শিল্প-বাণিজ্য
ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো শুরু শনিবার
অগ্নিঝুঁকি কমিয়ে এনে দেশে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার, অগ্নি-সুরক্ষা নিশ্চিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং অগ্নিনিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে সব মহলে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস নিয়ে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে নবম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২৪। তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব)।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ইসাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সপোর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
এক্সপোতে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্ক, ইউএই, পর্তুগাল, স্পেন, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতসহ ৩০টি দেশের বিভিন্ন ব্রান্ডের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি সরঞ্জাম পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এতে ১০০টি স্টল থাকবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) প্রেসিডেন্ট নিয়াজ আলীর চিশতি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ইসাবের সেক্রেটারি জেনারেল জাকির উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহজাহান সাজু। পাবলিসিটি সেক্রেটারি ও একসপোর আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ-ই-খুদা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) উদ্যোগে এ বছর নবমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইফসি-২০২৪। আগামী ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার, রবিবার ও সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে। চলবে বেলা ১১ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। কো-পার্টনার বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। সহযোগী পার্টনার এনএএফএফসিকো বিজিএমইএ, বিটিএমইএ, বিকেএমইএ।
ইফসি-২০২৪ তে ফায়ার প্রোটেকশন, ফায়ার ডিটেকশন, সিসিটিভি এবং ভিডিও সার্ভিলেন্স, বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমসহ, রেসকিউ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শিত হবে। এতে সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য, নেটওয়ার্কিং এবং ব্যবহারকারীদের সচেতনতা, প্রতিযোগিতামূলক পণ্য পেতে এবং উপযুক্ত সরবরাহকারীদের সঙ্গে পরিচিতি লাভের একটি সর্বোত্তম প্ল্যাটফর্ম। আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবহারকারী এবং নির্মাতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে এর মাধ্যমে অগ্নি নিরাপত্তা, নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি ও সংশ্লিষ্ট ও সেবা বাজার আরও বেশি সহজলভ্য করা, যাতে নিরাপত্তা সুরক্ষার পাশাপাশি আগুনের ভয়াবহ বিপদ থেকে দেশ ও জাতি সুরক্ষিত থাকে। অন্যদিকে এ প্রদর্শনীতে সামাজিক সচেতনতাও নিশ্চিত করবে। আয়োজনটিতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক নির্মাতা, ব্যবসায়ী ও সিস্টেম ইন্টিগ্রেটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এক্সপ্রোতে এ পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার ভিজিটর রেজিস্ট্রেশন করেছে। আশা করি ১৫ হাজার করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ৪টি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। মেলার প্রথম দিন অগ্নি-নির্বাপণের বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রতিষ্ঠানকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে ইসাবের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মতিন খান, মোহাম্মদ মাহমুদ, মোঃ মনজুর আলম, এম মাহমুদুর রশিদ। এছাড়া এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ মাহাবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ নূর-নবী এবং পরিচালকদের মোঃ ওয়াহিদ উদ্দিন, ইঞ্জিঃ মোঃ আল-এমরান হোসেন, মেজর মোঃ আশেক কামাল (অব), মোঃ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান পাটমন্ত্রীর
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। এসময় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
পাটমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বিশেষত বস্ত্র ও পোশাকখাতে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এসময় মন্ত্রী বস্ত্র ও পোশাক খাতে বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোরিয়ার আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রদানের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা বাজারের বৈচিত্র্য বাড়ানো, পণ্য উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ইত্যাদিতে জোর দিচ্ছি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির জন্য আমরা কোরিয়ান কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করছি।
এসময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তিনটি বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন। এগুলো হলো-
প্রথমত, কাঁচামাল আমদানি করতে প্রচুর ট্যারিফ দিতে হয়। তার মধ্যে ৫টি পণ্য বস্ত্র ও পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর ট্যারিফ কমাতে তিনি মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
দ্বিতীয়ত, ভিসা জনিত সমস্যা। বাংলাদেশে যারা কাজ করছেন তাদের খুব স্বল্প সময়ের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। তিন মাস পর পর মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়। এ সমস্যা উত্তরণে মন্ত্রীর সহযোগিতা চান।
তৃতীয়ত, কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ে দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের কনসাল জেয়ং কি কিম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি পুরোপুরি তুলে না দেওয়ার প্রস্তাব
বিভিন্ন ডিজিটাল পরিষেবা খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে চলতি অর্থবছর। তথ্যপ্রযুক্তিতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন (২০২৪-২০২৫) বাজেটে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে কর অব্যাহতি পুরোপুরি তুলে নেওয়ার বিষয়টি এনবিআরকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ।
নতুন বাজেট কেন্দ্র করে রোববার (১২ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব ভবনে অর্থমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীর ওয়াসিকা আয়শা খান এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক এ তিন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি উঠানোর প্রস্তাব বিবেচনা করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী বাজেটের বিভিন্ন দিকে সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান করেছে উভয়পক্ষ। রোববার সকালে আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক হয়।
২০১১ সাল থেকে ২৭টি ডিজিটাল পরিষেবা খাতে কর অব্যাহতি দিয়েছিল সরকার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সে কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হলে তা আবার চার বছরের জন্য বাড়ানো হয়। নতুন কোনো ঘোষণা না এলে চলমান এ কর অব্যাহতির মেয়াদ এ অর্থবছরে শেষ হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো এরই মধ্যে এ অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ নতুন সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার। অর্থমন্ত্রী কর অব্যাহতি পুরোপুরি তুলে না দিয়ে, এ খাতে অল্প অল্প করে করারোপ করা যায় কি না বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশীয় শিল্প যাতে সুরুক্ষা পায় ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে নাগালের মধ্যে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
এনবিআরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন খাত থেকে কর ও ভ্যাট অব্যাহতি তুলে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পাশাপাশি আগামী বাজেটের এর উপযোগিতা ও যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেন।
সূত্র জানায়, আগামী বাজটে কার্বোনেটেড পানীয় বা কোমল পানীয়র ওপরে ন্যূনতম কর ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার বিষয়টি জানানো হয়।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ড্রাফট মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের দিনব্যাপী বৈঠক হবে। এর পরই বাজেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি প্রধানমন্ত্রী সবার কথা মনযোগ দিয়ে শুনেন। খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না হলেও তিনি আমাদেরটাই রাখেন, না হলে বিষয়টা নিয়ে অন্যকিছু করার সুযোগ আছে কী না জানতে চান। আমরা ১৪ মের এর জন্য আমাদের পেপার ও প্রেজেন্টেশন তৈরি করছি।
বৈঠকে উপস্থিত ওই কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী তিন বিভাগের বাজেট প্রস্তাবনা শুনেছেন। তাদের কিছু কোয়ারি ছিল। সিদ্ধান্তের পক্ষে বিপক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। একটা ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে।
সূত্র জানায়, অর্থপ্রতিমন্ত্রী জানতে চান বিদেশ থেকে আমদানি করা চিকিৎসা কিট ও অন্যান্য সামগ্রীতে শুল্কের পরিমাণ বেশি কেনো। তবে তাকে জানানো হয় দেশীয় শিল্পকে সুরুক্ষা দিতে শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতি উঠানো প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি রাসল আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটা মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। এ খাত সবেমাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছে। একটা সম্ভাবনাময় খাত হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) প্রেসিডেন্ট এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি শামীম আহসান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আগামী ৩ বছর কর অব্যাহতি রাখার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, দাবিকৃত তিন বছরের কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষে, ১ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ এর মধ্যে একটি বার্ষিক কর হার প্রবর্তন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদান ১ দশমিক ৯ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
অনলাইনে যাত্রী সুবিধা চার্জ নেবে চার স্থলবন্দর
ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের যাত্রা সহজ ও ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে যাত্রী সুবিধা চার্জ (পোর্ট ট্যাক্স) আদায় করবে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। বেনাপোলসহ বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরের যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে একযোগে আদায় করা হবে।
রবিবার (১২ মে) থেকে ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেই ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে। এর মেয়াদ ইস্যু তারিখ থেকে সাত দিন বলবৎ থাকবে। এর আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর যাত্রী টার্মিনাল থেকে পাসপোর্টধারীদের পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হতো।
এ উপলক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন এটুআই প্রগ্রাম আইসিটি ডিভিশনের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এবং ইন্টিগ্রেটেড স্মার্ট ল্যান্ডপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে একটিমাত্র প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে এ কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বেনাপোল, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরের যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে আদায় করতে একপে, এটুআই কর্তৃক কেন্দ্রীয় (সেন্ট্রাল) ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করা হয়েছে। এ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে যাত্রীদের সুবিধা চার্জ অনলাইনে আদায় করতে হবে। এসব স্থলবন্দরে তা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয় হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। এতে প্রতিবছর বেনাপোল স্থলবন্দরে ভ্রমণ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় এবং পোর্ট ট্যাক্স খাতে আয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা।
যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ৯০ শতাংশই বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে। ভারত যাতায়াতে পাসপোর্টধারীদের বর্তমানে এক হাজার টাকা ভ্রমণ ট্যাক্স এবং ৫৫ টাকা পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে ভ্রমণ ট্যাক্স সোনালী ব্যাংকে বা অনলাইনে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
তবে এই সুযোগ পোর্ট ট্যাক্সের ক্ষেত্রে এত দিন না থাকায় যাত্রীদের স্থলবন্দরে পৌঁছে আবারও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি দালালের হয়রানির শিকার হতো যাত্রীরা।
এ বিষয়ে ভারতগামী আনিছুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধ করার পদ্ধতি করায় আমাদের বেশ উপকার হয়েছে। তা ছাড়া অনলাইনে তাড়াতাড়ি ও স্বচ্ছভাবে হচ্ছে।
খাদিজা আক্তার নামের আরেকজন যাত্রী বলেন, অনলাইনে পোর্ট ট্যাক্স পরিশোধের নিয়ম করায় আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। আগে বাচ্চা কোলে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. রেজাউল করিম জানান, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন লিংক ব্যবহার করে বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রযোজ্য যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে পরিশোধপূর্বক প্রামাণিক হিসেবে মানি রিসিট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রদর্শনের জন্য পাসপোর্টযাত্রীদের অনুরোধ করা হলো। অনলাইনে ইস্যুকৃত মানি রিসিটের মেয়াদ যাত্রার নির্ধারিত তারিখ থেকে সাত দিন বলবৎ থাকবে। এতে যাত্রীদের যাত্রা সহজ হবে ও ভোগান্তি কমে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনতে হবে: সালমান এফ রহমান
যারা ট্যাক্স দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তাদের ওপর আরও বেশি ট্যাক্স চাপিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি মনে করেন, যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনা উচিত।
বৃহস্পতিবার ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।
যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যে সকল দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।
সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।
বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।
ডলারের দাম বাড়ায় দেশে রপ্তানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাত দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পিএইচপি মোটরসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করলো পেরোডুয়া
পিএইচপি গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত পিএইচপি মটরস বিখ্যাত মালয়েশিয়ান অটোমোবাইল ব্র্যান্ড পেরোডুয়ার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করেছে। কোম্পানি দুটি বাংলাদেশে পেরোডুয়ার গাড়ি ও এসইউভি আনবে এবং বাজারে বিক্রি করবে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) চট্টগ্রাম ভিত্তিক অটোমোবাইল কোম্পানিটি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে পেরোডুয়ার চারটি মডেল লঞ্চ করতে চলেছে। পিএইচপি মোটরস প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে স্বনামধন্য মালয়েশিয়ান স্বয়ংচালিত ব্র্যান্ডকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি বৈচিত্র্য ও তাৎপর্যপূর্ণ হবে।
এদিন সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে এমসি’র সুনিপুণ নির্দেশনায় শুরু হয়, যা নাতে রাসুলের একটি আত্মা-আলোড়নকারী পরিবেশনার সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানটি ভিভিআইপি, ভিআইপি, পেরোডুয়া ভিআইপি এবং মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার, হাজনাহ মো. হাশিমসহ বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে সাজানো হয়।
সন্ধ্যায় রয়েছে পেরোডুয়া এআরইউজেড, পেরোডুয়া বেজ্জা, পেরোডুয়া এক্সিয়া এবং পেরোডুয়া এমইউভিআই গাড়িগুলোর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এই মডেলগুলোকে আন্তর্জাতিক স্বয়ংচালিত বাজারের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে সতর্কতার সাথে ডিজাইন করা হয়েছে, যা শৈলী, কর্মক্ষমতা এবং ক্রয়ক্ষমতা একটি নিখুঁত মিশ্রণের মধ্যে।
লঞ্চ হতে যাওয়া পেরোডুয়ার চারটি মডেল
পেরোডুয়া এআরইউজেড: একটি বহুমুখী এসইউভি যা শহুরে রাস্তা এবং রুক্ষ ভূখণ্ড উভয়ই সহজে নেভিগেট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এটি দুঃসাহসী বাংলাদেশী চালকদের জন্য একটি আদর্শ পছন্দ। এআরইউজেড ১৫০০ সিসি ৭-সিটার এসইউভি।
পেরোডুয়া বেজ্জা: একটি কমপ্যাক্ট সেডান যা তার জ্বালানি দক্ষতা এবং প্রশস্ত অভ্যন্তরের জন্য বিখ্যাত। এটি শহরের যাতায়াত এবং দূর-দূরত্বের ভ্রমণের জন্য পুরোপুরি উপযোগী।
পেরোডুয়া এক্সিয়া: একটি কমপ্যাক্ট হ্যাচব্যাক যা অতুলনীয় জ্বালানি দক্ষতা, তত্পরতা এবং ব্যবহারিকতা প্রদান করে, যা এটিকে শহুরে ড্রাইভিং এবং আঁটসাঁট পার্কিং স্পেসগুলোর জন্য নিখুঁত পছন্দ।
পেরোডুয়া এমইউভিআই: একটি আড়ম্বরপূর্ণ এবং স্পোর্টি হ্যাচব্যাক তার নির্ভরযোগ্যতা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি বাংলাদেশী অটোমোটিভ মার্কেটের সেগমেন্টে নতুন মান স্থাপন করেছে।
এসএম