জাতীয়
ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশি রাখতে চাই না: অর্থমন্ত্রী
ইউরোপে কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে রাখতে চাই না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে যারা যাবেন কিংবা বাস করতে চান, বৈধভাবে যদি সেখানে বাস করার সুযোগ থাকে, তাহলে ইউরোপ তাদের গ্রহণ করবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গেও কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন হোয়াইটলি। তিনি কী সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করতে চান? উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘নাহ, সুনির্দিষ্ট করে বলেননি। তবে এটার একটা পিলার দিয়েছেন তিনি।’
ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিবরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মঙ্গোলিয়ায় একটা কনফারেন্স হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে অনেক অবৈধ অভিবাসী আছেন, তাদের নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। তাদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কর্মকর্তাকে আমি বলেছিলাম যে, আমরা এটার সমাধান করতে চাই। আমরা চাই না, আমাদের কোনো লোক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বেআইনিভাবে থাকবে।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে যারা যাবেন কিংবা বাস করতে চান, বৈধভাবে যদি সেখানে বাস করার সুযোগ থাকে, তাহলে ইউরোপ তাদের গ্রহণ করবে। না হলে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করবো। আমরা কোনো বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ইউরোপে রাখতে চাই না’ বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এতে (অবৈধভাবে থাকলে) তো কোনো মান সম্মান থাকবে না। অভিবাসীরা কাজও করতে পারবে না ঠিকমতো। কাজেই তাদের একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশিরা ইউরোপে অবৈধভাবে বাস করুক, সেটা আমরা চাই না, তা তারা বুঝে গিয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের জন্য কোনো সমস্যাই তৈরি করতে চাই না। তারা একটা কথা বললো, ইতালি থেকে বছরে এক বিলিয়ন ডলার এসেছে। এটা তাদের তথ্য। আমি তাতে খুশি হলাম। তারা বলেছেন, ইতালিতে বাংলাদেশিদের অনেক চাহিদা। বাংলাদেশিরা যেসব ক্ষেত্রে কাজ করতে চায়, তারা খুব ভালোভাবে কাজ করে, এটা ইতালীয়রা দেখেছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইতালি তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতালির মতো দেশে এখন বাংলাদেশিরা যে সুনাম অর্জন করেছে। এটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে জন্য আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে একটা বিরাট বাজার আছে। রপ্তানি বাজার, অভিবাসী পাঠানো এবং সেখানে বাংলাদেশির কাজের সুনাম যেভাবে বেড়েছে, তো সবগুলো আমাদের পক্ষে যাচ্ছে। কীভাবে এটাকে আরও উন্নত করা যায়, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক আরও বাড়ানো যায়, সেটা দেখতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চামড়া শিল্পে মান মাত্রায় কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, চামড়া শিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। এছাড়াও চামড়া শিল্প লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হাই-লেভেল ডায়লগ ফর গ্রিনিং দ্যা ট্যানারি এন্ড লেদার সেক্টর’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নদী মারা গেলে এ ক্ষতি কোনও কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়। পানিতে বিওডি ৩০ এর মধ্যে থাকতে হয়, ধলেশ্বরীর পানিতে আছে চার গুণের বেশি। হেভি মেটাল ২ গুণের বেশি। এতে মানুষের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসকল ক্ষতির দায় কে নেবে? ব্লেম গেম করা যাবে না। সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধান করতে হবে। যাত্রা নতুনভাবে করতে হবে। ভুল থেকে শিখতে হবে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই রোল মডেল, চামড়া শিল্পেও রোল মডেল হতে চাই। অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করা আমাদের অগ্রাধিকার। এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা; ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ড. ফাহমিদা খানম; ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর এবং যৌথ নদী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড আইনুন নিশাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড মিশাল ক্রেজা বক্তব্য রাখেন।
এই সংলাপে ট্যানারি ও চামড়া খাতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, পরিবেশবিদ এবং সরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং খাতটিকে আরও পরিবেশবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেশ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জ্বালানি সাশ্রয়ী ভবন নির্মাণ সময়ের দাবি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী গ্রিন ভবন নির্মাণ করা সময়ের দাবি। সবক্ষেত্রে জ্বালানি সাশ্রয়ের সঙ্গে সাথে ভবনকেও জ্বালানি সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে প্রকৃতির মাঝেই আমাদের বাঁচতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৬০ দশকেই আমাদের আর্কিটেক্টরা জলবায়ু পরিবর্তনকে মাথায় রেখে ভবন নির্মাণ করেছেন। আমাদের খাতের ভবনগুলো দেশের কথা মনে রেখে, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সমন্বয় করেই করা হচ্ছে এবং হবে। গ্রিন ভবন নির্মাণ কার্যক্রম যত বাড়বে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তত দ্রুত সৃষ্টি হবে, যা পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের দিকে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
আইএবির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, নেসকোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মাসুম আহমেদ চৌধুরী ও নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব আবদুর রহমান
অর্থবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান খানকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পদায়ন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগামী ১৯ মে থেকে তার এ পদায়ন কার্যকর হবে। মো. আবদুর রহমান খান অর্থ বিভাগের অ্যাডমিন এবং ট্রেজারি অ্যান্ড ডেট ম্যানেজমেন্ট উইং-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বর্তমান সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ ১৯ মে অবসরোত্তর ছুটিতে যাবেন।
এদিকে আজ (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।
প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যেন একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন এনইসি সভায় সে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে হবে।’
সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই নেওয়া হয়। আগের মতো সুতা লাগানো (শর্ত দেওয়া) ঋণ নেওয়া হয় না। ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে- এসব থাকলে আমরা সে ঋণ নেই না।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এনইসি সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টেছে, বিশ্বাস জন্মেছে। তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে। উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ, এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোটগ্রহণে পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে, সেটা ফিরে তাকানোর আর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সকল বিতর্ক, সমালোচনা পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোটগ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। এবার থেকে ভোটগ্রহণে উপজেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটারদের বাধা দেবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন। আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি, নির্বাচন বানচাল করতে সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় অন্যদের মধ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক ছাড়াও পুলিশ সুপাররা বক্তব্য রাখেন।
এমআই