টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইউটিউবের সার্চ ও ওয়াচ হিস্ট্রি বন্ধ করবেন যেভাবে
বর্তমান প্রযুক্তিনির্ভর সময়ে ইউটিউব, জিমেইল, ড্রাইভ এবং ম্যাপের মতো গুগলের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের কাজকে অনেকটা সহজ করে তুলছে। তবে আপনি কী সার্চ করেছেন, কী দেখেছেন তা অন্য কেউ জানার সুযোগ রয়েছে। কারণ, ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং ট্র্যাক করে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে সেগুলো বিজ্ঞাপন দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। অর্থাৎ টার্গেটেড অ্যাডসের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এসব তথ্য কাজে লাগায় সংশ্লিষ্টরা।
অনেক সময় একই ডিভাইস অনেকে ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনি কী সার্চ করেছেন বা দেখেছেন তার গোপনীয়তা রক্ষা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে ব্রাউজিং হিস্ট্রি গোপন করতে ইনকগনিটো মোড আমাদের সহায়তা করতে পারে। ইনকগনিটো মোড আপডেটের পর ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং তথ্য ট্র্যাক করা যায় না।
স্মার্টফোনে ইউটিউব হিস্ট্রি সংগ্রহ বন্ধ করবেন যেভাবে
সার্চ ও ওয়াচ ভিডিও হিস্ট্রি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে ইউটিউব অ্যাপে যেতে হবে। এরপর নিচে থাকা প্রোফাইল ছবিতে বা নামে ট্যাপ করলেই অ্যাকাউন্ট নামের নিচে বিভিন্ন অপশন দেখা যাবে। এসব অপশন থেকে ‘টার্ন অন ইনকগনিটো মোড’ চালু করলেই আর তথ্য সংগ্রহ করবে না ইউটিউব।
কম্পিউটারে ইউটিউব হিস্ট্রি সংগ্রহ বন্ধ করবেন যেভাবে
কম্পিউটার থেকে সার্চ ও ওয়াচ ভিডিও হিস্ট্রি সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রথমে ইউটিউবের ওয়েবসাইট চালু করতে হবে। এরপর ওপরের বাম দিকে থাকা থ্রি লাইন মেন্যুতে ক্লিক করে ডানদিকে থাকা ‘টার্ন অব ওয়াচ হিস্ট্রি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর পপআপে একটি বার্তা দেখা যাবে। সেই বার্তার নিচে থাকা ‘পজ’ অপশনে ক্লিক করলেই আর তথ্য সংগ্রহ করবে না ইউটিউব।
ইউটিউবের সার্চ হিস্ট্রি ডিলিট করবেন যেভাবে
সার্চ হিস্ট্রি ডিলিট করতে অ্যাপের সার্চ আইকনে ক্লিক করতে হবে। এটিকে দীর্ঘক্ষণ প্রেস করে একের পর এক তথ্য ডিলিট করতে পারেন। একইভাবে ভিউ হিস্ট্রি মুছে ফেলতে আপনাকে ইউটিউব সেটিংসে যেতে হবে। এরপর ‘ম্যানেজ অল হিস্ট্রি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এবার গুগল অ্যাকাউন্টে ক্লিক করুন। যখনই আপনি এতে ক্লিক করবেন, তখন যেকোনো একটি অ্যাকাউন্টকে বেছে নিতে বলবে। এরপর অটো ডিলিট অপশন ট্যাপ করতে হবে। যদি আপনি অটো ডিলিটে ক্লিক করেন, তাহলে নিজে থেকেই হিস্ট্রি ডিলিট হয়ে যাবে। এ ছাড়া ডিলিট অপশন থেকে ‘ডিলিট অল টাইম’ ক্লিক করতে পারেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
যে কারণে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার
গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে দেশে আর আমদানি, উৎপাদন কিংবা বিক্রি করা যাবে না সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার। রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল ব্যান্ড, ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার রয়েছে। সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলোতে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম। এ ক্ষেত্রে ডুয়াল-ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার সিঙ্গেল ব্যান্ডের চেয়ে বেশি কার্যকর। এ জন্য দেশে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী বছর থেকে ডুয়াল-ব্যান্ড সাপোর্ট করে শুধু এমন রাউটারই বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশে উৎপাদন করা যাবে। দেশের বাজারে যেসব ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা হবে সেগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭২৫ থেকে ৫ দশমিক ৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এই দুটির মধ্যে একটিকে সাপোর্ট করে এমন ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। ফলে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও আমদানিকারক ও উৎপাদকদের ওপর বিষয়টি হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা জানান, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এক ব্যান্ডের রাউটার আমদানিকারকদের কোনো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না। বিদেশ থেকে এগুলো আমদানির প্রক্রিয়া হচ্ছে বিটিআরসি থেকে প্রথমে অনুমতি নিতে হয়। তারপর এলসি খুলে দেশে আনা হয়। এরপর বাজারজাত করতেও আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ এপ্রিলের পর থেকে এগুলো আর বাজারজাত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এরই মধ্যে সবাইকে জানানো হয়েছে। নতুন করে কেউ আর সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার আমদানির ব্যাপারে মনোনিবেশ না করেন। এ ছাড়া বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মেটাকে ৮৪ কোটি ডলার জরিমানা করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে বৃহস্পতিবার ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ইউরো (৮৪ কোটি ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবায় ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রবেশাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় এই জরিমানা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। খবর রয়টার্স, সিএনএন ও আল-জাজিরার
ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অন্য যেসব অনলাইনভিত্তিক শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন পরিষেবাদাতা বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের ওপর অন্যায্য বাণিজ্যিক শর্তারোপ করার মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিটি নিজেদের প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করেছে।
তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে মেটা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই শর্ত মেনে চলা হবে এবং তাদের উত্থাপিত পয়েন্টগুলোর দ্রুত ও গঠনমূলকভাবে একটি সমাধান উপস্থাপন করা হবে।
ইউরোপীয় কমিশন দুই বছর আগে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি মেটাকে অভিযুক্ত করেছিল। কমিশন সেসময় বলেছিল, ফেসবুক মার্কেটপ্লেসকে তার শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন সেবার সঙ্গে একত্রিত করে অবৈধভাবে অন্যায্য সুবিধা নিচ্ছে।
২০২১ সালে জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফেসবুকের সম্ভাব্য প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। ২০২২ সালে ডিসেম্বর উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, মেটা তার প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে তার অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন সেবার সঙ্গে যুক্ত করছে।
ফেসবুক ২০১৬ সালে মার্কেটপ্লেস চালু করে এবং এক বছর পর এটি বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে এই সেবা চালু হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বলছে, মেটা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর ফেসবুক মার্কেটপ্লেস একটি অবৈধভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে। তবে এর বিপরীতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের মার্কেটপ্লেসে যুক্ত হবেন কি হবেন না, তা তারাই ঠিক করেন। বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষ ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে চায় বলেই করে। তারা এটি ব্যবহার করতে বাধ্য নয়।’
মেটা আরও বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বড় প্রতিষ্ঠিত অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে বলে ইউরোপীয় কমিশন দাবি করে, সেরকম প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষতির কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি তারা।
অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের জন্য কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১ লাখ ৭৯ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করলো ইমো
সাইবার নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ইমো। প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হ্যাকিং, হয়রানি ও প্রতারণার সাথে সম্পৃক্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস শনাক্ত ও নিষিদ্ধ করেছে।
একইসঙ্গে, ইমো অত্যাধুনিক ‘অটো টেকনোলজি’র মাধ্যমে হ্যাকিং ঝুঁকি শনাক্ত ও প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩৫ হাজার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রেখেছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবহারকারীদের ৯ হাজার ৬০০টি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতেও সহায়তা করেছে ইমো।
২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইমো প্রতারণা ও হয়রানির সাথে সংশ্লিষ্টতায় তাৎক্ষণিকভাবে যথাক্রমে ১৮০০টি ও ৬ লাখ ৬৭ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ইমো।
ডিজিটাল ক্ষমতায়নের পথ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি। লিঙ্গ বা বয়স নির্বিশেষে যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই বিভিন্ন ধরনের সাইবার হুমকির মুখে পড়তে পারেন।
এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিগত বছরগুলো থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে ইমো। এছাড়া অ্যাকাউন্টের ওপর ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে কার্যকরী সব ফিচার চালু করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, ইমো’র ‘লগইন প্রোটেকশন’ ফিচার ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়াও ইমো’তে রয়েছে ‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ ও ‘ট্রাস্টেড ডিভাইস’ -এর মতো সুরক্ষা ফিচার। সুরক্ষা নিশ্চিতে আরও রয়েছে ‘সিম বাইন্ডিং ফিচার।’
এসব ফিচার ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে শুধুমাত্র নির্ভরযোগ্য ও অনুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে লগইন নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত সুরক্ষায় ইমো অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় নিয়মিত ‘ম্যানেজ ডিভাইস’ চেক করলে সন্দেহজনক ডিভাইস অপসারণ করতে পারেন; অথবা দুই বা ততোধিক ডিভাইস ব্যবহার না করলে, ‘মাল্টি ডিভাইস’ ফাংশন ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখতে পারেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ঢাকা টেলিফোনের নতুন এমডি মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম
বেসরকারি মালিকানাধীন ল্যান্ড ফোন ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। একইসঙ্গে এটিএম হায়াতুজ্জামান খান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ নতুন এমডি ও চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান ব্যবসা ঢাকা ফোন এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে আশার আলো সঞ্চার করতে যাচ্ছে। মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমরা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভয়েস এবং ইন্টারনেট উভয়ের দাম কমাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করব।
ঢাকা ফোন ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম ও সিলেট জোনে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৭ সালে রাজধানী ঢাকায় প্রথম বেসরকারি-খাতের ফিক্সড-লাইন অপারেটর হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে।
ঢাকা টেলিফোন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পরিচালক ছিলেন মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে বিএসসি ও এমএসসি করেছেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার জিই ক্যাপিটাল ও কম্পিউটারল্যান্ডে কাজ করেন। ১৯৯৭ সাল থেকে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তির নির্ভর ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকম ও ফ্লোরা সিস্টেমস পরিচালনা করে আসছেন।
ফ্লোরা সিস্টেমস প্রতিষ্ঠার পর তিনি তৈরি করেন বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বহুল সমাদৃত কোর ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার “ফ্লোরা ব্যাংক”। যা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, দ্য ট্রাস্ট ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের ২ হাজার ২৫৫টি শাখায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসে (বেসিস) প্রথম মেয়াদে (২০০২ সাল) অর্থ-সম্পাদক এবং দ্বিতীয় মেয়াদে (২০০৪ সাল) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুই দফায় সফলভাবে যুক্ত ছিলেন। তার নেতৃত্বেই বেসিসের বিডিবিএল ভবনে স্থাপিত হয় দেশের প্রথম সফটওয়্যার ইনকিউবেটর এবং তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম বেসিস সফটএক্সপোর আহ্বায়ক।
তিনি চারবার যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কমডেক্সফলে সফটওয়্যার ও আইটি সেবা রপ্তানি প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দেন। তিনি এফবিসিসিআই-এর সঙ্গে দেশের প্রথম জাতীয় আইসিটি নীতিমালার খসড়া প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে কাজ করছে সরকার
ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এমদাদ-উল বারী বলেছেন, সরকার এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন। টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশ (টিআরএনবি) এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে ইন্টারনেটের দাম কম হওয়া উচিত। যা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে। আসলে বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। সেই সঙ্গে আগামীতে অধিক সংখ্যক লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। বরং টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে। আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফেন্ডলিতে যাব। মোবাইল অপারেটরেরা সব টাওয়ার কোম্পানিগুলোকে দিয়ে দিতে চাইছে। আবার অপারেটরেরা যদি সাশ্রয়ী দামে ফাইবারের সেবা নিতে তা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে। আজকের দিনে ইন্টারনেট মৌলিক অধিকার আইন হওয়া উচিত। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়।
এমআই