পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে পুঁজিবাজারের সামনে অনেক উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে অনেক বড় বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে পুঁজিবাজারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার (২০ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে সিএসইকে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিবন্ধন সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিডিবিএল চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিকিউরিটিজ মার্কেট অনেক বড়। এটা বিশাল একটা পরিবার। সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ কাজ করি তাহলে পুঁজিবাজার সামনে এগিয়ে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখান থেকে বড় বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। জাপান ১০০ বিলিয়ন বিনিয়োগের জন্য ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করবে সামনে। জাপান ছাড়াও চায়না ভারত প্রত্যেকটা দেশ মুখিয়ে আছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য।
তিনি বলেন, বিএসইসির উদ্যোগে যে পাঁচজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে চাকরি ব্যবস্থা করেছে এরচেয়ে মহতী উদ্যোগ আর হতে পারে না। এজন্য আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে এই স্মার্ট বাংলাদেশ করা সম্ভব।
চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) কমোডিটি মার্কেট চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন, কমোডিটি মার্কেট আমার ব্যক্তিগত স্বপ্ন। শুধু সিকিউরিটিজ দিয়ে সিএসই ফিজিবল করা সম্ভব না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমোডিটি মার্কেটের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আলু, এডিবল অয়েল, চিনি এগুলো এ বছরই চালু হতে পারে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। এই মার্কেটের মাধ্যমে স্বর্ণ কেনাবেচা করা যাবে। আমি মনে করি এই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ডিএসইর থাকাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম তখন খুব করে চেয়েছিলাম কমোডিটি মার্কেট চালুর জন্য। কিন্তু মার্কেট স্ট্যাবল থাকবে না এই অজুহাতে এটা প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের প্রত্যেকটা কাজের উদ্দেশ্য যেন জনকল্যাণ হয়। তবেই শেয়ারবাজার এবং দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, সমাজে যারা উপেক্ষিত তাদের জন্য আমরা কিছু করব। ঢাবির ৫ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাস্টার ডিগ্রিধারীর চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা দিবসে যেন শুধু বক্তৃতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে তাই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আফ্রিকার প্রতিনিধিরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা এখন এশিয়ামুখী হচ্ছে আর আমরাও আফ্রিকামুখী হচ্ছি। আশা করি আফ্রিকার মহাদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ ভালো ব্যবসা বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন হবে।
সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, আজকের বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকীতে চিটাগং কমোডিটি এক্সচেঞ্জের এই আয়োজন একটা অংশ হতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। এই লাইসেন্স পাবার পর ইন্ডিয়ার মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ (এমসিএক্স) সঙ্গে একসাথে কাজ করছি। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা একটা প্রোপার কমোডিটি এক্সচেঞ্জ দাঁড় করিয়ে দেব।
এসএম

পুঁজিবাজার
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১ দশমিব ৯৪ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে মিডল্যান্ড ব্যাংকের সর্বোচ্চ দরপতন

বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর পতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ২০ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসইএমএলএলইসি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। ফান্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সিঙ্গার বিডির শেয়ার দর কমেছে ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০৫ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এনআরবি ব্যাংক, প্রাইম ফাইন্যান্স, বে লিজিং, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, মাইডাস ফাইন্যান্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে রহিমা ফুড

বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২৬ টাকা ৩০ পয়সা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৮ টাকা ৩০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের এক সপ্তাহে শেয়ারদর বেড়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, ম্যাকসুন স্পিনিং, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, মালেক স্পিনিং, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পিপলস লিজিং এবং পূবালী ব্যাংক পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিটি ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সিটি ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৩০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বৃটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো, যমুনা ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, ব্যাংক এশিয়া, খান ব্রাদার্স, রবি আজিয়াটা এবং উত্তরা ব্যাংক পিএলসি।
এসএম
পুঁজিবাজার
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস কমেছে ৪.১০ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৩ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৭৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৮ টাকা ৩৪ পয়সা।
এসএম