পুঁজিবাজার
তিন বছরেও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারেনি ৫৬ কোম্পানি

পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার নিয়ে নিয়মিত কারসাজি হওয়ায় পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা বাধ্যতামূলক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।গত ২০১০ সালে করা এ বিধানটি মূল মার্কেটে নতুন তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। তবে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির জন্য এটি বাধ্যতামূলক করে কমিশন। তবে তিন বছরেও পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে পারেনি তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানি। অথচ স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মার্কেট এসএমইতে এমন ১১টি কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থেকে ৬৭ কোটি টাকা পর্যন্ত। আর দেড় কোটি টাকারও কম মূলধনী কোম্পানি রয়েছে যেগুলো লেনদেন করছে মূল মার্কেটে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, স্টক এক্সচেঞ্জের মূল পর্ষদে তালিকাভুক্ত যে কোনো কোম্পানিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম (তালিকাকরণ) প্রবিধান, ২০১৫ অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন হিসেবে অন্তত ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে। এ বিয়ষে ২০২১ সালে কঠোর অবস্থান নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সেই বছরের ৯ ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় বিএসইসি জানায়, তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে। এর লক্ষে ৬৪টি কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দেওয়া হয় বিএসইসির ঐ নির্দেশনায়। সেই সঙ্গে মূল মার্কেটেলেনদেনের সুযোগ বহাল রাখতে কোম্পানি ভেদে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সময়ে ৬৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৮টি কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা উন্নীত করতে পেরেছে। বাকি কোম্পানিগুলো মূলধন বাড়াতে ব্যর্থ হয়। তবে নূন্যতম মূলধন বাড়াতে না পারা এসব কোম্পানিগুলো এখনো পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে লেনদেন বহাল রয়েছে। ২০১০ সালে বিএসইসির দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন কোম্পানিকে মূল বোর্ডে লেনদেনের জন্য পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত হতে হলে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ম্যানিপুলেটররা সাধারণত ছোট-ক্যাপ স্টকগুলোকে লক্ষ্য করে। যা সহজেই হেরফের করা যায় এবং তাদের শেয়ারের চাহিদা কৃত্রিমভাবে স্ফীত করার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবগুলো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে গভীরতা আনবে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা হবে।
এবিষয়ে শনিবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা করতে কমিশন থেকে ৬৪টি কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। কয়েকটি কোম্পানি নির্দেশনা মোতাবেক তা পরিপালন করেছে। আর কয়েকটি কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির জন্য তাদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। যেসব কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা পরিপালন করেনি বা কোনো পরিকল্পনা জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুব শিগগিরই এসব কোম্পানি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। বরাবরের মতোই বিএসইসি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিশোধিত মূলধন হলো- স্টকের শেয়ারের বিনিময়ে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে কোনো কোম্পানির প্রাপ্ত অর্থ। সিকিউরিটিজ বিধি অনুসারে, কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি রাইট শেয়ার, স্টক লভ্যাংশ এবং পুনরাবৃত্ত পাবলিক অফারের মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারে।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ১১টি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস (১ কোটি ৪৪ লাখ), সাভার রিফ্র্যাক্টরিস (১ কোটি ৩৯ লাখ), লিবরা ইনফিউশনস (২ কোটি ২৫ লাখ), জুট স্পিনার্স (১ কোটি ৭০ লাখ), রেনউইক যগেশ্বর (২ কোটি), নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং (২ কোটি ১৪ লাখ), এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস (২ কোটি ৪০ লাখ), মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি (৩ কোটি ৬০ লাখ), ফার্মা এইডস (৩ কোটি ১২ লাখ), বিডি অটোকারস (৪ কোটি ৩২ লাখ) এবং রেকিট বেনকিজার (৪ কোটি ৭২ লাখ)।
পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১০ কোটি টাকার নিচে এমন কোম্পানির সংখ্যা ১৭টি। সেগুলো হচ্ছে- কে অ্যান্ড কিউ (৬ কোটি ৮৫ লাখ), সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ (৫ কোটি ৪২ লাখ), শ্যামপুর সুগার (৫ কোটি টাকা), আজিজ পাইপস (৫ কোটি ৩৪ লাখ), এপেক্স ফুডস (৫ কোটি ৭০ লাখ), জিল বাংলা সুগার মিল (৬ কোটি), আরামিট লিমিটেড (৬ কোটি), স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক (৬ কোটি ৪৬ লাখ), ন্যাশনাল টি (৬ কোটি ৬০ লাখ), দেশ গার্মেন্টস (৮ কোটি ২৮ লাখ), বঙ্গস (৭ কোটি ৬২ লাখ), দুলামিয়া কটন (৭ কোটি ৫৫ লাখ), ইমাম বাটন (৭ কোটি ৭০ লাখ), প্রাণ (৮ কোটি), এপেক্স স্পিনিং (৮ কোটি ৪০ লাখ), জিকিউ বলপেন (৮ কোটি ৯২ লাখ) এবং রহিম টেক্সটাইল (৯ কোটি ৪৬ লাখ)।
প্রধান শেয়ারবাজারে ১০ কোটি টাকার ওপরে কিন্তু ১৫ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ১১টি। কোম্পানিগুলো হলো- রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (১০ কোটি টাকা), জেমিনি সি ফুড (১০ কোটি ৬৪ লাখ), বিডি ল্যাম্পস (১০ কোটি ০২ লাখ), সমতা লেদার (১০ কোটি ৩২ লাখ), ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক (১০ কোটি ৯২ লাখ), এপেক্স ফুটওয়্যার (১৪ কোটি ৩০ লাখ), মেঘনা পেট (১২ কোটি), বাটা সু (১৩ কোটি ৬৮ লাখ), স্টাইলক্রাফ্ট (১৩ কোটি ৮৮ লাখ), ফাইন ফুডস (১৩ কোটি ৯৭ লাখ) এবং ওয়াটা কেমিক্যাল (১৪ কোটি ৮২ লাখ)।
পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ২০ কোটি টাকার নিচে এমন কোম্পানি ১০টি। সেগুলো হচ্ছে- ইউনিলিভার কনজিউমার (১৯ কোটি ২৭ লাখ), লিন্ডে বিডি (১৫ কোটি ২১ লাখ), এপেক্স ট্যানারি (১৫ কোটি ২৪ লাখ), মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক (১৬ কোটি), প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১৬ কোটি ৬৪ লাখ), উসমানিয়া গ্লাস (১৭ কোটি ৪১ লাখ), আনলিমা ইয়ার্ন (১৭ কোটি ৮৬ লাখ), সমরিতা হাসপাতাল (২১ কোটি ৮০ লাখ), হাক্কানি পাল্প (১৯ কোটি) এবং রহিমা ফুড (২০ কোটি)।
২০ টাকার বেশি, কিন্তু ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ৭টি। কোম্পানিগুলো হলো- পেপার প্রসেসিং (২৯ কোটি ৬০ লাখ), ওরিয়ন ইনফিউশন (২০ কোটি ৩৬ লাখ), আলহাজ টেক্সটাইল (২২ কোটি ২৯ লাখ), সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল (২৭ কোটি ৭৭ লাখ), এইচআর টেক্সটাইল (২৯ কোটি ২২ লাখ), ইস্টার্ন ক্যাবলস (২৬ কোটি ৪০ লাখ) এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল (২৬ কোটি ৪৬ লাখ)।
এদিকে, পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মার্কেট এসএমইতে ৩০ কোটি টাকার অধিক মূলধনী কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আছিয়া ফুড (৩৭ কোটি ৩৫ লাখ), এগ্রো অর্গানিকা (৪৩ কোটি ৩০ লাখ), এপেক্স ওয়েভিং (৩৮ কোটি ৮৫ লাখ), বিডি পেইন্টস (৬২ কোটি টাকা), কৃষিবিদ সিড (৩০ কোটি), কৃষিবিদ ফিড (৪৯ কোটি ৫০ লাখ), মামুন এগ্রো (৫০ কোটি), মাস্টার ফিড এগ্রোটেক (৬৭ কোটি ১৫ লাখ), এমকে ফুটওয়্যার (৪৭ কোটি ৮৭ লাখ), মোস্তফা মেটাল (৪৮ কোটি ৮৫ লাখ) এবং ওরিজা এগ্রো (৬৯ কোটি ০৮ লাখ)।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
দুই সিকিউরিটিজ হাউজকে জরিমানা করলো বিএসইসি

সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ শাহজাহান সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহজাহান সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫ লাখ টাকার অর্থ দন্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া, বর্তমানে সিসিএ’তে কোন ঘাটতি না থাকলেও পূর্বে ঘাটতি থাকায় ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫ লাখ টাকার অর্থ দন্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কাট্টালি টেক্সটাইলকে ১ মাসের মধ্যে লিস্টিং ফি পরিশোধের নির্দেশ

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেডকে আগামী এক মাসের মধ্যে লিস্টিং ফি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে (ডিএসই) পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উক্ত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক ব্যতীত)- ২ লাখ টাকার অর্থ দন্ডে দণ্ডিত করা হবে।
এছাড়াও, কোম্পানি কর্তৃক কমপক্ষে ২৫ কোটি ০৪ লাখ টাকার আইপিও তহবিল তছরুপের বিষয়টি দুদকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লংকাবাংলা ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের খসড়া ট্রাস্ট ডিড অনুমোদন

বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লঙ্কাবাংলা ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের খসড়া ট্রাস্ট ডিড অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫০ তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কমিশন বে-মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লংকাবাংলা ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের খসড়া ট্রাস্ট ডিড ও খসড়া ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এগ্রিমেন্ট অনুমোদন প্রদান করেছে। ট্রাস্ট ডিডটি রেজি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৯০৮ এর অধীনে নিবন্ধন হওয়া সাপেক্ষে আলোচ্য মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে মর্মেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২৫ কোটি টাকা এবং ইউনিট প্রতি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। ফান্ডের ট্রাস্টি এবং কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে যথাক্রমে সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ২২ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৭ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর মোট ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৮৩৪ টি শেয়ার ৭০ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লাভেলোর ৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার, দ্বিতীয় স্থানে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২ কোটি ২ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে ওরিয়ন ইনফিউশনের ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর পতনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউ লাইনের শেয়ারদর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ, ড্রাগন সোয়েটারের ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোলের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ডের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি