কর্পোরেট সংবাদ
গাইবান্ধার চরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের মাঝে ঋণ দিলো এনআরবিসি ব্যাংক
চর ও হাওড়াঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে আর্থিক সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে বিনাজামানতে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ১০ টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খুলে বিনাখরচে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।
শনিবার (২ মার্চ) গাইবান্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার হাতে প্রকাশ্যে ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়। ঋণ বিতরণের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) আবুল বশর, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, মাইক্রো ফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান মো. রমজান আলী ভূঁইয়া, কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের চেয়ারম্যান মার্ক নসবাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঋণগ্রহীতার হলেন শ্রীমতি মনিকা রাণী, মিনা বেগম, ফানসী বেগম, ফাতেমা বেগম, লাভলী, সুমী, মোসলেমা বেগম, চম্পা বেগম, শাকিলা আক্তার, মাসুদা বেগম, আসমা বেগম, রোশনা বেগম, জহুরা বেগম, জান্নাতুন বেগম, মুক্তা বেগম, রোসনা খাতুন প্রমুখ। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর বলেন, জাতীয় নীতি-কৌশল অনুসারে ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের সকল মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনতে হবে। সেই লক্ষে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য কোন জটিলতা ছাড়াই ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রায় ১ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ, বিনা জামানতে ঋণ প্রদানে এনআরবিসি ব্যাংকের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এনআরবিসি ব্যাংক প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন ও গ্রামমুখী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। গ্রামের উন্নয়নে, নারীদের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল রয়েছে। এসব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের জন্য সকল ব্যাংকের সুযোগ রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদেরকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকান্ডের আওতায় আনতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, এনআরবিসি ব্যাংক গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খুলে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিনাজামানতে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশের ৮৮ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ঋণ প্রদান করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। এনআরবিসি ব্যাংক প্রতিনিয়ত মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে সেবাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসছে।
কেয়ার বাংলাদেশের মার্ক নসবাক বলেন, গ্রামের উন্নয়ন করতে হলে নারীদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর্থিক সংযোগ ও আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ হতে হলে ব্যাংকগুলোকে আরও গ্রামমুখী হওয়া প্রয়োজন। এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকান্ড গ্রামের মানুষদের সঞ্চয় করা এবং আয় বৃদ্ধিমূলক কাজে সহযোগিতা করছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মকান্ডের আওতায় এনআরবিসি ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত হাওড় ও চরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের মানুষদেরকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাচ্ছেন এসব অঞ্চলের হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা। বিনা খরচে এসব অ্যাকাউন্টে অর্থ সঞ্চয় ও ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৩০০ মানুষ ব্যাংকে ৩৯ কোটি টাকা সঞ্চয় করেছেন এবং ১০৫ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সাড়ে ৫২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের নিয়ে গাইবান্ধায় দিনব্যাপী উদযাপন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে এনআরবিসি ব্যাংকসহ ৪টি ব্যাংক স্টল স্থাপন করে এবং গ্রাহকদের মাঝে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এসবিএসি ব্যাংকে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ শীর্ষক কর্মশালা
এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অতিথি আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অতিরিক্ত পরিচালক সৈয়দ গোলাম শাহাজারুল আলম এবং উপপরিচালক মেহেদী হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল এ.কে.এম ফজলুর রহমান।
ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন ভুঁইয়া কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন। ব্যাংকের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, এফসিএ, এএমএল ও সিএফটি ডিভিশনের প্রধান মো. মজিবুর রহমানসহ আলোচক হিসেবে উক্ত ডিভিশনের কর্মকর্তারাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের কম্পিউটার ও শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি প্রতিষ্ঠানটির ‘প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর পাশে আইএফআইসি’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে, খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল এবং কেসিসি উইমেন্স কলেজে দুটি কম্পিউটার ও শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট এই উপকরণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সচিব শরীফ আসিফ রহমান। এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএফআইসি ব্যাংকের হেড অব সেন্ট্রালাইজড রিটেইল মার্কেটিং ফারিহা হায়দার, নারীর ক্ষমতায়নে ও প্রযুক্তিতে মেয়েদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে আইএফআইসি ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ অব ব্রাঞ্চ বিজনেস মো. রফিকুল ইসলাম নারীদের শিক্ষা এবং ডিজিটাল ক্ষমতায়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির পুর্নব্যক্ত করেছেন।
এ সময় খুলনা কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ও কেসিসি উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রোজিনা আক্তার তার বক্তব্যে এই অভিনব উদ্যোগের জন্য আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নারী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে এবং ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইএফআইসি ব্যাংক জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আসছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জোন এবং খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখার ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক ট্রেইনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। গেস্ট অব অনার ছিলেন ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনপ্রধান মিয়া মোহা. বরকত উল্লাহ। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জোনপ্রধান এম. জুবায়ের আজম হেলালী, আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখাপ্রধান আবদুল নাসের ও খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখাপ্রধান মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন।
এসময় চট্টগ্রাাম উত্তর জোন ও চট্টগ্রাাম দক্ষিণ জোনের অধীন বিভিন্ন শাখাপ্রধান এবং কর্পোরেট শাখাসমূহের প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি: ডিএমপি
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অপপ্রচার থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৬ নভেম্বর ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদার ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে গত ১৮ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতে তার পরিবার ও কলেজের কিছু শিক্ষার্থী ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। ২০ নভেম্বর পুনরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ৫০০/৬০০ শিক্ষার্থী ওই হাসপাতালে এসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় প্রতিবাদকারীদের চাপে হাসপাতালের পরিচালক ৪ জন ডাক্তার ও ২ জন শিক্ষার্থীসহ অভিজিতের চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু ওই সময় হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানরত ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে আসে। এ সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা সমঝোতা না মানায় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের দুই ছাত্র আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও জানান, গতকাল ২৪ নভেম্বর আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পুনরায় ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (২৫ নভেম্বর) শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার শিক্ষার্থী জমায়েত হয়ে আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। আগে থেকে পুলিশ ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে অবস্থান করে। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা প্রতিহত করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়। পরে যাত্রাবাড়ী মোড়ে পুলিশ পুনরায় বাধা প্রদান করলেও তারা বাধা অতিক্রম করে ওই কলেজে পৌঁছে ব্যাপক ভাঙচুর-লুটপাট চালায়।
ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, ৩৫টি বিভিন্ন কলেজ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ইউনাইটেড কলেজ অব বাংলাদেশ (ইউসিবি) নামে একটি ফোরাম গঠিত হয়। অপরপক্ষে রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ ও সরকারি কবি নজরুল কলেজ মিলে সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি জোট রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ৩৫ কলেজের ফোরাম ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরস্পরের প্রতি ঘৃণার মনোভাব সৃষ্টি হয়।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আজ সকাল ৭টা থেকে সূত্রাপুর ও ডেমরা এলাকায় পর্যাপ্ত জনবল মোতায়েন করা হয়। মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ও মারমুখী শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে অগ্রসর হয়ে ওই কলেজে হামলা চালায়। পুলিশ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তা সত্ত্বেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হামলা ও লুটতরাজে জড়িয়ে পড়ে।
ডিএমপির মুখপাত্র আরও বলেন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের জেরে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন মর্মে অনেকেই অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা মোটেই সঠিক নয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এরূপ অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নজরুল, সোহরাওয়ার্দী ও মোল্লা কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।