জাতীয়
সিআইডি প্রধানের সঙ্গে ইউএনওডিসি প্রতিনিধিদলের মতবিনিময়

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন ইউএনওডিসি প্রতিনিধিদল।
ইউএনওডিসির ক্রাইম প্রিভেনশন অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস অফিসার ডিমসথেনিস ক্রিসিকোসের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার (১৩ মার্চ) মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে সিআইডি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মতবিনিময়কালে সিআইডি এবং ইউএনওডিসির মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন, মানিলন্ডারিং, মানবপাচার অপরাধ দমন ও তদন্তে মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্সের গুরুত্ব এবং মিউচুয়াল লিগাল অ্যাসিস্ট্যান্টের ক্ষেত্রে ইউএনওডিসির করণীয়সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এসময় মানবপাচার অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মামলা তদন্ত, প্রসিকিউশন ও বিচারব্যবস্থা সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুষম সমন্বয়ের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের বিষয়ে সিআইডি প্রধান গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া ইউএনওডিসির প্রতিনিধি মানবপাচার অপরাধ দমনে তথ্য আদান প্রদান, তথ্য শেয়ারিং এবং তদন্ত তদারকি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিআইডির মুখপাত্র পুলিশ সুপার আজাদ রহমান রহমান জানান, মানবপাচারকারী সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মানবপাচারের শিকার সাধারণ মানুষের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা, প্রসিকিউশন এবং বিচারকদের নিয়ে টিম গঠন করতে নিয়মিত সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাতীয়
চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠালো সরকার

বাংলাদেশ পুলিশের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের আরও চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
অবসরে পাঠানো ডিআইজিরা হচ্ছে- ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম; রেলওয়ে পুলিশ ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব আলম; শিল্পাঞ্চল পুলিশে সংযুক্ত ডিআইজি মো. মনির হোসেন ও পুলিশ টেলিকম ঢাকায় সংযুক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে তাদের অবসর পাঠানো হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের চার উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
ওইদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ওই চার কর্মকর্তা হলেন- অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া ও আমেনা বেগম।
এরও আগে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠায় সরকার। তারা হলেন-পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর মল্লিক ফখরুল ইসলাম, পুলিশ টেলিকমের প্রধান ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
এছাড়াও সচিব, উপ-সচিব, জেলা প্রশাসক, বিচারক, পুলিশ সুপারসহ অনেক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
জাতীয়
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা

দেশের ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের গ্রাহকগণ বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। কিন্তু অপারেটরগণ নিয়মিত অভিযোগের শুনানীতে উপস্থিত থাকছেন না, কোন কোন অপারেটরের পক্ষে ক্রমাগত সময় চাওয়ায় অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ উপস্থাপন করা হয় ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
মোবাইল ফোন অপারেটরগণ অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগের বিষয়ে অপারেটররা দ্বিমত করবেন সেসব অভিযোগ যথারীতি শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করবে। শুনানীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অপারেটরগণ নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা/আমলযোগ্যতা যাচাইয়ে যেসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে, অপারেটরগণ সেসব বিষয়ের একটা চেকলিস্ট তৈরি করে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করবেন।
অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রযোজ্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে ব্যবহারকারীকে জানাতে হবে। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কোন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে অভিযোগকারীর সীম থেকে কলচার্জ বাতিল/গ্রহণযোগ্য করার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে মোবাইল ফোন অপারেটরগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। পুরনো সীম নতুন করে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমের প্যাকেটে পরিষ্কার ভাষায় ইংরেজীতে “Re-Used” এবং বাংলায় “পূর্বে-ব্যবহৃত” লিখতে হবে যাতে সীম ক্রয়ের পূর্বেই ভোক্তাগণ জানতে পারেন।
কাফি
জাতীয়
নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৬০ হাজার ট্রুপস থাকবে: প্রেস সচিব

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৬০ হাজার সেনা সদস্য নিয়োজিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রেস সচিব।
ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৬০ হাজারের মতো ট্রুপস নির্বাচনী ডিউটিতে থাকবেন। আপনারা জানেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তারা মাঠে ডিউটিতে রয়েছেন। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে। আমরা আশা করছি নির্বাচনের সময় তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো যেন কাজ জোরদারভাবে করতে পারে এবং নির্বাচনের সময় যেন আমাদের ইন্টেলিজেন্সের কোনো দুর্বলতা না থাকে সেজন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রেও আমাদের কো-অর্ডিনেশন যেন ভালো হয়, সেটির কথাও বলা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ইলেকশনের আগে পুলিশের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে। পুলিশের আইজি মহোদয় বলেছেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দেড় লাখ পুলিশের ট্রেনিং হবে নির্বাচন উপলক্ষ্যে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচুর মিস ইনফরমেশন অলরেডি সার্কুলেট হয়েছে। সামনে এটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সামনে রেখে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার হবে যেখানে এই মিস-ইনফরমেশনগুলোকে আমরা ডিফাইন করতে পারব। সেটি ক্রিয়েট করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। এটা নিয়ে অনেক বিশদ আলোচনা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
আরও বড় হলো জুলাই শহীদ-আহতদের তালিকা, গেজেট প্রকাশ

জুলাই শহীদ হিসেবে আরও ১০ জন এবং আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আরও ১ হাজার ৭৫৭ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত এই গেজেট প্রকাশ হয়। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে দ্বিতীয় ধাপে ১০ জন শহীদসহ ১৭৫৭ জন জুলাই যোদ্ধার নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত গেজেটে ১০ জন শহীদ ছাড়াও ক—ক্যাটাগরির আহত (অতি গুরুতর) হিসেবে আছেন ১০৯ জন। গুরুতর খ—ক্যাটাগরিতে আহত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ২১০ জনের নাম।
এছাড়া গুরুতর থেকে একটু কম আহত হয়েছেন এমন ১৪৩৮ জনকে গ—ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০৫ জন, খুলনা বিভাগের ১৬৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২২৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১১ জন, রংপুর বিভাগের ৯০ জন, রাজশাহী বিভাগের ২৩৬ জন এবং সিলেট বিভাগের ৮৮ জন।
এর আগে, প্রথম ধাপে ১২ হাজার ৮৭৭ জন জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধার গেজেট প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
বিধিমালা অনুযায়ী, সরকার প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের আকারে এককালীন ৩০ লাখ টাকা অনুদান দেবে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ৭৭২টি শহীদ পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে (স্বামী বা স্ত্রী, ঔরসজাত বা গর্ভজাত সন্তান/মাতা ও পিতা) উত্তরাধিকার আইন অনুসারে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। মোট ৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র হয়েছে। অবশিষ্ট ৭২টি শহীদ পরিবারের মধ্যে পারিবারিক ও ওয়ারিশগত জটিলতা নিরসন করে সঞ্চয়পত্র প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান। শহীদ পরিবারের এককালীন অনুদানের অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিধিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক শহীদ পরিবার মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।
বিধিমালা অনুযায়ী, শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তির কর্মসংস্থানের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শহীদ পরিবার এবং আহত জুলাই যোদ্ধাদের ভাতা কার্যক্রম অনলাইনে দেওয়া এবং সমৃদ্ধ তথ্যভান্ডারের জন্য ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) তৈরির কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানা গেছে।
জাতীয়
স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর।
‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উপলক্ষে রোববার (২৭ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘হেপাটাইটিস: লেটস ব্রেক ইট ডাউন’- যা হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, লিভার রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করা এবং বিদ্যমান নানা কুসংস্কারের কারণে বাংলাদেশে লিভার রোগের প্রকোপ দিন দিন মারাত্মক আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। দেশে প্রতিবছর বহু মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার এবং লিভার ফেইলিওরের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। আশার কথা, সচেতনতা ও সময়মতো সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনযাপন সম্ভব।
সরকার সারা দেশের হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও পুষ্টি সেবা প্রদান কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।
নীরব ঘাতক হেপাটাইটিস প্রতিরোধে ড. ইউনূস দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।