ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চাকরির সুযোগ দিচ্ছে মেঘনা গ্রুপ

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে (এমজিআই) ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)
বিভাগের নাম: মার্কেট অডিট, অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্ট
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিকম (অ্যাকাউন্টিং)
অভিজ্ঞতা: ০১ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ২৫-৩৫ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা Meghna Group of Industries এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২৩ মার্চ ২০২৪
সূত্র: বিডিজবস ডটকম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসির শুরুতেই প্রায় ২০ হাজার অনুপস্থিত, বহিষ্কার ৪৩

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনেই ১৯ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল এবং ৪৩ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলা প্রথমপত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই পরীক্ষায় কোনো পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়নি বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষাবোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ৯টি সাধারণ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ১৮ হাজার ২৭৭ জন। এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১৪ হাজার ৫১৩ জন, যা শতকরা ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই বোর্ডে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ জন, যাদের মধ্যে ৩ জন কুমিল্লা বোর্ডের।
ঢাকা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার ছিল সবচেয়ে কম—১ দশমিক ২৬ শতাংশ। অন্যদিকে কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার সর্বোচ্চ, ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মাদ্রাসা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার ছিল সবচেয়ে বেশি। এই বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত কুরআন মাজিদ পরীক্ষায় প্রায় ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়নি, যা সংখ্যায় ৪১৯৬ জন। বহিষ্কৃত হয় ২৪ জন পরীক্ষার্থী।
কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৯৮ হাজার ৯২৪ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯৭ হাজার ৮৭৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১০৫০ জন, যা শতকরা ১ দশমিক ০৬। এ বোর্ডে বহিষ্কৃত হয় ১৩ জন।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএসএম আমানুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটিভ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চ্যান্সেলর জানান, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৫ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে চার লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৩.২৮ ভাগ পরীক্ষার্থী পঞ্চাশের ওপর নম্বর পেয়েছে। আর ৬৬.৭২ ভাগ শিক্ষার্থী পঞ্চাশের নিচে নম্বর পেয়েছে।
তিনি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৪ লাখ ৪০ হাজার আসন রয়েছে। এদের মধ্যে যারা অনার্সে ভর্তি হতে পারবে না তারা পাস কোর্স, কারিগরি এবং অন্যান্য শাখায় ভর্তি হতে পারবে।
উপাচার্য আরও বলেন, আগে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই অনার্সে ভর্তি করা হত। যাতে অনেকেই বলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে যায়। এখন থেকে আর কেউ বলতে পারবে না যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। দশ বছর পর এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের ডিনসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফল জানা যাবে যেভাবে
শিক্ষার্থীরা দুইভাবে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে লগইন করে এবং মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
ওয়েবসাইটে ফল দেখার নিয়ম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ফলাফল দেখা যাবে। ফলাফল দেখার ধাপসমূহ প্রথমে Admission result 2025 ওয়েবসাইটে যেতে হবে। পরে সাইনইন পৃষ্ঠায় নিজ পিন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
লগইন করার পর ড্যাশবোর্ডে ‘ফলাফল’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। সেখানে ফলাফল দেখা যাবে। এছাড়া ফলাফল শিটটি ডাউনলোড বা প্রিন্ট করা যাবে।
মোবাইল ফোনে এসএমএসে ফল
মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠালেও ফিরতি বার্তায় ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে NUAT লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।
গত ৩১ মে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরে ৮৭৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু।
জানা যায়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে। আট বছর পর তাতে আবারও পরিবর্তন আনা হলো। এবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিন বোন

টাঙ্গাইলের সখীপুরে একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনবোন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) শুরু হওয়া পরীক্ষায় তারা উপজেলার সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছেন। উপজেলার সখীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে তাদের।
একসঙ্গে পরীক্ষা দেওয়া তিনবোন হলেন, সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম (১৯), মেজো মেয়ে সাদিয়া ইসলাম (১৮) ও ছোট মেয়ে রাদিয়া ইসলাম (১৭)। তাদের একসঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, বাবা শফিকুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী হওয়ায় সেখানেই তিন বোনের জন্ম। এরপর ২০১০ সালে সৌদি আরবের মক্কায় ব্যবসা বাদ দিয়ে পরিবার নিয়ে দেশে চলে আসেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত পরীক্ষায় মেয়েদের ফলাফলে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি এবার এইচএসসি পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করবে। তারা উচ্চশিক্ষা লাভে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে মনে করি।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই তিন বোন বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করাই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। আমরা উচ্চ শিক্ষালাভ করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজেদের পাশাপাশি সমাজ ও দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে চাই।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এম এ রউফ বলেন, ওই তিন বোন মেধাবী শিক্ষার্থী। এর আগে তারা প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে। এবারের পরীক্ষায়ও তারা কৃতিত্বের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশা করি।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, ফল হবে দ্রুত: শিক্ষা উপদেষ্টা

সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। একইসঙ্গে ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছেছে এবং নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।
এসময় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এবারের পরীক্ষায় বসেছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ, পরীক্ষার্থী সাড়ে ১২ লাখ

সারাদেশে আজ থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে এই বছরের পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছেন ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। এছাড়া আলিম পরীক্ষার্থী প্রায় ৮৬ হাজার এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার। এ বছর দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসব পরীক্ষা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ২৪ জুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সেখানে পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লেখা ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধুমাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার, এমসিকিউ ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা এবং কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রাখা।
এছাড়া, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষার্থী শুধুমাত্র প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়েই পরীক্ষা দিতে পারবে এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার অংশে উপস্থিতি স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পরীক্ষার প্রথম দিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এরপর তিনি সরকারি বাংলা কলেজ কেন্দ্রও পরিদর্শন করবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা পরিচালনার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থী, কক্ষ পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্টদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনাও রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে আগেভাগেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধুমাত্র এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি থাকবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন পুরো সময়জুড়ে সতর্ক থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বাড়তি নজরদারি থাকবে। পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়—এমন কোনো তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
প্রসঙ্গত, বোর্ডের প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২৬ জুন শুরু হয়ে চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।