জাতীয়
সংশোধন হচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশ এবং সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্তের পর আরও কিছু প্রক্রিয়া মেনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নারী দিবস নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এ বিষয়ে কথা বলেন।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হবে, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নাম মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জানাতে চাই- আগামী ১১ মার্চ আমার দুই মাস (প্রতিমন্ত্রী হিসেবে) হবে। আমরা এক মাসের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। যেহেতু আমাদের সংবিধানে মহিলা শব্দটি নেই, নারী আছে, আমরা একটা প্রস্তাব করে ফেলেছি আমাদের মন্ত্রণালয়ের নাম নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় করার জন্য।
তিনি বলেন,‘আমাদের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও বৈঠক হয়ে গেছে। প্রথম বৈঠকেও কমিটির জোর সুপারিশ ছিল এটার নাম নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় করা হোক।
পরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক গণমাধ্যককে বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভায় নাম নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেজুলেশনও হয়েছে। আমরা নিয়ম অনুযায়ী এখন একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর সারসংক্ষেপ করে নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে লাইসেন্স এবং ট্যাক্সের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পুলিশ, ছাত্র, জনতা ও রমনা মডেল থানার নাগরিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা বর্তমানে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্যাডেলচালিত রিকশার সাইজ ছোট হলেও অটোরিকশার সাইজ বড় এবং এর দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রাজধানীর সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, অটোরিকশার ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৮০-৯০ হাজার টাকায় অটোরিকশা কিনে প্রতিদিন লাভ করা হচ্ছে। তিনি সরকারের কাছে অটোরিকশার সংখ্যা সীমিত করার জন্য সুপারিশ করেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, অটোরিকশাগুলোর লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনা জরুরি। জনগণের টাকার রাস্তা ব্যবহার করবেন অথচ ট্যাক্স দেবেন না? এটা বিশ্বের কোথাও নেই। তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যাও সীমিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ঢাকার সড়ক পরিকল্পনার অভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, যত্রতত্র রাস্তা তৈরি ও বড় বিল্ডিং নির্মাণের কারণে সড়কে গাড়ি চলাচলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রবেশেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলের সভা-সমাবেশের প্রভাব নিয়েও কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, যখন রাস্তা এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে, তখন তার প্রভাব সাত-আট ঘণ্টা স্থায়ী হয়। তাই তিনি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সভা-সমাবেশ রাস্তার পরিবর্তে বদ্ধ জায়গায় আয়োজন করার পরামর্শ দেন।
এছাড়া, ঢাকার সড়কগুলোর অবৈধ নির্মাণসামগ্রী রাখা নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিশনার। তিনি সড়কে ইট-বালু রাখার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করে বলেন, ডিএমপির আইনে এই ধরনের কাজে মামলা করার ব্যবস্থা রয়েছে, তবে আমি চাই না সেখানে যেতে।
মতবিনিময় সভায় রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী এবং ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
বাংলাদেশে বিভিন্ন গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।
কমিশন জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মধ্যে এ বিষয়ে একটি জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে কিছু বন্দি এখনো ভারতের জেলে থাকতে পারে।
কমিশন জানায়, ‘আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি, যেন তারা ভারতে এখনো বন্দি অবস্থায় থাকতে পরে এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করে। বাংলাদেশের সীমানার বাইরে এই বিষয়টি তদন্ত করা কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত কাজ।’
প্রতিবেদনে উল্লিখিত দুটি বহুল আলোচিত গুমের ঘটনা এই কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হয়েছিল, তা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সরবরাহ করে।
ঘটনা দুটির একটি হলো, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে উপস্থিত হওয়া সুখরঞ্জন বালির ঘটনা।
অপরটি হলো বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা।
এসব ঘটনার পাশাপাশি হুম্মাম কাদের চৌধুরী জানান, ‘তার কারাগারের বাইরে হিন্দি ভাষায় কথা বলতে শোনা যেত, যেখানে বলা হচ্ছিল, ওকে কখন ধরা হয়েছে? কোনো তথ্য দিয়েছে কি? এখনো কি জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? ইত্যাদি।’
কমিশন জানায়, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত বন্দি বিনিময় ব্যবস্থার কিছু কার্যপ্রণালীকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে। ২০১৫ সালে উত্তরায় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আটক হওয়ার পর তিনি জানান, তাকে একটি পরিত্যক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল, যেখানে মেঝেতে একটি গর্ত ছিল, যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
সালাহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া কম্বলটিতে ‘টিএফআই’ অক্ষরগুলো লেখা ছিল, যা ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে।
তারা জানায়, ওই সময় একমাত্র সক্রিয় টিএফআই কেন্দ্রটি ছিল র্যাব গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে, যা র্যাব সদর দপ্তরের অধীনে পরিচালিত। এটি ঢাকার উত্তরায় র্যাব-১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের একটি প্রাচীর ঘেরা স্থাপনার ভেতরে ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন অবৈধ: আজাদ খান
ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন নেওয়া শুধু অনৈতিক নয়, অবৈধ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, আমি নিজে একজন ডাক্তার। ডাক্তারদের কমিশন নেওয়া খালি অনৈতিক না বরং অবৈধও। এটা কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ থাকবে। কাজেই আমাদের রিপোর্টে ওরকম পিনপয়েন্ট না থাকলেও বিষয়টি থাকবে।’
সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, আমরা অংশীজনদের থেকে জানতে চেয়েছি সাধারণ মানুষের বিশেষ করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে ফেলে কিংবা প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কি কি ধরনের সমস্যা আছে মানুষের চিকিৎসার পেছনে অতিরিক্ত ব্যয় কীভাবে কমানো যায় সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজেদের দক্ষ চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে কিন্তু আমাদের আরেকটু সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এবং রোগীকে চিকিৎসার বিষয়ে কিংবা ফলোআপের বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারলে বাইরে রোগী যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করবো।
সভায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার চেয়েছেন অংশীজনেরা। একইসাথে মানহীন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চিকিৎসাখাতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নানা সংকট নিয়ে আলোচনা উঠে আসে।
এ ছাড়া সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন খ্যাতনামা চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি মেডিকেলসংশ্লিষ্ট কর্মী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাদের পেশাগত জীবনের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা পেশ করেন। তুলে ধরেন নানা বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার চিত্র। তবে সভায় ছিলেন না রোগীদের কোনো প্রতিনিধি। এনিয়েও ক্ষোভ জানান বক্তারা।
বক্তারা দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করতে হলে বাজেটে চিকিৎসাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ মেডিকেল এডুকেশনের ওপর জোর দেয়ার তাগিদ দেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, অধ্যাপক ডা. আজহারুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, উমাইর আফিফ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিদেশে পলাতক ১৯ নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিদেশের বন্দরে অবস্থানের সময় জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৯ বাংলাদেশি নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নৌ আদালত। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ জন নাবিকের নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। এসব নাবিক ১৩টি জাহাজ থেকে পালিয়ে যান। জাহাজগুলো বিদেশের বিভিন্ন বন্দরে অবস্থানকালে তারা বন্দর ত্যাগ করে আর জাহাজে ফেরেননি।
যে নাবিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন— মো. সোহানুর রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, আবু সুফিয়ান, মোস্তফা কামাল, ইসকান্দার মিজি, মো. সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান, মো. আব্দুল কুদ্দুস, আমিনুল ইসলাম, ওপি হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ শেখ আলম, মো. মেহেদী হাসান, মো. আল আমিন, মো. ইমাম হোসেন, এনামুল হক, মো. ইমরুল হোসেন এবং মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
এদের মধ্যে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের পাঁচজন করে এবং ফেনীর দুজন রয়েছেন। এ ছাড়া সাতটি জেলার সাতজন নাবিক রয়েছেন। এ নাবিকেরা গত তিন বছরে বিদেশে পালিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এতে ৮৫৮ জন নিহত এবং ১১ হাজার ৫৫১ জন আহতের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সেলের দলনেতা অতিরিক্ত সচিব খন্দকার জহিরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে শহীদ বা আহত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ৬৪ জেলায় গঠিত জেলা কমিটি এবং গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শহীদ এবং আহত ব্যক্তিদের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট (musc.portal.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রথম ধাপের উল্লিখিত খসড়া তালিকা দুটি আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রকাশিত খসড়া তালিকা দুটিতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই অথবা সংশোধন বা চূড়ান্ত করতে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য অথবা ওয়ারিশ অথবা প্রতিনিধিদেরকে মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। এতদ্ব্যতীত প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারও কোনও মতামত অথবা পরামর্শ থাকলে অথবা সংযোজন বা বিয়োজন করার মতো যুক্তিসঙ্গত কোনও তথ্য থাকলে তা আগামী ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ইমেইলে (muspecialcell36@gmail.com) অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
কাফি