জাতীয়
দ্বাদশ সংসদে আরও ১২ স্থায়ী কমিটি গঠন

জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের ৫ম দিনে আরো ১২টি কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে- সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর মধ্যে কার্যপ্রণালি বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে হওয়া অধিবেশনে কমিটিগুলো গঠিত হয়।
গত রবিবার ১২টি, সোমবার ১৬টি ও মঙ্গলবার ১০টি কমিটি গঠিত হয়। অর্থাৎ চার দিনে জাতীয় সংসদের ৫০টি স্থায়ী কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। কমিটিতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে একজন ও স্বতন্ত্র থেকে একজন স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম আবদুল মোমেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শরীফ আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বাহাদুর উষে শিং, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং বেসরকারি সদস্যদের বিল ও বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম হয়েছেন।

জাতীয়
সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্লাবের গেস্ট হাউজের একটি কক্ষে তার মরদেহ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। এরপর সেখানে যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, রাতে তিনি একটি বিয়ের দাওয়াতে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ক্লাবের গেস্ট হাউজের ৩০৮ নম্বর কক্ষে রাত্রীযাপন করেন। সকালে তার একটা মিটিং ছিল। তার মোবাইলে বার বার কল দেওয়া হলেও তিনি রেসপন্স করছিলেন না। এরপর দরজায় নক করে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে বারান্দার গ্লাসের দরজা ভেঙে বিছানায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, আপাতত তার মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা এবং ক্রাইম সিন ইউনিটসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। পরিবারের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। এরপর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে হারুন-অর-রশীদের মরদেহ সেনাবাহিনীর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে কি না সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হারুন-অর-রশীদ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ধলই এলাকার বাসিন্দা। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন প্রতিবেশী মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ওনার মধ্যে কোনো অহঙ্কার ছিল না। সেনাপ্রধান থেকে তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত ছিলেন।
হারুন-অর-রশীদের নিকটাত্মীয় মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নজিবুন্নাহার বলেন, যতটুকু মনে হয়ে স্ট্রোকে ওনার মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি ওনার চোখ দান করতে ইচ্ছুক ছিলেন।
কাফি
জাতীয়
সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ মারা গেছেন

সাবেক সেনা প্রধান হারুন অর রশিদ চট্টগ্রামে মারা গেছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি কক্ষে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, একটি মামলার কাজে রোববার তিনি চট্টগ্রাম যান। এরপর উঠেন চট্টগ্রাম ক্লাবে। রাতে ঘুমানোর পর সোমবার দুপুর পর্যন্ত তিনি বের না হওয়ায়, অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে মৃত পড়ে থাকতে দেখেন স্টাফরা। এরপর খবর দেয়া হয় পুলিশকে।
তিনি কিভাবে মারা গেলেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হারুন অর রশিদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেনা প্রধান ছাড়াও ছিলেন রাষ্ট্রদূত।
জাতীয়
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতে হবে। তাই নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৫ আগস্ট ঘিরে শঙ্কার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩ আগস্টকে কেন্দ্র করেও আতঙ্ক ছিল। আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা নেই। তবে, সতর্কতা সব সময় থাকে। আমরাও সতর্ক অবস্থানে আছি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার সময় যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল তা ক্রমান্বয়ে উন্নতি হয়েছে। আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নতি এখনও হয়নি। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে কি না সেটা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে কে অংশ নেবে বা নেবে না, তা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি বলেন, সব দলকেই প্রটেকশন দেওয়া হচ্ছে। যারা বেশি ভার্নারেবল তাদের বেশি দেওয়া হচ্ছে, যারা কম তাদের কম দেওয়া হচ্ছে। কারা কেমন ভার্নারেবল তা বিভিন্ন এজেন্সি ঠিক করে।
জাতীয়
রাজধানীতে সাড়ে ৫ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রাজধানীর চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় রেকি কার্যক্রম চালিয়ে ৫ হাজার ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
পাশাপাশি সুপারশপ ও দোকান মালিকদের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে সতর্ক করা হয়।
খুলনা ও সিরাজগঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
রবিবার (৩ আগস্ট) তথ্য অধিদপ্তর পাঠানো এক বিবরণীতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘন করায় দুটি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
টাঙ্গাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে একটি অবৈধ সিসা ব্যাটারির কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগরের পশ্চিম আগারগাঁও ও রমনায় নির্মাণসামগ্রীর মাধ্যমে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জাতীয়
৮ জন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল

আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করেছে সরকার। রোববার (৩ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরে তা গেজেটে প্রকাশিত হয়।
কেন তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিহতের পরিবার ও স্বজনরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিহতদের জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় এটা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের মো. খলিলুর রহমান তালুকদার (গেজেট নম্বর ২২৯), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪), নরসিংদীর জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), ঢাকার দৌলতখানের শাহ জামান (গেজেট নম্বর ৬১১), সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬), নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), পটুয়াখালীর বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) এবং শরীয়তপুরের বাঁধনের (গেজেট নম্বর ৮৩৬) জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী এই আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’র স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
সরকার দুই দফায় গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামের গেজেট প্রকাশ করে। শহীদদের নামের সঙ্গে গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, পিতা-মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জেলা ও বিভাগ প্রকাশ করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং তাদের পুনর্বাসনে কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।