জাতীয়
এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫, সর্বোচ্চ ২৯৭০ টাকা
চলতি বছর জনপ্রতি বাংলাদেশে ফিতরার হার সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর (২০২৩) সর্বোচ্চ ফিতরা ২ হাজার ৬৪০ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকাই ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) এ হার নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিজস্ব আয় থেকে প্লেন কেনার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে: বিমান
ঋণের দুই হাজার ৮৩ মিলিয়ন ডলারের প্রায় অর্ধেক অর্থ বিলম্ব ছাড়া পরিশোধ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে এ অর্থ পরিশোধ করা হয় বলেও দাবি করেছে সরকারি সংস্থাটি।
শুক্রবার (১০ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িং কোম্পানির দুইটি ৭৩৭-৮০০, চারটি ৭৭৭-৩০০ই আর, ছয়টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানি দুইটি ড্যাস৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুই হাজার ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ঋণের আসল ও সুদবাবদ এক হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার কিস্তির তালিকা মোতাবেক বিলম্ব ছাড়াই পরিশোধ করেছে।
এছাড়া ২০২২ সালে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ২০২৩ সালে দুটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের ঋণও নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে আরো দুটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
করোনাকালে বাংলাদেশ বিমান চলতি মূলধন বাবদ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনা ঋণ সর্বমোট ৭৮৮ কোটি টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে বিমান মুনাফা করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রণোদনা ঋণের আসল এবং সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিমান তার বহরে থাকা দুটি ড্যাশ ৮-৩০০ এবং দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের লিজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করে কিনেছে। বর্তমানে বিমানের বহরে মোট নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৯টি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ এবং উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সম্পূর্ণ দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু
যমুনার বুকে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে উত্তরাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যান বসিয়ে এ সেতুর পুরো ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সুপার স্ট্রাকচার এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। চলছে অ্যাডজাস্টমেন্টের কাজ। তবে উভয়পাশের স্টেশন নির্মাণ, স্লিপারবিহীন রেলপথ স্থাপনসহ কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
রেলসেতুতে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণও শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরেই সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।
ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেনচার। ডব্লিউডি-২ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে রয়েছে জাপানের আইএইচআই ও এসএমসিসি জয়েন্ট ভেনচার।
এ ছাড়া সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের কাজও চলছে। সেতুটি নির্মাণে জাপান, ভিয়েতনাম, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের কর্মীরা নিয়োজিত আছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এ সেতুটি ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের রেল যোগাযোগে বর্তমান যে বিড়ম্বনা রয়েছে, সেটা আর থাকবে না। নির্মাণের পর সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। কমে যাবে পরিবহন খরচও।
সেই সঙ্গে মহাসড়কের ওপর চাপও অনেকটা কমে আসবে। উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পণ্য সহজেই ঢাকাসহ সারাদেশ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ফলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল লিমিটেডের সাব স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম বলেন, ‘সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে সবকটি বসানো হয়েছে। প্রতি দুটি পিলারের মাঝখানে একটি করে মোট ৪৯টি স্প্যান বসানো শেষ হয়েছে। সেতুর ওপরে রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের ৯৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, ডব্লিউডি-২ প্যাকেজের ৯০ শতাংশ ও ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ডব্লিউডি-১ প্যাকেজে ২ হাজার ৯৭৯ ও ডব্লিউডি-টু প্যাকেজে ২ হাজার ৮৪১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন।’
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানিদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। ফলে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ সেতুটির নির্মাণকাজ ডিসেম্বরেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, সেতুর ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সুপার স্টাকচারগুলোর মেইন মেম্বারগুলো লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কার্ভ, মেটারল কর্টসহ ছোটখাট মেম্বারগুলোও লাগানো হয়েছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্ট বাকি রয়েছে। অ্যালাইনমেন্ট ঠিক করা হচ্ছে, লেভেল ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ড্রেনে কাজ, কালভার্টগুলো শেষ হয়ে গেছে। দুই পাশের স্টেশন বিল্ডিংয়ের কাজ, প্লাটফর্ম স্থাপনের কাজ ও ট্র্যাকের কাজ চলছে। ছোট ছোট কিছু পেরিমিটার ফেল্ট বাকি আছে। আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হওয়ায় সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সমান্তরাল ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এ রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাইয়ে বেইজিং যাবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন। দিল্লি সফরের পরই সরকারপ্রধান বেইজিং সফর করবেন। পাঁচ বছর পর দেশটিতে সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ঢাকা-বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, জুলাইয়ে প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেইজিং সফরে যাবেন। সরকারপ্রধানের সফরটি তিন দিনের হতে পারে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লি সফর করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। আশা করা হচ্ছে, জুনের কোনো একটা সময়ে দিল্লি সফরে যাবেন তিনি।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে বেইজিং নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল চীনের। গত বছরের (২০২৩) ২৩ সেপ্টেম্বর চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে অতিথি করতে চেয়েছিল চীন। তবে ওই সময়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন বলে সরকারপ্রধান চীনে যেতে পারবেন না বলে বেইজিংকে জানানো হয়েছিল।
পরে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে দেশটি। গত রমজানের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফর করার একটা ‘তড়িঘড়ি’ প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকার পক্ষ থেকে বেইজিংকে জানানো হয়েছিল, সরকারপ্রধান রমজান মাসে বিদেশ সফর করেন না।
গত মাসের (এপ্রিল) শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। রাষ্ট্রদূত বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন সরকারপ্রধান।
সবশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জুলাইয়ে চীন সফর করেছিলেন। তখন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণ হচ্ছে মেট্রোরেল
মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে। সম্প্রতি মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।
এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের প্রথম জিআই পণ্যমেলা ১১ মে
নাটোরের কাঁচাগোল্লাসহ দেশের ২০টি জিআই পণ্যকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করতে দেশে প্রথমবারের মতো ‘জিআই পণ্যমেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী শনিবার (১১ মে) নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলায় এই পণ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মেলায় জিআই পণ্য ছাড়াও স্থানীয় উদ্যোক্তা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করা হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে জেলা শহরের স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিজিটাল পল্লীর ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুজ্জামান সাঈদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল পল্লী ফাউন্ডেশন ও ই-ফার্মার্সের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল এবং ই-ক্যাব ব্রান্ডিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আদনান আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘গ্রাম থেকে বিশ্ব’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিআই পণ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিজিটাল পল্লীমেলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এ মেলার যৌথ আয়োজক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। যা পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী মডেল ই-কমার্স ভিলেজ হিসেবে ডিজিটাল পল্লীর বিভিন্ন কার্যক্রম, পণ্য ও সেবার প্রসার ঘটাতে আয়োজন করা হচ্ছে এই ডিজিটাল পল্লীমেলা। আর নাটোরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পঞ্চম ডিজিটাল পল্লীমেলা।
সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই মেলায় নাটোরের কাঁচাগোল্লাসহ দেশের ২০টি জিআই পণ্যকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করাই মূল লক্ষ্য। মেলাতে জিআই পণ্য ছাড়াও স্থানীয় উদ্যোক্তা এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবেন। সিংড়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এমআই