অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সঞ্চয়ী হিসাবে এগিয়ে নারীরা, ঋণে পুরুষ
দেশের ব্যাংকিং খাতে আলাদা মাত্রা যোগ করা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খোলায় নারীরা পুরুষের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। গত নভেম্বর পর্যন্ত এজেন্টদের কাছে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সঞ্চয়ী হিসাব খোলা বেড়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৩টি। একইসময়ে পুরুষেরা নারীদের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বেশি হিসাব খুলে ঋণ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য মতে, ২০২৩ সালের নভেম্বর নাগাদ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের জন্য খোলা হিসাবের সংখ্যা দুই কোটি ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৭টি। এর মধ্যে পুরুষের হিসাব রয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৯৫ হাজার ২৯৭টি। আর নারীর আমানত অ্যাকাউন্ট নম্বর এক কোটি পাঁচ লাখ তিন হাজার ৮৫০টি। পুরুষের চেয়ে নারীর আমানত হিসাব এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৩টি বেশি।
বাড়ির কাছে লেনদেন সুবিধা থাকায় নারীরা হিসাব খুলে সঞ্চয় করতে পারছেন। এজন্য পুরুষের তুলনায় নারীদের আমানতের অ্যাকাউন্ট বেশি। অপরদিকে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন এমন পুরুষের সংখ্যাও বেশি।
ঋণ নেওয়া হিসাবের তথ্য বলছে নারীর তুলনায় পুরুষরা ৪১ হাজার ৫০২টি বেশি, এক লাখ ২৩ হাজার ৯০৯টি অ্যাকাউন্ট খুলে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নিয়েছে। অন্যদিকে নারীরা এক তৃতীয়াংশ কম অর্থাৎ নারী ৮২ হাজার ২০৭টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ নিয়েছে।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অর্থ হলো, একটি বৈধ এজেন্সি চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দেওয়া। নিজস্ব বিক্রয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এমন ব্যক্তি বা এনজিও এজেন্ট হন এবং কোনো ব্যাংকের হয়ে গ্রাহকদের আর্থিক সেবা দিয়ে থাকেন।
দেশের দুর্গম, পাহাড়ি, প্রত্যন্ত ও কম ঘনবসতি এলাকা যেখানে ব্যাংকিং সুবিধা এখনো পৌঁছায়নি কিংবা যেখানে ব্যাংকের শাখা খুললেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ার মতো গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সবল হয়ে উঠছে, এমন মানুষের এজেন্টের মাধ্যমে সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ৩০ হাজার কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি
আজারবাইজানে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে শেষ পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি ডলার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। এই চুক্তি ২০৩৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। দুই সপ্তাহের দর-কষাকষির পর বাকুতে কপ ২৯ এর প্রতিনিধিরা শনিবার সমঝোতায় পৌঁছান। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও অভিযোজন ব্যয় বাবদ উচ্চ কার্বন নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলো বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের আশ্বাস দিয়েছে। যদিও এই অর্থ উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। চুক্তিতে বার্ষিক এক দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বিস্তৃত জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্য অর্জনের কথাও রাখা হয়েছে।
এরমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি দুই তহবিলই থাকছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ মোকাবিলার জন্য এই অর্থ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। কপ ২৯ এর আসর শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু তহবিল নিয়ে ২০০ দেশ সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় সময় আরো বাড়ানো হয়। এক পর্যায়ে উন্নয়নশীল ও দ্বীপদেশগুলোর প্রতিনিধিরা হতাশা ব্যক্ত করে সম্মেলন থেকে ওয়াকআউট করেন৷ জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশগুলো চুক্তি দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এর আগের চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু অর্থায়নে দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উন্নত দেশগুলো। তবে তা দুই বছর পর ২০২২ সালে গিয়ে বাস্তবায়িত হয়। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে। নতুন সমঝোতায় তহবিলের অঙ্ক বাড়লেও তা যথেষ্ট নয় বলে সমালোচনা করেছে উন্নয়নশীল দেশগুলো। জাতিসংঘের জলবায়ু প্রধান সায়মন স্টিল এই চুক্তিকে মানবতার বীমা বলে অভিহিত করেছে।
তিনি বলেন, এই যাত্রা কঠিন হলেও আমরা একটি চুক্তি সরবরাহ করতে পেরেছি। তার আশা চুক্তির মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির বিকাশ এবং শতাধিক মানুষের জীবন রক্ষা পাবে। নতুন কর্মসংস্থান, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি এবং সবার জন্য সস্তা ও পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির দুয়ার উন্মোচন হবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
তবে বলেছেন, যেকোনো বিমা পলিসির মতই এটা তখনই কাজ করবে যদি প্রিমিয়াম সবটা এবং সময়মত পরিশোধ করা হয়। অল্প কয়েকজনের প্রতিরোধ জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, এটা ঠিক যে কারো কারো প্রতিরোধের কারণে আজকে রাতের এই চুক্তিটি যথেষ্ট হয়নি। যারা এখানে অগ্রযাত্রা থামাতে, জলবায়ু ন্যায্যতাকে রুখতে এবং আমাদের জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে এসেছিলেন তারা খুবই বাজেভাবে হেরে গেছেন। ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে তারা ত্যাগ করেননি বলে জানান বেয়ারবক। তার মতে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি ডলারের চুক্তিটি কেবল সূচনা।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ঐতিহাসিক দায় কেউ ভুলে যায়নি৷ তরুণ প্রজন্মের সদস্য হিসেবে এটা পরিষ্কার: আমরা অতীতের সমাধান দিয়ে ভবিষ্যতের জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবো না৷ আমরা জানি আজকে শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত দিয়ে সব প্রয়োজন মেটানো যাবে না৷ উন্নয়নশীল দেশগুলোর হতাশা প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ নিয়ে সবাই খুশি নয়।
ভারতের প্রতিনিধি চাঁদনি রায়না বলেছেন, এশিয়ান দেশগুলো এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, আমরা এই ফলাফলে হতাশ৷ কারণ উন্নত দেশের দলগুলো স্পষ্টতই তাদের দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি দুঃখের সাথে বলতে চাই এই নথিটি একটি বিভ্রম ছাড়া আর কিছু না। আমরা যে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি তার সমাধান এটি করবে না। তাই, এই নথি গ্রহণে বিরোধিতা করছি আমরা।
অন্যদিকে, দ্বীপদেশ মালাওয়ির কূটনীতিক এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোট এলডিসির প্রধান বলেছেন, আমরা কী আশা করছি তা পাওয়া এখানে লক্ষ্য নয়। কয়েক বছরের আলোচনার পর আমরা আর এই নিয়ে উচ্চাভিলাষী নই। নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু কমিশনার ভপকে হুকস্ট্রা মনে করেন, তহবিলের অঙ্ক ট্রিলিয়ন ডলার না হলেও তা প্রথম পদক্ষেপ মেটানোর মতো।
তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই তহবিল এবং কাঠামো দিয়ে এক দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলারের (লক্ষ্যমাত্রায়) পৌঁছাতে পারবো। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আশা করছেন, এই চুক্তি মেনে আরো বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, আমি আরো উচ্চাভিলাষী ফলাফল আশা করেছি। …কিন্তু এই চুক্তিটি নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর দিয়েছে। এটি অবশ্যই সম্পূর্ণ এবং সময়মতো বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত নগদায়ন করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৬ সাংবাদিকসহ ২৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
দেশের ২৬ সাংবাদিকসহ ২৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুটি পৃথক চিঠির মাধ্যমে তলবের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম চিঠি অনুযায়ী যাদের হিসাব তলব করা হয়েছে তারা হলেন— দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জী।
হিসাব তলব করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের লেনদেন আগামী ৩০ দিন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
অপর চিঠি অনুযায়ী তলব করা ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ঢাকা ট্রিবিউন ও নিউইয়র্ক টাইমস বাংলাদেশ প্রতিনিধি জুলফিকার আলি মানিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দ্য ডেইলি অবজারবারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের সাবেক ডিরেক্টর মো. শহীদুল আহসান চেয়ারম্যান, ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক রাহনুমা আহসান, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন (প্রভাষ), ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক মাহবুবা হেলেন, ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক শাহ মোহাম্মদ শফিকুল আহছান, ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন চৌধুরি, একাত্তর টিভির কাউন্সেলর মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মেয়ে সাবরিনা মাহজাবীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ -এর ২৩(১) (গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সূচনা ফাউন্ডেশনের পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হলো। প্রয়োজনে এটি বাড়ানো হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে পরিচালিত সব হিসাবের হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, শুরু হতে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) সংযোজিত এক্সেল শিট আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এ ইউনিটে পাঠানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নির্দেশনার আওতায় লেনদেন স্থগিত করা হিসাবগুলোর ক্ষেত্রে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ -এর বিধি ২৬(২) প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুতুল, মুজহারুল মান্নান এবং জয়ন বারী রিজভী এ ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি। সূচনা ফাউন্ডেশন মানসিক অক্ষমতা, স্নায়বিক অক্ষমতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করতে কাজ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
দশ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে বিএফআইইউ।
হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিরা হলেন- দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জী।
হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের লেনদেন আগামী ৩০ দিন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আলোচিত ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে, তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা
দেশে চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে বৈধপথে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে)। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ২৩ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৪ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৫ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাসে দেশে ৮৯৩ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৮৭ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।