জাতীয়
ট্রাফিক লাইট সিস্টেম ভালোভাবে চালুর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ট্রাফিক লাইট সিস্টেম ভালোভাবে চালু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মানি সফরের বিষয়ে আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
গত ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে অনুষ্ঠিত হয় ৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স। সে বিষয়েই আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল আইজিপির সঙ্গে কথা বলেছি ট্রাফিক লাইটগুলোকে সচল করে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য। আগে অতিরিক্ত চাপ ছিল, এখন সেই চাপ নাই। আমরা যদি ট্রাফিক লাইট পদ্ধতিতে চলে যাই, সময় কম কম করে যদি বারবার ছেড়ে দেই, মানুষ একটু যদি চলমান থাকে, যতক্ষণই লাগুক অনেকক্ষণ বসে আছি সেই অনুভূতিটা হবে না। সেভাবেই আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে হওয়াতে যানজট অনেকটা কমেছে। এখনও কিছু কিছু এলাকায় আছে। এক্সপ্রেসওয়ে এখন ফার্মগেট পর্যন্ত করা হয়েছে। আরও পাঁচটা মেট্রোরেল ঢাকাজুড়ে হবে। সেভাবে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এসএম

জাতীয়
১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন থেকে অব্যাহতি পেলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

অবশেষে শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার দিন ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে রুলস অব বিজনেস সংশোধন করে এ সংক্রান্ত কাজের দায়িত্ব দেয়ার বিধান বিলুপ্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একইসাথে এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
রুলস অব বিজনেসের ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস’-এর মন্ত্রিপরিষদ কাজের মধ্যে ৯-এ-আইটেমে ছিল, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন।
গেজেটে বলা হয়, সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশোধন করলেন, যথা- উপরোক্ত রুলস-এর সিডিউল-১ (অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস)-এর ‘CABINET DIVISION’ শিরোনামাধীন Item No. 9A ও তদ্বিপরীতে উল্লেখিত এন্ট্রি বিলুপ্ত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতি বছর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে নিহত হওয়ার দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। এ দিন সরকারি ছুটি ছিল। ‘ক’ ক্যাটাগরির জাতীয় দিবস হিসেবে এটি সারাদেশে পালিত হতো। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন ও ওই দিনের সাধারণ ছুটি বাতিল করে।
জাতীয়
বৈধ না হলে নির্বাচন আয়োজনের কোনো মানে হয় না: ড. ইউনূস

নির্বাচন বৈধ না হলে আয়োজনের কোনো মানে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় সরকারি সফরে গিয়ে চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে (সিএনএ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমটিকে ড. ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন যদি বৈধ না হয় তাহলে তা আয়োজনের কোনো মানে হয় না। এজন্য আমি নিশ্চিত করবো, সবার কাছে যেন গ্রহণযোগ্য, পরিচ্ছন্ন এবং উপভোগ্য একটি নির্বাচন হয়।
তিনি বলেন, আমার কাজ হলে গ্রহণযোগ্য, পরিচ্ছন্ন এবং উপভোগ্য নির্বাচন করা। আমরা আমাদের নির্ধারিত এসব লক্ষ্য অর্জনের কাছাকাছি যাচ্ছি। আমাদের অনেক কিছু সংস্কার করতে হবে। কারণ আমাদের যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে সেটি কারচুপি এবং অপব্যবহার করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলেছি। তাকে আহ্বান জানিয়েছি, যেন হাসিনাকে ভারতে চুপ রাখা হয়। মোদি আমাকে জানায়, সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ তারা করতে পারেন না। আমরা হাসিনাকে ভারত থেকে আনার জন্য যুদ্ধ করব না। আমি মোদিকে বলেছি, আপনি হাসিনাকে রাখতে পারেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আমাদের বিচার চলবে।
ড. ইউনূস বলেন, হাসিনাকে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশে এখনো তার অনেক সমর্থক রয়েছে।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। পাকিস্তান, চীন ও ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা কখনও বলিনি, আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই না। ভারত চাইলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। চাইলে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারে। বিষয়টি হলো সুযোগের ব্যবহার। শুধু চীনকে যে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। নেপাল এবং ভুটানকেও অর্থনৈতিক অঞ্চলে আনতে পারি। ভারতের সেভেন সিস্টার্সও এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে থাকতে পারে। বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে আমরা একই সুবিধা ভাগ করে নিতে পারি।
জাতীয়
জামিনে মুক্ত সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ একাধিক মামলা ছিল। সর্বশেষ পল্টন থানার একটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর সবগুলো মামলায় জামিন সম্পন্ন হওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামিনের কাগজ যাচাই শেষে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির পর তার পাহারায় থাকা কারারক্ষীও সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় গুরুতর অবস্থায় তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল একই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাতীয়
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশের তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. এনামুল হক। আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অপরাধ আমলে নিয়ে সব আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১২১/১২১ক/১২৪ক ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ বছরের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ অনেকে অংশগ্রহণ করে। এসময় শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য রাখেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জাতীয়
১৫ আগস্টের সূত্র ধরে অপরাধ করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

সরকারিভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা যদি ১৫ আগস্টের সূত্র ধরে অপরাধ করার চেষ্টা করলেই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ। তাই তাদের সড়কের নামতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ তাই কোনো অবস্থাতেই তাদের সড়কে নেমে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না। পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য সজাগ আছে। পাশাপাশি সব গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সবার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।