পুঁজিবাজার
মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ পুনর্গঠন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তারই অংশ হিসেবে কোম্পানিটিতে ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে।
বিএসইসির নিয়োগ দেওয়া নতুন ৪ জন স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব অমলেন্দু মুখার্জি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাশরিক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং এমএনএ অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম নুরুল আলম।
মেঘনা পেট পুঁজিবাজারে দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে জেড শ্রেণিভুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে চারজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে কোম্পানিটি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। নতুন নিয়োগ দেওয়া পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
কোম্পানিটি সর্বশেষ গত ডিসেম্বর শেষের যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই–ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সার বেশি লোকসান করেছে। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১২ পয়সা।
শেয়ারবাজারে বর্তমানে লোকসানি এ কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৩৫ টাকা। এক বছর আগেও এটির শেয়ারের দাম ছিল সাড়ে ২৮ টাকা। ২০০১ সালে এ কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
এদিকে মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে গত বছর আর্থিক অনিয়ম খুঁজে পায় বিএসইসি। সংস্থাটির গঠিত এক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। এ জন্য কোম্পানিটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচ পরিচালককে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি।
বিএসইসির তদন্ত কমিটি গত বছর সরেজমিনে কোম্পানিটির কারখানা ও কার্যালয় পরিদর্শনে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা এবং ২০২১ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে নানা ধরনের অনিয়ম ও অসংগতি খুঁজে পায়। এ জন্য কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া ও এমডি এম এফ কামালকে ১ কোটি টাকা করে ২ কোটি টাকা এবং পরিচালক কবির আহমেদ, আবু তাহের ও ওয়ালিউল্লাহকে ৫০ লাখ করে দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
বিএসইসি জানায়, ২০০৪ সাল থেকে মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দেড় যুগ ধরে কোম্পানিটি বন্ধ থাকলেও আইন অনুযায়ী মূল্য সংবেদশীল এ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানায়নি।
বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোম্পানিটি তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে যন্ত্রপাতি ও জায়গাজমি মিলিয়ে মোট ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সম্পদমূল্য দেখিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি বন্ধ থাকায় এ সম্পদমূল্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্ষতিজনিত সম্পদ মূল্যায়নের দরকার ছিল। কিন্তু কোম্পানিটি এ ধরনের কোনো মূল্যায়ন করেনি। ফলে সম্পদমূল্য আদৌ কত, সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেই। আবার কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিবেদনে গুদামে সোয়া দুই কোটি টাকার পণ্য মজুতের তথ্য উল্লেখ করেছে। কিন্তু বিএসইসির তদন্ত দল কোম্পানিটিতে কোনো পণ্যের মজুত খুঁজে পায়নি। এমনকি পণ্য মজুতসংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদনও তদন্ত কমিটিকে দেখাতে পারেনি কোম্পানটি।
কাফি

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট আর সপ্তাহ শেষে তা ৯ দশমিক ৩০` পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও .১৪ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ বেড়েছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে ফারইস্ট ফাইন্যান্স

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩.৪০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২ দশমিক ৯০ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২ দশমিক ৮০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বেক্সিমকো সুকুকের ৮ শতাংশ, আইবিবিএল বন্ডের ৭ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে ব্যাংক এশিয়া ফার্স্ট পারপেচুয়াল বন্ড

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংক এশিয়া ফার্স্ট পারপেচুয়াল বন্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে বন্ডটির দর বেড়েছে ৮৬ দশমিক ০২ শতাংশ। বন্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৮,৬৫০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্দো-বাংলা ফার্মার শেয়ার দর বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১২.৪০ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রহিমা ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৯০.৮০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ইয়াকিন পলিমারের ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ, নিউলাইন ক্লথিংয়ের ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৬ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টিউবসের ১৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে তাওফিকা ফুডস্ এন্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯.৩৫ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৫২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৫৪ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সী পার্ল রিসোর্টের ৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারির ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা,ফাইন ফুডের ৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, অগ্নি সিস্টেমসের ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২২ জুন থেকে ২৬ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৮২২ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সবকয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬৮টি কোম্পানির, কমেছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম