পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদানে নেক্সটর’র ৪র্থ কর্মশালা
দেশের পরবর্তী প্রজন্মদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে চতুর্থ এবং সর্বশেষ কর্মশালা সম্পন্ন করেছে নেক্সটর। সম্প্রতি রাজধানীর আফতাবনগরে অবস্থিত ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালনায় কর্মশালাটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ক্লাব।
অনুষ্ঠানে “পোর্টফলিও কনস্ট্রাকশন ও লাইভ ট্রেডিং” নিয়ে ওয়ার্কশপগুলো পরিচালনা করেন সিটি ব্রোকারেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ রিসার্চ একেএম ফজলে রাব্বি এবং রিসার্চ এনালিস্ট শাখওয়াত হোসেন। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
দেশের পরবর্তী প্রজন্মদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করে নেক্সটর। এতে সারাদেশের ২০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪৪টি দল অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীদেরকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় ফাইনালিস্টদের শেয়ারমার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করবে সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড। বিনিয়োগের ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী মে মাসে চূড়ান্ত বিজয়ীদের ঘোষণা করা হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে টাকা আসবে: আবু আহমেদ
আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেখা যায় শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এরপর দেখা গেলো আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক না। কিছু প্রণোদনা ছাড়া ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা কঠিন। সরকার কোথাও কোনো টাকা দিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি দিতে চায়না। এরপরও পুঁজিবাজারের জন্য আইসিবিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। মার্কেটের সমস্যাগুলো অনেক আগেই চিহ্নত করা হয়েছে।
আইসিবিকে টাকা দিলে পুঁজিবাজারের স্বার্থে ব্যবহার করা হবেও জানান তিনি।
এসময় অর্থ সচিব বলেন, এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো আজকের আলচনায় উঠে এসেছে। সরকার সহ বড় বড় সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে আসতে হবে, এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে
তিনি আরও বলেন, আইসিবি সরকারের পক্ষে কাজ করছে। বিএসইসি রেগুলেশন নিয়ে কাজ করছে। আইসিবিকে যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে, তা পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের পজিটিভ চিন্তার ফল।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) খন্দকার রাশেদ মকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ফারুক আহমদ সিদ্দিকী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোর্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মিনহাজ জিয়া।
বিএসইসি কমিশনার আলী আকবর বলেন, পুঁজিবাকারে অনেকগুলো আইন রয়েছে। কমিশন অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা এখন কেউ বলতে পারবো না যে, আমরা চাপে আছি। এমন পরিস্থিতিতে যার যার যায়গা থেকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে সবার ব্যর্থতা হবে। এখন থেকে পুঁজিবাজার তার নিজের গতিতে চলবে।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের বড় দুর্বলতা। এরজন্য সরকারকে অর্থের জন্য ব্যাংক খাতের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আমাদের এখানে আইন বেশি হয়, তবে এর প্রয়োগ কম হয়। পুঁজিবাজারে কোনো সুশাসন নেই। বাজারে বিনিয়োগ না হলে ভালো কোম্পানি কেন আসবে। আইপিওর প্রাইসিং পলিসি নিয়ে টাস্কফোর্সের কাজ করা উচিত।
বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের চাহিদা ও যোগান দুই পাশেই কাজ করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। নতুন বাংলাদেশে যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হয় এজন্য আজকের এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তবে ৫ বছর পরে দেখা গেলো পুঁজিবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনে দেখা গেছে চাহিদা পূরণ হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক অবস্থা দেখে। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করার মতো কিনা সেটা নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত।
সিএসইর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এতদিন আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলো আবারও বলছি। কারণ বিএসইসি কিছু রিফর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হছে। সেই রিফর্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এতে খরচ বাড়ে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এজন্য আঞ্চলিক যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় সেগুলো সিএসইতে লিস্টেড করা যেতে পারে। এছাড়া মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে ভাগ করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের সিইও সুমিত পোদ্দার বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মানি মার্কেটের উপর নির্ভরতা বেশি। অথচ আমরা সবসময় বলি, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করার জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।
সুমিত পোদ্দার আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্লোর প্রাইসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজারে আর কখনো ফ্লোর ফেরত আসবে না এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এটা ভালো করে বুঝাতে হবে। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবারো আস্থা ফিরে পাবে। পাশাপাশি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট করতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করা যায়। ভারত এটি করে দেখিয়েছে। বিএসইসিও মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়ন করতে কাজ করছে। এরফলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়বে। আমাদের দেশের বাজারে প্রাইস সেনসেটিভ তথ্যের উন্নতিতে কাজ করা দরকার। কারণ একটা কোম্পানি বিক্রি হবে বা বন্ধ হওয়ার একবছর আগেই সবাই জানতে পারে। তবে সেই তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে সেই তথ্য জানানো হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে সব সমস্যা শুরু হয় ফাইন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার থেকে। ভুল তথ্যের উপর ভ্যালুয়েশন করা হয়। এটি যেন না হয়, সেজন্য ফরেন্সিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইকে দেওয়া উচিত। আমরা এখনো অডিট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। বাজার স্থিতিশীল হলে এক্সপোজার উঠিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ব্যাংকগুলো ফাইন্যান্স করার আগে দেখে, ইক্যুয়েটি পার্টিসিপ্যান্ট কতটুকু। পুঁজিবাজার ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তত।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব
পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। এবিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাজ করবে বলেও মনে করছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ সচিব বলেন, এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো আজকের আলচনায় উঠে এসেছে। সরকার সহ বড় বড় সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে আসতে হবে, এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিবি সরকারের পক্ষে কাজ করছে। বিএসইসি রেগুলেশন নিয়ে কাজ করছে। আইসিবিকে যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে, তা পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের পজিটিভ চিন্তার ফল।
অনুষ্ঠানে, সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) খন্দকার রাশেদ মকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ফারুক আহমদ সিদ্দিকী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোর্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মিনহাজ জিয়া।
বিএসইসি কমিশনার আলী আকবর বলেন, পুঁজিবাকারে অনেকগুলো আইন রয়েছে। কমিশন অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা এখন কেউ বলতে পারবো না যে, আমরা চাপে আছি। এমন পরিস্থিতিতে যার যার যায়গা থেকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে সবার ব্যর্থতা হবে। এখন থেকে পুঁজিবাজার তার নিজের গতিতে চলবে।
আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেখা যায় শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এরপর দেখা গেলো আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক না। কিছু প্রণোদনা ছাড়া ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা কঠিন। সরকার কোথাও কোনো টাকা দিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি দিতে চায়না। এরপরও পুঁজিবাজারের জন্য আইসিবিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। মার্কেটের সমস্যাগুলো অনেক আগেই চিহ্নত করা হয়েছে।
আইসিবিকে টাকা দিলে পুঁজিবাজারের স্বার্থে ব্যাবহার করা হবে। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে বলেও মনে করছেন আইসিবি চেয়ারম্যান।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের বড় দুর্বলতা। এরজন্য সরকারকে অর্থের জন্য ব্যাংক খাতের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আমাদের এখানে আইন বেশি হয়, তবে এর প্রয়োগ কম হয়। পুঁজিবাজারে কোনো সুশাসন নেই। বাজারে বিনিয়োগ না হলে ভালো কোম্পানি কেন আসবে। আইপিওর প্রাইসিং পলিসি নিয়ে টাস্কফোর্সের কাজ করা উচিত।
বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের চাহিদা ও যোগান দুই পাশেই কাজ করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। নতুন বাংলাদেশে যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হয় এজন্য আজকের এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তবে ৫ বছর পরে দেখা গেলো পুঁজিবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনে দেখা গেছে চাহিদা পূরণ হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক অবস্থা দেখে। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করার মতো কিনা সেটা নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত।
সিএসইর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এতদিন আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলো আবারও বলছি। কারণ বিএসইসি কিছু রিফর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হছে। সেই রিফর্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এতে খরচ বাড়ে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এজন্য আঞ্চলিক যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় সেগুলো সিএসইতে লিস্টেড করা যেতে পারে। এছাড়া মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে ভাগ করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের সিইও সুমিত পোদ্দার বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মানি মার্কেটের উপর নির্ভরতা বেশি। অথচ আমরা সবসময় বলি, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করার জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।
সুমিত পোদ্দার আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্লোর প্রাইসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজারে আর কখনো ফ্লোর ফেরত আসবে না এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এটা ভালো করে বুঝাতে হবে। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবারো আস্থা ফিরে পাবে। পাশাপাশি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট করতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করা যায়। ভারত এটি করে দেখিয়েছে। বিএসইসিও মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়ন করতে কাজ করছে। এরফলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়বে। আমাদের দেশের বাজারে প্রাইস সেনসেটিভ তথ্যের উন্নতিতে কাজ করা দরকার। কারণ একটা কোম্পানি বিক্রি হবে বা বন্ধ হওয়ার একবছর আগেই সবাই জানতে পারে। তবে সেই তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে সেই তথ্য জানানো হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে সব সমস্যা শুরু হয় ফাইন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার থেকে। ভুল তথ্যের উপর ভ্যালুয়েশন করা হয়। এটি যেন না হয়, সেজন্য ফরেন্সিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইকে দেওয়া উচিত। আমরা এখনো অডিট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। বাজার স্থিতিশীল হলে এক্সপোজার উঠিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ব্যাংকগুলো ফাইন্যান্স করার আগে দেখে, ইক্যুয়েটি পার্টিসিপ্যান্ট কতটুকু। পুঁজিবাজার ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অগ্নি সিস্টেমসের আয় বেড়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৫৮ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গোল্ডেন সনের দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬৮ পয়সা। আগের বছর লোকসান হয়েছিল ৭৫ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ১৭ টাকা ৯৯ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রিং সাইনের এজিএমে সম্মতি, হবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিং সাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ২৬ ও ২৭ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। আগামী ১৮ ডিসেম্বর হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ হিসাববছরের ২৬ ও ২৭ তম এজিএম সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইব্রিড পদ্ধতিতে হোটেল রেনেসাঁ ঢাকা, ৭৮ গুলশান এভিনিউ-এ কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ২০২৩ হিসাববছরের ২৬ তম এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০২৪ হিসাববছরের ২৭ তম এজিএম একই দিনের দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
কোম্পানিটি ২০২৩ ও ২০২৪ হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। এজিএমে দুই হিসাববছরের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা অনুমোদিত হবে। সেই সঙ্গে কোম্পানির পরিচালকদের নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন করা, স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়োগ/পুনরায় নিয়োগ অনুমোদন, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ অনুমোদন, ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের জন্য কোম্পানির সংবিধিবদ্ধ অডিটরদের ও কর্পোরেট গভর্নেন্স কমপ্লায়েন্স অডিটর নিয়োগ/পুনরায় নিয়োগ এবং তাদের পারিশ্রমিক ঠিক করা হবে।
এসএম