রাজধানী
ঢাকাস্থ দশমিনা উপজেলা কল্যাণ সমিতির বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঢাকাস্থ দশমিনা উপজেলা কল্যাণ সমিতি, যুব ফাউন্ডেশন, ছাত্র কল্যাণ সমিতি ও শ্রমিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০১ মার্চ) ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহরের সেক্টর ২৪ এর ৫৯নং ব্রীজ সংলগ্ন ওয়েস্টার্ন চত্ত্বরের পূর্ব পাশে শালবন রিসোর্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমিতির সকল সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। বনভোজনে আসা পরিবারগুলো ছেলে-মেয়ে নিয়ে আনন্দ আড্ডায় মেতে উঠেন। প্রায় দেড় হাজার মানুষদের নিয়ে দিনব্যাপী এ আয়োজনে সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে রাফেল ড্র, খেলাধুলা, গানসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দশমিনা উপজেলা কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ও বনভোজন উদযাপন কমিটির সভাপতি শাহ আলম শানুর সভাপতিত্বে উপজেলা কল্যাণ সমিতির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, উপজেলা যুব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ এবং যুব ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহীন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য (গ্রেড-১ সচিব মর্যাদার) ও আয়োজক সংগঠনগুলোর প্রধান উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রইস সরোয়ার মন্জু, দুর্নিতী দমন কমিশনের পরিচালক ইব্রাহিম কাওসার, দশমিনা উপজেলা কল্যাণ সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুস মিয়া, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর আলম, ডিজিএফ আইয়ের উপ-পরিচাকল নুরুল হক, রাজউক কর্মকর্তা জাকির হোসেন, কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি ট্রাফিক ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন সিফাত, ইবনেসিনা মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ, দশমিনা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়রাম্যান সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাদল মহল্লদার, উপজেলা কল্যান সমিতির সহ-সভাপতি আবুল খায়ের, উপজেলা কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দশমিনা উপজেলা কল্যান সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল মাহমুদ, উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি মহিবুল্লাহ জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা কল্যান সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বনভোজন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি রাহাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী শুভ, উপজেলা শ্রমিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ ঢাকায় বসবাসরত দশমিনার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে শনিবার
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের মার্কেটে যেতে হয়। কিন্তু গিয়ে যদি দেখা যায় মার্কেট বন্ধ তাহলে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই যে মার্কেটে যাচ্ছেন তা খোলা না কি বন্ধ তা জেনে যাওয়াই ভালো। তাহলে জেনে নেই শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার দোকানপাট, মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারি বাজার, চানখারপুল।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানশন।
যে দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে
শিশু একাডেমি জাদুঘর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ শুক্রবার
রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের একেক দিন একেক এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আপনি হয়তো প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনার পছন্দের কোন মার্কেটে যাবেন আজ। কিন্তু সেই মার্কেট খোলা আছে কিনা তা হয়তো জানেন না। তাই আগে জেনে নিন ঢাকার কোন মার্কেট আজ বন্ধ এবং খোলা রয়েছে। না হলে কষ্ট করে গিয়ে ফিরে আসতে হতে পারে।
মনে রাখতে হবে সপ্তাহের ভিন্ন ভিন্ন দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক শুক্রবার রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট, মার্কেট সাধারণত বন্ধ থাকে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার
আমাদের প্রতিদিনই জরুরি প্রয়োজনে কোথাও না কোথাও যেতে হয়। আসুন জেনে নেই আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কোনো কোনো এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকা
মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শান্তিনগর, শাজাহানপুর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, পল্টন, মতিঝিল, ফকিরেরপুল, টিকাটুলি, কাকরাইল, বিজয়নগর, আরামবাগ, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মাজার কর্পোরেট মার্কেট, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, কর্নফুলি গার্ডেন সিটি, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ এবং ২, গুলিস্তান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-ওপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে বুধবার
বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। আসুন জেনে নেই-
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ:
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মধ্য এবং উত্তর বাড্ডা, জগন্নাথপুর, বারিধারা, সাঁতারকুল, শাহজাদপুর, নিকুঞ্জ-১, ২, কুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান, জোয়ার সাহারা, আশকোনা, বিমানবন্দর সড়ক ও উত্তরা থেকে টঙ্গী সেতু।
যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে:
যমুনা ফিউচার পার্ক, নুরুনবী সুপার মার্কেট, পাবলিক ওয়ার্কস সেন্টার, ইউনিটি প্লাজা, ইউনাইটেড প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, মাসকট প্লাজা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে পোর্টাল চালু করলো ডিএনসিসি
তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে পোর্টাল চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সম্মেলন কক্ষে হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টালের উদ্বোধনী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ও ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপে হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টালের লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টাল ব্যবস্থাপনা করবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভিত্তিক হিটওয়েভের পূর্বাভাসের পেতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। হিটওয়েভ পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবার ঢাকা অ্যাপে পূর্বাভাস চলে যাবে যার ফলে ব্যবহারকারীরা যে কোনও মুহূর্তে চাইলেই তার এলাকার পূর্বাভাস দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমেই যার যার এলাকায় পূর্বাভাসের সাথে অনুভূত তাপমাত্রার পার্থক্য এবং সেই সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এই হিটওয়েভ পোর্টালের পূর্বাভাস পেতে চাইলেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারবেন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবার ঢাকা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাভাস পাবেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, এই পোর্টালের মাধ্যমে একদিকে যেমন ব্যবহারকারীকে সহজে পরিকল্পিত পদক্ষেপ ও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে; অন্যদিকে নির্দিষ্ট খাত যেমন কৃষি, প্রাণিসম্পদ, নগর পরিকল্পনা এবং প্রাসঙ্গিক খাতের ব্যবহারকারীদের চাহিদা সম্পর্কে অবগত করবে। বিশেষ করে নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে খুবই সাহায্য করবে।
পাশাপাশি তিনি হিটওয়েভকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা এবং দুর্যোগসংক্রান্ত স্থায়ী আদেশে তাপপ্রবাহকে সংযুক্ত করার জোরদার আহবান জানান। এ ছাড়া প্রত্যেকটা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যক্তি পর্যায়ে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, হিটওয়েভের সচেতনতা এবং প্রচারণা অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি বিশেষ ছাতা তৈরি করা হয়েছে রিকশাচালকদের জন্যে, যা তারা চাইলেই রিকশার স্ট্যান্ডের সাথে অ্যাডজাস্ট করে ব্যবহার করতে পারবে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩৫ হাজার রিকশা ও ভ্যানচালকদের মাঝে বিনামূল্যে ছাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, হাফ লিটার পানির বোতল বিতরণ করা হয়েছে যাতে করে তারা চাইলেই সহজে সাথে বহন করতে পারে।
আর্শট রক ফেলার ফাউন্ডেশনের নিয়োগকৃত চিফ হিট অফিসার বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, এই কালার কোডেড হিটওয়েভ অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নগরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ও সেই সব জনগোষ্ঠীর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে পরবর্তীতে সবার ঢাকা অ্যাপে এই হিটওয়েভ অ্যালার্ট সিস্টেমের সংযোজন খুব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।
এ ছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, এই পোর্টালের বিশেষ সুবিধা যেটা তা হলো, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের কাছে সরাসরি সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে অ্যালার্ট চলে যাবে এবং করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায়, সিটি কর্পোরেশনের চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি হিটওয়েভ প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ সকল কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে এবং হিটওয়েভজনিত ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এই পূর্বাভাস পোর্টালের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মশালায় অংশ নেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে পরিচালক আজিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নেতাই চন্দ্র দে সরকার, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ। রাইমসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম লিড, রায়হানুল হক খানসহ বিভিন্ন এনজিও ও আইএনজিও থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে বর্তমান সময়ে চলমান হিটওয়েভের বৈরী প্রভাব ও সেক্ষেত্রে এই নতুন পোর্টালের প্রযুক্তিগত উপযোগিতা, উন্নতি এবং নির্ভরযোগ্যতার বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সব অংশগ্রহণকারীকে সঠিক পূর্বাভাস গ্রহণের আহ্বান জানান এবং হিটওয়েভের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই পোর্টালের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সবশেষে অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ একটি উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং পোর্টালের সঙ্গে জড়িত সংস্থাসমূহের কার্যক্রমের বিস্তর আলোচনা ও মতামত প্রদান করেন। সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে এ সকল কার্যক্রমের মান আরও বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান, যেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বার্তাসমূহ আরও সূক্ষ্ম, স্থানভিত্তিক ও বেশি লিডটাইম বা আগাম সময়ভিত্তিক করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মো মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. ইমরুল কায়েস চৌধুরী।