Connect with us

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ

Published

on

তালিকাভুক্ত

২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে গত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয়ের একটি বড় পরিবর্তন হয়েছে। করোনা মহামারীর একটি গুরুতর প্রভাব হতে পারে বলে মনে করছে সানেম।

গবেষণায় বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের তুলনায় গড় মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ১ হাজার ৭০৪ টাকা।

তবে এ বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় সব আয়ের মানুষের মধ্যে সমান নয়। দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য এই বৃদ্ধি মাত্র দ্বিগুণ ছিল, যেখানে সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য বৃদ্ধি ছয়গুণ।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট যৌথভাবে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হচ্ছে, করোনা মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশে একটি প্রধান সাফল্য ছিল যথাসময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে কভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ সময় ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ মহিলা (পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সী) ভ্যাকসিনের দুটির বেশি ডোজ পেয়েছেন।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। করোনা ও করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাত মুনাফা সংকটে ভুগলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ভালো প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।

ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফার প্রবৃদ্ধি গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি, যা বাংলাদেশের অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় আকর্ষণীয়। ওষুধের দাম বাড়ায় অনেক কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও সামর্থ্যহীন মানুষজন ওষুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

সার্বিক দারিদ্র্য কমে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ :

কভিড মহামারীর পর দেশে দারিদ্র্য কমে ২০ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। তবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্র কমলেও শহরে বেড়েছে। ২০২৩ সালে দারিদ্র্যের হার দেশের গ্রামীণ এলাকায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

‘কভিড-১৯ মহামারী এবং মহামারী-পরবর্তী প্রতিবন্ধকতা কীভাবে বাংলাদেশের দারিদ্র্য, আয় বৈষম্য, শিক্ষা এবং খাদ্য-সুরক্ষার ওপর প্রভাব ফেলছে?’ শীর্ষক এ যৌথ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৩ সাল শেষে মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ পরিবার তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে।

জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে ২৮ শতাংশ পরিবার ঋণ গ্রহণ করেছে। দারিদ্র্য বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে দেশের সাধারণ মানুষ পুষ্টিকর খাবার কম খাচ্ছে। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চিকিৎসা ব্যয় ও ওষুধের দাম ব্যাপক হারে বাড়ায় দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বেড়েছে তিনগুণ।

২০১৮ সালে দেশের সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৬ শতাংশ যা এখন ২০ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। যৌথ গবেষণায় বলা হচ্ছে, বর্তমানে দেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। এ হার গ্রামীণ এলাকায় বেশি। গ্রামীণ এলাকায় চরম দারিদ্র্যে রয়েছে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ। বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার রংপুরে, দ্বিতীয় অবস্থানে বরিশাল। দারিদ্র্যের হারে রংপুর ও বরিশালে যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২০১৮ সালে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ২১ দশমিক ৬ শতাংশে কমে এলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে গবেষণ।

কভিডে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে :

এ গবেষণায় দেখা গেছে, মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থানের ওপর মহামারীর প্রভাবে ৫৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ শতাংশ নারী মহামারী চলাকালে তাদের চাকরি হারিয়েছিলেন।

এ শ্রমিকদের বেশিরভাগই তিন-চার মাসের বেশি সময় ধরে বেকার ছিলেন। প্রায় সব শ্রমিকই মজুরি হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছেন। অকৃষি খাতের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি স্বনিযুক্ত কর্মী মহামারী চলাকালে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

তাদের অর্ধেকেরও বেশিকে এক-তিন মাসের জন্য ব্যবসা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। কৃষি, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি বা মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে, পরিবারগুলো মহামারী চলাকালে উচ্চ কাঁচামালের মূল্য, উৎপাদিত পণ্যের কম দাম, শ্রমিকের অভাব, পরিবহন সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।

এ গবেষণায় অভিবাসী পরিবারের ওপর মহামারীর প্রভাবও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। মহামারীর শুরু থেকে অনেক আন্তর্জাতিক অভিবাসী শ্রমিককে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়েছে।

২০১৮ সালে অভিবাসী কর্মীদের সংখ্যার অনুপাত হিসাবে, জাতীয়ভাবে ২০২৩ সালে জরিপ চলাকালে আন্তর্জাতিক অভিবাসী পরিবারের ৯ শতাংশেরও বেশি পরিবারে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী কর্মী ছিল। এ প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের ফিরে আশার পেছনে প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মহামারী চলাকালে চাকরি হারানো (৩৩ শতাংশ), চুক্তিসংক্রান্ত সমস্যা (২০ শতাংশ), নিয়োগকর্তার সঙ্গে বিরোধ (১৪.৭ শতাংশ), মিথ্যা/ভিসা বা প্রতারণার শিকার হওয়া (৪ শতাংশ)।

মূল্যস্ফীতিতে ৭০ শতাংশ পরিবারের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন :

এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ পরিবার মূল্যস্ফীতির কারণে তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছে, ৩৫ শতাংশ খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় হ্রাস করেছে, ২৮ শতাংশ ঋণ গ্রহণ করেছে এবং ১৭ শতাংশ সঞ্চয় হ্রাস করেছে। খাদ্যাভ্যাসের এমন হ্রাসমান তারতম্য পরিবারগুলোকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে ফেলেছে।

দরিদ্র পরিবারের মধ্যে, মাঝারি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে ৫ শতাংশ পয়েন্ট (এপ্রিল ২০২৩-এ ২৫ শতাংশ থেকে অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৩-এ ৩০ শতাংশ), যেখানে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ৩ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে (৪ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে)।

শহুরে এলাকার দরিদ্ররা গ্রামের তুলনায় বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীন ২৯ শতাংশ গ্রামীণ দরিদ্র পরিবার এবং ৩২ শতাংশ শহুরে দরিদ্র পরিবারকে ২০২৩ সালের অক্টোবর/নভেম্বর মাসে মাঝারিভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রামীণ এবং শহর উভয় ক্ষেত্রেই দরিদ্র পরিবারের মধ্যে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৭ শতাংশ।

সমীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে, গবেষণায় পাঁচটি মূল নীতিমালা সুপারিশ করে। প্রথমত, সরকারকে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (ঘঝঝঝ) অনুযায়ী সারা দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করতে হবে। শহুরে দরিদ্র এবং নব্য দরিদ্র পরিবারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুপস্থিত শিশুদের সমস্যা সমাধানের জন্য, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমাতে এবং মহামারী চলাকালে প্রতিবন্ধকতাঘটিত শিক্ষাক্ষতি (লার্নিং লস) পুষিয়ে নিতে শিক্ষা খাতে আরও বাজেট বরাদ্দ এবং নির্দিষ্ট নীতিমালা জোরদার করা উচিত।

তৃতীয়ত, সরকারের কর সংগ্রহের আওতা বাড়ানো এবং বিদ্যমান কর কাঠামো পুনর্গঠনের ওপর জোর দেওয়ার সময় এসেছে। কারণ শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আরও বড় আর্থিক জোগানের প্রয়োজন হবে।

চতুর্থত, পুরুষ, তরুণ এবং স্থায়ীভাবে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে বেকারত্বের হার কমাতে সরকারকে আরও সক্রিয় শ্রমবাজার নীতি গ্রহণ করতে হবে।

পরিশেষে, গৃহস্থালির মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সরকারকে বিকল্প ও পরিপূরক নীতি গ্রহণ করতে হবে।

এর মধ্যে বাজারের ওপর নজরদারি বাড়ানো এবং বাংলাদেশের অনেক প্রধান খাদ্যের আমদানি শুল্ক উদারীকরণ নীতি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। অত্যাবশ্যকীয় খাবারের (যেমন দুগ্ধজাত খাবার, মাংস, ফলমূল ইত্যাদি) বর্ধিত সরবরাহ বাংলাদেশকে দামের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। এর সঙ্গে সঙ্গে সহায়ক রাজস্ব ও আর্থিক নীতিমালা পরিপূরক হিসেবে জোরদার করা উচিত।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আরও ২২ জন আক্রান্ত

Published

on

তালিকাভুক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কপরেশনের বাইরে) দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দুইজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ১৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট দুই হাজার ২০৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ৮ মে পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৪৩২ জন পুরুষ এবং ৯২৮ জন নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং জন ১৫ জন মহিলা রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

তালিকাভুক্ত

বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পেলে ওই সব টিকা দেওয়া হবে না।

আজ বুধবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তিনি শুনেছেন, কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমাদের এখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো রিপোর্ট আমরা পাইনি। আমি ডিজি হেলথকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ নিয়ে সার্ভে করছে। যাদেরকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের ওপর সার্ভে করে আমাকে রিপোর্ট দেবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রমাণ না পাব, ততক্ষণ আমি এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না।’

করোনাভাইরাস মহামারির সময় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোভিশিল্ড নামে তাদের এই টিকা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে গেছে। বাজারে এখন উদ্বৃত্ত টিকা আছে উল্লেখ করে করোনার টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে এই টিকা ঘিরে তাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা চলছে। তাতে অভিযোগ, কোভিশিল্ডের ডোজ নিয়ে একাধিক মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, এই টিকা ব্যবহারের কারণে বিরল ক্ষেত্রে থ্রম্বসিস বা থ্রম্বসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজকের অনুষ্ঠানে ডেঙ্গুর প্রসঙ্গ আসে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যাতে কোনো সরঞ্জামের সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে, সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধন সবচেয়ে জরুরি।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের দুটি মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। যদি ডেঙ্গুর উৎস না কমাই, তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কাজ হবে না।’

সভায় ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, টিকাদান কার্যক্রমে অসাধারণ সফলতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ। সভায় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, নাদিয়া বিনতে আমিন, ফরিদা ইয়াসমিন, অণিমা মুক্তি গোমেজ, কানন আরা বেগম, জ্বরতি তঞ্চঙ্গ্যা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ মায়া ভানডেনেট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বার্ধান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জন আক্রান্ত

Published

on

তালিকাভুক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময় সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চারজন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে দুই হাজার ১৮৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

চলতি বছরের ৭ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৪২১ জন পুরুষ ও ৯১৭ জন নারী রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ যাবৎ ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী রয়েছেন।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

দেশে হিট স্ট্রোকে পনেরো দিনে ১৫ মৃত্যু

Published

on

তালিকাভুক্ত

তাপপ্রবাহে দেশে গত ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে আজ সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজন হিট স্ট্রোক করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নড়াইলের বাসিন্দা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন হিট স্ট্রোক করেছেন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী।

তবে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২২ এপ্রিল থেকে, অর্থাৎ তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার ২০ দিন পর থেকে এই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।

এবারই প্রথম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিট স্ট্রোক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছে। এর আগে ডেঙ্গু ও করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

স্বাস্থ্য

১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ জনের মৃত্যু

Published

on

তালিকাভুক্ত

সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিটস্ট্রোকে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। সংস্থাটি জানায়, এ নিয়ে গত ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন ৩৪জন। আর মারা গেছেন ১৫ জন।

সোমবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত ১৪ দিনে সারাদেশে ৩৩ জন ব্যক্তি হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি নড়াইলের বাসিন্দা।

অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে মাগুরায়, ৭ জন। এছাড়া মারা গেছে চট্টগ্রাম, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান এবং মাদারীপুরে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
তালিকাভুক্ত
জাতীয়1 hour ago

নিম্নমানের রেগুলেটর ক্রয়-বিক্রয়ে সতর্কবার্তা দিলো তিতাস

তালিকাভুক্ত
লাইফস্টাইল1 hour ago

কানের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি2 hours ago

রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় এভিয়েশন শিল্প এগিয়ে যাবে: মন্ত্রী

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে উন্নয়ন সহযোগীদের এগিয়ে আসার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

তালিকাভুক্ত
শিল্প-বাণিজ্য2 hours ago

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনতে হবে: সালমান এফ রহমান

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন সমাপ্ত

তালিকাভুক্ত
জাতীয়2 hours ago

শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

তালিকাভুক্ত
ধর্ম ও জীবন3 hours ago

আগামীকাল থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি3 hours ago

এপ্রিলে অর্থনীতির গতি কমেছে

তালিকাভুক্ত
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ

তালিকাভুক্ত
জাতীয়3 hours ago

দেশে কোনো সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে না বিদেশি সংস্থা, সংসদে বিল

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি4 hours ago

বিশ্বে রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম

তালিকাভুক্ত
খেলাধুলা4 hours ago

সর্বোচ্চ রানের ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ

তালিকাভুক্ত
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

এবার নগদে লেনদেনে ঢাকায় জমি জিতলেন হাবিবুর রহমান

তালিকাভুক্ত
আন্তর্জাতিক4 hours ago

সৌদির ভিসা নিয়ে সুসংবাদ পেলো আরও তিন দেশ

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি4 hours ago

বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

তালিকাভুক্ত
শিল্প-বাণিজ্য4 hours ago

পিএইচপি মোটরসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করলো পেরোডুয়া

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার4 hours ago

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে সেক্রেটারিয়াল অডিট চায় আইসিএসবি

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার5 hours ago

আইসিবির প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ছে

তালিকাভুক্ত
জাতীয়5 hours ago

সব ধরনের তার মাটির নিচ দিয়ে টানা হবে: পলক

তালিকাভুক্ত
অর্থনীতি5 hours ago

ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানি বাড়বে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার6 hours ago

আইপিডিসির প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার6 hours ago

এনআরবিসি ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১৭ শতাংশ

তালিকাভুক্ত
পুঁজিবাজার6 hours ago

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১