ধর্ম ও জীবন
রমজানে অধিক হারে যেসব দোয়া পড়বেন

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মহামারি করোনা পরিস্থিতির কালেও মুসলিম উম্মাহকে শান্তিপূর্ণভাবে মাহে রমজানের রোজাগুলো পালন করার তৌফিক দান করছেন, আলহামদুলিল্লাহ। মাহে রমজান ক্ষমার মাস এবং দোয়া কবুলের মাস। পবিত্র রমজানের রোজার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা একজন রোজাদারকে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে নতুন জীবন লাভ করার সুযোগ সৃষ্টি করেন।
কজন মুমিন রোজা রেখে প্রশান্তি লাভ করেন আর তাই তো তার সবকিছুই তখন ইবাদতে পরিণত হয়ে যা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে বলেছেন, ‘রোজাদারের নিদ্রা ইবাদততুল্য, চুপ থাকা তাসবিহ-তাহলিলতুল্য, আমল ইবাদত সওয়াব হাসিলে বেশি অগ্রগণ্য, দোয়া কবুলযোগ্য ও তার গুনাহ ক্ষমার যোগ্য।’ (বায়হাকি)। রমজানের দিনগুলোতে আমাদের অনেক বেশি দোয়া করা উচিত। আমরা এই দোয়াটি পাঠ করতে পারি- মহানবী (সা.) এই দোয়া পড়তেন:
আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাযাবিহি ওয়া ইকাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি আইঁ ইয়াহযুরুন (সুনানে আবু দাউদ)। অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে তার ক্রোধ ও আযাব হতে, তার বান্দার শত্রুতা হতে এবং শয়তানদের প্ররোচনা হতে সুরক্ষার জন্য আল্লাহতায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তারা আমার কাছেই না আসতে পারে।
আমরা রমজানে ইসমে আযম দোয়াটিও বেশি বেশি পড়তে পারি। যে দোয়াটি সম্পর্কে হজরত সাদ বিন আবি ওয়াককাস (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেটে যে দোয়া করেছিলেন কোন মুসলমান যদি এ দোয়া করে তখন তা কবুল হবে। (তফসীরে কুরতবী, ১১তম খণ্ড, পৃ. ৩৩৪)।
মাছের উদর-অন্ধকারে বসে আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস আলায়হিস্ সালাম অত্যন্ত কাতর স্বরে যে দোয়াটি পড়েছিলেন তা দুয়ায়ে ইউনুস নামে বহুল পরিচিত। সেই দোয়াটি হচ্ছে : ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুব্হানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্ জলিমীন’ অর্থ: তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি পবিত্র। নিশ্চয় আমি (নিজের প্রাণের ওপর) অত্যাচারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৭)
মহানবী (সা.) হজরত ইউনুস (আ.)-এর এ দোয়াকে ইসমে আযম আখ্যায়িত করেছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় ঠিক, তবে বর্তমান কতকের যে ধারণা খতমে ইউনুসের মজলিস করে এক লাখ পঁচিশ হাজার বার এ দোয়া পড়লে সব সমস্যা হতে রক্ষা পাওয়া যাবে, তা মূলত সঠিক নয়। কেননা দোয়ার সাথে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। শুধু দোয়া পড়লেই যে দোয়া কবুল হবে তা কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না। এর জন্য শর্ত হচ্ছে হৃদয় পবিত্র হতে হবে। পবিত্র হৃদয় নিয়ে যে দোয়া করা হয় সেই দোয়া আল্লাহ গ্রহণ করেন।
মহানবী (সা.) দোয়া করতেন- আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ : মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি এক ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং তার দিকেই আমরা ফিরে যাবো।’
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়াও পড়তেন- ‘রাব্বিগফিরলি ওয়া তুব্ আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়াবুর রাহিম।’ অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আমার তাওবা কবুল কর। নিশ্চয় তুমি অতিশয় তাওবাকবুলকারী, দয়াবান।’
‘আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া আঝিরনা মিনান নার।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।’
‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’ অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।’
আসুন, আমরা আমাদের রোজাগুলোকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি এবং দোয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করি। হে দয়াময় প্রভু! আমাদের রোজাগুলো তুমি কবুল করে নাও আর আমাদেরকে ক্ষমা করে তোমার দয়ার চাদরে আবৃত করে নাও, আমিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন
শাওয়ালের ৬ রোজা রাখার নিয়ম ও ফজিলত

রমজান মাসে ফরজ রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা রাখা সুন্নত। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এ আমল করেছেন এবং আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শাওয়ালের ৬ রোজার ফজিলত বর্ণনা করে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন, যারা রমজানে রোজা পালন করবে এবং শাওয়ালে আরও ৬টি রোজা রাখবে, তারা যেন সারাবছরই রোজা পালন করল। (সহিহ মুসলিম)
অর্থাৎ রমজানের ২৯/৩০টি রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসের যেকোনো ৬ দিন রোজা রাখলেই ১ বছর অর্থাৎ, পুরো ৩৬০ দিন রোজা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে, অতঃপর শাওয়াল মাসে ৬টি রোজা পালন করবে, সে যেন সারাবছর রোজা রাখল’। (মুসলিম)
‘রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ৬ রোজা ২ মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা’।
যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ৬ দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (কেননা) মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে (সূরা: আনআম, আয়াত: ১৬০) ঘোষণা করেন, مَنۡ جَآءَ بِالۡحَسَنَۃِ فَلَهٗ عَشۡرُ اَمۡثَالِهَا অর্থ: ‘যে কোনো সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য প্রতিদান হবে তার দশগুণ’। (মুসনাদে আহমদ, সুনানে দারেমি)
এভাবে রমজানের ৩০ রোজা এবং শাওয়ালের ৬ রোজা মোট ৩৬ রোজা ১০ দিয়ে গুণ দিলে ৩৬০ রোজার সমান হয়ে যায়, আর ৩৬০ দিনে এক বছর। সুতরাং ৩৬টি রোজায় সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব পাওয়া যায়।
৬ রোজা রাখার নিয়ম
শাওয়ালের রোজা ধারাবাহিকভাবে রাখাই ফজিলতপূর্ণ। তবে লাগাতার না রেখে বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা যায়। শাওয়াল মাস চলে গেলে তা কাজা করা জরুরি নয়। যেহেতু তা কারো কাছে সুন্নত আবার কারো কাছে মোস্তাহাব।
তাই ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় হোক শাওয়াল মাস পার হয়ে গেলে তা কাজা করা আবশ্যক নয়। সুতরাং সম্ভব হলে ঈদের পরপরই এ রোজা একাধারে পালন করা সর্বোত্তম। অথবা বিচ্ছিন্নভাবেও এ রোজা পালন করা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
আজ জুমাতুল বিদা

রমজানের শেষ শুক্রবার আজ (২৮ মার্চ)। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি জুমাতুল বিদা নামেও পরিচিত। এটি রমজান মাসকে এক বছরের জন্য বিদায়ের ইঙ্গিত দেয়।
মুসলমানদের কাছে এমনিতেই সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা বেশি। আর রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও বেশি।
রমজানকে বিদায়ের ইঙ্গিত দেওয়া শেষ জুমার দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এদিন মসজিদে মসজিদে জুমার খুতবায় রমজান মাসের ফজিলত ও ইবাদতের গুরুত্ব ব্যাখ্যাসহ বিশেষ দোয়া হয়ে থাকে।
মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাস মুক্তির লক্ষ্যে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার সারা বিশ্বে আল কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও সারা দেশে মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। জুমা শেষে মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র শবে কদর আজ

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। পবিত্র শবেকদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করবেন।
পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এ রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন।
পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ ছাড়া সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত

পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।
প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক (অনুবাদ ও সংকলন বিভাগ) মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা মো. জাকির হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা দেশসেরা হাফেজ ইরশাদুল

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কোরআনের নূর—পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এ বিশ্বসেরা হাফেজের খেতাব অর্জন করেছেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি, আর জাতীয় পর্যায়ে সেরা হয়েছেন নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ মো. ইরশাদুল। প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনজন এবং জাতীয় পর্যায়ে আটজন বিজয়ী হয়েছেন।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে প্রথম ও সবচেয়ে বড় কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসর সফলভাবে সম্পন্ন হলো। আন্তর্জাতিক পর্বে বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশের হাফেজরা অংশ নেন। চ্যাম্পিয়ন ও দুই রানারআপকে নগদ অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
চ্যাম্পিয়নকে দেওয়া হয় ১৫ লাখ টাকা, প্রথম রানারআপ পান ১০ লাখ টাকা, আর দ্বিতীয় রানারআপের পুরস্কার ছিল ৭ লাখ টাকা। সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জাকি। আর দুই রানারআপ হলেন ইয়েমেনের মোহাম্মদ বালিগ সায়্যিদ আব্দুল গাফফার আলী ও বাংলাদেশের হাফেজ ইরশাদুল ইসলাম।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হওয়া নেত্রকোনার কিশোর হাফেজ ইরশাদুল ইসলাম জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। দেশজুড়ে ১১টি জোনের অন্তত ১০ হাজার প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে তিনি এই গৌরব অর্জন করেন।
জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে হাফেজ জিহাদুল ইসলাম ও হাফেজ আব্দুর রহমান বিন নূর। এ ছাড়া চতুর্থ স্থানে ছিলেন হাফেজ জুবায়ের আহমদ, পঞ্চম হাফেজ শাহেদ আলম তারিফ, ষষ্ঠ হাফেজ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সপ্তম হাফেজ মুহাম্মদ আফফান বিন সিরাজ এবং অষ্টম স্থান অর্জন করেন হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক নোমান।
জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের জন্য প্রথম পুরস্কার ছিল ১০ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৭ লাখ, আর তৃতীয় পুরস্কার ৫ লাখ টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান অর্জনকারীরা পেয়েছেন ২ লাখ টাকা করে, আর বাকি তিনজনের পুরস্কার ছিল ১ লাখ টাকা করে। প্রতিটি বিজয়ীর হাতে নগদ অর্থের পাশাপাশি সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া, আগের আসরের মতো এবারও বিজয়ীরা মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র ওমরা পালনের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর হযরত মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আল-কোরআনকে মানুষ ও সমাজের সামনে তুলে ধরার জন্য যে যতটুকু ভূমিকা রাখবে, সে ততটুকু মোবারকবাদ ও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। সমাজ ও দেশের মানুষের কাছে কোরআনকে বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা।