টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ৭৪ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে

দেশের ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। এ বয়সীদের মধ্যে ৫০ দশমিক ১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এর আগে ২০২২ সালে যা ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে ৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালে বিদেশে যাওয়া অথবা আন্তর্জাতিক অভিগমনের হার ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। যা ২০২২ সালে ছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর মধ্যে ২০২৩ সালে পুরুষদের বিদেশ যাওয়ার হার ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০২২ সালে যা ছিল ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। নারীদের বিদেশে যাওয়ার হার ২০২৩ সালে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল এক দশমিক ১৮।
২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে পুরুষদের আগমনের হার ৪ দশমিক ৩৬, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে আসা নারীদের হার একই আছে, শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, এক বছরের ব্যবধানে প্রবাসে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। বিদেশে যাওয়ার এই হার ২০২১ সালে ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, ২০২০ সালে যা ছিল এক দশমিক ৫৯ এবং ২০১৯ সালে ছিল ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
কাফি

টেলিকম ও প্রযুক্তি
এআই উন্নয়নে ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ বিক্রি করবে মেটা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিস্তারে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মেটা। ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিশাল এআই অবকাঠামোর ব্যয়ভার ভাগ করে নিতে ২.০৪ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের ডেটা সেন্টার সংক্রান্ত সম্পদ বিক্রি করবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা প্ল্যাটফর্মস তাদের চলমান ডেটা সেন্টার প্রকল্পগুলোর কিছু সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কোয়ার্টারলি ফাইলিং-এ এই পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা জানায়, গত জুনে তারা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এর আওতায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের জমি ও নির্মাণাধীন সম্পদকে “হেল্ড-ফর-সেল” হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এগুলো আগামী ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। যারা ডেটা সেন্টার যৌথভাবে উন্নয়নে অংশ নেবে।
মেটার ফাইলিং অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের মোট হেল্ড-ফর-সেল সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩.২৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এই সম্পদ বিক্রিতে কোনো ক্ষতি দেখায়নি প্রতিষ্ঠানটি। বরং ‘বুক ভ্যালু’ ও ‘মার্কেট ভ্যালু’র মধ্যে যেটা কম, সেটার ভিত্তিতে তা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ প্রযুক্তি জগতের একটি নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেখানে আগে গুগল, অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো নিজেদের সব অবকাঠামো নিজস্ব অর্থে নির্মাণ করত, সেখানে এখন তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ডেটা সেন্টার তৈরির বিপুল ব্যয় মাথায় রেখে আর্থিক অংশীদার খুঁজছে।
মেটার চিফ ফিনান্স অফিসার সুসান লি এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে ডেটা সেন্টার উন্নয়নের উপায় খুঁজছি। যদিও আমরা অধিকাংশ ব্যয় নিজেরাই বহন করবো। কিছু প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য বাহ্যিক অর্থায়ন যুক্ত হতে পারে। যা ভবিষ্যতের পরিবর্তিত অবকাঠামো চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ দেবে।”
মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এআই এবং সুপারইন্টেলিজেন্স-এর জন্য তারা সুপারক্লাস্টার নামে অনেক বড় ডেটা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এই সুপারক্লাস্টারগুলোর একটি পুরো ম্যানহাটনের বড় অংশের সমান।”
এই ঘোষণার পাশাপাশি মেটা তাদের বার্ষিক মূলধন ব্যয়ের পূর্বাভাস ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে ৬৬ থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞাপন আয়ে চমকপ্রদ বৃদ্ধি। যা এআই নির্ভর কনটেন্ট ডেলিভারি ও টার্গেটিংয়ের উন্নতির কারণে সম্ভব হয়েছে।
এই বৃদ্ধি, মেটার দীর্ঘমেয়াদী এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যয় কিছুটা হলেও ভারসাম্য করতে সাহায্য করেছে।
জাতীয়
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা

দেশের ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের গ্রাহকগণ বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। কিন্তু অপারেটরগণ নিয়মিত অভিযোগের শুনানীতে উপস্থিত থাকছেন না, কোন কোন অপারেটরের পক্ষে ক্রমাগত সময় চাওয়ায় অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ উপস্থাপন করা হয় ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
মোবাইল ফোন অপারেটরগণ অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগের বিষয়ে অপারেটররা দ্বিমত করবেন সেসব অভিযোগ যথারীতি শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করবে। শুনানীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অপারেটরগণ নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা/আমলযোগ্যতা যাচাইয়ে যেসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে, অপারেটরগণ সেসব বিষয়ের একটা চেকলিস্ট তৈরি করে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করবেন।
অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রযোজ্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে ব্যবহারকারীকে জানাতে হবে। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কোন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে অভিযোগকারীর সীম থেকে কলচার্জ বাতিল/গ্রহণযোগ্য করার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে মোবাইল ফোন অপারেটরগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। পুরনো সীম নতুন করে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমের প্যাকেটে পরিষ্কার ভাষায় ইংরেজীতে “Re-Used” এবং বাংলায় “পূর্বে-ব্যবহৃত” লিখতে হবে যাতে সীম ক্রয়ের পূর্বেই ভোক্তাগণ জানতে পারেন।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
আজ বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেট পাবেন যেভাবে

আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) গ্রাহকদের বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেট দেবে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। এই ইন্টারনেটের মেয়াদ পাঁচদিন।
গত বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে ওই দিন বিটিআরসি জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ জুলাই সব গ্রাহককে পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, ১৮ জুলাই স্মরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের গত ৩ জুলাইয়ের নির্দেশনা এবং ৮ জুলাই কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১৮ জুলাই সব মোবাইল গ্রাহক পাচ্ছেন পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা। ফ্রি ডাটা পেতে ডায়াল করুন জিপি *121*1807#, রবি *4*1807#, বাংলালিংক *121*1807 এবং টেলিটক *111*1807# নম্বরে।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশের গেমিং দুনিয়ায় এলো ইনফিনিক্সের জিটি ৩০ প্রো

বাংলাদেশে মোবাইল গেমিং ও ইস্পোর্টস এখন প্রবেশ করছে এক নতুন যুগে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আনল জিটি সিরিজের স্মার্টফোন- ‘জিটি ৩০ প্রো’, যা দেশের গেমিং ভবিষ্যতের প্রতি ব্র্যান্ডটির দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
গত কয়েক বছরে, বাংলাদেশে মোবাইল গেম খেলা কেবল বিনোদনের মাধ্যম না থেকে রূপ নিয়েছে একটি প্রতিযোগিতামূলক সংস্কৃতিতে। পাবজি মোবাইল সুপার লিগ-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো তরুণদের জন্য তৈরি করেছে কাঠামোবদ্ধ সুযোগ। পাশাপাশি, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও শক্তিশালী স্মার্টফোনের প্রসার গেম খেলার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাবজি মোবাইল সুপার লিগ ২০২৫-এর অফিসিয়াল গেমিং ফোন পার্টনার হিসেবে জিটি ৩০ প্রো ইনফিনিক্সের এই অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে ব্র্যান্ডটি আয়োজন করছে ‘পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব ২০২৫’ প্রতিযোগিতা, যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ের লক্ষ্যে অংশ নিচ্ছেন।
এই উদ্যোগ শুধু নতুন গেমারদের প্রতিভাই তুলে ধরবে না, বরং মোবাইল গেমিংকে একটি স্বীকৃত দক্ষতা ও কমিউনিটি গঠনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেও সহায়ক হবে।
গেমারদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে জিটি ৩০ প্রো ফোনে যুক্ত হয়েছে জিটি ট্রিগার, অল-ডে ফুল এফপিএস সিস্টেম, এবং ম্যাগচার্জ কুলার—যা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ে প্রয়োজনীয় পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
এ প্রসঙ্গে ইনফিনিক্স বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বলেন, আমরা দেখছি, বাংলাদেশের একটি নতুন প্রজন্ম শুধু গেম খেলছে না—তারা প্রতিযোগিতা করছে, কনটেন্ট তৈরি করছে, দল গঠন করছে এবং একটি শক্তিশালী গেমিং কমিউনিটি গড়ে তুলছে। জিটি ৩০ প্রো হলো সেই যাত্রায় তাদের পাশে থাকার আমাদের প্রচেষ্টা।
প্রযুক্তিগত দিক ছাড়াও, এই স্মার্টফোনের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল তরুণ প্রযুক্তি সংস্কৃতির প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আজকের তরুণদের কাছে গেমিং কেবল শখ নয়—এটি এখন পরিচয়, যোগাযোগ এবং স্বপ্নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
জিটি ৩০ প্রো বাজারে এসেছে তিনটি রঙে—ডার্ক ফ্লেয়ার, শ্যাডো অ্যাশ ও ব্লেড হোয়াইট। গেমিং ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি সংস্করণে- স্ট্যান্ডার্ড এবং গেমিং মাস্টার এডিশন। মূল্য শুরু হচ্ছে ৩৯,৯৯৯ টাকা থেকে। ম্যাগচার্জ কুলার সহ প্যাকেজের মূল্য ৪১,৯৯৯ টাকা। উভয় সংস্করণে অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্স একই থাকলেও বাহ্যিক নকশা ও উপকরণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা, উন্নতমানের গেমিং ডিভাইসের প্রসার এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সরব উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে মোবাইল গেমিং ও ইস্পোর্টস এখন আর শুরুর পর্যায়ে নেই। জিটি ৩০ প্রো দেশের এই অগ্রযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশহিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৬ বিলিয়ন আইডি-পাসওয়ার্ড হ্যাকারের দখলে

আইডি-পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়, তবে একসঙ্গে ১৬ মিলিয়ন আইডি-পাসওয়ার্ড ফাঁস হওয়া বেশ চিন্তার কারণ। ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল, গিটহাব, টেলিগ্রাম এবং বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার আইডি-পাসওয়ার্ড চলে গেছে ডার্ক ওয়েবে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য। এর মধ্যে শুধু লগ ইন তথ্য নেই, রয়েছে গোপনীয় পাসওয়ার্ডও। ফলে হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এমনকি সরকারি নথি।
সাইবারনিউজের গবেষক ভিলিয়াস পেতকাউস্কাসে নেতৃত্বে শুরু হওয়া তদন্তে দেখা গেছে যে ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ড সম্বলিত একটি রহস্যময় ডাটাবেস ওয়েব সার্ভারে অসুরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে এটি সম্ভবত হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
আউটলেট অনুসারে গবেষকরা ৩০টি ডেটাসেট আবিষ্কার করেছেন যার প্রতিটিতে ৩.৫ বিলিয়ন পর্যন্ত রেকর্ড রয়েছে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, ভিপিএনের লগইন তথ্য, কর্পোরেট ও ডেভেলপার প্ল্যাটফর্ম, ২০২৫ সালের শুরু থেকে পাওয়া ডেটাসেটেও তাই রয়েছে। এটি যে শুধু তথ্য ফাঁস তা নয়, বরং এই ঘটনা একটি ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের ব্লুপ্রিন্ট। এটি একেবারে নতুন ব্যবহারযোগ্য তথ্য যা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে এই মাত্রার পরিচয়পত্র ফাঁস শিপিং প্রচারণা এবং অ্যাকাউন্ট টেক ওভার, ব্যবসায়িক ই-মেইল কম্প্রোমাইজের মত ঘটনায় কাজে লাগানো হতে পারে।
গবেষকরা মনে করছেন এটি সাধারণ কোনো পাসওয়ার্ড ফাঁস হওয়া নয়। এটি বড় কোনো গোষ্ঠীর নীলনকশা হতে পারে।গবেষক ভিলিয়াস পেতকাউস্কাস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে তারা এই তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের দাবি, ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন ডাটাসেটে মিলেছে এই ১৬ বিলিয়নের বেশি রেকর্ড, যেগুলোর প্রতিটিতেই রয়েছে কয়েক কোটি থেকে শুরু করে সাড়ে তিন বিলিয়ন পর্যন্ত ইউজার ডেটা।
গবেষকদের মতে, এই লিক মূলত ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার দিয়ে সংঘটিত হয়েছে। এমন এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ব্রাউজারে সংরক্ষিত ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড কপি করে সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। তথ্যগুলো এমনভাবে সংগঠিত যে, প্রতিটি এন্ট্রিতে একটি ইউআরএল, ইউজারনেম এবং সংশ্লিষ্ট পাসওয়ার্ড রয়েছে। এর মানে, কে কোথায় লগইন করেছেন, সেটিরও নির্ভুল তালিকা আছে।
সূত্র: ফোর্বস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস।