ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস পালন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রশাসন ভবন চত্বর হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের নেতৃত্বে আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব” মুর্যাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে “মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর্যালে” বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, হল, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ভাষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ১৭ মার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূইয়া, স্বাগত বক্তা হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান প্রমুখ।
সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আজকের এ শিশু দিবসে চিত্রাঙ্কন, বক্তব্য ও রচনা প্রতিযোগিতা করা হচ্ছে, যার কারণ চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে আজকের শিশুরা জানতে পারবে বঙ্গবন্ধু শিশুকালে কেমন ছিল, বক্তব্য ও রচনার মাধ্যমে জানতে পারবে কেন আমরা বাংলায় কথা বলি, কেন আমরা উর্দুতে কথা বলছি না, কি কারণে আমরা বাংলাদেশ বলতে পারি ও বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে পারি এবং কেন আজকের দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সবকিছুই চিত্রাঙ্কন, বক্তৃতা এবং রচনার মাধ্যমে আজকের শিশুরা জানতে পারবে।
তিনি শিশুদেরকে উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা যদি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের ইতিহাস সম্পর্কে আধাঘন্টা বা এক ঘণ্টা পড়াশোনা করো তোমাদের মেধা বিকশিত হবে, ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে, জ্ঞানসমৃদ্ধ হবে, দেশ ও জাতি সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে তুমি, তোমার পরিবার, সমাজ, তোমার দেশ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আজ বাঙ্গালির স্বপ্নদ্রষ্টার জন্মদিন। ১৯২০ সালে বিধাতা হয়তো অন্ধকারে এ মানুষটার জন্ম দিয়ে বাংলাদেশকে আলোকিত করতে চেয়েছিলেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবন তার। আমি খুব অবাক হই যে এত অল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু তার অর্জনের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে গেছেন। সারাজীবন রাজনীতি করলেন কিন্তু রাজনীতিতে দেওয়ার জন্য সময় পেলেন মাত্র সাড়ে ৩ বছর। তার কন্যা আমাদের নীল সীমানা উপহার দিয়েছেন, আমাদের সীমান্ত দিয়েছেন, আকাশে স্যাটেলাইট দিয়েছেন যার সব কিছুর ভিত্তি ছিলেন জাতির জনক।
তিনি আরও বলেন, একটা জাতিকে যুদ্ধের মাঝ দিয়ে জন্ম দিয়ে, ধ্বংস থেকে টেনে তুলে আগামী ভবিষ্যতে কোন দিকে হাঁটবে তা বঙ্গবন্ধুর চিন্তার বাইরে আমরা নতুন করে নির্ধারণ করতে পারিনাই। আজকের ডিজিটাল বলি, স্মার্ট বলি সবই জাতির জনকের চিন্তার ফসল। বঙ্গবন্ধুকে চেনা, বঙ্গবন্ধুকে পড়া জানা বোঝা ও চর্চার এই উদ্যোগ গুলোর সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় থাকবে বলে আমরা অঙ্গীকার করছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের হার যেন আরো বৃদ্ধি পায়, সেদিকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দু’হাজারের বেশি পরিবারে মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি ইবি ছাত্রশিবিরের

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ছয়টি গরু এবং দুইটি খাসি কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিম ও শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ও ক্যাম্পাসের বিদেশি শিক্ষার্থী, কর্মচারী, নিরাপত্তাকর্মী, দোকানি, মালি’সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণের মাধ্যমে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন তারা। তবে, ক্যাম্পাসে কোরবানি করতে না পেরে কিছুটা ভারাক্রান্ত হয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৭ জুন) সকালে ঈদের নামাজের পর আনন্দনগর, মদনডাঙ্গা, মধুপুর, সাকসেস কোচিং সেন্টার’সহ বিভিন্ন স্থানে কোরবানি কার্যক্রাম পরিচালনা করেন তারা। অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় দুপুরে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অমুসলিম ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণ করে।
ইবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও আমরা কোরবানি করেছি। প্রায় দুই সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরেছি। তবে কোরবানি যদি ক্যাম্পাসে করতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগত। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কোরবানি বাইরে করতে হয়েছে। কোরবানি ঈদের আনন্দে কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে গেলো। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামীতে ক্যাম্পাসে আবাসিক হলসমূহ খোলা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে ক্যাম্পাসের আশেপাশে মেসে বা বাসায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা পরিবার-পরিজনের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের কথা ভেবেই এক আনন্দঘন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছি। শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীই নয়, আমাদের অমুসলিম ভাই-বোনদের জন্যও আয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। কারণ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। এটি আসলে আমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং একাত্মতার বহিঃপ্রকাশ। তবে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এই আয়োজন সংক্ষিপ্ত পরিসরে হয়েছে কারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে থাকতে পারিনি। আবাসিক হলসমূহ খোলা থাকলে এই ঈদ আনন্দ শতগুণে উপভোগ্য হতো। তবে ক্যাম্পাস খোলা হলে আরও কিছু আয়োজনের পরিকল্পনা আছে।
সাকিব/অর্থসংবাদ/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম

দেশের আরও ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবার ও তাদের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণও করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রহিমা অক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নাম পরিবর্তন হওয়া ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম, ৫টি শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ৪টি শেখ রাসেলের নামে ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ আরজু মনি ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে একটি করে প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নাম বাদ দেয়। শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০টি, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে একটি, শেখ হাসিনার নামে একটি এবং মুজিবনগর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
এছাড়া সম্প্রতি ৬৮টি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টি শেখ পরিবারের নামে ছিল। ৩৭টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিল। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নাম ছিল ১৬টি কলেজে। এছাড়া শেখ হাসিনার নামে ছিল ৫টি, শেখ রাসেল এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবতের নামে দুটি কলেজ ছিল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বুধবার (০৪ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের পর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ৭০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিআরসিএর বোর্ড সভা শেষ হওয়ার পরই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। দুপুর থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ড সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার বলেন, মূলত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ নিয়েই আজকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজ বিকেলে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পর্যায়ে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ।
এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন, পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ। তখনই জানা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়েই চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করা হবে।
কোন স্তরে কতজন?
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে— স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, কলেজ পর্যায়ে: ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন রয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
যেভাবে দেখা যাবে ফল
১৮তম নিবন্ধনের ফল জানতে প্রার্থীরা http://ntrca.gov.bd এবং http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের যেকোনটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করলেই ফলাফল দেখতে পারবেন।
সামনে কী?
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে এখন প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের অপেক্ষা। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এসব পদে নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যাচাইয়ের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অভিজ্ঞতা ছাড়াও চাকরি দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থাটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ২৯ মে থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড় পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
বিভাগ: সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
পদসংখ্যা: ১০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ/এমবিএ
অন্যান্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ
বয়সসীমা: ২১ থেকে ২৮ বছর
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে
বেতন: ৩০,০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড়।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৪ জুন ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও মোনাজাত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান আজহারি।
শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মা নামাজের পরে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি শোক যাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতির স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
দোয়া অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরিব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তাই জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি দেশে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে তার স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম