কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে ভিসা কার্ড দিয়েও পেমেন্ট করা যাবে সরাসরি
এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে ভিসা কার্ড দিয়েও পেমেন্ট করা যাবে সরাসরি। ফলে, বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও, ভিসা কার্ড থেকে সরাসরি বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে কেনাকাটার সুযোগ তৈরি হলো। তাই গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপে সংযুক্ত ভিসা কার্ড থেকে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ মার্চেন্ট শপে ইনস্ট্যান্ট বিকাশ পেমেন্ট করার সুবিধা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল পেমেন্টকে আরো সহজলভ্য, ঝামেলাহীন ও নিরাপদ করতে এই সুবিধা যুক্ত হলো বিকাশ অ্যাপে। এভাবেই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নততর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীকে তাদের দৈনন্দিন লেনদেনে আরো সক্ষমতা ও স্বাধীনতা আনার সুযোগ পেলো।। পাশাপাশি, দেশের জন্য স্মার্ট অর্থনীতি বাস্তবায়ন করারলক্ষ্যে ক্যাশবিহীন ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করার প্রয়াস পেল এই সেবা।
অনেক দোকানে বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাছে কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্ট নেয়ার পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন না থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক গ্রাহক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করতে পারেন না। তবে এই ধরণের ছোট দোকান থেকে শুরু করে সুপারশপ, রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিকাশ-এর কিউআর, যার মাধ্যমে নিরাপদে ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারছেন বিকাশ ৭ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক। এই গ্রাহকরা এখন আরো সহজে তাদের ভিসা ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড বিকাশ অ্যাপে সংযুক্ত করে ডিজিটাল লেনদেনের অভিজ্ঞতাকে করে তুলতে পারেন আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। একই সঙ্গে ছোটো মার্চেন্টরাও ব্যয়সাপেক্ষ পিওএস মেশিন না বসিয়ে বিকাশের কিউআর-এর মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারেন ভিসা কার্ডের পেমেন্ট।
এমনই এক মুদি দোকানী ঢাকার পশ্চিম রামপুরা এলাকার আব্দুল মান্নান। তার দোকানে কার্ড পেমেন্টের সুযোগ না থাকলেও আছে বিকাশ-এর কিউআর। তিনি বলেন, কেনাকাটা শেষে অনেকেই কার্ডে পেমেন্ট দিতে চান, কিন্তু মেশিন (পিওএস) না থাকায় নিতে পারি না। তবে এখন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে কার্ড পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকায় এই কাস্টমারদের বলতে পারবো যে চাইলে তারা বিকাশের মাধ্যমেও কার্ড পেমেন্ট করতে পারেন।
ভিসা কার্ড দিয়ে সরাসরি বিকাশ পেমেন্ট করার প্রক্রিয়া
বিকাশ অ্যাপে লগইন করে পেমেন্ট অপশনে গিয়ে মার্চেন্ট নাম্বার টাইপ করে অথবা কিউআর স্ক্যান করে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। এরপর বিকাশ অ্যাপে সেভ করা ভিসা কার্ড বাছাই করে ব্যাংক থেকে এসএমএস অথবা ই-মেইলে আসা ওটিপি দিয়ে পেমেন্ট করতে হবে। যদি গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে একাধিক কার্ড সেভ করা থাকে, তবে গ্রাহক একটি কার্ডকে ডিফল্ট হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। বিকাশ-এ অ্যাড মানি অথবা পেমেন্ট করার সময় এই কার্ডটি সবসময় সামনে দেখা যাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রাহক ডিফল্ট কার্ড পরিবর্তনও করতে পারবেন।
আর বিকাশ অ্যাপে যদি কার্ড সেভ করা না থাকে তবে পেমেন্টের সময় ভিসা কার্ড বাছাই করে কার্ড নাম্বার, কার্ডের মেয়াদ, কার্ড-হোল্ডারের নাম এবং কার্ডের পেছনে থাকা সিভিভি/সিভিসি/সিভিএন নাম্বার দিয়ে পরের ধাপে যেতে হবে। এরপর, ব্যাংক থেকে এসএমএস অথবা ই-মেইলে আসা ওটিপি দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করা যাবে। পরবর্তীতে মাত্র কয়েক ট্যাপে পেমেন্ট করার জন্য “ভবিষ্যত লেনদেনের জন্য কার্ডের তথ্য সেভ করুন” বাটনটি ট্যাপ করে কার্ডটি সেভ করা যাবে।
বাংলাদেশের যেকোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ভিসা ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে। বর্তমানে বিকাশের নেটওয়ার্কে যুক্ত রয়েছে ৪৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই ওয়েব ঠিকানায় — https://www.bkash.com/products-services/payment/payment-through-visa-card.
আর বিকাশ অ্যাপে ভিসা কার্ড থেকে সরাসরি পেমেন্টের অপশনটি দেখা না গেলে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে গুগল প্লে অথবা আইফোনের ক্ষেত্রে অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি আপডেট করে নিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাবের মতবিনিময় সভা
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সদস্যবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ্জ) মোঃ মতিউল ইসলাম ও যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক, ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস। এ সময় ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান।
হজ্জ সংক্রান্ত ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা নিয়ে বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। এজেন্সী স্বত্বাধিকারীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন আল কুতুব ট্রাভেলস-এর কুতুব উদ্দিন, আবাবিল হজ্জ গ্রুপের আলহাজ মোঃ আবু ইউসুফ, ইউরো এয়ার-এর মোঃ মাহমুদুর রহমান এবং চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস-এর সৈয়দ গোলাম সরওয়ার। সভায় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোঃ জামাল উদ্দিন মজুমদারসহ ব্যাংকের ঊধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ ও হাব-এর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল বিকাশ
শক্তিশালী ডিজিটাল অর্থনীতি বিনির্মাণে ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে টানা ৪র্থ বারের মতো ‘এক্সিলেন্স ইন মাস্টারকার্ড ডিজিটাল বিজনেস ২০২৩-২৪’ অ্যাওয়ার্ড পেলো দেশের বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এবার ‘লিডিং বাই রেজিলিয়েন্স’ শিরোনামে আয়োজিত মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ সংস্করণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক লেনদেনে অবদানের ভিত্তিতে ১৮টি ক্যাটাগরিতে ২৬টি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বিকাশের চিফ কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নিশাত রহমান। এ সময় মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বিকাশ-এর হেড অফ ব্যাংকিং পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস আদনান কবির রকি এবং হেড অফ বিকাশ সেন্টার শাকের বিন খোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাহকসেবার উন্নয়ন এবং জরুরি আর্থিক সেবা দেশের প্রতিটি প্রান্তে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়মিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন করে আসছে বিকাশ। নিরাপদ ও সময়সাশ্রয়ী এসব ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে গ্রাহকদের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও এনেছে বিকাশ। আর তাই দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল অর্থ লেনদেনের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে বিকাশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটো চালক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগের মতোই আছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে দেশের মানুষকে কষ্টে রেখে উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মায়াকান্নার অভিনয় করতেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজউক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন একটি অফিস আদেশ জারি করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজউকের ৯ম গ্রেডে ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের এবং অবশিষ্ট গ্রেড ১০ থেকে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে চেয়ারম্যান দপ্তরে দাখিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পাঁচ দেশে যাওয়ার নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্কতা
বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দেশ পাঁচটি হলো থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।
সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।
এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।
ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বা পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমআই