জাতীয়
বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী

বেইলি রোডে আগুন লাগা বহুতল ভবনটির নির্মাণ ত্রুটির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট ছিল না। তিনি বলেন, ৪৫ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে?
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডে যে আগুনটা লাগলো, সেখানে একটা বহুতল ভবন, সেখানে কোনো ফায়ার এক্সিট নেই।
নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সবসময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু যারা (ভবন) তৈরি করতে চায়, আর্কিটেক্টরাও ওরকম ডিজাইন ঠিকমতো করবে না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ৪৫ জন মানুষ মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে? অথচ ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো, অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে বারবার আমরা নির্দেশ দিচ্ছি। সেটা কিন্তু মানে না। আর আমি জানি এখানে নিশ্চয়ই ইন্স্যুরেন্স নেই, কাজেই তারা কিছু পাবেও না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতাটা খুব বেশি প্রয়োজন।
এসময় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগুন লাগিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করার বিষয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন ধরনের যে বিমা চালু করা হয়েছে আমি মনে করি এটা মানুষকে আরও নিরাপত্তা দেবে। অনেক সময় বিমা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের ব্যবসা করে। হয়ত কোথাও একটু আগুন লেগেছে। ক্ষতির পরিমাণ যতটা না তারচেয়ে বেশি দাবি করে বসে থাকে। এই দাবি শুধু করে না, যারা যায় পরীক্ষা করতে তাদেরও ম্যানেজ করে ফেলে।
ফলে বিরাট অঙ্কের টাকা বেরিয়ে যায়। এরকম দু’একটা কেস আমি নিজে ধরে ফেলেছি। তখন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে আমি বলেছি তদন্ত করে দেখব কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে এক ভয়াবহ চিত্র উঠে আসল।
শেখ হাসিনা বলেন, ভয়াবহ চিত্র হলো একটা গার্মেন্ট কারখানায় আগুন লেগেছে। প্রায়ই আমাদের বিভিন্ন গার্মেন্টে আগুন লাগত আপনারা জানেন। আমি বললাম বিষয়টা কি, এত ঘনঘন আগুন লাগার কারণ কি। এজন্য আমি বললাম এখন দেবেন না (বিমা দাবি), আমি একটু তদন্ত করি। আমরা তদন্ত শুরু করলাম। তদন্ত করতে গিয়ে কি বেরিয়ে এলো জানেন, দেখা গেল ওই গার্মেন্টের এক কর্মীকে দিয়ে, তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং একটা জায়গায় যেখানে কিছু্ ছিল না, যেখানে বসে নাস্তা-পানি খেতো সেখানে কিছু জিনিস ছিল। সেই জায়গাটায় আগুন দিয়ে পরে ৪০ কোটি টাকা দাবি করল।
তিনি বলেন, এখন তো আমাদের ফরেনসিক বিভাগের তদন্তের একটা সুযোগ আছে, আপনারা জানেন। কি কি জিনিস পুড়েছে এটার তদন্ত করতে হবে, এটা আমি বললাম। সব পরীক্ষা করা হলো। দেখা গেল কিছু আবর্জনা রেখে ওই ফ্লোরটায় আগুন দেওয়া হলো। তারপর ৪০ কোটি টাকা দাবি করা হলো। ৪০ কোটি টাকার সম্পদ তো এখানে পুড়েনি, তাহলে কেন এত টাকা দাবি করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপর দেখা গেল, এই আগুন লাগার ব্যাপারটা, এখানে খুব ঘনঘন আগুন লাগত। আপনারা হয়তোবা আন্দাজ করতে পারছেন। তারপর এ অবস্থাটা, সেখানে নিজেই আগুন লাগানো হতো পরে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হতো। আমি কথাটা এ কারণে বলছি, আপনারা এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দেবেন এবং এ ধরনের ঘটনা যেন কেউ ঘটাতে না পারে। যদিও এখন আমরা অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা করেছি কিন্তু মানুষ এত সচেতন না।
বিমার টাকা মানুষ যেন সহজে পায় সেই তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিমার দাবিগুলো যেন মানুষ সহজে পায়, দুই নম্বরি যারা করে তাদের কথা বলছি না। প্রকৃতপক্ষে যারা পায় তারা যেন সহজে পায়। দুই নম্বরি যারা করে তারা ম্যানেজ করে সহজে পায়, সেটা যেন না পায়। আর যারা প্রকৃত, যারা ম্যানেজ করতে পারে না, তারা যেন দ্রুত সময়ে পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেই দিকে দৃষ্টি দেবেন।

জাতীয়
আবদুল হামিদ দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তদন্তের দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তে দোষী হলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কিন্তু কেউ নির্দোষ হলে কেন তাকে সাজা দেবো?
সোমবার (৯ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে এক মাস পর রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন আবদুল হামিদ। এর আগে গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে তখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই কয়েকটি দলের দাবির মুখে ১০ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ১২ মে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিদেশে গিয়েছেন এবং তিনি দেশেও ফিরে এসেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলেছেন যে (আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে) কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলোর কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্তে যারা দোষী হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারাই (সাংবাদিক) সবসময় বলেছেন, নির্দোষরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দেন। তদন্তে কেউ যদি দোষী হয় তাহলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ফৌজদারি মামলায় তদন্তে দোষ বা অপরাধ মোটামুটি প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্দোষ একজন মানুষকে কেন সাজা দেবো?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার মতো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাস্তাঘাটে দু-একটা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। টুকটাক চুরিচামারি হচ্ছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।
জাতীয়
বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন শেখ হাসিনার চাচা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছেন। রোববার (৮ জুন) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে একটি ফ্লাইটে অনেকটা গোপনে তিনি সিঙ্গাপুর যান।
সোমবার (৯ জুন) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেখ কবির হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি বড় বড় পদ দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ক্ষমতাবান একটি চক্রের সহায়তায় শেখ কবির বিমানবন্দর ছাড়তে সক্ষম হন। অথচ শেখ হাসিনার শাসন আমলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম ছিল শেখ কবির। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৩টি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের নানান পদে ছিলেন শেখ কবির।
২০১১ সাল থেকে বিমা কোম্পানির মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) একটানা সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে শেখ কবিরের পরিচিতির কারণে দুই বছর মেয়াদি বিআইএর কমিটির কোনো স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না। এ ছাড়া শেখ কবির বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নরস, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান ছিলেন।
শেখ কবিরের দেশত্যাগের বিষয়ে জানতে সোমবার সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা মামলা ছিল। তারপর একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে তাকে বিদেশ যাত্রা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) ও ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (আইএলএসি) প্রতি বছর ৯ জুনকে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস হিসেবে পালন করে।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সব পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয়
করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশে এ সংক্রমণ এড়াতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা দিয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক আগমনি হলে ইমিগ্রেশন এ প্রবেশস্থলে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম কর্তৃক থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নন টাচ পদ্ধতিতে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লোভস মজুতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

ঈদের তৃতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন কোরবানি করা পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ মোট তিন দিন ধরে কোরবানি হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেদিনও বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দ্বিতীয় দিনের কোরবানি করা পশুর বর্জ্য। তবে অনেকেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি না করলেও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ঈদের তৃতীয় দিনেও চলমান থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এর আগে ঈদের দিন দিবাগত রাতে আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে উল্লেখ করেন, সব সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫ হাজার ২৭২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে সুন্দর করেছেন আমাদের ঈদ উদযাপন। এজন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও কোরবানি করা যায়। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করবেন। তাই সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে ঈদের তৃতীয় দিনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।