আবহাওয়া
সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল সন্ধ্যার পর বৃষ্টি হয়েছে। আজ রবিবার খুলনা অঞ্চল ছাড়া দেশের কোথাও ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে অধিদফতর। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে পরবর্তী পাঁচদিন সারাদেশে বৃষ্টির আওতা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া। এ সময় সবচেয়ে বেশি ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে যশোরে। ঢাকায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। আর শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কক্সবাজারে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, রবিবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
ওমর ফারুক জানান, সোমবার খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
কালবৈশাখী নিয়ে সারাদেশে তিনদিনের সতর্কবার্তা
আগামী ৭২ ঘণ্টায় সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৮ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত সতর্কবাতায় এ তথ্য জানা যায়।
সতর্কবাতায় বলা হয়, বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে।
এসময় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়।
এদিকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
বৃষ্টির সুফল নেই ঢাকার বাতাসে
তীব্র তাপপ্রবাহের পর গত ৫ ও ৬ মে রাতে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ঢাকায়। আজ ৭ মে সকালেও হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। রাজধানীতে টানা বৃষ্টিতে প্রশমিত হয়েছে তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। তবে বৃষ্টির দিনেও ঢাকার বায়ুমানে সুখবর নেই।
বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৩১। যা সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমাসহ এ ধরনের জটিলতা রয়েছে তাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এর আগে গতকাল ৭ মে সকাল ১১টায় ঢাকার বায়ুমান ছিল ১১৬।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) সূচকে দেখা গেছে, বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লী। অপরদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে ৭ নম্বরে।
বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা লাহোরের দূষণ স্কোর ২৬৭ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের দিল্লীর বায়ুর স্কোর ১৬৪ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ু মানে উন্নতি
তীব্র তাপপ্রবাহের পর গত ৫ মে রাতে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ঢাকায়। গতকাল ৬ মে রাতেও হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। পরপর দুইদিনের বৃষ্টিতে প্রশমিত হয়েছে তাপমাত্রা। স্বস্তি ফিরেছে পরিবেশ ও জনমনে। একইসঙ্গে বৃষ্টিতে উন্নতি হয়েছে ঢাকার বাতাসের মানও।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ১১টায় দেখা গেছে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১১৬। যা সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসজনিত রোগ, অ্যাজমাসহ এ ধরনের জটিলতা রয়েছে তাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এর আগে গতকাল ৬ মে রাত ৯টায় ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৫১, যা ছিল সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) সূচকে দেখা গেছে, বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। অপরদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১১ নম্বরে।
বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির দূষণ স্কোর ৬৪০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইয়ের বায়ুর স্কোর ১৭৭ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
১৩ অঞ্চলে ৮০ কি.মি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
ঢাকাসহ দেশের ১৩টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। আবহাওয়া অফিস সকালেই বলেছিল দেশের ছয়টি বিভাগে কালবৈশাখী হতে পারে।
সে পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম শহরে বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রোদের তাপ তেমন মেলেনি। বিকেলের দিকে আকাশ পুরোটা মেঘে ঢেকে যায়। তার সঙ্গে বইতে শুরু করে দমকা বাতাস। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বজ্রপাত শুরু হয়। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাতও হতে থাকে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন রাত ১টা পর্যন্ত এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বুধবার (০৮ মে) বিকেল চারটা পর্যন্ত দেওয়া সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, এ সময়ের মধ্যে দেশের সব বিভাগে বজ্রঝড়, কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও।