সারাদেশ
কুমিল্লা ফোরাম ঢাকা’র আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

ঢাকায় অবস্থানরত কুমিল্লাবাসীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলো ‘কুমিল্লা ফোরাম,ঢাকা’। সম্প্রতি রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফোরামের যাত্রা হয়।
এতে ১৭টি উপজেলা থেকে মোট ৫১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মু. মাইন উদ্দিন সোহাগ আহবায়ক, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মু. হাবিবুর রহমান মজুমদার ,যুগ্ন আহবায়ক মো. মাহমুদ ভূঁইয়া ,আবু হানিফ নোমান ও হাবিবুর রহমান।
সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শামীম, যুগ্ম সদস্য সচিব ইন্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন আকাশ , মহিউদ্দিন ও আশিকুর রহমান আসিফসহ ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রতি থানা থেকে দুজন করে মোট ৫১ সদস্য কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সোহেল আরমান (লাকসাম),হাবিবুল হাসান সায়মন (লালমাই),এডভোকেট আব্দুর রহিম রনি (লাকসাম), মিজানুর রহমান (দাউদকান্দি),লোকমান হোসেন তালুকদার (মনোহরগঞ্জ), আবু সাইদ(মনোহরগঞ্জ), আমজাদ হোসেন উজ্জ্বল (নাঙ্গলকোট),মাসুম মাহমুদ (চৌদ্দগ্রাম) খাইরুল জাহান সাজিদ( লালমাই), আসাদুজ্জামান (ব্রাহ্মণপাড়া),কাজী একরাম হোসেন) রবিউল ইসলাম (লাকসাম),অলিউল্লাহ কাউসার (লাকসাম), জুনায়েদ সিদ্দিকী (মনোহরগঞ্জ), মোবারক করিম (মনোহরগঞ্জ), মোহাম্মদ রায়হান উল্লাহ (বরুড়া), এড. খালেদ সাইফুল্লাহ (বরুড়া),সাইফুল ইসলাম (লালমাই), জহিরুল ইসলাম (লালমাই), তাওহীদুল আজম বাবু (চৌদ্দগ্রাম), এডভোকেট আতিকুল ইসলাম (চৌদ্দগ্রাম) মোরশেদ আহমেদ তাফহীম (সদর দক্ষিণ), ওমর ফারুক ছোটন (সদর দক্ষিণ), সীমান্ত আকরাম ও মেহেদী হাসান (আদর্শ সদর), সোলেমান সবুজ ও ফয়েজ উল্লাহ (নাঙ্গলকোট), তৌফিকুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম (ব্রাহ্মণপাড়া), কামরুজ্জামান ও সাইফুদ্দিন (বুড়িচং), শরিফুল ইসলাম ও নাঈম খন্দকার (দেবিদ্বার), সানাউল্লাহ গাজী ও আশিকুর রহমান (চান্দিনা), রুবেল আহমেদ বাবু ও আমির হোসেন (মুরাদনগর), মহিউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন (দাউদকান্দি), মেহেদী হাসান (হোমনা), আওলাদ হোসেন (তিতাস), ও কামরুজ্জামান সুমনসহ প্রমুখ।

সারাদেশ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে শুক্রবার ঈদুল আজহা

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা পালন করবেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী দরবারের অনুসারী দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্তত ৬০টি গ্রামের বাসিন্দারা এভাবে ঈদ, রোজা ও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আসছেন।
জানা যায়, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা শুক্রবার ঈদুল আজহার নামাজ শেষে পশু কোরবানি দেবেন।
মির্জারখীল গ্রামের বাসিন্দা ও ওই দরবারের অনুসারী কামরুল হাসান জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে শুক্রবার আমরা ঈদের নামাজ পড়ব। এরপর আমরা পশু কোরবানি দেব। ঈদের যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।
কাফি
সারাদেশ
বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই মিটারে অতিরিক্ত বিল: গোপন ফাঁস করলেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী

বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও প্রতি মাসে হঠাৎ করে মিটারে কয়েকশো ইউনিট বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি হাজার হাজার ইউনিট পর্যন্ত হিসাব দেখাচ্ছে নতুন লাগানো ডিজিটাল মিটার। আর এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামীণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এবার এই রহস্য ফাঁস করলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মী। তার কথায় উঠে এসেছে একটি বিস্ময়কর তথ্য—‘অটো পালস’ নামে এক প্রযুক্তিগত প্রতারণা যেটি মিটার চালু না থাকলেও ইউনিট যোগ করে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী জানান, আমি প্রতিমাসে একটা মিটার দেখে আসতাম, গ্রাহকের ব্যবহার ছিল ৩০ ইউনিট। হঠাৎ এক মাস পরে গিয়ে দেখি সেখানে ৩০০ ইউনিট উঠেছে! আমি গ্রাহককে জিজ্ঞাসা করি— আপনি কি নতুন কিছু ব্যবহার করছেন? তিনি বলেন, না আগেও যা ব্যবহার করতাম এখনও তাই করি।
তদন্ত করে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও মিটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পালস সৃষ্টি হচ্ছে, যেটিকে বলা হচ্ছে ‘অটো পালস’। এই পালস তৈরি হওয়ায় ব্যবহার ছাড়াও মিটারে ইউনিট যোগ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে বিল, তৈরি হচ্ছে মিথ্যা খরচের হিসাব।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীর ভাষায়, এই অটো পালস ২০০, ৩০০ এমনকি ১০০০ ইউনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারে, এমনকি গ্রাহক কিছু ব্যবহার না করলেও। আমাদের হাতে মিটার থাকে, আমরা সেটা চোখে দেখি—কোনও সংযোগ ছাড়াই পালস চলছে।
এই সমস্যার মূল কারণ হিসেবে নিম্নমানের মিটার সরবরাহ এবং দুর্নীতিকে দায়ী করেন তিনি। বলেন,বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা অল্প দামে নিম্নমানের মিটার কিনে বেশি দামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কাছে বিক্রি করছে। অথচ বাজারে এর চেয়ে ভালো মিটার পাওয়া যায়।
এই কর্মীর দাবি, প্রায় প্রতিটি সমিতিতে প্রতি মাসে ৮০-৯০ হাজার মিটারে একই ধরনের অটো পালস সমস্যা দেখা দেয়। আর ভুক্তভোগী হন লাখ লাখ গ্রাহক।
সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্যটি হলো—গ্রাহকের কোনো ব্যবহার না থাকলেও এই বিল পরিশোধ বাধ্যতামূলক। কারণ হিসেবে জানানো হচ্ছে, সিস্টেমে যা উঠেছে, সেটা গ্রাহককে দিতেই হবে।
সারাদেশ
আজ থেকে ঢাকায় আসবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশু পরিবহনের সুবিধার্থে আজ (২ জুন) থেকে ঢাকায় আসছে তিনটি ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে বিশেষ এ ট্রেনগুলো জামালপুর থেকে কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে। এরমধ্যে প্রথম ২টি ট্রেন জামালপুর থেকে ঢাকায় আসবে আজ। অন্যটি আসবে আগামীকাল।
ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেলওয়ের ঈদ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য এবার ঈদে ৩টি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। প্রতিটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে ব্রেকভ্যানসহ থাকবে মোট ২৬টি কোচ।
ক্যাটল স্পেশাল-১
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২ জুন বিকাল ৫টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৩ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়।
ক্যাটল স্পেশাল-২
জামালপুরের ইসলামপুর বাজার থেকে ২ জুন দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৩ জুন রাত ১টা ৫০ মিনিটে।
ক্যাটল স্পেশাল-৩
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ৩ জুন বিকাল ৫টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৪ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়।
সারাদেশ
আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য আজ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রবিবার (১ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণী, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল ও মৃধাবাড়ী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের এমন সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
সারাদেশ
হঠাৎ অজ্ঞান ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকের একটি সাব ব্রাঞ্চ থেকে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তারা হলেন, ব্যাংকের ম্যানেজার সৌমিক জামান খান, কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, হোসনা আক্তার, মেরিনা, সুকান্ত ও সিকিউরিটি গার্ড কামাল মিয়া।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, দুপুর ১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাদের ভাগলপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, কি কারণে তাদের এ অবস্থা হয়েছে সেটি এখনও জানা যায়নি। তদন্তের পর তারা সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ব্যাংকে ডাকাতির কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। ব্যাংকে কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো গ্রাহক ছিলেন কিনা তাৎক্ষণিক জানান যায়নি।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আদনান আক্তার বলেন, ম্যানেজার সৌমিক জামান খান ও কর্মকর্তা কামাল হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারা আমাদের কোনো তথ্যই দিতে পারেনি। স্বজনরা তাদের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
কাফি