পুঁজিবাজার
‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার নিয়ে গুজব, খোলাসা করলো বিএসইসি
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ না দিলেও দুই বছর পর্যন্ত ক্যাটাগরি বহাল রাখার সুযোগ দিয়েছিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে সেই সুযোগ চলতি মাসের ২৮ তারিখে শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হবে সেসব কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। তবে এক শ্রেণীর কারসাজি চক্র এটি নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। কোনো কোনো কোম্পানি লভ্যাংশ দেওয়া ছাড়াই আরও এক বছর আবার কোনো কোম্পানি ৬মাস ক্যাটাগরি বহাল রাখার সুযোগ পাচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের বেশকিছু গ্রুপ-পেইজে ভিত্তিহীন এসব তথ্য ছড়াচ্ছে। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ নয়। এসব তথ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির দেওয়া ক্যাটাগরি বহালের সুবিধা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও এর মধ্যে তালিকাভুক্ত ৪৯ কোম্পানি এখনো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি। ফলে বিএসইসির জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পর এসব কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে চলে যাবে। তবে এক শ্রেণীর কারসাজি চক্র এটি নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। যার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজ। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে শেয়ারবাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টায় কারসাজি চক্রগুলো।
এবিষয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের ক্যাটাগরি বহাল রাখার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। তবে বিষয়টি কমিশনের নজরে আছে। যেটি পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো হবে সেটি করা হবে। বাজারের জন্য যাতে নেতিবাচক না হয়, সময় হলে কমিশন সেটাই সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র মতে, বেশকিছু আলোচিত-সমালোচিত কোম্পানি লভ্যাংশ না দিয়েও ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। এমন কোম্পানির সংখ্যা ৩৯টি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে আলোচিত-সমালোচিত- খান ব্রাদার্স, খুলনা প্রিন্টিং, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনটেক লিমিটেড, কেয়া কসমেটিকস, এক্টিভ ফাইন, এএফসি এগ্রো বায়োটিক লিমিটেড, আলহাজ টেক্সটাইল, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আনলিমা ইয়ার্ন ডাইং, আরামিট সিমেন্ট, এটলার্স্ট বাংলাদেশ, আজিজ পাইপস, বঙ্গজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস (বিবিএস), বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ঢাকা ডাইং, ডেল্টা স্পিনিং, ফার কেমিক্যাল, ফাস ফাইন্যান্স, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, মেট্রো স্পিনিং, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিল, ন্যাশনাল টি, ন্যাশনাল টিউবস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, পেনিনসুলা চিটাগং, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সাফকো স্পিনিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপিয়ার্ড এবং জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এদিকে লভ্যাংশ না দিয়েও ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ১০টি। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কাট্টলী টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, রিং সাইন টেক্সটাইল, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি, সাইফ পাওয়ারটেক, সায়হাম কটন মিলস এবং সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
জানা গেছে, বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কারখানা ও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেশকিছু কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হয়। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানির ক্যাটাগরি বহাল রাখতে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা জারি করেছিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ‘জেড’ ক্যাটাগরি সংক্রান্ত বিএসইসির ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদান কিংবা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলে কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘জেড’ গ্রুপে স্থানান্তর করা যাবে। তাছাড়া ৬ মাস বা তার বেশি সময় কোম্পানির উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পরপর দুই বছর নিট পরিচালন লোকসান অথবা পরিচালন কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক থাকলে অথবা কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান তার পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, আইনি কারণে এজিএম করতে না পারলে কিংবা সংস্কার, বিএমআরই ও দৈব দুর্ঘটনাজনিত কারণে ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বন্ধ থাকলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে না। এছাড়া সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের কারণে কমিশনের অনুমতিক্রমে স্টক এক্সচেঞ্জ কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে। স্টক এক্সচেঞ্জ এসব বিধান পরিপালন করা হচ্ছে কিনা সেটি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করবে এবং বিএসইসির পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর বা সমন্বয় করতে পারবে।
তবে গত বছরের ৩০ নভেম্বর আগের নির্দেশনা রদ করে আরেকটা নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিফিকেশনে জেড ক্যাটাগরির বিষয়ে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সেটলমেন্ট অব ট্রানজেকশন্স বিধিমালা অনুসারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে সাথে সাথে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে। ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএসইসির জারি করা আদেশের কারণে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ যেসব কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারেনি, সেগুলোকেও এখন স্থানান্তর করা যাবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা বা পরিচালকেরা বিএসইসির পূর্বানুমোদন ছাড়া শেয়ার কেনাবেচা কিংবা স্থানান্তর করতে পারবেন না। তবে ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও অব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) উদ্যোক্তা বা পরিচালকেরা এক্ষেত্রে ছাড় পাবেন। ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ
সরকারি-বেসরকারি অফিস আগামী তিন দিন অর্থাৎ রবিবার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলবে। শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সরকারের এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিন দিন দেশের প্রধান দুই পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।
আজ শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের নতুন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে পোস্ট ক্লোজিং থাকবে দুপুর ১টা ৫০ থেকে ২টা পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম গণমাধ্যমকে জানান, সিএসইতে ডিএসইর মতোই লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পোস্ট ক্লোজিংয়ের সময় থাকবে দুপুর ১টা ৫০ থেকে ২টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার ঘোষিত টানা তিন দিন সাধারণ ছুটির পর গত বুধবার (২৪ জুলাই) পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। ওই দিন এবং পরের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস চলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৬ জুলাই হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোম্পানির ৭ম বিশেষ সাধারণ সভা।
উক্ত সভায় পেপার প্রসেসিং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার পাশাপাশি পেপার প্রসেসিং অবকাঠামো উন্নয়ন, রিয়েল এস্টেট, টেন্ডার ও সরবরাহ ব্যবসা, আমদানী-রপ্তানী এবং প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। উপস্থিত শেয়ার হোল্ডারদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে উপস্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেপার প্রসেসিংয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, পরিচালকেরা, কোম্পানি সেক্রেটারি এবং কোম্পানির সিএফওসহ অন্যান্যরা।
৭ম সাধারণ সভায় অসংখ্য শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত হয়ে কোম্পানির ব্যবসা বিস্তৃত করতে গৃহীত সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বার্জার পেইন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানির বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচারলনা পরিষদের বৈঠকে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ৬৯ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৬৪ টাকা ৯১ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
আগামী ২ অক্টোবর কোম্পানিটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইকে ৩৯৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ বিএসইসির
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব প্রতিষ্ঠান আমানত, জমি কেনা, একই গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ, পরিচালকদের গাড়ি কেনার জন্য ঋণসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী অক্টোবরের মধ্যে এ অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ফিরিয়ে আনতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএসইসির এই আদেশে বলা হয়েছে, ডিএসইর কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন এবং স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী থেকে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধিত মূল ব্যবসার বাইরে অন্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় করছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে এ বিষয়ে ডিএসইকে দুটি নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরিয়ে এনে মূল ব্যবসায় ব্যবহার করতে হবে। অর্থ ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি নজরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিএসইকে। এ বিষয়ে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ ফেরত আসার সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে ডিএসইকে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির তথ্যানুযায়ী, ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে ৩৯৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকা বিনিয়োগ করেছে।
মূল্য ব্যবসার বাইরে অন্য খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এবি ইস্পাহানি সিকিউরিটিজ, এসিই ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, দৌলতুন্নেসা ইকুইটিজ, রপিড সিকিউরিটিজ, এম-সিকিউরিটিজ, এরিজ সিকিউরিটিজ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস, রয়েল গ্রিন সিকিউরিটিজ, লতিফ সিকিউরিটিজ, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, দায়তুন হোল্ডিংস, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইতিহাদ সিকিউরিটিজ, সুরমা সিকিউরিটিজ হোল্ডিং কো., নভেলি সিকিউরিটিজ, সিএমএসএল সিকিউরিটিজ, নবিউল করিম সিকিউরিটিজ, এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ড্রাগন সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, রোজ সিকিউরিটিজ, আরএনআই সিকিউরিটিজ, মশিহুর সিকিউরিটিজ, কাজী ইকুইটিজ, আলহাজ জাহানারা সিকিউরিটিজ, মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কসমোপলিটন ইকুইটিজ, ফরচুন সিকিউরিটিজ (প্রাইভেট) , শাকিল রিজভী স্টক, ইএমইএস সিকিউরিটিজ, পিস সিকিউরিটিজ, ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, সাবভ্যালি সিকিউরিটিজ, ডরিন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএমএফ সিকিউরিটিজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ, স্টক অ্যান্ড বন্ড, টোটাল কমিউনিকেশন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, অশাধী সিকিউরিটিজ, এডি হোল্ডিংস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, বে রিচ, রহমান ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট, বিনিময় সিকিউরিটিজ, ইনোভা সিকিউরিটিজ ও গিবসন সিকিউরিটিজ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ জুলাই আড়াইটায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম