জাতীয়
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন: বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ট্রানজিশনের বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। ১৮ কোটি মানুষের দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যেতে দক্ষ অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। জার্মানি প্রযুক্তি ও আর্থিক (গ্র্যান্ড বা লোন) সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ তাকে স্বাগত জানাবে।
বুধবার (২০ মার্চ) জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগের দ্বিতীয় দিনে দেশটির স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
নসরুল হামিদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীল অবস্থা বিনির্মাণে আমরা জার্মানির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। বায়ু বিদ্যুৎ, বায়ুগ্যাস, জলবিদ্যুৎ ও অফশোর উইন্ডের প্রসারে জার্মানি আমাদের সহযোগিতা করতে পারে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে জার্মানির অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা বিশেষ অবদান রাখবে। আগামী মে মাসে জার্মানির সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে যে সংলাপ হবে তাতে আমি আশা করি, সেখান থেকে বায়ু বিদ্যুৎ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জার্মানির অংশগ্রহণ বাড়বে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জার্মানির সহযোগিতা একটি টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহযোগিতা করবে।
জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যান বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি বাসযোগ্য পরিবেশ সৃজনে জার্মানি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আমরা: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে ৫৩তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল সমবায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, অর্থনীতিকে গতিশীল করে গড়ে তুলতে সমবায় অঙ্গনেও সংস্কার প্রয়োজন। আমাদের সমাজে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য দক্ষ ও টেকসই সমবায় ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সমবায়ে গড়বো দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমবায় খাত দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী নিবিড় পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে সমবায়ীদের ঋণ সুবিধা, প্রযুক্তিগত ও অন্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে সমবায়ীদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে। একটি নতুন অর্থনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমবায়কে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৫৩তম ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আসছে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ পাবেন এক লাখ শিক্ষক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে। আর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে আগামী তিন মাসের মধ্যে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে। এবার বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ, ইতিমধ্যে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যোগ্য প্রার্থীর সংকট কাটবে।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর এনটিআরসিএ অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।
গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬ টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, এনটিআরসিএ ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে। শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে। শূন্য পদের চাহিদা পেলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। তবে আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।’
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ সাফ চ্যাম্পিয়নদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবেন।
এদিন বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেদিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের বরণ করে নিতে বাফুফে ভবনে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বিকেল ৪টায় বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে রওয়ানা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছায় সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।
বাফুফে ভবনে পৌঁছালে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। সঙ্গে ছিলেন নব নির্বাচিত দুই সহসভাপনারী ফুটবলারদের বরণ করার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সাফজয়ী বীরদেরকে মোট ১ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাৎক্ষণিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে।তি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি ও সাব্বির আহমেদ আরেফ এবং কয়েকজন সদস্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলায় ৫টি কূপ খনন করা হবে এবং ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১৪টি গ্যাসকূপ খননসহ মোট ১৯টি কূপ খনন করা হবে। সবগুলো হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। যার কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাব তাকেই দেব।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি। এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব, বাপেক্সের পরিচালক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব, ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোলায় বাণিজ্যিক গ্যাস চালু আছে। বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি সারা দেশব্যাপী সিদ্ধান্ত হবে। কেউ যদি গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা দিয়েও গ্যাস সংযোগ না পেয়ে থাকে, তাহলে তার টাকা ফেরত দেয়া হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিদেশ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আনি। পরে ভোলায় যদি আরও বড় গ্যাসক্ষেত্রের হদিস পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাহলে আর এলএনজি আমদানির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা আমাদের আর লাগবে না।
ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যানকে ভোলায় এসে দেখে যেতে বলব। এখানে যদি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে সেটি হবে ভোলাবাসীর জন্য ভালো ব্যাপার। লোকজন চাকরি পাবে। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসকে কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে আমরাও কাজ করছি। ভোলায় আরও কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট করার বিষয়টি আমরা চিন্তা করছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোববার চালু হচ্ছে ঢাকা-আদ্দিস আবাবা সরাসরি ফ্লাইট
আগামী রোববার থেকে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস ঢাকা-আদ্দিস আবাবা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে। আফ্রিকার শীর্ষ উড়োজাহাজ সংস্থা এবং স্টার অ্যালায়েন্সের সদস্য এই এয়ারলাইনস। এরফলে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এর বাইরেও ১৫৫টিরও বেশি গন্তব্যে ভ্রমণের সুযোগ পাবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স এ তথ্য জানায়।
ইথিওপিয়া আগামী ৩ নভেম্বর থেকে অত্যাধুনিক বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯ উদ্বোধনী ফ্লাইট চালু করবে। ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৩০মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে এবং একই দিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আবার আদ্দিস আবাবায় ফিরে যাবে।
এই রুটে নিয়মিত বিমানগুলো রোববার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়া অতিরিক্ত ফ্লাইট প্রতি সোমবার এবং শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বে।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের গ্রুপ চিফ কমার্শিয়াল অফিসার লেম্মা ইয়াদেচা ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের গ্রুপের সিইও মেসফিন তাস্যু বলেছেন, বাংলাদেশ একটি প্রাণবন্ত ও দ্রুত বর্ধনশীল বাজার। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের আধুনিক বহর ও ব্যতিক্রমী পরিষেবা দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণের চাহিদা পূরণ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে সংযোগকারী ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের নতুন পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের মধ্যে আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং বৃহত্তর অঞ্চলের সুবিধা প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেছেন, এটি কেবল একটি ফ্লাইট চালু নয়। এরফলে বাংলাদেশ ও বিশ্বকে আরো কাছাকাছি আনার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া এবং বিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের সাথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে।
সোহাগ হোসেন জানান, নতুন এই রুটটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুবিধাজনক সংযোগ প্রদান করবে এবং সাশ্রয়ী ভাড়ায় পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স আফ্রিকার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন নেটওয়ার্ক। এই রুটে অত্যাধুনিক বোয়িং৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে সেবা পরিচালনা করবে এয়ারলাইন্সটি।
সোহাগ আরো বলেন, চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স প্রতিদিনের ফ্লাইট সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। ঢাকার নতুন রুটটি এয়ারলাইন্সের বৃহৎ নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারিত করবে। এরমধ্যে আফ্রিকার ৬৩টিরও বেশি গন্তব্য এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫৫টি গন্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কাফি