ব্যাংক
একই পরিবারের ৩ জনের বেশি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না

ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের গঠন বিষয়ে নীতিমালা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসাথে পরিচালকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কিত নীতিমালাও প্রকাশ করা হয়েছে। আজ (রবিবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
নতুন এ নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২০ জন এবং স্বতন্ত্র পরিচালক হবে ৩ জন। তবে ২০ জনের নিচে পরিচালক হলে স্বতন্ত্র পরিচালক দুইজনের বেশি হতে পারবেন না। একইসঙ্গে কোনো একক পরিবার হতে তিনজনের বেশি সদস্য পরিচালক হতে পারবে না। আর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর বয়স হতে হবে। আর ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রম যথাযথ ও সুচারূভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত ও পেশাগতভাবে দক্ষ ব্যক্তির সমন্বয়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হওয়া আবশ্যক। ব্যাংকের কর্মকাণ্ড প্রধানত আমানতকারীদের অর্থে পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা করা অপরিহার্য। এ কারণে ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব অপরাপর কোম্পানির তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ব্যাংক-কোম্পানি আইনে বেশি সংশোধনী আনা হয়েছে।
আর এ সংশোধনের ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের গঠন এবং পরিচালকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, যোগ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুনভাবে নীতিমালা প্রণয়নের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।
ব্যাংক খাতে সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে পরিচালনা পর্ষদের গঠন, পরিচালকের দায়িত্ব ও কর্তব্যসহ তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে এ নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা জারি করা হলো।
ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গঠন:
ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারধারক পরিচালক, শেয়ারধারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক এবং স্বতন্ত্র পরিচালক এর সমন্বয়ে গঠিত হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকল্প পরিচালকও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হবেন; পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ২০ জন; পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা ২০ জন হলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা হবে অন্যূতম ৩ জন। পর্ষদের পরিচালক সংখ্যা ২০ জনের কম হলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা হবে অন্যূন ২ জন; কোনো একক পরিবার হতে ৩ জনের অধিক সদস্য একই সময়ে কোনো ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
পরিচালনা পর্ষদের যোগ্যতা:
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অন্যূতম ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; কোনো ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার কোনো কাজের অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে না; সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর হতে হবে; তিনি ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হননি কিংবা কোনো জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বা জড়িত নন; দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ/মন্তব্য নেই; নিজের কিংবা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণের জন্য খেলাপি নন; ব্যক্তিগতভাবে অথবা তার ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের জন্য কর খেলাপী নন; সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানিতে কোনো পদে চাকরিরত থাকলে চাকরি অবসায়নের ৫ বছর অতিক্রম না হলে তিনি পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে পারবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে বড় রদবদল

রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৯ মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
এদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের জিএম রেজাউল করিম, মো. নূরুন নবী ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে একই ব্যাংকের ডিএমডি এবং সোনালী ব্যাংকের জিএম মো. রফিকুল ইসলামকে বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের জিএম রূবানা পারভীনকে একই ব্যাংকের ডিএমডি এবং অগ্রণী ব্যাংকের জিএম জিএম নুরুল হুদাকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ এর ডিএমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের জিএম মো. নজরুল ইসলামকে জনতা ব্যাংকের ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জিএম মোহা. খালেদুজ্জামানকে একই ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়েছে।
এছাড়া, জনতা ব্যাংকের জিএম মো. আশরাফুল আলমকে একই ব্যাংকে ডিএমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষা ও ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমানকে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, বুধবার (৯ এপ্রিল) ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে বলা হয়েছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের দুর্বলতার কারণে মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতিতে পড়তে হয় তাদের। ব্যাংকটির শ্রেণিকৃত বিনিয়োগ ও পুঞ্জীভূত ক্ষতির পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা ও তারল্য সংকট তীব্র হয়েছে।
আর্থিক সংকটের আর পর্ষদের নীতিনির্ধারণে দুর্বলতার কারণে ব্যাংকিং সুশাসন বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনায় আমানতকারীদের স্বার্থ ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে ব্যাংক কম্পানি আইনের অধীন বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরেক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষায় এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমানকে পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন

দেশে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র ‘ইসলামি ব্যাংকিং রেগুলেশন্স অ্যান্ড পলিসি’ বিভাগ গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার তদারকি ও নীতি নির্ধারণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে শরিয়াহভিত্তিক কেন্দ্রীয় বিভাগ গঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। যদিও সেভাবে কেন্দ্রীয় শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি, তবে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম সুসংহত করতে এই নতুন বিভাগ কাজ করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সংক্রান্ত যাবতীয় নীতি ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রম এই বিভাগের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৯, পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ চালু করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসমূহের আওতাধীন ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিসমূহের প্রধান কার্যালয় ও তাদের শাখাসমূহের পরিদর্শন পরবর্তী পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম ‘পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ’-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। আর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ এ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ’-এর মাধ্যমে সম্পাদিত হবে।
এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হবে বলে আশা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রবিবার তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাংক বন্ধ

চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে আগামী রবিবার (১৩ এপ্রিল) তিন পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে সব ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ১৩ এপ্রিল রোববার তিনটি পার্বত্য জেলায় (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর সব শাখা, উপশাখা বন্ধ থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে জানান, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ১৩ এপ্রিল তিন পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ছুটি ঘোষণা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তিনি জানান, পার্বত্য অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তিতে বিজু, বৈষাবী, সাংগ্রাইসহ অনেক উৎসবের আয়োজন করা হয়। তাদের জন্য নির্বাহী আদেশে একটি ছুটির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই ছুটি আমাদের সমতলে যারা জাতিগোষ্ঠী আছেন যেমন- সাঁওতাল, খাসিয়া বা গারো, তাদের জন্যও এই ছুটি প্রযোজ্য হবে।
পরে ২৭ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাহী আদেশে প্রজ্ঞাপন জারি করে তিন পার্বত্য অঞ্চলে ১৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাধ্যতামূলক ছুটিতে ইসলামী ব্যাংকের এমডি

ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে আজ সোমবার থেকে তিন মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে মুনিরুল মওলার অনিয়ম তুলে ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি। চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলমের ঋণ সংক্রান্ত অনিয়মে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কারণে মুনিরুল মওলার বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৩৫৯তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি ওমর ফারুক খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক ব্যাংকার ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলমের মালিকানাধীন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ গঠনের পর অনিয়ম খুঁজতে চারটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়।
ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এসব নিরীক্ষায় এস আলম–সংশ্লিষ্ট প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার ঋণে অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এতে এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমডিকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী তাঁকে যেন অপসারণ করে, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তাঁর অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে চিঠি দেবে ইসলামী ব্যাংক। সাধারণত ব্যাংকের এমডিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক উদ্যোগী হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিচ্ছে।
ইসলামী ব্যাংক তদারকিতে যুক্ত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এস আলম পালিয়ে গেলেও এমডি বহাল তবিয়তে ছিলেন। এটি ব্যাংকটির কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না। এ জন্য পর্ষদ বাধ্য হয়ে এমডিকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য এমডিকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না।