Connect with us

ধর্ম ও জীবন

রমজানে কোনআন তেলাওয়াতের ফজিলত

Published

on

নর্দান

রমজান মাস পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসের সঙ্গে পবিত্র কোরআনের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। লাওহে মাহফুজ থেকে এই মাসের এক বরকতময় রাতে পুরো কোরআন পৃথিবীর আসমানে একসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। এরশাদ হচ্ছে, আমি একে নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। (সুরা দুখান: ৩) অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। (সুরা বাকারা: ১৮৫)

ঐশী গ্রন্থ কোরআন মহান আল্লাহর বাণী। এর তিলাওয়াতে প্রতি হরফে ১০ নেকি লাভ হয়। নবীজি (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পড়লো, তার জন্য রয়েছে একটি নেকি। আর একটি নেকি ১০ নেকি সমতুল্য। আমি বলছি না, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। (তিরমিজি)

অন্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের সওয়াব বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ, রমজান মাসের নফল ইবাদত অন্য মাসের ফরজ সমতুল্য। আর ফরজ ইবাদত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ সমতুল্য।

রমজানের প্রত্যেক রাতে নবীজি (সা.) জিবরাইল (আ.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন শোনাতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, জিবরাইল (আ.) রমজানের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং নবীজি তাঁকে পবিত্র কোরআন শোনাতেন। (বুখারি) এ হাদিস থেকে রমজানে অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব বোঝা যায়।

কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য পবিত্র কোরআন সুপারিশ করবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) এরশাদ করেন, রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। (মুসনাদে আহমদ)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

Published

on

নর্দান

জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্র করা।

কোরআন মজিদে সুরা জুমা নামে একটি সুরা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘হে বিশ্বাসীগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে তাড়াতাড়ি করবে ও বেচাকেনা বন্ধ রাখবে। এই তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা বোঝো। নামাজ শেষ হলে তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে ও আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে বেশি করে ডাকবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত: ৯-১০)।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

কোরবানির জন্য কেমন পশু কিনবেন?

Published

on

নর্দান

কোরবানির সম্পর্কে হযরত মিখজাফ ইবনে সালিম রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে আরাফার ময়দানে দাঁড়িয়ে সমবেত লোকদেরকে সম্বোধন করে একথা বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা জেনে রাখ, প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর প্রত্যেক বছরই কোরবানি করা কর্তব্য। আর যার সামর্থ্য নেই তাদের ওপর কোরবানি কর্তব্য নয়। কারণ আল্লাহ কারও ওপর এমন কোনো কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না, যা তার সাধ্যের বাইরে।’ (তিরমিজি)

কোরবানি করার জন্য শরিয়তে কয়েক ধরনের পশু নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কোরবানির করা জায়েজ। অন্য কোন পশু দিয়ে কোরবানি করার বিধান নেই।

আর বয়সের ক্ষেত্রে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা অন্তত এক বছর । গরু, মহিষ অন্তত দুই বছর ও উট অন্তত ৫ বছর হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে ছয় মাসেরটি দেখতে এক বছরের মতো লাগে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি হবে।

কোরবানির পশু কেনার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-

এমন দুর্বল পশু কেনা যাবে না যার হাড়ের মজ্জা শুকিয়ে গেছে বা কোরবানির স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারবে না। এরকম পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না। আর মোটা-তাজা পশু দিয়ে কোরবানি করা মুস্তাহাব।

কোন পশুর একটি পা যদি এমন ভাবে নষ্ট হয়ে যায় যে, চলার সময় সেটি দিয়ে কোন সাহায্য নিতে পারে না তবে ওই পশু দিয়ে কোরবানি হবে না।

এছাড়া আরো যেসব পশু দিয়ে কোরবানি হবে না-

>শিং গোড়া থেকে ভেঙে গেলে সেই ক্ষত যদি মগজ পর্যন্ত পৌছায়।

>দাঁত মোটেও না উঠলে বা যদি অর্ধেক দাড় পড়ে যায়।

>দৃষ্টি শক্তি তিন ভাগের এক ভাগ কমে বা নষ্ট হয়ে গেলে।

>লেজের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ কাটা গেলে।

>কান একেবারে না উঠলে(অবশ্য খুব ছোট কান থাকলেও হবে)।

>তবে শিং মোটেও না উঠলে সেই পশু দিয়ে কোরবানি হবে।

গাভীন বলে জানা গেলে সেটা দিয়ে কোরবানি হবে। তবে পেটে বাচ্চা জীবিত পাওয়া গেলে সেটিকেও আল্লাহর নামে জবেহ করতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া যাবে?

Published

on

নর্দান

ইসলামি বিধানতে হালাল প্রাণীর গোশত খাওয়া বৈধ। কোন কোন প্রাণী বা কী ধরনের প্রাণী খাওয়া জায়েজ ইসলাম এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। হালাল-হারাম সম্পর্কিত কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত মূলনীতি অনুসারে যেসব পশু পাখির গোশত খাওয়া হালাল তা হলো- উট, ছাগল, ভেড়া, মহিষ, হরিণ, খরগোশ, গরু (বন্য গরুসহ), বন্য গাধা, হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী এবং মাছ (চিংড়িসহ), ইত্যাদি।

এর বাইরে যেসব পশু-পাখির মাংস খাওয়া হারাম তা হলো- শুকর, হায়না, নেকড়ে কুকুর, বিড়াল, বানর, চিতা, সিংহ, বাঘ, জারবয়া, ভাল্লুক, সাপ, কাঠ বিড়ালী, কচ্ছপ, বেজী, শিয়াল, গৃহপালিত গাধা, হাতি। (রাদ্দুল মুহ্তার, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৩০৬)।

যে সকল পশু-পাখির গোশত খাওয়া বৈধ, ওগুলোও যেন-তেনভাবে মেরে খাওয়া যাবে না। বরং এমনভাবে জবাই করে খেতে হবে, যেন নাপাক রক্ত পশুর শরীর থেকে বের হয়ে যায় এবং জন্তুরও কষ্ট কম হয়। তাই ইসলামের বিধান হচ্ছে, জবাই করার সময় মূল চারটা রগের কমপক্ষে তিনটা কাটতে হবে। এতে নাপাক রক্ত বেশি বের হবে এবং সহজে পশুর জান বের হয়ে যাবে।

সুস্থ সবল প্রাণী সহজেই জবাই করে খাওয়া যায়, তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তা জবাই করে খাওয়া।

অসুস্থ প্রাণী জবাই করে খাওয়া নিয়ে আমাদের সমাজে একটা কথা প্রসিদ্ধ আছে যে, যখন কোনো পশু খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন এমন পশু জবাই করা ও খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত যখন এমন মনে হয় যে, পশুটি হয়তো বেশিদিন বাঁচবে না।

শরীয়তে এমন পশু খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? এবিষয়ে ফেকাহবিদ আলেমদের মতামত হলো—

প্রাণীর অসুস্থতা দুই ধরনের হতে পারে।

এক. এমন অসুস্থতা, যার কারণে পশুর গোশত খেলে মানব শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়া এবং ক্ষতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে এমন প্রাণীর গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। এবং কোনো বিক্রেতা রোগের বিষয়টির সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য ঘোষণা ছাড়া এধরনের প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতে পারবে না। এটি শরীয়তে নিষিদ্ধ ‘আলগারার’ ও ‘আলখিদা’-এর শামিল হবে।

দুই. কোনো প্রাণীর এমন সাধারণ অসুস্থতা, যা তার গোশতে তেমন প্রভাব ফেলে না এবং তা মানব শরীরের জন্য তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে বলেও প্রমাণিত নয়। সে ধরনের অসুস্থ প্রাণীর গোশত খেতে কোনো অসুবিধা নেই। এবং সে প্রাণী বা এর গোশত বিক্রি করতেও বাধা নেই।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

একসঙ্গে অনেককে সালাম দিলে উত্তর দেবেন কে?

Published

on

নর্দান

সালাম দেওয়া সুন্নত। আর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সালাম দিয়ে থাকেন। কারণ সালাম ইসলামের অভিবাদন, শান্তির প্রতীক এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতির অংশ। সালামের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও শান্তির বার্তা ছড়ানো হয়। সালাম দেওয়া-নেওয়া জান্নাতি মানুষের অভ্যাস।

সালামের প্রচলনকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে অভিহিত করেছেন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস, ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস, ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি, হাদিস, ১৪৬০)

সালাম এবং মুসাফাহার মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস, ৫২১২)

অনেক সময় দেখা যায় কোনো সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকেন, সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আলোচকেরা সালাম দিয়ে থাকেন। যেহেতু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব।

তাই স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে- সভা-মঞ্চ বা আলোচনার মজলিশে উপস্থিত অনেককে একসঙ্গে সালাম দিলে উত্তর কে দেবেন? নাকি সবার পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তিই উত্তর দিয়ে দিলে আদায় হয়ে যাবে?

এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আলেমরা বলেন, কোথাও একাধিক ব্যক্তি থাকলে এবং সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দিলে সবার জন্য উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। উপস্থিত মানুষদের পক্ষ থেকে কেউ একজন সালামের উত্তর দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে।

তবে যেহেতু উপস্থিত ব্যক্তিদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে সালাম দেওয়া হয়েছে তাই সবার জন্য উত্তর দেওয়া উত্তম। সবাই উত্তর দেওয়া সম্ভব হলে এবং উত্তর দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকলে সবারই উচিত সালামের উত্তর দেওয়া।

তবে এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় হলো- অনেক মানুষ আছে, কেউ না কেউ তো সালামের উত্তর দেবেন- এমন ভাবনা থেকে যদি কেউ সালামের উত্তর না দেয়, তাহলে সবাই গুনাহগার হবে।

আর যদি কখনো শুধু কোনো একজন ব্যক্তির নিয়ে বা কোনো এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে সালাম দেওয়া হয়, তাহলে তাকেই উত্তর দিতে হবে।

(ফতোয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত, ১২/১০৮, ফতোয়ায়ে কাজিখান, হিন্দিয়া, ৩/৩২৭, রদ্দুল মুহতার, ২/৪১৩)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১৫ আমল

Published

on

নর্দান

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। এটি মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকেই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। জুমাবার শুরু হওয়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অনেক আদব রয়েছে। যেসব আদব আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা বাঞ্ছনীয়। এখানে আমরা জেনে নেব জুমার দিন জুমা পড়তে মসজিদে ঢুকার পর থেকে যেসব আদব গুরুত্বের সঙ্গে রক্ষা করা উচিত।

১. আগেভাগে মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসা। (আবু দাউদ: ১১০৮)

২. সময় থাকলে দু’রাকাত নফল (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ) পড়া। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)

৩. কাবলাল জুমা (৪ রাকাত সুন্নত) পড়া। (আল মুজামুল আওসাত: ১৬১৭)

৪. বয়ান শুরু হলে কাবলাল জুমা বয়ানের পরে পড়া। (মুসনাদে আহমদ: ২০৭২১, জুমার আদব)

৫. ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিজি: ৫০৯, ইবনে মাজাহ: ১১৩৬)

৬. চুপচাপ থাকা (নিচু কণ্ঠে জিকির-আজকার করা)। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)

৭. মনোযোগসহ খুতবা শোনা ও খুতবার সময় চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারি: ৯৩৪, মুসলিম: ৮৫৭, আবু দাউদ: ১১১৩, আহমদ: ১/২৩০)

৮. বসে থাকা মুসল্লিদের ঠেলে বা সরিয়ে কিংবা মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩; আবু দাউদ: ৩৪৩)

৯. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনোকিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ: ১৩৩২)

১০. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারি: ৯১১, মুসলিমঃ ২১৭৭, ২১৭৮)

১১. কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা। (নাসায়ি: ৭১৪, বুখারি: ৯৩৪)

১২. ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদ: ১১১০, ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)

১৩. কাতারবদ্ধ হওয়ার সময় সামনের কাতার পুরা করা। (মুসলিম: ৪৩০; রদ্দুল মুহতার : ১/৬৩৬)

১৪. ইমামের পেছনে মনোযোগসহ দুরাকাত জুমার নামাজ পড়া। (সুরা জুমা: ৯-১০)

১৫. জুমার নামাজের পর মসজিদে চার রাকাআত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখাররি: ১৮২, মুসলিম: ৮৮১, আবু দাউদ: ১১৩০)

জুমার দিন জুমার নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করার পর উল্লেখিত নেক আমলগুলোর প্রতি মুসল্লিদের যত্নবান হওয়া উচিত। কেননা জুমার দিনের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ও মর্যাদা অনেক বেশি।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
নর্দান
জাতীয়9 mins ago

উপজেলাতেও প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবাকেন্দ্র চালু হবে: দীপু মনি

নর্দান
জাতীয়10 mins ago

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে বিআরটিএ’র নির্দেশনা

নর্দান
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার12 mins ago

গাজী গ্রুপে চাকরির সুযোগ

নর্দান
শিল্প-বাণিজ্য27 mins ago

ব্যাংকগুলো ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয় না: এফবিসিসিআই সভাপতি

নর্দান
পুঁজিবাজার31 mins ago

নর্দান ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

নর্দান
অর্থনীতি33 mins ago

ওএমএস বিতরণে গাফিলতি হলেই ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

নর্দান
জাতীয়39 mins ago

নির্বাচনে ভোট কম পড়ার পেছনে বড় কারণ বিএনপি: ইসি

নর্দান
কর্পোরেট সংবাদ40 mins ago

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পদোন্নতিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা

নর্দান
জাতীয়46 mins ago

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নর্দান
কর্পোরেট সংবাদ52 mins ago

ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

নর্দান
পুঁজিবাজার54 mins ago

পর্ষদ সভা করবে খান ব্রাদার্স

নর্দান
জাতীয়1 hour ago

রুমায় বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত

নর্দান
পুঁজিবাজার1 hour ago

ব্লকে ৪১ কোটি টাকার লেনদেন

নর্দান
পুঁজিবাজার2 hours ago

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদন

নর্দান
খেলাধুলা2 hours ago

আক্ষেপ রয়ে গেছে মোস্তাফিজের

নর্দান
পুঁজিবাজার2 hours ago

দরপতনের শীর্ষে তিন কোম্পানি

নর্দান
পুঁজিবাজার2 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

নর্দান
পুঁজিবাজার2 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি

নর্দান
পুঁজিবাজার2 hours ago

৩৪৭ কোম্পানির দরপতনে প্রধান সূচক কমলো ৮৬ পয়েন্ট

নর্দান
পুঁজিবাজার3 hours ago

তিন কোম্পানির লেনদেন বন্ধ কাল

নর্দান
জাতীয়3 hours ago

মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত: কাদের

নর্দান
অর্থনীতি3 hours ago

ভোমরায় দশ মাসে ৫ হাজার টন জিরা আমদানি

নর্দান
খেলাধুলা3 hours ago

মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই

নর্দান
জাতীয়3 hours ago

মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশন

নর্দান
আন্তর্জাতিক4 hours ago

বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১