়েছেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট পিআরআইর এক গবেষণয় বলা হয়েছে, আয়করযোগ্য হলেও অনেকেই নিয়মিত কর দেন না। ব্যক্তিপর্যায় থেকে রাজস্ব আদায় বছরে আরও ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আগামীকাল
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগামীকাল বুধবার (৮ মে) পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বুধবার (৮ মে) ৬ষ্ঠ পর্যায়ের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারিভাবে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে কাস্টমসের সকল বিভাগ বন্ধ থাকবে। এতে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় দু’দেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সকল কার্যক্রম চালু হবে। এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।