জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন: সাঈদ খোকন

ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গত ১৫ বছরে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামগ্রিক চিত্র পাল্টে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে পুরোপুরিভাবে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিবর্তনকে শুধু ‘উন্নয়ন’ শব্দের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা একটা পরিবর্তন, এটা একটা সম্পূর্ণভাবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার বংশালের সুরিটোলা সরকারি মডেল বিদ্যালয় মাঠে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৯৩ মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের সময়ে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৩৫ মার্কিন ডলারে। এই হচ্ছে পরিবর্তন। আজকে দেখবেন পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের মতো উন্নয়ন। চারদিকে এমন বহু উন্নয়ন এখন দেখতে পাবেন যা এক সময় মানুষ চিন্তাও করতে পারতো না।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে জানিয়ে সাবেক এই মেয়র বলেন, বর্তমানে কিছু জিনিসপত্রের দাম মাঝেমধ্যে বেড়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন এই বিষয়টা মনিটর করছেন, কীভাবে এই জিনিসপত্রের দাম আমাদের নাগালের মধ্যে রাখা যায় তা নিয়ে তিনি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা কয়েকটা দিন সময় দেন ইনশাআল্লাহ দ্রব্যমূল্য আপনাদের নাগালের মধ্যে চলে আসবে। এই কষ্ট যাতে কিছুটা কম হয় সেজন্য আমরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও আমার সাধ্যানুযায়ী আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
এই সংসদ সদস্য বলেন, আল্লাহ রব্বুল আলামিনের মেহেরবানিতে এবং আপনাদের দোয়ায় ও ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সাহায্য এবং সহযোগিতায় আগামী দিনগুলোতে এই কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিচালিত করতে পারব। আমি যখন আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়েছি তখন এই কথা দিয়েছিলাম, আমি আমার কথা রাখব ইনশাআল্লাহ।
এদিন ঢাকা-৬ আসনের আওতাধীন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুইশ পরিবারের মধ্যে মিনিকেট চাল ১০ কেজি, পোলাওর চাল ২ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, সরিষার তেল ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২ কেজি, আলু ৫ কেজি, ঘি ১০০ গ্রাম, সেমাই এক প্যাকেট, ছোলা বুট এক কেজি, খেজুর ২৫০ গ্রাম, চিনি ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, লাক্স সাবান ১টি, দুধ ২০০ গ্রাম, মসুরের ডাল ১ কেজি, মুড়ি ১ কেজি, ডাবলি ১ কেজি, মটরের ডাল ১ কেজি, বেসন ১ কেজিসহ মোট ৩১ কেজির বস্তা বিতরণ করা হয়।

জাতীয়
এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী, একমত সব দল

এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে পারবেন বলে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। একইসঙ্গে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনেও ঐকমত্য হয়েছেন দলগুলোর নেতারা।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চলমান দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৯তম দিনে কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ এ কথা জানান। সংলাপে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলীয় জোটের কাউকে ডাকা হয়নি। অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩০টি রানৈতিক দল সংলাপে অংশ নিয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, আমরা একটা বিষয়ে একমত হয়েছিলাম কিন্তু সেটা বলা হয়নি। সেটা হলো এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্বপালন করবেন। সনদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর উল্লেখ করব। এ বিষয়ে আমরা কি একমত হয়েছি?
এসময় আলী রীয়াজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ একটি শর্ত দিয়েছিলেন, সেটাকি এখনো আছে?
পরে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা একবার বলেছিতো বলেছি- ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন না। আমি বলেছিলাম সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের কমিটি থাকলে বিষয়টি মানব না। আমরা এ হাউজের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান সংবিধানে যুক্ত করব। এর বাইরে বিষয়ে আলোচনা হলে আমাদের শর্ত বহাল থাকবে। আশা করি সেটা বিবেচনা করবেন। এখন ১০ বছরের বিষয়ে আপনারা ঘোষণা দিতে পারেন। বরং এটা আমাদের প্রস্তাব।
এর আগে আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে উপস্থাপন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে দলগুলো আলোচনা করে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত হয়। তবে আইনি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করবে।
এ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, পুলিশ কমিশনের বিষয়ে আমরা একমত। গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনায় একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত হয়েছে। যা পুলিশের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে।
পুলিশ কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, পুলিশ বাহিনী যেন একটি শৃঙ্খলিত বাহিনী হিসেবে আইনসম্মত ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে, তা নিশ্চিত করা হবে কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্য ও সাধারণ নাগরিক—উভয়পক্ষের অভিযোগ নিষ্পত্তির দায়িত্বও এই কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশ কমিশন (যা ‘কমিশন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) গঠিত হবে একজন অবসরপ্রাপ্ত আপিল বিভাগের বিচারপতির নেতৃত্বে, যিনি ৭২ বছরের নিচে হবেন। কমিশনের সদস্য সচিব হবেন অবসরপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি ৬২ বছরের নিচে থাকবেন।
কমিশনে সরকার ও বিরোধী দল উভয়পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এদের মধ্যে থাকবেন—সংসদে সরকার দলের নেতা (লিডার অব দ্য হাউস), বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার (যিনি বিরোধীদল থেকে হবেন) একজন করে প্রতিনিধি। এ ছাড়া একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, যিনি হাইকোর্ট বিভাগে অন্তর্ভুক্ত এবং কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মানবাধিকার কর্মী, যিনি কমপক্ষে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে থাকবেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনের অন্তত দুইজন সদস্য নারী হতে হবে। কিছু নির্ধারিত সদস্য বাছাইয়ের জন্য একটি বাছাই কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যার সদস্য থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক।
কমিশনের চেয়ারপারসন ও সদস্য সচিব পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করবেন, বাকি সাতজন সদস্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বৈঠকে উপস্থিতি ও অন্যান্য দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সম্মানী বা ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব ও অন্যান্য সদস্যদের দায়িত্ব, ক্ষমতা, জবাবদিহিতা, পদত্যাগ এবং অপসারণের পদ্ধতি একটি আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, কমিশনের নীতিগত ও নির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তা অনুমোদিত হবে।
জাতীয়
জুলাই সনদের খসড়া সোমবারের মধ্যে দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে: আলী রীয়াজ

জুলাই সনদের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আগামীকাল সোমবারের মধ্যে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
রোববার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৯তম দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আজকে থেকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আমি আশা করছি, অনেকগুলো কাজ সম্পাদন করে আমরা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে পারবো বা চূড়ান্তে উপনীত হতে পারবো। আপনারা (রাজনৈতিক দলগুলো) অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করছেন, আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টায় অবশ্যই সফলতা আসবে। এই বিশ্বাস এবং আস্থা আমাদের রাখা দরকার।
ড. আলী রিয়াজ বলেন, আমরা খসড়া নিয়ে এখানে কোনো আলোচনা করবো না। যদি বড় ধরনের কোনো মৌলিক আপত্তি ওঠে তাহলে আমরা সেটা ফ্লোরে আনবো না হলে আনবো না। আলাদাভাবে যদি আপনারা কোনো মতামত দেন, সেগুলো সংযোজন করেই চূড়ান্ত সনদ হবে। সেখানে পটভূমি থাকবে, প্রক্রিয়া থাকবে এবং কমিটমেন্টের জায়গাগুলো থাকবে। কিন্তু এখন প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর তালিকা এখনই দেওয়া হচ্ছে না।
আজকের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটি অনালোচিত বিষয় আছে উল্লেখ করে আলী রিয়াজ বলেন, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণবিষয়ক প্রস্তাবটি অনালোচিত ছিল। সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল যে, সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে এবং তৃতীয় ভাগে বর্ণিত যে অধিকারগুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে, সেগুলো একটি অধ্যায়ে সন্নিবেশিত করে বিল অফ রাইটসের মতো করে উপস্থাপন করা। সেই বিষয়ে তারা সুস্পষ্টভাবে কিছু কিছু পরামর্শ এবং সুপারিশ দিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় দেখা গেছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, এ ব্যাপারে একমত হতে পারেননি। রাজনৈতিক দলগুলো নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের ব্যাপারে একমত কিন্তু কিভাবে সম্প্রসারণ করা হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
পুলিশ কমিশনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা একটি পুলিশ কমিশনের প্রস্তাব করেছি। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ১৬৬টা সুপারিশ আপনাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলোতে পুলিশ কমিশনের ব্যাপারে সুপারিশ ছিল না। আমরা এখন একটি সংযুক্ত করছি সময়ক্ষেপণের জন্য নয়। এই আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকদের পক্ষ থেকে নানা জায়গা থেকে শুনেছি, যে পুলিশ কমিশনের বিষয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে না। গত ১৬ বছরে পুলিশের ভূমিকার কারণেই এই প্রশ্নটা খুব বৈধভাবে উৎপন্ন হয়েছে। তাই এটি সংযুক্ত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস আমরা, সবকিছু নিয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি করতে পারবো।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, পুলিশ কমিশন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ।
কাফি
জাতীয়
দগ্ধদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: প্রধান উপদেষ্টা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তরিক ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতে এবং ট্রমা কাটিয়ে উঠতে কাউন্সেলিংয়ের প্রতি জোর দেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাত সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে যান। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি বেরিয়ে আসেন।
হাসপাতালে পৌঁছে প্রধান উপদেষ্টা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শোনেন এবং আহত রোগীদের বর্তমান অবস্থা জানতে চান।
অধ্যাপক নাসির বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাল্টিডিসিপ্লিনারি কনসালটেশন বোর্ডের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। রোগীদের আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত মূল্যায়নে বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪ জন ক্রিটিক্যাল, ৯ জন সিভিয়ার এবং ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগী আছেন। তবে এ মূল্যায়ন রোগীর অবস্থা অনুযায়ী সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসার জন্য কোনো ধরনের যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, ওষুধ বা অন্যকিছুর প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, এ মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরকারের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর বাইরে যে দু-একটি সরঞ্জামের প্রয়োজন ছিল সেগুলো সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদল সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান ঘটনার বিশদ বর্ণনা দিয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি হাসপাতালগুলোতে দগ্ধ রোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকরা অতিদ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে প্রায় সবাইকে বার্ন ইনস্টিটিউট ও সিএমএইচে পাঠিয়ে দেন। ঘটনার পরপরই মন্ত্রণালয় থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালককে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। চিকিৎসক, নার্সসহ সব সেবাদানকারীরা প্রস্তুত ছিলেন এবং একসঙ্গে জরুরি বিভাগে আসা প্রায় ৩০ জন দগ্ধ রোগীকে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম হন।
তিনি আরও জানান, প্রায় ১০টি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তীতে অন্য হাসপাতালে রোগীদের দ্রুত স্থানান্তরিত করার কারণে প্রথমদিকে নিহত ও আহত রোগীর সংখ্যা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেহাবশেষ ছিল যেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়েছে, যার ফলে কিছু সময় লেগেছে। রোগীদের স্থানান্তরের সময়ে আম্বুলেন্সের অভাব প্রকটভাবে বোঝা গেছে। এ দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতাগুলো দৃশ্যমান হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অবিলম্বে এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
এ ছাড়াও দগ্ধ রোগীদের নিকটাত্মীয়দের হাসপাতালে অবস্থানের সময়ে তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়ার বিষয়ে পরিচালককে নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রোগীদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা আন্তরিক ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে যারা এই বিপদের সময়ে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
কাফি
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৩১

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৩৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৭৫ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ১২০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৯৩ জন। মারা গেছেন ৭৩ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
কাফি
জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার আরও ১৪৮৬

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ৯৮৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৪৯৮ জন।
শনিবার (২৬জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯৮৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৪৯৮ জন। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৪৮৬ জনকে।
অভিযানিক কার্যক্রমে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় ওয়ান শুটার এলজি ২টি, কার্তুজ ৭ রাউন্ড, কার্তুজের খোসা ১ রাউন্ড ও ককটেলের বিশেষ অংশ ৩টি।
কাফি