কর্পোরেট সংবাদ
রমজানে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে অনুদান পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে বিকাশে
প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসে সার্মথ্যবানরা দান-সদকার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পান। ইসলামে দান-সদকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র এই মাসে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সাহরি ও ইফতার করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তাদের এই কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করার জন্য দেশজুড়ে কাজ করে যাচ্ছে অনেক দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।
গত কয়েক বছর ধরে জনহিতৈষী বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অর্থ সহায়তা পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করার কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এ কারণে রমজানের পাশাপাশি বছরজুড়েই অনুদান দিয়ে বিভিন্ন জনহিতৈষী কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
বর্তমানে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২৮টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেয়া যাচ্ছে। যার মাঝে অন্যতম- মির্জাপুর এক্স ক্যাডেট্স এসোসিয়েশন, ডুনেশন ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, এসওএস চিলড্রেন ভিলেজ বাংলাদেশ, প্রথম আলো ট্রাস্ট, জাগো ফাউন্ডেশন, তাসাউফ ফাউন্ডেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সাজিদা ফাউন্ডেশন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল লিভার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, আইসিডিডিআরবি, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ব্র্যাক, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, ইত্যাদি।
অনুদান দিতে গ্রাহককে বিকাশ অ্যাপের ‘অন্যান্য সেবাসমূহ’ অংশ থেকে ‘ডোনেশন’ আইকনে ক্লিক করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিতে চান তা নির্বাচন করে নাম, ইমেইল আইডি ও অনুদানের পরিমান উল্লেখ করে সাবমিট করতে হবে। গ্রাহক চাইলে “পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক” অপশন নির্বাচন করে নিজের পরিচয় গোপনও রাখতে পারবেন। পরের ধাপে বিকাশ পিন নম্বর দিয়ে অনুদান কার্যক্রম শেষ করার পর একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পেয়ে যাবেন গ্রাহক।
যে প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক অনুদান দিচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাবে প্রতিষ্ঠানটির নামের নিচে ‘আরো জানুন’ অংশে ক্লিক করে। আবার অনুদানের অর্থ কোথায় ব্যয় হচ্ছে সে তথ্য জানার জন্য অনুদান শেষে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে দেয়া ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন দাতারা। বিকাশ অ্যাপের পাশাপাশি গ্রাহক চাইলে https://www.bkash.com/products-services/donation ওয়েব ঠিকানা থেকেও পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনুদান বিকাশ করতে পারবেন।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান সংগ্রহ আরো সহজ করতে এবং গ্রাহকদের ঘরে বসেই অনুদান দেয়ার সুযোগ করে দিতে এই উদ্যোগ নেয় বিকাশ। উল্লেখ্য, দাতা-গ্রহীতাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত করতে এবং অনুদান দেয়াকে আরো সহজ করতে ২০২০ সালে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয় ‘ডোনেশন’ আইকন। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোন সময়ে মাত্র কয়েক ট্যাপে বিকাশের সাথে যুক্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যাকাত বা ফিতরা থেকে শুরু করে এতিম, ছিন্নমূল, দিনমজুর ও অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা ইত্যাদি খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি: ডিএমপি
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৬ নভেম্বর ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদার ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে গত ১৮ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে তার পরিবার ও কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। ২০ নভেম্বর পুনরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ৫০০/৬০০ শিক্ষার্থী ওই হাসপাতালে এসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় প্রতিবাদকারীদের চাপে হাসপাতালের পরিচালক ৪ জন ডাক্তার ও ২ জন শিক্ষার্থীসহ অভিজিতের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু ওই সময় হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানরত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে আসে। এ সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সমঝোতা না মানায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দুই ছাত্র আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও জানান, গতকাল ২৪ নভেম্বর আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পুনরায় ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (২৫ নভেম্বর) শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী জমায়েত হয়ে আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। আগে থেকে পুলিশ ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে অবস্থান করে। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা প্রতিহত করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়। পরে যাত্রাবাড়ী মোড়ে পুলিশ পুনরায় বাধা প্রদান করলেও তারা বাধা অতিক্রম করে ওই কলেজে পৌঁছে ব্যাপক ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।
ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ৩৫টি বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ (ইউসিবি) নামে একটি ফোরাম গঠিত হয়। অপরপক্ষে রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি কবি নজরুল কলেজ মিলে সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি জোট রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ৩৫ কলেজের ফোরাম ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরস্পরের প্রতি ঘৃণার মনোভাব সৃষ্টি হয়।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আজ সকাল ৭টা থেকে সূত্রাপুর ও ডেমরা এলাকায় পর্যাপ্ত জনবল মোতায়েন করা হয়। মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়ে ওই কলেজে হামলা চালায়। পুলিশ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তা সত্ত্বেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হামলা ও লুটতরাজে জড়িয়ে পড়ে।
ডিএমপির মুখপাত্র আরও বলেন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের জেরে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন মর্মে অনেকেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা মোটেই সঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এরূপ অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নজরুল, সোহরাওয়ার্দী ও মোল্লা কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রয়োজনের সময় মানবতার পাশে বিকাশ
একদিন মাঝ রাতে হঠাৎ শোরগোলে ঘুম ভেঙ্গে গেল সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের আলেয়ার। উঠেই দেখলেন বাসার মেঝে অবধি পানি চলে এসেছে। স্বামী মাঝ হাওড়ে, সন্তানরাও ছোট ছোট। কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না! এমন সময় এক আত্মীয়ের সহায়তায় সন্তানদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। তখন আশ্রয় মিললেও বন্যা শেষে হারিয়েছেন ভিটেমাটি আর পোষা গরু-ছাগলগুলো।
আলেয়ার মতো লাখ লাখ মানুষ প্রতিবছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড় ধস, নদীভাঙ্গনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন। জাতিসংঘের মানবিক–বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে গত মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত চার মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বছরের প্রথম বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রিমাল।
গত ২৬ মে এটি উপকূলে আঘাত আনে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪৬ লাখ মানুষ। দ্বিতীয় ও সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ এবছরের বন্যা। বিগত ৩৪ বছরে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে এটি সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা। এবারের বন্যায় দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৫৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশের মানুষের জীবনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। মোটামুটি প্রতিবছরই নানা দুর্যোগ বহু মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে, ধ্বংস করে অবকাঠামো। কিন্তু এই দুর্যোগের মুখেও দেশের মানুষ সাহস, সংগ্রাম এবং অভিযোজনের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
দুর্যোগ মুহূর্তে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং স্থানীয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রস্তুতি নেয়। আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা, ত্রাণ সামগ্রী মজুত করা, উদ্ধারকারী দল গঠন করা সহ বিভিন্ন প্রস্তুতির কারণে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। আবার দুর্যোগের পরেও ত্রাণ বিতরণ, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে।
তবে এসব উদ্যোগের জন্য প্রয়োজন হয় তাৎক্ষণিক অর্থের জোগান, যা দুর্যোগের সময় অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ব্যাংকিং ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়ায়, আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে যায়। এসময় দেশের যেকোনো প্রান্তে, দ্রুত ও সবচেয়ে সহজে আর্থিক লেনদেন করার সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বিকাশ-এর মতো ডিজিটাল আর্থিক সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সুবিধার কারণে এখন মানুষ তার হাতে থাকা মোবাইলের মাধ্যমেই তাৎক্ষণিক টাকা পাঠিয়ে দিতে পারছেন। আর সেই টাকা নিকটস্থ এজেন্টের কাছ থেকে তুলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করতে পারছেন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা।
অনেকেই দেশের শীর্ষ দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে অর্থ সহায়তা পাঠানোর মাধ্যমে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে চান। তাদের জন্যও সুযোগ করে দিয়েছে বিকাশ। বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণ তহবিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ত্রাণ তহবিল, ব্র্যাক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী (বিএনএফডব্লিউএ ডোনেশন ফান্ড), বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কল্যাণ ট্রাস্ট, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন, আনঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, প্রথম আলো ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিতে পেরেছে সর্বস্তরের মানুষ। এবছর শুধু বন্যার সময় ১৫ লক্ষ বিকাশ গ্রাহক এক বা একাধিকবার অনুদান পাঠিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে। শুধু দেশের মানুষই নয়, অনেক প্রবাসীরাও এই সুবিধা ব্যবহার করে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
দুর্যোগের সময় যখন মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়ে, তখন তাদের সাহায্যের জন্য দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক সময় সাহায্য যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সাহায্যকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে নিয়মিত তথ্য প্রদান ও সচেতনতা তৈরিতে বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে প্রচারণা চালায় বিকাশ। শুধু তাই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বিকাশ নিজেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুর্যোগ কবলিত মানুষের পাশে থেকেছে। রিমাল-এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে বিকাশ যা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ২,৫০০ পরিবারের অন্তত দু’সপ্তাহের খাবারের জোগান দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অনুদানের এই অর্থ সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেছেন। নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কোনো চার্জ ছাড়াই অনুদানের এই অর্থ ক্যাশ আউট করেছেন তারা।
এবারের বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিকাশ-এর সব কর্মী তাদের এক দিনের বেতন অনুদান দিয়েছেন। এছাড়া, বন্যার্তদের সহায়তায় গঠিত প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লক্ষ টাকা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে ১৫ লক্ষ টাকা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের জরুরি ও উন্নত চিকিৎসাসেবায় অংশ নিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ২০ লক্ষ টাকা অনুদানও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কেবল দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অন্যতম আর্থিক সেবার মাধ্যম হিসেবেই নয়, সময়ের প্রয়োজনে দেশের জন্য প্রতিটি পরিবারের সদস্য হিসেবে বিকাশ নিজেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানবতার পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঋণের প্রলোভনে শাহবাগে লাখো মানুষের সমাবেশের চেষ্টা
ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর শাহবাগে জনসমাগমের চেষ্টা করেছে একটি সংগঠন। সমাবেশে আসা লোকদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে লোভ দেখায় সংগঠনটি। প্রলোভনে পড়া লোকজন ও শাহবাগ থানা-পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রলোভনে পড়া লোকজন বলছেন, ‘অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। শাহবাগে যাঁরা উপস্থিত হবেন, তাঁদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
পুলিশ ও শাহবাগে আসা লোকজন বলছেন, এমন প্রলোভনে পড়ে গতকাল রোববার দিবাগত রাত একটার পর সারা দেশ থেকে বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করেন।
পরে পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসা লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন।
আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশ আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাসে আসা বেশ কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের বেশির ভাগই জানেন না, শাহবাগে ঠিক কী হবে। তাঁরা বলেন, তাঁদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে, এমন কথা বলা হয়েছে। এ জন্যই তাঁরা এসেছেন।
কয়েকজন ব্যক্তির ভাষ্য, তাঁদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ এক হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, ‘অহিংস গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন শাহবাগে অনেক মানুষ জমায়েত করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
যৌক্তিক মামলা না নিলে ওসিকে সাসপেন্ড: ডিএমপি কমিশনার
যৌক্তিক মামলা না নেওয়ার অভিযোগ আসলে ওসিকে এক মিনিটে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে অটোরিকশা, অটোভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বৈঠকে একজন রিকশাচালক বলেন, আমাকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় রোববার মারধর করা হয়। এমন অভিযোগে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনি মামলা করেননি কেন? মামলাযোগ্য হলে অবশ্যই ওসিদের মামলা নিতে হবে। মামলা না নিলে সেই থানার ওসিকে এক মিনিটে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হবে।
চাঁদাবাজির বিষয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, গরীবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। রিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। কোনো পুলিশ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকলে রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা।
এ সময় রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ে কোনো মন্তব্য না করে তিনি বলেন, আপনাদের বিষয়টি বিকেলেই চেম্বার আদালতে উঠবে। সুতরাং আপনাদের বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এমআই