অর্থনীতি
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে নয়াদিল্লি।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ডিজিএফটি। দেশটির আমদানি ও রপ্তানি সংশ্লিষ্ট নিয়ম-নীতি নিয়ে কাজ করে থাকে সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই অনুমতি দিয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় নয়াদিল্লি।
বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পলিথিন নিষিদ্ধ, ফিরবে পাটের সুদিন
বাজারে পলিথিনের আগমনের পর থেকে কদর কমতে থাকে সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের। তবে একটা সময় দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম ছিল দেশের পাটজাত পণ্যের। রংপুর অঞ্চলের উৎপাদিত পাট দিয়ে তৈরি হতো কাপড়, শতরঞ্জি, পাপোশ, ব্যাগ, বস্তা, বিভিন্ন জিনিসপত্র। বিশেষ করে নারীদের সূক্ষ্ম হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করা জিনিসগুলো নজর কাড়ত যে কারো। একটা সময় দেশব্যাপী সাড়া পাওয়ায় পাটের ব্যাপক চাহিদায় ভাগ্য বদলায় এই অঞ্চলের কৃষকদের।
তবে বাজারে পলিথিনের আগমনে তখন থেকেই পাটের জগতে নেমে আসে অন্ধকার। এতে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কমতে থাকে চাষ ও পাট চাষির সংখ্যা। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে আবারো ফিরতে পারে সোনালি আঁশের সুদিন, এমনটি মনে করছেন পাট চাষিরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর নগরীর টার্মিনাল থেকে মডার্ন মোড় এলাকায় রাস্তার পাশেই দেখা মেলে কয়েকটি পাটের গোডাউনের। পাট ট্রাকে তুলতে ব্যস্ত শ্রমিকরা। পাটের চাহিদা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
পলিথিনমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা চাষিদের মধ্যে নতুন স্বপ্ন জাগিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আবারও সুদিন ফেরাতে খুশি রংপুরের পাট চাষিরা। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমলে পাট পণ্যের ব্যাপক চাহিদা বাড়বে। এতে করে অতীতের ন্যায় আবারও ন্যায্য মূল্য পাবেন কৃষকরা। পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কঠোরতায় বিভিন্ন উদ্যোক্তা ও শহরের ছোট-বড় দোকানগুলোতে নজর কাড়ছে কাপড় কিংবা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
আবহাওয়া অনুযায়ী পাট চাষের জন্য রংপুর অঞ্চলের মাটি, জমির ধরন বেশ উপযোগী। এই অঞ্চলের মাটিতে ও কৃষকদের পরিশ্রমে পাটের বাম্পার ফলন সম্ভব। আবারও উৎপাদন বাড়ালে দেশ-বিদেশে পাটের চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে কৃষকরা প্রতি মণ পাট ২ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করতে পেরেছিলেন। বর্তমানে পাটের বাজার ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত। তবে অনেকেই আরও বেশি দামের আশায় পাট মজুদ করেছেন। পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের পাশাপাশি পাট চাষে আগ্রহ ও ন্যায্য দাম পেলেই পাট শিল্পকে ধরে রাখতে এবং কৃষকদের সুদিন ফেরানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পের অধীনেই দুই মাস পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন। গত ২০ অক্টোবর এমন সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। এর উৎপাদন প্রযুক্তি-কৌশল ও উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চায় সংস্থাটি। এতে বাণিজ্যিকভাবে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সোনালি আঁশ।
রংপুর নগরীর দখিগঞ্জে এলাকার পাটচাষি তৈয়ব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, জন্মের পর হাতে দ্যাকোছি পাটের আবাদ সুবাদ করে বাপ- দাদায়। পাছে পাছে হামরায় হাল ধরি ক্ষ্যাতোত। পাট আবাদ করি দাম পাই না। সউগ কষ্ট হামার ব্যাফলে যায়। এইতন করি ধরি আছি পাট আবাদ। এল্যা যদি আগের নাকান আবার দাম পাওয়া যায়, পাটের চাহিদা থাকে বাজারোত তাইলেতো কষ্ট কমবে। অনেক কৃষক আবাদ ছাড়ছে দাম পায় না জইনতে। কোনো সুযোগ সুবিধা নাই, কৃষকের মরণ দশা! দাম পাইলে আবার ঘাস আবাদ বাদ দিয়া পাট আবাদ করমো।
সোনালি আঁশে সুদিনের আশায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কৃষক জিল্লুর রহমান বলেন, পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত প্রণোদনা দিতে হবে। পলিথিনমুক্ত দেশ গড়তে পাট চাষ বাড়াতে হবে। সেই সাথে বন্ধ পাটকলগুলোও চালু করতে হবে। এগুলো করা গেলে সোনালি আঁশের সুদিন ফিরবে। কৃষক লাভবান হলে ফের পাট চাষ শুরু করবে সবাই।
এবিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কর্মকর্তা বলেন, চলতি মৌসুমে রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৫টি জেলায় প্রায় ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪ বেল পাট। জেলাগুলো হলো রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট। রংপুর পাটের চাষের জন্য উপযোগী অঞ্চল। চাহিদার সাথে উৎপাদন বাড়লে পাটের সুদিন ফেরা সম্ভব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমলো
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ডিজেলের লিটার ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা এবং কেরোসিনের লিটার ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে প্রতি লিটার অকটেন ১২৫ টাকা এবং পেট্রোল ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যে প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে নভেম্বর মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিতে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সার্কফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন হলেন ড. আহসান এইচ মনসুর
সার্কফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
গত ২৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৬তম সার্কফাইন্যান্স গভর্নরস গ্রুপ মিটিং থেকে আগামী এক বছরের (নভেম্বর ২০২৪-অক্টোবর ২০২৫) জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সার্কফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের পূর্ববর্তী চেয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে সার্কফাইন্যান্সের চেয়ার কান্ট্রি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স এন্ড পাবলিকেশন্সের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক (এক্স ক্যাডার-প্রকাশনা) সাঈদা খানমের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুনে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ৪৫তম সার্কফাইন্যান্স গভর্নরস্ গ্রুপ মিটিং-এ সার্কভুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের অনুরোধে সার্কফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের চেয়ার কান্ট্রি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ সম্মতি জানিয়েছিল।
উল্লেখ্য, সার্কফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের টার্মস অব রেফারেন্স অনুযায়ী প্রতিবছর সার্কভুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকসমূহের গভর্নর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ সচিবদের অংশগ্রহণে দু’টি গভর্নরস্ গ্রুপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়; তন্মধ্যে ১ম সভাটি সাধারণত সার্কফাইন্যান্স চেয়ার কান্ট্রিতে এবং অন্য সভাটি ইএমএফ- ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের অক্টোবর/নভেম্বর মিটিং-এর সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্র-সরকার প্রধানদের অংশগ্রহণে ১০ম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সার্কভুক্ত আটটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ সচিবদের সমন্বয়ে ১৯৯৮ সালে সার্কফাইন্যান্স নেটওয়ার্ক গঠিত হয়। সামষ্টিক অর্থনীতির খাতসমূহের বিষয়ে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে সার্কভুক্ত দেশসমূহের অভিজ্ঞতা ও মতামত আদান প্রদান করাই এই নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাড়ছে রিজার্ভ, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের কনফিডেন্স বাড়ছে। পাশাপাশি আমাদের রিজার্ভ বাড়ছে এবং দেশের অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তিনমাসের মধ্যে সবকিছু করা সম্ভব না। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আজ হোক, কাল হোক, রাষ্ট্রক্ষমতায় রাজনৈতিক সরকার আসবে। আমরা যতটুকু সময় আছি দেশের জন্য কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, খাদ্য, জ্বালানি, সার ও কীটনাশক খাতকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এসব খাতের প্রাইভেট সেক্টরের জন্য সরকারের সহযোগিতা থাকবে। আমরা প্রাইভেট সেক্টরকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি।
ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের দেশীয় শিল্পের বিকাশে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তারা প্রাইভেট সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু, ওষুধ, চামড়া, গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য আমদানিতে ডিউটি ট্যাক্স কমানোসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির, এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও প্রাণ গ্রুপের পরিচালক উজমা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য মেলার স্টল বরাদ্দ এবার অনলাইনে
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী অনুষ্ঠেয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) বিভিন্ন ধরনের স্টল, প্যাভিলিয়ন ও রেস্তোরাঁ বরাদ্দ এবার অনলাইনে হবে। মেলা আয়োজক সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ বিষয়ে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে।
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণে আগ্রহী স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্পেস বরাদ্দের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। গতকাল বুধবার ইপিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে।
আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেলার স্পেস বরাদ্দ গ্রহণের জন্য উদ্ধৃত দর, মূল্য, মাশুল ইত্যাদি সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জমা করতে হবে।
এ উপলক্ষে ইপিবি ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মধ্যে গতকাল বুধবার চুক্তি হয়েছে। ইপিবির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংস্থাটির সচিব বিবেক সরকার, যিনি ডিআইটিএফেরও পরিচালক। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভাষ চন্দ্র দাশ উপস্থিত ছিলেন।
ইপিবি বলেছে, সফটওয়্যারটি চালু হওয়ার ফলে মেলায় অংশগ্রহণপ্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ওয়েব লিংক: ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অসুবিধা দেখা দিলে হেল্পলাইনে (01966249225, 01686177828, 01711378181) ফোন করে সাহায্য নেওয়া যাবে।
পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ২৯তম ডিআইটিএফ। দেশি-বিদেশি উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩৫০টি বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে। দেশীয় পণ্যের প্রচার–প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা দেওয়াসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ১৯৯৫ সাল থেকে ডিআইটিএফ আয়োজন করে আসছে ইপিবি।
এমআই