স্বাস্থ্য
দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শনাক্ত হবে যক্ষ্মা
দেশে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। আগামী বছর থেকে দেশের তিনটি জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট কর্মসূচি হিসেবে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় জেলায় এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কাওরানবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলোজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। ‘টিবি (যক্ষ্মা)-সিআরজি বিষয়ে কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক এবং আইএসিআইবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো শতভাগ সফলতা পেয়েছে। আমাদের উপমহাদেশেও এখন যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করার পাইলটিং চলছে। আমাদের দেশেও আগামী বছর থেকে ঢাকা, খুলনা ও পঞ্চগড় এই তিনটি জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে শতভাগ রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন, চলমান পদ্ধতিতে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত সঠিক না হওয়ায় বহু রোগী রোগটি নিয়ে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করছেন। এতে তারা শনাক্তের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। অন্যদের মাঝে রোগটি ছড়ান।
তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে যক্ষ্মা রোগীদের জন্য ৬ থেকে ১২ মাসের ওষুধ সেবনের কোর্স সময় কমিয়ে স্বল্প সময়ের ওষুধ আনা হচ্ছে। তাতে দুই মাস এবং এক মাসের কোর্স থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
যক্ষ্মা রোগ বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, দেশে ৫১ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী খুব উচ্চ পরিবহন খরচের কারণে যক্ষ্মা রোগের ওষুধ নিতে কেন্দ্রে আসেন না। এ জন্য রোগীদের কাছাকাছি যদি ফার্মেসিতে ওষুধ রাখা যায়, তাহলে তারা সহজেই ওষুধ নেবেন। ওষুধ সেবন করে তারা সুস্থ হবেন। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছার উপর গুরুতারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা একটি জীবাণুঘটিত রোগ। যেকোনো বয়সী নারী পুরুষের যে কোনো সময়ে যক্ষ্মা হতে পারে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যক্ষ্মারোগের সংক্রমণ ঘটে। যক্ষ্মা একটি প্রতিরোধযোগ্য এবং নিরাময়যোগ্য রোগ। কিছু নিয়ম মেনে চললে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি রাশেদ রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব রফিকুল ইসলাম মিলন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও ২২ জন আক্রান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কপরেশনের বাইরে) দুইজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে দুইজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন এবং রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ১৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন, চলতি বছরে মোট দুই হাজার ২০৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ মে পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৬০ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৪৩২ জন পুরুষ এবং ৯২৮ জন নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৮ জন। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং জন ১৫ জন মহিলা রয়েছেন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো প্রমাণ পেলে ওই সব টিকা দেওয়া হবে না।
আজ বুধবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে এ কথা বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তিনি শুনেছেন, কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমাদের এখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো রিপোর্ট আমরা পাইনি। আমি ডিজি হেলথকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ নিয়ে সার্ভে করছে। যাদেরকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের ওপর সার্ভে করে আমাকে রিপোর্ট দেবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রমাণ না পাব, ততক্ষণ আমি এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না।’
করোনাভাইরাস মহামারির সময় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। কোভিশিল্ড নামে তাদের এই টিকা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে গেছে। বাজারে এখন উদ্বৃত্ত টিকা আছে উল্লেখ করে করোনার টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তবে এই টিকা ঘিরে তাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা চলছে। তাতে অভিযোগ, কোভিশিল্ডের ডোজ নিয়ে একাধিক মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, এই টিকা ব্যবহারের কারণে বিরল ক্ষেত্রে থ্রম্বসিস বা থ্রম্বসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজকের অনুষ্ঠানে ডেঙ্গুর প্রসঙ্গ আসে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় যাতে কোনো সরঞ্জামের সংকট তৈরি না হয় এবং দাম না বাড়ে, সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নিধন সবচেয়ে জরুরি।
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের দুটি মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। যদি ডেঙ্গুর উৎস না কমাই, তাহলে যতই হাসপাতাল বানাই কাজ হবে না।’
সভায় ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, টিকাদান কার্যক্রমে অসাধারণ সফলতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ। সভায় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, নাদিয়া বিনতে আমিন, ফরিদা ইয়াসমিন, অণিমা মুক্তি গোমেজ, কানন আরা বেগম, জ্বরতি তঞ্চঙ্গ্যা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ মায়া ভানডেনেট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বার্ধান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জন আক্রান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময় সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চারজন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে দুই হাজার ১৮৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৭ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৪২১ জন পুরুষ ও ৯১৭ জন নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ যাবৎ ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী রয়েছেন।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে হিট স্ট্রোকে পনেরো দিনে ১৫ মৃত্যু
তাপপ্রবাহে দেশে গত ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে আজ সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজন হিট স্ট্রোক করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নড়াইলের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩৪ জন হিট স্ট্রোক করেছেন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও দুজন নারী।
তবে হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২২ এপ্রিল থেকে, অর্থাৎ তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার ২০ দিন পর থেকে এই তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।
এবারই প্রথম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিট স্ট্রোক সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করছে। এর আগে ডেঙ্গু ও করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ জনের মৃত্যু
সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিটস্ট্রোকে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। সংস্থাটি জানায়, এ নিয়ে গত ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন ৩৪জন। আর মারা গেছেন ১৫ জন।
সোমবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে আজ (রোববার) সকাল পর্যন্ত ১৪ দিনে সারাদেশে ৩৩ জন ব্যক্তি হিট স্ট্রোকের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন, এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি নড়াইলের বাসিন্দা।
অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে মাগুরায়, ৭ জন। এছাড়া মারা গেছে চট্টগ্রাম, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান এবং মাদারীপুরে।