জাতীয়
সেনাবাহিনীর ৫১ কর্মকর্তাকে অনারারী কমিশন প্রদান

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ জন অনারারী লেফটেন্যান্টকে অনারারী ক্যাপ্টেন পদে এবং ২৫ জন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসারকে অনারারী লেফটেন্যান্ট পদে অনারারী কমিশন প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৬ জন অনারারী লেফটেন্যান্ট থেকে অনারারী ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. উদ্দিন, আর্মার্ড; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. সেলিম মিয়া, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. শুকুর মাহমুদ, আর্টিলারি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মুহাম্মদ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. মাহবুবুল আলম, এসইউপি, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ শামসুল আবেদীন, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট আবদুল হালিম মৈশান, সিগন্যালস্।
এছাড়া অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আবদুল কাদের, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল হাই, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. শাহজাহান আলী, সিগন্যালস্; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. হাবিবুর রহমান, ই বেংগল; অনারারী লেফটেন্যান্ট আহসান হাবীব, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. দেলওয়ার হোসেন, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. এনামুল হক, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. নজরুল ইসলাম, বীর ; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. রফিকুল ইসলাম, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. শাহ্জাহান, বীর ; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. কবিরুল কাজী, বীর; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া, এএসসি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল্লাহ, এএসসি; অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. মনির উদ্দিন, অর্ডন্যান্স; অনারারী লেফটেন্যান্ট আবদুল আলীম হাওলাদার, সিএমপি এবং অনারারী লেফটেন্যান্ট মো. জাকির হোসেন, এএমসি।
সেনাবাহিনীর ২৫ জন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অনারারী লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন প্রাপ্তরা হচ্ছেন- মাস্টার স্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অপারেটর) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, আর্মার্ড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (অপারেটর) মো. ছানোয়ার হোসেন, আর্মার্ড; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (টিএ) মো. হাবিকুল ইসলাম, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (মেশিনিষ্ট) মো. হেলাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ইলেকট্রিশিয়ান) মো. জিয়াউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওয়াইঅবএস) মো. আমিনুল ইসলাম, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আছাদুল করিম, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম খাঁন, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. রুহুল আমিন, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আব্দুল হালিম, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. মাসুদ করিম, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. খোরসেদ আলম, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আফিয়ার রহমান, ই বেংগল।
এছাড়া মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ নাজমুল খান, ই বেংগল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. নুরুল আজম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. জাইদুল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. বাবুল আক্তার, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মো. দেলোয়ার হোসেন, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মোহা. আব্দুর রউফ, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) মো. আব্দুল লতিফ, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এমটি) মো. আমিরুল ইসলাম, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এসএমএস) আব্দুল মালেক, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এ্যান্সিলারি) মো. মোতালেব হোসেন, ইএমই।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর এ অনারারী কমিশন ২৬ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
কাফি

জাতীয়
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৬৯ হাজি

পবিত্র হজ সম্পন্ন করে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৩৬৯ জন হাজি। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘এসভি-৩৮০৩’ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এসময় বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজে হাজিদের স্বাগত জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি ফুল দিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইটের হাজিদের বরণ করে নেন।
বিমানবন্দরে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, আজ আরও সাতটি ফিরতি ফ্লাইটে আড়াই হাজারের বেশি হাজি দেশে ফিরবেন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।
এ বছর হজ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সৌদি আরবে গেছেন। এরমধ্যে প্রথম হজ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ২৯ এপ্রিল। এরপর প্রায় এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে হজযাত্রীদের বহন করে ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়। সর্বশেষ হজ ফ্লাইটটি যায় গত ১ জুন। পুরো এই সময়ে মোট ২২০টি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ৩০২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন।
জানা গেছে, এবার হজ ফ্লাইট পরিচালনায় অংশ নেয় তিনটি এয়ারলাইনস। সেগুলো হচ্ছে —বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইনস এবং ফ্লাইনাস। ফিরতি যাত্রার ক্ষেত্রেও এসব এয়ারলাইনস প্রতিদিন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ফিরতি হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থা। বেবিচক জানিয়েছে, এভসেক পুরো হজযাত্রী চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফ্লাইট আগমনের পর আনসার সদস্যরা হাজিদের স্বাগত জানিয়ে সঠিক পথে গাইড করবেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের তত্ত্বাবধানে হাজিদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ কাউন্টারে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে করে ভিড় এড়ানো এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। লাগেজ বেল্ট ৫, ৬, ৭ ও ৮ শুধুমাত্র হাজিদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। আনসার সদস্যরা হাজিদের লাগেজ সংগ্রহে সহায়তা করবেন। লাগেজ সংগ্রহ শেষে হাজিরা গ্রিন চ্যানেল-২ দিয়ে কাস্টমস পার হবেন। এরপর তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্ত্বাবধানে জমজমের পানি সংগ্রহ করবেন এবং ক্যানোপি-২ দিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
এ ছাড়া, এপিবিএন এর ব্যবস্থাপনায় হাজিদের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভওয়েতে যান চলাচল সুনিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জাতীয়
পুলিশের কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে বা দুর্নীতিতে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না, যদি কোনো রকম দুর্নীতির সাথে জড়িত হয়।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি আমরা কোনোভাবে কন্ট্রোলে আনতে পারতাম, তাহলে কিন্তু দেশ অনেক অনেক আগাইয়া যাইতো। এজন্য আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতিমধ্যে মামলাগ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, তাই হয়রানির শিকার হতে হবে না।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এজন্য আমরা দেখব, যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসব। আর যারা নির্দোষ তারা যাতে কোনো মতে সাজা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
জাতীয়
যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

চারদিনের সফরে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
এর আগে সোমবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের ফ্লাইটযোগে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
জানা যায়, এ সফরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হবে। এছাড়া দু’দেশের সম্পর্ক নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে সফর অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয়
প্রয়াত এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি মিললো কুষ্টিয়ায়

কুষ্টিয়া শহরের একটি বহুতল ভবনের পার্কিং জোনে একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ির সন্ধান মিলেছে। কোটি টাকার গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নিহত আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা।
গাড়িটির সন্ধান মিললে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সোমবার (৯ জুন) রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের ৮ তলা বিশিষ্ট সাফিনা টাওয়ার নামে ভবনের গ্যারেজে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটি পাওয়া যায়। গাড়ি থেকে কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা গাড়িটির খবর পাই। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি পায়। পুলিশ গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে। গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাগজপত্রে তার নাম রয়েছে। এই গাড়িটি বেশ কয়েকমাস আগে বাড়ির গ্যারেজে রাখা হয়।
বাসার কেয়ার টেকার আলমগীর হোসেন বলেন, জেনুইন লিফ কোম্পানি নামে একটা সিগারেট কোম্পানি ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। সেখানে ফরেনাররা আসেন, থাকেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেন। তারাই গাড়িটা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। জেনুইন লিফ কোম্পানির বেলাল স্যার জিএম আর জাহিদ স্যার সিইও। এর বেশি আমরা কিছুই জানি না।
গাড়িচালক শান্ত বলেন, আজ থেকে ৫ বছর আগে আমি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগার আলীর গাড়ির ড্রাইভার ছিলাম। এখন আর নেই। আমি জেনুইন লিফ কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করি। জিএম স্যার বেলাল ও সিইও জাহিদ স্যারের গাড়ি চালাই। তারা দুজন আমাকে চাবি দিয়ে গাড়ি স্ট্যার্ট দিতে বলেন। জেনুইন লিফ টোব্যাকোর বেলাল ও জাহিদ স্যারের হুকুমে আমি স্ট্যার্ট দিয়েছি। গাড়ির মালিক কে? তা আমি জানি না। বেলাল স্যার আর জাহিদ স্যার সব কিছু জানেন। তাদের হুকুমে গাড়ি স্ট্যার্ট দিয়েছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
গাড়ি থেকে পুলিশ কাগজপত্র, লাইসেন্স ও স্টিকার উদ্ধার করেছে। সেখানে গাড়ির মালিকের নাম লেখা আছে। এই গাড়িটি আমি কখনো চালাইনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবনের গার্ড বলেন, তারা গাড়ি এনে রাখেন। আমি তো জানি না যে গাড়িটা কার। আজকে শুনছি গাড়িটা এক এমপির। সিগারেট কোম্পানির অফিসের স্যাররা এই গাড়িটি রেখেছেন বেশ কয়েক মাস আগে। গাড়িটা বাইরে বের করা হয় না সেভাবে। তবে মাঝেমধ্যে স্টার্ট দেওয়া হয়। চালক শান্ত গাড়িটা স্টার্ট দেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও মালিকানা পত্রে আনোয়ারুল আজীম আনারের নাম উল্লেখ রয়েছে।
তিনি বলেন, সাফিনা টাওয়ারের ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ার চুক্তিপত্র অনুযায়ী মেহেরপুর জেলার গাংনী পৌরসভার বাঁশবাড়িয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মো. মুস্তাফিজুর রহমান ভবনের তিনটি ইউনিট ও তিনটি গাড়ির পার্কিং স্পেস ভাড়া নেন। গাড়িটি বর্তমানে মুস্তাফিজুর রহমানের পার্কিং স্পেসে রয়েছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভাড়া নিয়েছেন তিনি। মুস্তাফিজুর রহমান কুষ্টিয়ার দশ মাইল এলাকায় অবস্থিত ‘তারা টোবাকো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান তৎকালীন এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ২২ মে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর শোনা যায়। তবে এখন পর্যন্ত তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ।
জাতীয়
আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে আজ বক্তব্য রাখবেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তরে ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা শ্রমবাজার, কর্মসংস্থান ও শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলবার (২০ জুন) প্ল্যানারি সেশনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বক্তৃতা করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা। এতে বাংলাদেশের শ্রমখাতের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হবে।
মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন হলো আইএলও-এর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকার, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এবারের সম্মেলনে শ্রমিকদের অধিকার, ন্যায্য মজুরি ও শোভন কর্মপরিবেশ নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে দেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করবে। সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বিজিএমইএ প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ইম্প্লোয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।