আন্তর্জাতিক
বছরজুড়ে নিম্নমুখী থাকবে কয়লার আন্তর্জাতিক বাজার

বিশ্ব বাজারে বর্তমানে চাহিদার চেয়েও সরবরাহ বেশি কয়লার। তার ওপর এবার শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় এটির ব্যবহার কমেছে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোয় শীত শেষ হয়ে এলে যা আরো কমে যেতে পারে। বাড়তি সরবরাহের বিপরীতে ব্যবহার কমায় চলতি বছরজুড়ে তাপীয় কয়লার বৈশ্বিক দাম নিম্নমুখী থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসেল বন্দর থেকে রফতানিযোগ্য তাপীয় কয়লার ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তির দাম সম্প্রতি কমে তিন বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। প্রতি টন লেনদেন হচ্ছে ১১৮ ডলারে, যা ২০২১ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন। চীনের বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহকে সাম্প্রতিক এ মূল্যহ্রাসের পেছনে দায়ী করা হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে দাম কমেছে ৫৫ শতাংশ।
গবেষণা সংস্থা বিএমআই (ফিচ সলিউশনের একটি ইউনিট) জানায়, সংস্থাটি চলতি বছরের জন্য নিউক্যাসেল তাপীয় কয়লার মূল্য পূর্বাভাস সংশোধন করে কমাচ্ছে। প্রতি কেজিতে ছয় হাজার কিলো ক্যালরিসমৃদ্ধ কয়লার বার্ষিক গড় দাম টনপ্রতি ১৭০ থেকে কমিয়ে ১৫০ ডলার ধরা হয়েছে।
এওসিই পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্তমানে বাজার বিদ্যমান সব নির্দেশকই দাম কমার দিকে ইংগিত করছে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোয় শীত শেষ হলে কয়লার চাহিদা আরো নিম্নমুখী চাপে পড়বে। চলতি বছরের প্রথমার্ধেই দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমবে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানায়, চলতি বছর চীনে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ছে। ফলে এ সময় দেশটিতে কয়লার ব্যবহার কমবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিশ্বের মধ্যে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি কয়লা ব্যবহার হয়। ভারত ও চীনসহ অঞ্চলটিতে জ্বালানিটির উত্তোলন লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য উদীয়মান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কয়লার ওপর নির্ভরশীল থাকবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিএমআই জানায়, ২০২৪ সালে তাপীয় কয়লার বৈশ্বিক ব্যবহার গত বছরের তুলনায় দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে। এটির উত্তোলন বাড়তে পারে ৩ শতাংশ। ফলে বাজারে জ্বালানিটির উদ্বৃত্তের আকার বড় হবে।
২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ কয়লা রফতানি হয়েছে। ওই বছর প্রথমবারের মতো রফতানি ১০০ কোটি টন ছাড়িয়ে যায়। মূলত বিদ্যুৎ গ্রিডে জ্বালানিটির ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের ফলে রফতানিতে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।
কাফি

আন্তর্জাতিক
বেঁচে ফেরার গল্প শোনালেন সেই যাত্রী

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট AI171 উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন একমাত্র যাত্রী, ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ।
৪০ বছর বয়সী রমেশ জানান, হঠাৎ এক তীব্র ঝাঁকুনিতে তার আসন খুলে যায়, যা হয়তো তার প্রাণ বাঁচিয়েছে। ইকোনমি ক্লাসের ১১এ সিটে বসা রমেশ বলেন, “চোখ খুলে দেখি শুধু লাশ আর ধ্বংসস্তূপ, ভয় পেয়ে দৌড়ে বের হই।”
সংবাদমাধ্যমকে রমেশ বলেছেন, আমি যেদিকে পড়েছিলাম, সেখানে হোস্টেলের একতলার ফাঁকা জায়গা ছিল কিছুটা। সেখান দিয়ে আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু উল্টোদিকে হোস্টেলের দেয়াল ছিল। সেদিক থেকে হয়তো কেউ বেরোতে পারেনি। আমার বাঁ হাত একটু পুড়ে গিয়েছে।
দুর্ঘটনায় তার ভাই নিখোঁজ। বিমানের ধাক্কায় পাশের মেডিকেল হোস্টেল ভেঙে পড়ে, যেখানে চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা খাবার খাচ্ছিলেন। বহু দেহ ছিন্নভিন্ন, পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা চলছে।
ফ্লাইটে ছিলেন ১৬৯ ভারতীয়, ৫২ ব্রিটিশ, ৭ পর্তুগিজ ও ১ কানাডিয়ান নাগরিক। নিহতদের মধ্যে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীও রয়েছেন।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে দূতাবাস বন্ধ করছে ইসরায়েল

ইরানে হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী তার সব কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ইসরায়েল তার বৈদেশিক মিশনগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করছে এবং কনস্যুলার সেবাও আপাতত প্রদান করা হবে না।
তবে দূতাবাসগুলো কতদিন বন্ধ থাকবে—সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেলআবিব। এছাড়া দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তাও এর অন্যতম কারণ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক
ইরান কর্তৃক ১০০টির বেশি ড্রোন নিক্ষেপের দাবি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, ইরান ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ১০০টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল এবং সিএনএন এর প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মতে, এই হামলা অনেক দিন ধরে চলবে।
এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যার ফলে আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন বলেছেন, “সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হুমকি প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা যা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার থেকে আলাদা একটি ঘটনা এটি এবং আমরা কঠিন সময়ের আশঙ্কা করছি।”
আইডিএফ জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে সাম্প্রতিক কয়েক ঘণ্টায় তেহরান ইসরায়েলের দিকে ১০০টিরও বেশি ইউএভি (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল) নিক্ষেপ করেছে। ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে এই ড্রোনগুলোর কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে ইরানি ড্রোনগুলিকে ইসরায়েলের দিকে যাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে। একটি ফুটেজে স্পষ্টতই ইরাকের ওপর দিয়ে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক
ডালাসে হামের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত: আক্রান্ত তরুণী ছিলেন ‘পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত’

ডালাস কাউন্টি হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (DCHHS) ডালাসে হামের প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের খবর জানিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি একজন ২৫ বছর বয়সী নারী, যিনি হামের জন্য পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এই খবর নিশ্চিত করেছে।
DCHHS-এর তথ্যমতে, আক্রান্ত ওই নারী গত ৩০ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম ছিলেন। তিনি ইতোমধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সম্ভাব্য সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত ও সতর্ক করতে কাজ শুরু করেছেন।
হামের সম্ভাব্য সংক্রমণস্থল হিসেবে দুটি স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে:
- ‘লেমা কফি, ১০২৩ ইস্ট ফিফটিন্থ স্ট্রিট, প্লানো, টেক্সাস’
- ‘ফার্স্ট ব্যাপটিস্ট চার্চ, ৩৬৬৫ ডব্লিউ প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ হাইওয়ে, প্লানো, টেক্সাস’
হাম: একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ একসময় মনে করা হতো হাম বুঝি ইতিহাসের পাতায় চাপা পড়েছে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে, এই ভাইরাস এখনো জীবন্ত এবং মারাত্মকভাবে সক্রিয়। এটি একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাতাসে ভেসে বা কোনো পৃষ্ঠে অবস্থান করতে পারে।
হামের লক্ষণ: শুরুর দিকে এটিকে সাধারণ সর্দি-জ্বর বলে ভুল হতে পারে। জ্বর, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া ও চোখ লাল হওয়া—সব মিলিয়ে অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। কিন্তু এরপরই আসে হামের বিশেষ চিহ্ন: লালচে, দাগযুক্ত র্যাশ, যা মুখ থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো মুখের ভেতরেও ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যায়, যেগুলোকে কোপলিক স্পট (Koplik spots) বলা হয়। একবার র্যাশ দেখা দিলে তা সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে যায়, আর এ সময় শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
হামের জটিলতা ও ঝুঁকি: নবজাতক, গর্ভবতী নারী এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য হাম হতে পারে প্রাণঘাতী। হামের জটিলতা হিসেবে কানের সংক্রমণ, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং মারাত্মক মস্তিষ্কের প্রদাহ (এনসেফালাইটিস) পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতিরোধ ও ভ্যাকসিন: হাম পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য একটি রোগ। মাত্র এক বা দুই ডোজ এমএমআর (মিজলস, মাম্পস, রুবেলা) ভ্যাকসিনেই আজীবন সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। প্রথম ডোজেই প্রায় ৯৩ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৭ শতাংশে। তবে টিকাদান অনীহা, ভুল তথ্য বা ভীতি থেকে অনেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন না, যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কেন আক্রান্ত হয়? একটি প্রশ্ন থেকেই যায়: ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কেউ আক্রান্ত হয় কীভাবে? উত্তর হলো—সবার দেহে একই রকম প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় না। কেউ কেউ প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারেন না। আবার অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ নেন না। এমন কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রও আছে, যেখানে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ না করায় সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয় না। তবে আশার কথা, পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত কেউ আক্রান্ত হলেও সাধারণত তাদের উপসর্গ অনেকটাই মৃদু হয়।
চিকিৎসা: হামের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত হলে সাধারণত জ্বর কমানোর ওষুধ, প্রচুর তরল, বিশ্রাম এবং সহায়ক চিকিৎসাই দেওয়া হয়। তাই রোগ হলে চিকিৎসা নেয়ার থেকে প্রতিরোধই সবচেয়ে ভালো পথ।
আন্তর্জাতিক
ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি

শুক্রবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের হামলার খবর প্রকাশের পরই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে প্রচলিত জ্বালানি তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ও নাইমেক্স লাইট সুইটের দাম ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে। কারণ, এই অঞ্চল বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি শুধু গাড়ির জ্বালানির খরচই নয়, সুপারমার্কেটের খাদ্যপণ্যের মূল্যসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা খরচে প্রভাব ফেলে।
বিশ্লেষকরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এখন বাজারের নজর থাকবে—ইরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় কি না, সেটির দিকে।
বন্দনা ইনসাইটসের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেন, “এটা একটি বিস্ফোরক পরিস্থিতি। যদিও গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে ইসরায়েল ও ইরান সরাসরি একে অপরকে লক্ষ্য করে হামলা করলেও তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই পরিস্থিতি আরও বড় আকারের যুদ্ধে পরিণত হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যের তেল সরবরাহে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।”
চরম পরিস্থিতিতে ইরান হরমুজ প্রণালিতে হামলা বা জ্বালানি অবকাঠামোয় আঘাত হেনে প্রতিদিন কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথ হরমুজ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয়। উত্তরে ইরান এবং দক্ষিণে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঝে অবস্থিত এই প্রণালি উপসাগরকে সংযুক্ত করে আরব সাগরের সঙ্গে। প্রণালিটির আশপাশে সবসময়ই বহু ট্যাংকার চলাচল করে, যেগুলো মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান জ্বালানি রফতানিকারক দেশগুলো থেকে তেল ও গ্যাস বহন করে বিশ্বের নানা দেশে পৌঁছে দেয়।
এমএসটি ফাইন্যান্সিয়ালের জ্বালানি গবেষণা বিভাগের প্রধান সাউল কাভোনিক বলেন, “এখন বাজারে প্রাথমিক একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে আগামী এক-দুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”