রাজনীতি
আ.লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা সোমবার

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক সোমবার (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (১০মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রাজনীতি
দক্ষিণ বা উত্তরপন্থি নয়, বিএনপি মধ্যপন্থি দল: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দক্ষিণ বা উত্তরপন্থি নয় বিএনপি গণমানুষের দল। এটি মধ্যপন্থি দল।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মধ্যপন্থি দল, দক্ষিণ বা উত্তরপন্থি নয় এটি গণমানুষের দল উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক পার্থক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাই যেন এক জায়গায় বসতে পারে সেরকম পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে বিএনপি। এজন্য সব পন্থার সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
সরকারের কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, নানা বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে যা অর্জন করেছে এর বেশি হয়তো সম্ভব ছিল না। তবে জাতির আশা আরও বেশি ছিল।
সরকার যথাযথ সময় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল সেগুলো নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠি এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতি এর জন্যই অপেক্ষা করছিল। সংস্কার ও বিচারেও অগ্রগতি হয়েছে, বিএনপি সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও জাতিকে এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার ভিশনকে বিএনপি গ্রহণ করবে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য দ্রুত আইনকানুন প্রণয়ন হবে প্রত্যাশা রেখে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সাংবিধানিক সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে। এছাড়া বর্তমানে পুলিশের স্ট্রাকচার রাতারাতি পরিবর্তনের সুযোগ না থাকলেও নির্বাচন পরিচালনায় তাদের রাখতে হবে। তবে মূল ভূমিকা রাখবে সেনাবাহিনী।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণই স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। জনগণ যেখানে স্বচ্ছ নির্বাচন চায় সেখানে জনগণ ও প্রার্থীদের মানসিকতার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গৌণ হবে।
এদিকে, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সমমনা যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট হতে পারে, তবে জোটের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
রাজনীতি
ঐক্যবদ্ধ থাকুন, মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয়: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক মতভেদ সত্ত্বেও দলগুলোকে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন ইস্যুতে মতভেদ থাকবেই। তবে গণতন্ত্রের প্রশ্নে যেন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম, দর্শন, মত যার যার—রাষ্ট্র আমাদের সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদের সময় আমরা কেউ নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, দেশকে বন্দিশালায় রূপান্তর করা হয়েছিল।’
চব্বিশের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, সেই আন্দোলনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যদি জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
বিজয় র্যালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পতিত ও পলাতক ফ্যাসিস্টের আমলে অন্ধকারের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। আজকের বিজয় মিছিল সেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার প্রতীক।’
রাজনীতি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে জামায়াত: তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকাল যে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, এই ঘোষণাপত্র একটি অপূর্ণাঙ্গ বিবৃতি। এতে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭-এর আজাদীকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ নেই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাশিক্ষক ও ছাত্র, প্রবাসী ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের ভূমিকার উল্লেখ নেই, যা ইতিহাসের প্রতি অবিচার ও অবহেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। জুলাই অভ্যুত্থানের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা, যা এক দফায় রূপান্তরিত হয়েছিল। সে বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক পঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রে তার উল্লেখ নেই। ঘোষণায় কখন কীভাবে তা কার্যকর করা হবে, তা উল্লেখ না করে ঘোষণাকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারের হাতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল, প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তা না করায় জাতি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার দীর্ঘদিনের যে ঐতিহ্য, তা উপেক্ষা করে জুলাই ঘোষণার দিনেই নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে। তথাপি জাতীয় স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের হওয়ার ক্ষেত্রে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই। তবে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন দ্রুত সম্পন্ন করে অধ্যাদেশ, এলএফও বা গণভোটের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি প্রদান করা না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে। তাই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও সংস্থার কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের সব স্তরে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত। পিআর পদ্ধতি ছাড়া জামায়াত নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, এটি আমাদের দাবি। আমরা আমাদের দাবির ব্যাপারে আন্দোলন করব। পরবর্তী সময়ে কী হয়, সেটি দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যে প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল, তা পূরণ না হওয়ায় জনগণের মধ্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারসহ জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে নতুনভাবে উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে, তা জাতির কাছে অস্পষ্ট। এমন অবস্থায় সরকারের প্রতি আহ্বান, অনতিবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে জন–আকাঙ্ক্ষার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
রাজনীতি
হাসনাত-সারজিসসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে কক্সবাজার ভ্রমণ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে আগে থেকে না জানিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ করায় এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নোটিশের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক চিঠিতে ৫ নেতার কাছে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
৫ শীর্ষ নেতা হলেন, এনসিপি মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
এতে বলা হয়, গতকাল ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি এবং দলের আরও চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফর সংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’ এর কাছে পূর্বে অবগত করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ অবস্থায়, আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
রাজনীতি
জুলাই ঘোষণাপত্র নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের শুরু: মির্জা ফখরুল

বিএনপি জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানায়। বিএনপি বিশ্বাস করে, এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে তা পালনের মধ্য দিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় হিসেবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিকে নির্ধারণের ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিএনপি মনে করে, এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশ রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম হবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফখরুল। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর এই দেশের মানুষ এক ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে, গুম হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পরিকল্পিতভাবে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তিনটি নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, গুম, খুনের মধ্য দিয়ে সেই সংগ্রাম ও আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার, সাজা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজানো মিথ্যা মামলায় ১০ বছর সাজা দিয়ে ৬ বছর কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছিল। তিনি ৫ আগস্ট মুক্তি পেয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ অনেক নেতাকে আজীবন কারাদণ্ড প্রদান করে বিরোধী নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে। কারাগারেই অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল তারা। নির্যাতিত, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রতিটি নেতাকর্মী লড়াই করেছে।