ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কাবিল ও পংকজের নেতৃত্বে ইবি জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পার্বত্য চট্টগ্রাম (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান) থেকে আগত শিক্ষার্থীদের (আদিবাসী) সংগঠন জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সংগঠনে সভাপতি হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাবিল চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পংকজ চাকমা মনোনীত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) সংগঠনটির সদ্য সাবেক সভাপতি মিলন জ্যোতি চাকমা ২৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমিটির অন্যান্য পদে মনোনীত সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি হিসেবে চিনুমং মারমা, উথান্ট উইন, অনোমা চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কোকো সাইন মারমা, অতুল চাকমা, চয়নিকা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মংক্যচিং মারমা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বাবলু মারমা, সূচনা ত্রিপুরা, অর্থ সম্পাদক হিসেবে পিকাসু চাকমা, সহ-অর্থ সম্পাদক হিসেবে দিভাস বসু চাকমা, লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ফলিন্দ্র ত্রিপুরা, খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নুমংসিং মারমা, উন্মেষ চাকমা, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে চাইন্দাওয়াং মারমা, জসিং থুই মারমা, তথ্য প্রচার ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মন্টু চাকমা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে জুলিয়া চাকমা এবং ছায়া চাকমা মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়াও কার্যকরি সদস্য হিসেবে সদায় মানিক ত্রিপুরা, পহেল চাকমা, আবির চাকমা, হ্যাপী চাকমা, কৌশলী চাকমা, জয়ন্ত চাকমা, মংসিনু মারমা এবং অংক্যহ্লা খুমি মনোনীত হয়েছেন।
কমিটির নব সভাপতি কাবিল চাকমা বলেন, জুম্ম শিক্ষার্থীদের অনেকে এখানে আর্থিকভাবে সচ্ছল না কিন্তু বাধ্য হয়ে বাইরে থাকতে হচ্ছে। তাই ক্যাম্পাসে সকল জুম্ম শিক্ষার্থীদের সিট সংকটের বিষয়টি প্রশাসনের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করব।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) ‘জাস্টিস ফর শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহ’ ব্যানারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্বিবদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল রের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হন তারা।
এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় আগামীকাল (৪ আগস্ট) বেলা ১১ টায় প্রশাসন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এসময় আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক বলেন, ‘পুকুরে সাজিদের লাশ পাওয়ায় পর থেকে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে।তারা বলেছিল ২৪ ঘণ্টার ভিতরে রিপোর্ট দিবে কিন্তু সেই রিপোর্ট দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার পরে। এই তালবাহানা আর মেনে নেওয়া হবে না। ফরেনসিক রিপোর্ট মতে, সাজিদ আব্দুল্লাহকে রাত তিনটার দিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলতে চাই- আপনারা হত্যাকারীকে দ্রুত চিহ্নত করে বিচার নিশ্চিত করুন। তা না করতে পারলে ছাত্রজনতা তাদের পথ বেছে নেবে।’
আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থকণ্ঠে বলতে চাই, সাজিদ আমার-আপনার সবার ভাই, সে তার বুকে আল-কুরআনকে ধারণ করেছিল। আমি বলতে চাই, যে বা যারা সাজিদকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের অতিদ্রুত বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী পুষ্প বলেন, ‘আমার বন্ধুর মৃত্যু একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই প্রশাসন যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে না পারে, তারা নিজেদেরকে একটি পঙ্গু প্রশাসন হিসেবে প্রমাণ করবে। এ ক্যাম্পাসে আর কোনো সাজিদ যেন প্রাণ না হারায় সে ব্যাপার নিশ্চিত করুক প্রশাসন। আমরা চাই পিবিআইকে যেন এই তদন্তের ভার হস্তান্তর করা হয়। আমরা চাই প্রশাসনের উদ্যোগে একটি মামলা দায়ের করুক। আমরা আর কোনো তাল-বাহানা চাই না।’
শাখা ছাত্রদলের সদস্য নুর উদ্দিন বলেন, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই ঘরে থাকার সময় নাই। আমরা চাই পিবিআই সহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করুন। যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজিদ হত্যাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন করে দেয়া হবে।’
ইবি শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না অলি (ছাত্রশিবির নেতা) বলেন, ‘যেই হত্যাকারী হোক না কেন ১৭৫ একরে তার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে যে আন্দোলনের ডাক দিবেন কোনো দল মত না ভেবে আন্দোলনে থাকবো। আমরা দেখতে চাই কতবড় কালিজাধারী ব্যক্তি ১৭৫ সাজিদকে হত্যা করেছে।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাজিদ হত্যার প্রতিবেদন জমা, উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। এবং উচ্চতর তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছে বলে নিশ্চিত করেছে ফাইন্ডিং কমিটি।
রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলা অনুষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সাজিদের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান, ভিসেরা রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে তদন্ত রিপোর্ট সাবমিট করা হয়েছে।
ফ্যাক্টস উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, পুকুরে পানিতে পড়ার মৃত্যু আমরা পাইনি। অনুমিত করে বলা যায় পৌনে পাচঁটার আগ পর্যন্ত পুকুর পাড়ে সাজিদকে পাওয়া যায়নি।
ফোনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাজিদের ফোন নাম্বার দুইটা। ১৫ তারিখ রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে সাজিদ আব্দুল্লাহ শেষ কল করে যার স্থায়িত্ব ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড। এরপর আর কোন আউট গোইনং কল পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখে ৮ টা ৩০ মিনিটে সাজিদে ফোন কল দেখতে পাই যেটার স্থায়িত্ব ৯ সেকেন্ড এবং অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি (সাজিদের বন্ধু ও রিপন আলী নামক ব্যক্তির কল ছিল)। এরপরে আবার সাজিদের বন্ধু রাত ৮ টা ৪৯ মিনিটে কল দেয় এবং কলের স্থায়িত্ব ছিল ২০ সেকেন্ড তবে অপর প্রান্ত থাকা ব্যক্তির সাথে কথা হয়নি। এবং কলগুলো কোন টাওয়ারে ম্যাচ করেছে সে সকল তথ্যসমূহ দিয়েছি। মেসেঞ্জার ও ওয়াটসআপ আমাদের হস্তগত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচ্চতর তদন্ত সংস্থার দ্বারা এটা ঘটনার তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছি। আমাদেরকে যে ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে সেই ১০ দিনের মধ্যে শেষ করেছি। এ কাজের সাথে ডাক্তার, পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাজিদের সাথে সংযুক্ত ব্যক্তি, সংগঠন, জেলা কল্যাণ সকলের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে ক্রস ম্যাচিং এর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সময় অতিবাহিত হয়েছে। আমার টিম দিনরাত পরিশ্রম করে এ কাজটা সম্পন্ন করেছে। আমাদের কাজ ছিল ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং করা সেই কাজ সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
এর আগে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য মতে, সাজিদের শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। রিপোর্টে শ্বাসরোধের (asphyxia) ফলে সাজিদের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পোস্টমর্টেমের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ছয়টায় শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে সাজিদের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সাজিদ আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এদিকে সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: ছাত্রশিবির সভাপতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন,বিপ্লব পরবর্তীতে উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার চোখে পড়ে নাই। আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস হবে নিরাপদ, ক্যাম্পাস হবে শিক্ষার্থীবান্ধব, ভেবেছিলাম নিখোঁজ ওয়ালীউল্লাহ, মুকাদ্দাসের খোঁজ পাবো। কিন্তু সেটাও পাইনি বরং প্রশাসন জুলাই বিপ্লবীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।
শনিবার (২ আগষ্ট) বিকাল ৩ টায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাস, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত এবং জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার আলোকে ক্যাম্পাস সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, ছাত্র সংগঠনের কাজ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা, প্রশাসনকে সাহায্য করা। কিন্তু এভাবে দায়সারাভাবে কাজ করলে কোনো সাহায্য পাবেন না। শাবিপ্রবি, যবিপ্রবি, হাবিপ্রবি ছাত্র সংসদ গঠন করেছে। তারা জুলাই বিপ্লবের সম্মান রেখেছে। আপনারা কেন ইকসু গঠন করতে পারলেন না?
মাহমুদুল বলেন, শেখ হাসিনাও ভেবেছিলো জনগনের ইচ্ছা উপেক্ষা করে ক্ষমতার চেয়ার রক্ষা করতে পারবে কিন্তু পারে নাই আপনারাও পারবেন না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের পরপরই শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গেছে অথচ আপনারা কি কারণে নিয়োগ দিচ্ছেন না? শুধু সার্কুলার পর্যন্ত শেষ কেন? নাকি যখন টাকা খাওয়া হয়ে যাবে তখন নিয়োগ দিবেন?
তিনি আরও বলেন, সাজিদ হত্যার বিচার করুন। যদি শিক্ষার্থীদের জন্য ভালোবাসা প্রমাণ দিতে চান তাহলে সাজিদ হত্যার বিচার নিশ্চিত করুন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১১০ টা দাবি দিয়েছি কিন্তু তারা ছয় নয় করেছে। পাশ করার মতো দাবিও রাখেন নাই। শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার জন্য,আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার জন্য প্রশাসনের সাথে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব তৈরি করুন। ইকসু গঠন করুন তাহলেই ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আমাদের যা করার সবই করবো।
উল্লেখ্য, এসময় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন শিবিরের প্রায় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘ইবিতে ছাত্র সংসদ পালন করো করতে হবে’, ‘ইকসু নিয়ে টালবাহানা আর না আর না’, ‘হাবিপ্রবি যবিপ্রবি সবই পারে ইবি প্রশাসন কি করে’, ‘আদর্শের সংগ্রাম শিবিরের আরেক নাম’, ‘অফিসে গিয়ে পায় না সাড়া শিক্ষার্থীরা দিশেহারা’, ‘লান্স করতেই দিন পার কর্মকর্তারা জমিদার’, ‘সনদ করতে উত্তোলন শিক্ষার্থীদের যায় জীবন’, ‘নাপাকেন্দ্রের ডাক্তার পরিবর্তন করো করতে হবে’, ‘ইসলামী ছাত্র শিবির জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ৫৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন (তৃতীয় পর্যায়)-১ম সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে উন্নয়ন (তৃতীয় পর্যায়)-১ম সংশোধিত শীর্ষক ৫৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ.কে.এম শরীফ উদ্দীন, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নওয়াব আলী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা) মীর্জা মোহাম্মদ আলী রেজা, যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা-৩) আহমেদ শিবলী, একনেক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্নিগ্ধা তালুকদার, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উপ-পরিচালক নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্য্যক্রম বিভাগের ডেপুটি চীফ বাবুলাল রবিদাস প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন সাইট সরেজমিন পরিদর্শনে করেন। প্রতিনিধি দল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা কাজের সময় শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঝিনাইদহে ‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব’ কর্মসূচি

ঝিনাইদহে ‘আমার চোখে জুলাই বিপ্লব শহিদদের স্মরণে- গনতন্ত্রের কন্ঠস্বর: তারুণ্য থেকে তৃণমূল, সবার প্রতিভায় নতুন বাংলাদেশ’ কর্মসূচি আয়োজন করেছে জেলাো পরিষদ ঝিনাইদহ।
শনিবার (২ অগস্ট) সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের মিলনায়তনে ১৩২ নং কক্ষে টিম জাগ্রত জুলাইয়ের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচি ১৫ জুলাই থেকে আরম্ভ হয়।
টিম জুলাইয়ের লিডার মো. সানজিদ আহমেদ সজিবের নেতৃত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঝিনাইদহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা পর্যায়ে আইডিয়া বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব রথীন্দ্রনাথ রায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও , সরকারি কেশব চন্দ্র কলেজ, ঝিনাইদহ কলেজ, সরকারি নূরুন্নাহার মহিলা কলেজ, ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা, কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চারুগৃহ শিশুস্বর্গ ফুল, আস সুন্নাহ মাদ্রাসা, ইসলামিক আইডিয়াল স্কুল ঝিনাইদহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টিম জাগ্রত জুলাইয়ের লিডার সানজিদ আহমেদ সজিব বলেন, সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা জুলাই চেতনাকে মনেপ্রাণে ধারণ করে। প্রতিযোগিতায় তাদের স্বস্তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদেরকেও অনুপ্রেরণিত করেছে। তাদের চোখে দেখা জুলাইয়ের গল্প আমাদেরকে নতুন করে শিখিয়েছে জুলাই কিভাবে লালন করতে হবে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, আইডিয়া প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত “আমার চোখে জুলাই বিপ্লব” কর্মসূচি জুলাই চেতনায় শিশুদের কিভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং ইন্সটিটিউশনাল মেমোরি হিসেবে ধরে রাখা যায় ও প্রসার ঘটানো যায় তারই অংশ হিসেবে সরকার ও স্থানীয় সরকার এই আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্বস্তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ও কার্যক্রমে জুলাই পরিপূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে। আমি মনে করি, জুলাই চেতনা এর মাধ্যমে বাঁচবে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এর প্রসার ঘটবে।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই চলামান আমার চোখে জুলাই বিপ্লব কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, বক্তৃতা, একক অভিনয়, নাটক, ও অনলাইন জুলাই সংশ্লিষ্ট ভিডিও কন্টেন্ট তিন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম