জাতীয়
প্রমাণ করেছি, সীমিত সম্পদ দিয়েও দেশ এগিয়ে নেওয়া যায়: প্রধানমন্ত্রী
রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ভাষণের শুরুতেই সরকারপ্রধান দেশে ও দেশের বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও রমজানের মোবারকবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার এবং ১৯৭৫-এর পর পঞ্চমবারের মত সরকার গঠন করেছে। একই সঙ্গে আমার দল আমাকে পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছে।
‘দেশবাসীর প্রতি আমার কর্তব্য হিসেবে এবং আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি বারবার এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। আমি চেষ্টা করেছি সবার সমর্থন এবং সহযোগিতা নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাবার।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর অস্ত্রের মুখে সামরিক শাসকেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে কায়েম করে একনায়কতন্ত্র। স্থবির হয়ে পড়ে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতার নেওয়া সব কার্যক্রম। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে বিভোর হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এদেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস। এসময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাদপদ দেশের তকমা পড়িয়ে দেওয়া হয়।
‘নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এদেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। সাধারণ মানুষ এসব বঞ্চনাকে ভাগ্যের লিখন হিসেবে মেনে নিতো। তখন মানুষকে বুঝতেই দেওয়া হয়নি যে, তাদের প্রতি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে কিছু আছে।’
‘১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, দুস্থ নারী ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিক, নিরক্ষরতা দূর করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুসহ ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করি আমরা। এই সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’
‘প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের ম্যান্ডেট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিগত পনের বছরের অধিক সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছে। এই পনের বছরের অভিযাত্রা একেবারেই কুসমাস্তীর্ণ ছিল না। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্র আমাদের চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করেছে বারবার। ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডর এবং কয়েক দফা প্রলয়ঙ্করী বন্যা উপকূলীয় এবং নিম্নাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।’
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনই এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা।
‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও জনজীবনে কম দুর্ভোগের কারণ হয়নি। ২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামাতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মত নৃশংসতা এখনো জনমনে গভীর দাগ কেটে আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তাদের পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েকশো কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমরা দেশের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিগত দেড় দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব রূপান্তর ঘটেছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের অভিঘাত মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সব খাতে আজকে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ।

জাতীয়
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) ও ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (আইএলএসি) প্রতি বছর ৯ জুনকে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস হিসেবে পালন করে।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সব পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয়
করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশে এ সংক্রমণ এড়াতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা দিয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক আগমনি হলে ইমিগ্রেশন এ প্রবেশস্থলে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম কর্তৃক থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নন টাচ পদ্ধতিতে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লোভস মজুতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

ঈদের তৃতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন কোরবানি করা পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ মোট তিন দিন ধরে কোরবানি হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেদিনও বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দ্বিতীয় দিনের কোরবানি করা পশুর বর্জ্য। তবে অনেকেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি না করলেও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ঈদের তৃতীয় দিনেও চলমান থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এর আগে ঈদের দিন দিবাগত রাতে আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে উল্লেখ করেন, সব সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫ হাজার ২৭২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে সুন্দর করেছেন আমাদের ঈদ উদযাপন। এজন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও কোরবানি করা যায়। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করবেন। তাই সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে ঈদের তৃতীয় দিনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন আজ

চারদিনের সফরে আজ সোমবার (৯ জুন) যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
এ সফরে ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ গ্রহণ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, আসন্ন সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে এ সফর অনুষ্ঠিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যে টাকা পাচার করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হবে।
জাতীয়
মধ্য রাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসেন।
ফ্লাইটটি (টিজি ৩৩৯) অবতরণের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় তার পরনে ছিল শার্ট ও লুঙ্গি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে এসেছেন। কোনো প্রটোকল চাননি। রাত দেড়টার দিকে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
গত ৮ মে দিনগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি ৩৪০) ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের মুখে ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি, ২০১৮ সালে ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। বঙ্গভবন ছাড়ার পর আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে তারা বাসায় ওঠেন।