অন্যান্য
এলাকার উন্নয়নে ২০ কোটি টাকা করে পাচ্ছেন এমপিরা
সংসদ সদস্যদের স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, এমপিরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া তার এলাকার উন্নয়নে এর আগেও একটা থোক বরাদ্দ থাকতো। এখন নতুন সরকার, এ সরকারের আমলে এমপিদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ সরকার দেবে কি না?
এর জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছে অনেক অঙ্গীকার করেন, এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিকভাবে সেসব অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন বলে একটি প্রকল্প করে প্রতিজন এমপির নির্বাচনী এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ২০ কোটি টাকা দেওয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন।
এটি চলমান। এ প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারও নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সংস্কার প্রতিবেদন থেকে হবে নতুন বাংলাদেশের চার্টার: ড. ইউনূস
আজকে যে চারটি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ-এ কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সংস্কার প্রতিবেদনের মাধ্যমে যেটা গঠন করা হবে বা যার উদ্দেশ্য হলো এটা থেকে গণঅভ্যুত্থানের একটা চার্টার তৈরি হবে। যা হবে নতুন বাংলাদেশের একটা চার্টার। এটা মতৈক্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে। নির্বাচন হবে, সবকিছুই হবে; কিন্তু চার্টার থেকে সরা যাবে না।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এসব প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের সদস্যরা। এরপর বৈঠকে এ সব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু একটা আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বহুধরনের কমিটি হয়, রিপোর্ট প্রকাশ হয়, আনুষ্ঠানিকতা হয়; কিন্তু আজকের আনুষ্ঠানিকতা সেগুলোর চাইতে অনেক ঊর্ধ্বে। আজকের এ ঘটনা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। কারণ ইতিহাসের প্রবাহ থেকেই এ কমিশনগুলোর সৃষ্টি হয়েছে।
একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির হঠাৎ পুনরুত্থান হয়েছে, মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এমন অভিমত ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখান থেকেই ইতিহাসের সৃষ্টি, আজকের এ অনুষ্ঠান সেই ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা বিচ্ছিন্ন কোনও প্রতিবেদন নয়। আজ যে প্রতিবেদনগুলো আমরা হাতে নিলাম, অবশ্যই এটা আমাদের দেশের জন্য বড় একটি চর্চা। কেউ সেটা অস্বীকার করবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে সেটার কাঠামো তৈরির কাজ আপনাদের হাতে দিয়েছিলাম কমিশনের মাধ্যমে। স্বপ্ন আছে এখনও, সেই স্বপ্নের রূপরেখাগুলো তুলে ধরতে হবে। এটা শেষ নয়, একটা অধ্যায়ের শুরু হলো। স্বপ্ন এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী তার যে যাত্রা, সেটা শুরু হলো। এর বড় একটি অংশ এ প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হবে যে, আমরা কী করতে চাই। এটার মাধ্যমে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা শুরু করব। সবার মন এতে সায় দিচ্ছে কিনা; অঙ্গীকারগুলো পূরণ হচ্ছে কিনা-এ আলোচনার রসদ আপনারা তৈরি করে দিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেন, এরমধ্য দিয়ে সবার মতৈক্য হবে, আর কিছু অংশের সবাই একমত হবেন। তা না হলে আমরা কী স্বপ্ন দেখলাম? আমরা নিজেরা স্বপ্ন দেখলাম, আর সেই স্বপ্নে মানুষের অংশ নেই সেটাতো হতে পারে না। আমরা সেই স্বপ্নের কতটুকু এখানে নিয়ে এসেছি, সেটার জন্যেই এই আলোচনা। এটা বাইরে থেকের চাপানোর কোনও জিনিস নয়, ভেতর থেকে উদ্ভূত একটা জিনিস।
আগামীতে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার জন্য যে আলোচনা হবে, সেখানে কমিশনের সদস্যরাই নেতৃত্বে দেবেন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু আপনারাই তাদের পক্ষ থেকে স্বপ্ন দেখেছেন, কীভাবে তাদের স্বপ্ন আপনাদের সঙ্গে একাকার হয়ে যাবে। তার মাধ্যমে আমরা যেটা গঠন করতে চাচ্ছি, যার উদ্দেশ্য হলো এটা গণঅভ্যুত্থানের একটা চার্টার তৈরি হবে। ওই যে নতুন বাংলাদেশের একটা চার্টার, সেরকম চার্টার মতৈক্যের ভিত্তিতে তৈরি হবে। নির্বাচন হবে, সবকিছুই হবে; কিন্তু চার্টার থেকে যাবে না। এই চার্টার থেকে যাবে, ইতিহাসের অংশ হিসেবে এটা আমাদের জাতীয় কমিটমেন্ট। এটা কোনও দলীয় কমিটমেন্ট না। আমরা আশা করছি, সব দল এই চার্টারে সাইনআপ করবে।
উপদেষ্টা বলেন, এটা বাংলাদেশি, বাঙালি জাতির একটা সনদ, যে সনদ আমরা বুকে নিয়ে অগ্রসর হবো। যত দ্রুত পারি, যত বেশি পরিমাণে এটা বাস্তবায়ন করতে পারি করতে থাকবো। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে, এটাও হবে এই চার্টারের ভিত্তিতে। সেটাও যেন ঐকমত্যের সরকার হয়- (পরবর্তী সরকারও যেন বলে) যে, চার্টারকে আমরা ধরে রেখেছি। যত কিছুই হোক, এটা যেন হাত থেকে ছেড়ে না দেই। তা না হলে এই স্বপ্নের যে কনটিনিউইটি সেটি থাকবে কী করে! আমরা সেই স্বপ্নের কনটিনিউইটি চাই, বাস্তবায়ন চাই।’
তিনি বলেন, নির্বাচনও এই চার্টারের একটা অংশ হবে, ঐকমত্যের নির্বাচন হবে। তা নাহলে চার্টার হারিয়ে যাবে। কাজেই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদন তুলে দেন। এসময় সংশ্লিষ্ট কমিশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করা হবে: উপদেষ্টা
কিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, দুই দেশের জনসংখ্যার ভলিউম বিবেচনায় বাণিজ্যের পরিমাণ খুব কম। উভয় দেশেরই সুযোগ রয়েছে বাণিজ্যকে বাড়িয়ে নেওয়ার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদললের বৈঠকে তিনি এসেব কথা বলেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভিসা সহজিকরণ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ডায়ালগ হওয়া দরকার। নিজেদের মধ্য সম্ভাব্য সহযোগিতা উন্মোচন দুই দেশকেই লাভবান হতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি বলেন, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে চায়। ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন, শিক্ষা,পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাকিস্তান সরকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্কিম চালু করেছে। এ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা। এসময় তারা বাংলাদেশে ট্রেড এক্সপো আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে এসেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার। ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, লাভেলো আইসক্রিম, জিপিএইচ ইসপাত, খান ব্রাদার্স, সানলাইফ ইন্সুরেন্স, আইসিবি এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মেট্রো স্পিনিংয়ের ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাইব্রিড মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় পরিচালক পর্ষদের সদস্যগনসহ বহু শেয়ারহোল্ডার স্বশরীরে ও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন। সভায় শেয়ারহোল্ডারগন তাদের বক্তব্য ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। শেয়ারহোল্ডারগন কোম্পানীর সার্বিক সফলতা কামনা করেন। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ শেয়ারহোল্ডারদেরকে তাদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থ বছরের পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত হিসাব বিবরনীসহ অন্যান্য সকল এজেন্ডা ও বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে কোম্পানীর নাম ‘মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড’ থেকে ‘মেট্রো স্পিনিং মিলিস পিএলসি’ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত ও গৃহীত হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
আজ কেন বছরের দীর্ঘতম রাত?
উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত আজ (২১ ডিসেম্বর)। আজ (শনিবার) বছরের দীর্ঘতম রাত হলেও পূর্ণিমার কারণে আকাশে থাকবে চাঁদের উজ্জ্বল আলো।
সেইসঙ্গে পৃথিবীর এই অর্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিনও আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর)। দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা অবশ্য বিরাজ করবে। বিষুবরেখার দুই পাশে সূর্যের আলো পড়ার কারণে বছরে ৪টি এমন তারিখ আসে। ‘দিবা-রাত্রি’র হিসেবে এগুলোর মধ্যে ২টি তারিখে সমান ও ২টি সময়ের পরিসরে সবচেয়ে ছোট-বড়।
কেন ২১ ডিসেম্বর বছরের দীর্ঘতম রাত তা জানতে হলে সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের গতিপ্রকৃতি জানতে হবে। ২১ জুনকে বছরের দীর্ঘতম দিন বলা হয়, আর দীর্ঘতম রাত হলো ২১ ডিসেম্বর। এই দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে।
বছরের ৩৬৫ (লিপ ইয়ার ব্যতীত) দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন বড় রাত ছোট হয়, আবার কখনো তার উল্টো। বছরে ছয়টি ঋতু। ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময়কালও বদলায়। ঠিক এভাবেই বছরে এমন একটা দিন আসে, যেখানে দিন সবচেয়ে ছোট হয় এবং রাত সবচেয়ে বড়। আবার এর উল্টোটাও হয়।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে, ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।
ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে, দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।