পুঁজিবাজার
তিন বছরেও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারেনি ৫৬ কোম্পানি

পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার নিয়ে নিয়মিত কারসাজি হওয়ায় পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা বাধ্যতামূলক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।গত ২০১০ সালে করা এ বিধানটি মূল মার্কেটে নতুন তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। তবে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির জন্য এটি বাধ্যতামূলক করে কমিশন। তবে তিন বছরেও পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে পারেনি তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানি। অথচ স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মার্কেট এসএমইতে এমন ১১টি কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থেকে ৬৭ কোটি টাকা পর্যন্ত। আর দেড় কোটি টাকারও কম মূলধনী কোম্পানি রয়েছে যেগুলো লেনদেন করছে মূল মার্কেটে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, স্টক এক্সচেঞ্জের মূল পর্ষদে তালিকাভুক্ত যে কোনো কোম্পানিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম (তালিকাকরণ) প্রবিধান, ২০১৫ অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন হিসেবে অন্তত ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে। এ বিয়ষে ২০২১ সালে কঠোর অবস্থান নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সেই বছরের ৯ ডিসেম্বর এক নির্দেশনায় বিএসইসি জানায়, তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন অন্তত ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে। এর লক্ষে ৬৪টি কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দেওয়া হয় বিএসইসির ঐ নির্দেশনায়। সেই সঙ্গে মূল মার্কেটেলেনদেনের সুযোগ বহাল রাখতে কোম্পানি ভেদে ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সময়ে ৬৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৮টি কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা উন্নীত করতে পেরেছে। বাকি কোম্পানিগুলো মূলধন বাড়াতে ব্যর্থ হয়। তবে নূন্যতম মূলধন বাড়াতে না পারা এসব কোম্পানিগুলো এখনো পুঁজিবাজারের মূল মার্কেটে লেনদেন বহাল রয়েছে। ২০১০ সালে বিএসইসির দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন কোম্পানিকে মূল বোর্ডে লেনদেনের জন্য পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত হতে হলে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ম্যানিপুলেটররা সাধারণত ছোট-ক্যাপ স্টকগুলোকে লক্ষ্য করে। যা সহজেই হেরফের করা যায় এবং তাদের শেয়ারের চাহিদা কৃত্রিমভাবে স্ফীত করার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবগুলো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে গভীরতা আনবে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা হবে।
এবিষয়ে শনিবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা করতে কমিশন থেকে ৬৪টি কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। কয়েকটি কোম্পানি নির্দেশনা মোতাবেক তা পরিপালন করেছে। আর কয়েকটি কোম্পানি পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির জন্য তাদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। যেসব কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা পরিপালন করেনি বা কোনো পরিকল্পনা জমা দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুব শিগগিরই এসব কোম্পানি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। বরাবরের মতোই বিএসইসি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিশোধিত মূলধন হলো- স্টকের শেয়ারের বিনিময়ে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে কোনো কোম্পানির প্রাপ্ত অর্থ। সিকিউরিটিজ বিধি অনুসারে, কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি রাইট শেয়ার, স্টক লভ্যাংশ এবং পুনরাবৃত্ত পাবলিক অফারের মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারে।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ৫৬টি। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ১১টি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস (১ কোটি ৪৪ লাখ), সাভার রিফ্র্যাক্টরিস (১ কোটি ৩৯ লাখ), লিবরা ইনফিউশনস (২ কোটি ২৫ লাখ), জুট স্পিনার্স (১ কোটি ৭০ লাখ), রেনউইক যগেশ্বর (২ কোটি), নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং (২ কোটি ১৪ লাখ), এমবি ফার্মাসিউটিক্যালস (২ কোটি ৪০ লাখ), মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি (৩ কোটি ৬০ লাখ), ফার্মা এইডস (৩ কোটি ১২ লাখ), বিডি অটোকারস (৪ কোটি ৩২ লাখ) এবং রেকিট বেনকিজার (৪ কোটি ৭২ লাখ)।
পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ১০ কোটি টাকার নিচে এমন কোম্পানির সংখ্যা ১৭টি। সেগুলো হচ্ছে- কে অ্যান্ড কিউ (৬ কোটি ৮৫ লাখ), সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ (৫ কোটি ৪২ লাখ), শ্যামপুর সুগার (৫ কোটি টাকা), আজিজ পাইপস (৫ কোটি ৩৪ লাখ), এপেক্স ফুডস (৫ কোটি ৭০ লাখ), জিল বাংলা সুগার মিল (৬ কোটি), আরামিট লিমিটেড (৬ কোটি), স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক (৬ কোটি ৪৬ লাখ), ন্যাশনাল টি (৬ কোটি ৬০ লাখ), দেশ গার্মেন্টস (৮ কোটি ২৮ লাখ), বঙ্গস (৭ কোটি ৬২ লাখ), দুলামিয়া কটন (৭ কোটি ৫৫ লাখ), ইমাম বাটন (৭ কোটি ৭০ লাখ), প্রাণ (৮ কোটি), এপেক্স স্পিনিং (৮ কোটি ৪০ লাখ), জিকিউ বলপেন (৮ কোটি ৯২ লাখ) এবং রহিম টেক্সটাইল (৯ কোটি ৪৬ লাখ)।
প্রধান শেয়ারবাজারে ১০ কোটি টাকার ওপরে কিন্তু ১৫ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ১১টি। কোম্পানিগুলো হলো- রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (১০ কোটি টাকা), জেমিনি সি ফুড (১০ কোটি ৬৪ লাখ), বিডি ল্যাম্পস (১০ কোটি ০২ লাখ), সমতা লেদার (১০ কোটি ৩২ লাখ), ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক (১০ কোটি ৯২ লাখ), এপেক্স ফুটওয়্যার (১৪ কোটি ৩০ লাখ), মেঘনা পেট (১২ কোটি), বাটা সু (১৩ কোটি ৬৮ লাখ), স্টাইলক্রাফ্ট (১৩ কোটি ৮৮ লাখ), ফাইন ফুডস (১৩ কোটি ৯৭ লাখ) এবং ওয়াটা কেমিক্যাল (১৪ কোটি ৮২ লাখ)।
পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকার বেশি কিন্তু ২০ কোটি টাকার নিচে এমন কোম্পানি ১০টি। সেগুলো হচ্ছে- ইউনিলিভার কনজিউমার (১৯ কোটি ২৭ লাখ), লিন্ডে বিডি (১৫ কোটি ২১ লাখ), এপেক্স ট্যানারি (১৫ কোটি ২৪ লাখ), মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক (১৬ কোটি), প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স (১৬ কোটি ৬৪ লাখ), উসমানিয়া গ্লাস (১৭ কোটি ৪১ লাখ), আনলিমা ইয়ার্ন (১৭ কোটি ৮৬ লাখ), সমরিতা হাসপাতাল (২১ কোটি ৮০ লাখ), হাক্কানি পাল্প (১৯ কোটি) এবং রহিমা ফুড (২০ কোটি)।
২০ টাকার বেশি, কিন্তু ৩০ কোটি টাকার নিচে পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি রয়েছে ৭টি। কোম্পানিগুলো হলো- পেপার প্রসেসিং (২৯ কোটি ৬০ লাখ), ওরিয়ন ইনফিউশন (২০ কোটি ৩৬ লাখ), আলহাজ টেক্সটাইল (২২ কোটি ২৯ লাখ), সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল (২৭ কোটি ৭৭ লাখ), এইচআর টেক্সটাইল (২৯ কোটি ২২ লাখ), ইস্টার্ন ক্যাবলস (২৬ কোটি ৪০ লাখ) এবং সোনারগাঁও টেক্সটাইল (২৬ কোটি ৪৬ লাখ)।
এদিকে, পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মার্কেট এসএমইতে ৩০ কোটি টাকার অধিক মূলধনী কোম্পানিগুলো হচ্ছে- আছিয়া ফুড (৩৭ কোটি ৩৫ লাখ), এগ্রো অর্গানিকা (৪৩ কোটি ৩০ লাখ), এপেক্স ওয়েভিং (৩৮ কোটি ৮৫ লাখ), বিডি পেইন্টস (৬২ কোটি টাকা), কৃষিবিদ সিড (৩০ কোটি), কৃষিবিদ ফিড (৪৯ কোটি ৫০ লাখ), মামুন এগ্রো (৫০ কোটি), মাস্টার ফিড এগ্রোটেক (৬৭ কোটি ১৫ লাখ), এমকে ফুটওয়্যার (৪৭ কোটি ৮৭ লাখ), মোস্তফা মেটাল (৪৮ কোটি ৮৫ লাখ) এবং ওরিজা এগ্রো (৬৯ কোটি ০৮ লাখ)।
এসএম

পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে ফারইস্ট ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের। সপ্তাহজুড়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ২০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১৪.২৯ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ১৩.৩৩ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে পিপলস লিজিং। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ২০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জিএসপি ফাইন্যান্সের ১১.৪৩ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ১১.১১ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ১০.৮৬ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৭.৮৮ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৭.৬৯ শতাংশ, রিলায়েন্স-১ মিউচুয়াল ফান্ডের ৭.৫৩ এবং বিকন ফার্মার ৭.২১ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ইনটেক

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইনটেক লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে ইনটেক অনলাইনের দর বেড়েছে ১৭ টাকা ১০ পয়সা বা ৬০.৬৪ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১৪ টাকা বা ২৬.৯৭ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২৫.১৯ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে বিডিকম অনলাইন। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে শ্যামপুর সুগারের ২২.৮৩ শতাংশ, সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ২২.৩৫ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের ২০ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ২০ শতাংশ, আমরা টেকনোলজির ১৯.৮৫ শতাংশ, বিবিএস কেবলসের ১৯.৯৭ শতাংশ এবং খান ব্রাদার্সের ১৮.৩৬ শতাংশ।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৩৭ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৪১ কোটি ০৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.২০ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে খান ব্রাদার্স। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪৩ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রীমের ৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা, রবি আজিয়াটার ২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, সেনালী পেপারের ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, সিনোবাংলার ১৮ কোটি ১১ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংকের ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং আটিসির ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার।
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট থেকে ০৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৭২৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৭৬২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাচিত ভূমি কেনাকাটায় ৩০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার, বিলাসবহুল গাড়ি বাজেট ব্যবহার, অতিরিক্ত সিটিং ভাতা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল সাউথইস্ট ব্যাংকে এফডিআর করার মতো গঠনমূলক কেন্দ্র নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান ও তদন্ত চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এম এ কাসেমের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক আজিজুল হক, সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও সহকারী পরিচালক আল-আমিন।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা হস্তন্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কাসেম কম মূল্যের জমি বেশি দামে ক্রয় দেখানো, ডেভেলপার কোম্পানি থেকে কমিশন নেওয়া, ছাত্রদের টিউশন ফি থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়, লাখ টাকা করে সিটিং অ্যালাউন্স, অনলাইনে মিটিং করেও সমপরিমাণ অ্যালাউন্স গ্রহণ, নিয়ম ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এফডিআর, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকগুণ শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও অজ্ঞাত কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি পূর্বাচল সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তারা ২০১৪ সালে আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটি দেখিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। এরপর নিচু জমি ভরাটের নামে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির অর্থ থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ জন সদস্যের জন্য ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি কেনা হয়। এ গাড়ির চালকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তেলের খরচও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে বহন করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে আটটি কমিটির বিপরীতে ২৫টি কমিটি গঠন করে অতিরিক্ত সিটিং অ্যালাউন্স আদায় করেন। এসব কমিটির মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পত্তির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ২০২১ সালের ৩১ আগস্টের হিসাব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অর্থের ৪৩ শতাংশেরও বেশি ৪০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা রেখেছেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে এম এ কাসেমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।