জাতীয়
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের এ ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে একটি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন। দিনটি উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পরাধীন থাকা যাবে না। বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক মুক্তি দিতে হবে। এ চিন্তা থেকেই তিনি ধাপে ধাপে এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার চেতনায়। প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। তারই একটি অংশ হচ্ছে ৭ মার্চ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে ৬৯ সালের অক্টোবর মাসে আমার বাবা লন্ডনে গিয়েছিলেন। লন্ডনে থাকার সময় ওইখানে টরকি নামক একটি জায়গা সমুদ্র সৈকত আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সেখানে চলে যান কিছু আলোচনা করার জন্য। ফেরার পথে সেখানে কিছু মডেল ভিলেজ, সেই মডেল ভিলেজগুলো দেখেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি এ বাড়িঘর কেন দেখেন। আমাকে বলেছিলেন বুঝলি না আমাদের দেশ একদিন স্বাধীন হবে, আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামকে এভাবে সুন্দরভাবে সাজাবো। স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল। তিনি সেটা তখনও বলেননি তিনি কাজ করে গেছেন জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট পরিবেশ ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষণে কি বলতে হবে অনেকেই অনেক কথা বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিতে লাগলেন। কিন্তু আমার মা তখন আমার বাবাকে বলেছিলেন অনেকে অনেক কিছু বলবে, তোমার কারো কথা শোনার দরকার নেই। এদেশের মানুষের জন্য তুমি সারাজীবন সংগ্রাম করেছ, তুমি জানো কি বলতে হবে। তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি শুধু সেই কথাই বলবে, আর কোনো কথা না। তখনকার পরিস্থিতিটা ছিল যে খবর এসেছিল আমাদের কাছে যে পাকিস্তানি মিলিটারি তখন হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে তৈরি। এদিকে লাখো জনতা চলে এসেছে ছুটে কি নির্দেশনা দেবেন নেতা। মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তাদের আকাঙ্ক্ষার বাণী শোনানো আবার শত্রুর পক্ষকে বিরত রাখা। ৭ মার্চের ভাষণে কিন্তু সেটাই স্পষ্ট ছিল। তিনি কিন্তু সব কথা বলেছিলেন গেরিলা যুদ্ধের দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন পাশাপাশি সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে বলেছিলেন সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি সেনারা তখন সেখানে কর্মরত ছিল তারা অনেক বই লিখেছে। তারা লিখেছে, উনি যে কি বলে গেলেন, আমরা স্তব্ধ হয়ে থাকলাম আমরা কোনো অ্যাকশনে নিতে পারলাম না। ৭ মার্চের ভাষণের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং বিজয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন বন্দি করে রাখা হয় তখন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হয়। ওই মামলা চলাকালে আমাদের এখান থেকে অনেক সাংবাদিক, অনেককেই নিয়ে যায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য। আমাদের একজন সাংবাদিক ছিলেন নাজমুল হক, বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন উনাকেও সাক্ষী দিতে নিয়ে যায়। আমার স্বামী অ্যাটমিক এনার্জিতে কর্মরত ছিলেন ওই সময় নাজমুল হকের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে এবং সে বলল ৭ মার্চের ভাষণের শেখ মুজিব কি কথা বলেছিল, সেটার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। এ ভাষণের ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতেই তাদের সময় গেছে। স্বাধীনতার পর তিনি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ। এমনকি ইতিহাস লিখতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম আসবে। একটা পেয়ে অনেক ছবি, আমার এখনো মনে আছে তার মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি সেটাকে কাগজ দিয়ে ঢেকে আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দেখানো হচ্ছে টেলিভিশনে। কিন্তু ওই ছবিটা দেখানো যাবে না, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না সেটাই আজ প্রমাণ হয়েছে ৭ মার্চের ভাষণ আজ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান। ৭ মার্চের এ ভাষণ শুধু বাঙালি বা আমাদের না এটা ইতিহাসে জেনে তারা ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা চেতনায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে সে ভাষণগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবেই আজ স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো এ দিনে সে প্রতিজ্ঞা আমরা নিচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী
পবিত্র হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত (২০ মে রাত ২টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ জন হজযাত্রী। মোট ৭৭টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৭ হাজার ৬৩ জন। এখন পর্যন্ত ৮২ হাজার ৫৬৫টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৭৭টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩২টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত মধ্যরাত পর্যন্ত ৮২ হাজার ৫৬৫ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হেয়েছে। সর্বশেষ শনিবার (১৮ মে) মো. মোস্তফা নামের ৮৯ বছর বয়সী একজন হজযাত্রী মক্কায় মারা যান। এর আগে চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান। তিনি মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।
সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ৯ মে। শেষ হজ ফ্লাইট ১০ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি সমিতির নতুন সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নতুন সভাপতি হচ্ছেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। আর সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মো. আইনুল ইসলাম।
ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত অর্থনীতি সমিতির দুই দিনব্যাপী ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষ দিনে শনিবার সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহক কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এতে ৩ হাজার ৮৮৩ ভোটারের মধ্যে ৮৮৭ জন ভোট দিয়েছেন।
অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটি ২৯ সদস্যের। তবে বিদায়ী সভাপতি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন পর্ষদে সদস্য হিসেবে থাকেন। সেই হিসাবে বর্তমান সভাপতি আবুল বারকাত নতুন পর্ষদে থাকবেন। বাকি ২৮ পদে নির্বাচন হয়েছে।
নির্বাচনে কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও মো. আইনুল ইসলামের প্যানেলের ২৮ জনের জন্যের মধ্যে ২৭ জনই জয়ী হয়েছেন। তার বাইরে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে মো. মুজাফফর আহমেদ ও সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল প্যানেলের কেউ জয়ী হতে পারেননি।
জানা যায়, নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মুজাফফর আহমেদ পেয়েছেন ১৬২ ভোট। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আইনুল ইসলাম ৬২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর বিপরীতে সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল পেয়েছেন ১৬৭ ভোট।
নির্বাচনে সহসভাপতি পদে জামাল উদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম সালেহ্, মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ পদে বদরুল মুনির, যুগ্ম সম্পাদক পদে শেখ আলী আহমেদ টুটুল ও মোহাম্মদ আকবর কবীর, সহ-সম্পাদক পদে নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ ও সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়া সদস্য পদে হান্নানা বেগম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, শাহানারা বেগম, নাজমুল ইসলাম, শাহেদ আহমেদ, মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, মো. মোরশেদ হোসেন, মো. আখতারুজ্জামান খান ও খোরশেদুল আলম কাদেরী বিজয়ী হয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সফরে তিনি দেশটির হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে দ্য ল্যান্ড ফোর্সেস প্যাসিফিক (ল্যানপ্যাক) কনফারেন্সে যোগ দেন। দেশটির সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে সোমবার (১৩ মে) সরকারি সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র যান।
রবিবার (১৯ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ল্যানপ্যাক কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সেনাপ্রধান ও ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মহাকাশ হুমকি মোকাবিলা, স্থল বাহিনীকে ভবিষ্যৎ অপারেশনের জন্য প্রস্তুতকরণ, সংঘাতপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলা, যৌথ প্রশিক্ষণ এবং স্থল বাহিনীর আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এলএএনপিএসি সিম্পোজিয়াম এবং এক্সপোজিশন-২০২৪ এ যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সেনাবাহিনী প্রধান ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি, পেশাদার সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্ধারিত স্থানের এক ইঞ্চি বাইরেও গরু রাখা যাবে না: ডিএমপি কমিশনার
নির্ধারিত স্থানের এক ইঞ্চি বাইরেও গরু রাখা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ঢাকার মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদে গরুর হাট নিয়ে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি রাখতে হবে। নির্ধারিত জায়গার বাইরে রাস্তার পাশে যেন গরু না বসে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
রবিবার (১৯ মে) রাজারবাগে পুলিশ অডিটরিয়ামে এপ্রিল মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্ধারিত জায়গার বাইরে রাস্তার পাশে যেন গরু না বসে। এ বিষয়ে আয়োজকদের সঙ্গে বসতে হবে, তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে হবে যে নির্ধারিত জায়গার এক ইঞ্চি বাইরেও যেন গরু না আসে।
কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে হাটের জন্য নির্ধারিত এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে। নিরাপত্তার জন্য গরুর হাটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই প্রতিরোধেও যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থাকতে হবে।
দিনব্যাপী মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ; যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনাররা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আগামীকাল (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আজ রবিবার (১৯ মে) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’।
সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সকল ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে সরকার গতানুগতিক পদ্ধতির ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদ- আইন, ২০১৮’ ও ‘পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সঠিক পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প, কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি সহজতর হচ্ছে; যা দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে।
পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্খিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইকে আরো দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ ও পরিমাপ বিজ্ঞানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে সঠিক পরিমাপ ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিমিতি জ্ঞান ও পরিমাপ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় দেশকে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন।
বাণীতে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।