অর্থনীতি
শিল্পনীতি যুগোপযোগীকরণে মন্ত্রণালয়কে এফবিসিসিআই’র তাগিদ

শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান শিল্পনীতি সমূহের যুগোপযোগীকরণে শিল্প মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। একইসাথে বিসিক শিল্পনগরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, ব্যবসার ব্যয় কমিয়ে আনতে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থিত বিএসটিআই’র ল্যাবরেটরিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরীক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতেও আহ্বান করা হয়।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুবুল আলম বলেন, উপযুক্ত শিল্পনীতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, পণ্য উন্নয়ন ও মূল্য সংযোজন, মেধা সম্পদের অধিকার সংরক্ষণ, খাতভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরি, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও গবেষণা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
ব্যবসায় ব্যয় হ্রাসে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে বিএসটিআই’র ল্যাবরেটরিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রযুক্তির ঘাটতি থাকায় ব্যবসার ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে। প্রধান সমুদ্র বন্দরটিতে দ্রুত আধুনিক পরীক্ষণ যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি স্থাপন করা গেলে সেখানে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে ব্যবসার ব্যয় কিছুটা কমে আসবে।
মাহবুবুল আলম বলেন, চামড়া শিল্পের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সাভারে চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিপূর্ণ প্রস্তুতি না নিয়ে চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তর করায় এই খাতের উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) সম্পূর্ণ সুফল না পাওয়া, কঠিন বর্জ্য এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট (লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিবেশগত সনদ) পাচ্ছে না সাভার চামড়া শিল্পনগরী। যা চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের বিকাশে অন্যতম বাধা। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এছাড়া কাঁচা চামড়ার গুণগত মান রক্ষায় কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন, চামড়ার বাই-প্রডাক্ট উৎপাদনসহ এই খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকার কর্তৃক রুগ্ণ শিল্পের হালনাগাদ তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাহবুবুল আলম জানান, এফবিসিসিআই থেকে তার অধিভুক্ত সকল এসোসিয়েশন ও চেম্বারকে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে রুগ্ণ শিল্পের হালনাগাদ তালিকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সিক ইন্ডাস্ট্রি অ্যাক্ট -এর খসড়া প্রণয়ন করে ইতিপূর্বে শিল্প মন্ত্রণালয় ও সরকারের নিকট জমা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এসময় এফবিসিসিআই সভাপতির কথা গুরুত্বসহকারে শুনেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বর্তমান সরকার দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে এফবিসিসিআই’র সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে বিএসটিআই -এর ভবনের নির্মাণকাজ অনেকদূর এগিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে খুব শীঘ্রই চট্টগ্রাম বন্দরে বিএসটিআই’র আধুনিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই

অর্থনীতি
টানা ১০ দিন বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ থেকে ১০ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এসময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ১৫ জুন সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ১০ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে ১৫ জুন সকাল থেকে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থনীতি
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন কোটি টাকা টোল আদায়

ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণও। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর বিপরীতে সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৪৯ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৮৪৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ২১ হাজার ৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ টাকা।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে জট নেই। যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর ওপর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুইটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত অংশটি সার্বক্ষণিক সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
অর্থনীতি
তিন দিনে রেমিট্যান্স এলো ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা

চলতি জুন মাসের প্রথম তিন দিনে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকার বেশি। বড় অঙ্কের এই রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং ঈদের বাজারকে করেছে চাঙা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদুল আজহা সামনে রেখে সাধারণত গরু, ছাগল ও অন্যান্য কোরবানির পশু কেনা, নতুন পোশাক, উপহার এবং পারিবারিক ব্যয়ের জন্য প্রবাসীরা দেশে বেশি বেশি অর্থ পাঠান। এই সময় রেমিট্যান্স প্রবাহে সাধারণত ঊর্ধ্বগতি দেখা যায় এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ শুধু প্রবাসী পরিবারের আয় বাড়ায় না, বরং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোরবানির ঈদের সময় গ্রামীণ অর্থনীতি যেমন চাঙা হয়, তেমনি নগদ অর্থের প্রবাহ বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনে।
এদিকে, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করছে। ডিজিটাল চ্যানেলে অর্থ পাঠানো সহজ হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই হুন্ডি এড়িয়ে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছেন।
এর আগে গেল মে মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক প্রবাসী আয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৫৩১ কোটি টাকারও বেশি।
২০২৪ সালের মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২৫ কোটি ডলার, অর্থাৎ এক বছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩২ শতাংশ। এর আগে, চলতি বছর ঈদুল ফিতরের সময় মার্চ মাসে এসেছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ঈদ কেন্দ্রিক খরচ ও প্রবাসীদের দেশে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ঊর্ধ্বগতি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল এবং আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২৯৭ কোটি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৮ মাস দুই বিলিয়ন এবং মার্চে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন ৩ পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৮১১ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরে একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল দুই হাজার ১৬৬ কোটি মার্কিন ডলার।
অর্থনীতি
৯ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনছে সরকার

আন্তর্জাতিক দরপত্র (কোটেশন) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের তিন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। দেশের জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বরের (ছয় মাস) জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তিনটি প্যাকেজে এ তেল আমদানি করা হবে। প্যাকেজ বি- পেট্রোচিনা ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড, প্যাকেজ সিতে- ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড এবং প্যাকেজ ডিতে সিনোচেম আন্তর্জাতিক তেল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড সিঙ্গাপুর। এতে মোট ব্যয় হযে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি টু জুন সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশন (বিপিসি)’র ২০২৫ সালের পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব গত বছরের ২৪ অক্টোবর সিসিইএ বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মেয়াদি চুক্তির আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে নেগোসিয়েশন করা চীনের দুটি এবং ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ওমানের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য ১৪ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
এই জ্বালানি তেলের মূল্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ৯৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩২ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে সভায় এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিয়েছে।
এরমধ্যে গ্যাস অয়েল ৮ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, জেট এ-১: ১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ৭৫ হাজার মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন কেনা হবে।
কাফি
অর্থনীতি
১৭২ কোটি টাকায় পুলিশের জন্য কেনা হবে গাড়ি

বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ১৭২ কোটি টাকা।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম)-এর মাধ্যমে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ এর কাছ থেকে এই গাড়ি কিনতে খরচ হবে ১৭২ কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে আমরা কতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরমধ্যে ধারাবাহিকভাবে এলএনজি আনা যাতে জ্বালানির বিষয়ে আমরা সেভ থাকি।
তিনি বলেন, বৈঠকে শস্য গুদামজাত করার জন্য সাইলো নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অনেকগুলো গাড়ি ডেমেজ হয়েছে। এজন্য গাড়ি কেনার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। একইসঙ্গে পুলিশের জন্য ঢাকার কাছাকাছি আমরা একটা বিশেষ স্থান করেছি। তারা সেখানে হাউজিং কমপ্লেক্স করবে।
এছাড়া বৈঠকে এমওপি, টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের কিছু লাইট হাউজ আছে সেগুলো চর কুকড়িমুকড়ি মতো বিভিন্ন জায়গায় করার জন্য অনুমোদন দিয়েছি। জলযান ও সেলভেজ ভেইক্যাল এর মতো একটা জাহাজ রিপেয়ার করবে সেটার জন্য টাকা অনুমোদন করেছি।