জাতীয়
ভারতের আরও তিন রুটে বাস চালাবে বিআরটিসি
বর্তমানে বাংলাদেশে থেকে পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাস। এর বাইরে নতুন আরও তিনটি আন্তর্জাতিক রুটে বাস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের এই পরিবহন সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভারতের দুইটি প্রদেশে যাত্রী পরিবহন করবে বিআরটিসির লাল-সবুজ বাস।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে ‘রিপোটার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড’ এর সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিগগিরই নতুন তিনটি আন্তর্জাতিক রুটে বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। এই রুটগুলো হচ্ছে ঢাকা-শিলিগুড়ি-ঢাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা-কলকাতা ও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-আগরতলা। বর্তমানে পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল করে। সেগুলো হচ্ছে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-শিলং-গৌহাটি-ঢাকা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা ও ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা।
তিনি আরও বলেন, এর বাইরে ২০৮টি স্থানীয় রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল করছে। কর্পোরেশনের মোট এক হাজার ৩৫০টি বাস রয়েছে। ট্রাক রয়েছে ৫০৫টি। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় চারটি রুটে শাটল বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। কুড়িল বিশ্বরোড, ফার্মগেট (খেজুর বাগান), নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে বাণিজ্য মেলার জন্য প্রায় দেড়শ বাস চলাচল করছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, উত্তরা থেকে দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল স্টেশন পর্যন্ত বিআরটিসির শাটল বাসে র্যাপিড পাস চালু আছে। র্যাপিড পাসের এই সেবা আরও বাড়াতে চাচ্ছি। এখন রুট ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আরও অন্তত দুইটি রুটে এই সেবা চালু করতে পারব। যাত্রীদের সেবা সহজ ও আধুনিক করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। র্যাপিড পাস হলো, একটি স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা; বর্তমানে যা ঢাকা মেট্রোরেলের যাত্রীরা ব্যবহার করছেন।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বংশাল থেকে হাজী সেলিম আটক
রাজধানীর বংশাল থেকে ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার পর রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। মধ্যরাতে তাকে বংশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হাজি সেলিমকে গ্রেফতারের পর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সেখানেই রাতে থাকবেন। সোমবার তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাজী সেলিমের প্রভাব কেবল বেড়েছেই। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানেরও মালিক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে বিদায়ও দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি। তবে আজ রাতের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। নীতিনির্ধারকদের তরফে এমন সবুজ সংকেত পেয়েই সচিবকে বিদায় দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের ২৬তম পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী তার ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২২ সালের নভেম্বরে চুক্তিতে আরও দুই বছর তাকে একই পদে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাকে দুই বছরের জন্য জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
সব সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তবে কতদিনের মধ্যে কীভাবে হিসাব জমা দিতে হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। কী পদ্ধতিতে কীভাবে জমা দেবে সে বিষয়ে আমরা ফরম্যাট রেডি করে দেব।
জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু হয় ১৯৭৯ সালে। দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। পাঁচ বছর পরপর এসব সরকারি কর্মচারীর নিজ সম্পদ বিবরণী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু চাকরির সেই আচরণবিধি তেমন কেউই মানছেন না। কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থারও হিসাব নেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেখা যায় না।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বন্যা তহবিলে আর টাকা না পাঠানোর অনুরোধ শায়খ আহমাদুল্লাহর
দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বড় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। বন্যার্তদের জন্য তিন ধাপে ত্রাণ বিতরণ ও বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য এ বছর সর্বমোট ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তবে বন্যকবলিতদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের টাকা সংগ্রহ শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। এর পর থেকে এই তহবিলে আর টাকা না পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শায়খ আহমাদুল্লাহ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বন্যা তহবিলে অনুদান পাঠানোর শেষ সময় আগামী মঙ্গলবার রাত ১২টা। এরপর বন্যা তহবিলে টাকা না পাঠানোর জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর কেউ টাকা পাঠালে সেটা পরবর্তী বন্যা-দুর্যোগে ব্যয় করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামিক এই স্কলার জানিয়েছিলেন, বন্যার্তদের জন্য আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে অনুদান ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতের সাথে হওয়া সমঝোতা পুনর্বিবেচনা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে করা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এমওইউগুলো পুনর্বিবেচনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।’
আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ এমওইউ বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমওইউ চূড়ান্ত চুক্তি না। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না সেটি তো আমারা দেখতেই পারি। সে অনুযায়ী স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার আমরা করব।
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলে দিতে হবে বলে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, ফেরত চাইলে দিতে হবে সেটি আমি মিন করিনি। আমি বলেছি, যদি লিগ্যাল প্রশ্ন আসে আমরা তো ফেরত চাইতেই পারি। যদি আইন আদালত আমাদের বলে তাকে ফেরত আনার জন্য তখন সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।
দিতেই হবে এমন কোনো বিষয় আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারত ফেরত দেবে কি না সেটা তাদের বিষয়। চুক্তি আছে আমাদের। চাইলে দিতে পারার কথা। এখানে লিগ্যাল প্রসেস থাকে। আমি জানি না সেটা কীভাবে হবে। যদি লিগ্যাল সিস্টেম চায় তাকে ফেরত আনতে হবে তাহলে অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থানের স্ট্যাটাসটা কী, তিনি কী হিসেবে থাকছেন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা বরং ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন। লাল পাসপোর্ট অটোম্যাটিকালি বাতিল হয়েছে। এটা ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন কী স্ট্যাটাসে তিনি সেখানে আছেন।
আমাদের এখানে ভারতের যেসব প্রকল্প সেগুলো এখন পড়ে আছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর কিন্তু একটু ক্যাওয়াজ থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবকিছু নরমাল হলে তারা নিরাপত্তা বোধ করবেন এবং তারাও আসবেন। কারণ চলমান প্রকল্পগুলো তো আমাদের শেষ করতে হবে।
ভারতবিরোধী মনোভাবে এক ধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে, যারা এখানে কাজ করেন তারা আতঙ্কের মধ্যে আছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছেন সেটি বলি, আতঙ্ক না বলি। সেই ভীতি থেকে আশা করি তারা বেড়িয়ে আসতে পারবেন।
মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সেটেলমেন্ট হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারে তো অভ্যন্তরীণ সেটেলমেন্টই হচ্ছে না, সেখানে আমাদের আমরা এখনই কেন প্রত্যাশা করব।
কাফি