জাতীয়
সংসদের ১২ স্থায়ী কমিটি গঠন, সদস্য হলেন যারা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১২টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি সংসদ সম্পর্কিত এবং বাকি ছয়টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে কার্যউপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এবারও নিজ হাতে ৫০টি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের নাম লিখে জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটি গঠন করে চমক সৃষ্টি করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ হাতে লেখা কমিটির নামের খাতাটি সংসদের আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কিমিটির সভাপতি- স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪৪), শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (বগুড়া-৪)।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য- আহম মুস্তাফা কামাল (কুমিল্লা-১), মোস্তাফিজুর রহমান (দিনাজপুর-৫), কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), ফয়জুর রহমান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), জাহিদ মালেক (মানিকগঞ্জ-৩), সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নওগাঁ-৩), নূর মোহাম্মদ (জামালপুর-১), আখতারউজ্জামান (গাজীপুর-৫) এবং এস এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১)।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি- আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-৫), মোরশেদ আলম (নেয়াখালী-২), আশরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোনা-২), সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম (কক্সবাজার-১), আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (ফেনী-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নাটোর-৪) ও আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংহী-২)।
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি- ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), সদস্য- নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), সালমান ফজলুর রহমান (ঢাকা-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), রশীদুজ্জামান (খুলনা-৪), মো. নজরুল ইসলাম (নরসিংদী-১), প্রাণ গোপাল দত্ত (কুমিল্লা-৭), আব্দুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫) ও শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬)।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: মোহাম্মদ সাদিক (সুনামগঞ্জ- ৪), সদস্য- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), বীরেন সিদকার (মাগুরা-২), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ-২), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), শাহদাব আকবর (ফরিদপুর-২), আসাদুজ্জামান আসাদ (রাজশাহী-৩) ও শাহ সারোয়ার কবীর (গাইবান্ধা-২)।
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি: মহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), সদস্য- মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), রফিকুল ইসলাম (চাদঁপুর-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), শফিকুর রহমান (চাদঁপুর-৪), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১) ও কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১)।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), সদস্য- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), আনোয়ারুল আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪), আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২), আব্দুল মোমিন মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), ওয়াকিল উদ্দিন (ঢাকা-১১), খান আহমেদ শুভ (টাঙ্গাইল-৭), রাগিবুল আহসান রিপু (বগুড়া-৬) ও মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (ঝিনাইদহ-২)।
বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪), সদস্য: ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), আশেকুল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), আনোয়ার হোসেন খান (লক্ষ্মীপুর-১), শেখ তন্ময় (বাগেরহাট-২), মহিউদ্দিন বাচ্চু (চট্টগ্রাম-১০), মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (মৌলভীবাজার-৩) ও খসরু চৌধুরী (ঢাকা-১৯)।
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি: আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠী-২)। সদস্য হিসেবে রয়েছেন- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী (নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এবিএম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (ময়মনসিংহ-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি: শাজাহান খান (মাদারীপুর-২)। সদস্য: ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন- র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), আশেক উল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪), এস এম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩) ও এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন দেশের ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তারা। সিএমএসএমইরাই অর্থনীতির মূল ভিত্তি। কিন্তু ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তি ও বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকাসহ বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ছোট ছোট ব্যবসা ধরার কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন ছোট ও গ্রামীণ শিল্প উদ্যোক্তারা। অনেকে ব্যবসা থেকে সরেও দাঁড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় সরকারের নীতি সহায়তা চান তারা।
বুধবার (১৫ মে) এফবিসিসিআইয়ের সিএমএসএমই অ্যান্ড রুরাল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, নীতি সহায়তা দিয়ে সিএমএসএমই ও গ্রামীণ শিল্প উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন করা গেলে অর্থনীতিতে বহুগুণ বেশি অবদান রাখতে পারবেন তারা। সভায় প্রধান ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হচ্ছে অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এসএমই ঠিক থাকলে দেশের অর্থনীতি ঠিক থাকবে। কোরিয়া ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশ এসএমইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদেরও অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে। এই খাতের নিরাপত্তা দিতে হবে। এ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নীতিমালাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, অর্থনীতিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ অবদান রাখছে দেশের বেসরকারি খাত। নীতিসহায়তার জন্যই এ অবদান সম্ভব হয়েছে। তবে, বেসরকারি খাতের আরও এগিয়ে যেতে হবে। প্রতি বছর প্রায় ২৭ লাখ বেকার ছেলেমেয়ে কর্মসংস্থানের জন্য শ্রমবাজারে আসে। এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসা ঠিকভাবে করতে পারেন, সেক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নীতি সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ খান আহমেদ শুভ বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রধানমন্ত্রী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রণোদনা দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারেন, সেজন্য ব্যাংক ঋণ থেকে শুরু করে সবদিকে খেয়াল রেখেছেন। এ কমিটির মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে এসএমই খাতের উন্নয়ন হবে। এ খাতকে মাইলফলক হিসেবে নিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা দরকার।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান বহুগুণ বেশি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এজন্য এসএমই খাতের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্র এখন নির্বাচনের আগের অবস্থানে নেই: পরিবেশমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো অভিন্ন। আবার কিছু বিষয়ে তাদের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে। যেমন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের অস্বস্তি ছিল। নির্বাচন নিয়ে তাদের যে অবস্থান ছিল এখন সেই অবস্থান নেই।
বুধবার সকালে সচিবালয়ে সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডোনাল্ড লু। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ডোনাল্ড লুর সঙ্গে অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশ ও বন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী তিন, চার, পাঁচ বছরে দীর্ঘ মেয়াদে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় সংস্থা এমডিবি কীভাবে অর্থায়ন করবে, তা বড় একটি বিষয়। আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চাহিদা ছিল বিলিয়ন ডলার। এখন তা ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সরকার এখন গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আবার বসবেন। তখন সবকিছু সুনির্দিষ্ট হবে। কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। ডোনাল্ড লু জোর দিয়েছেন, ভবিষ্যতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা-ই বিনিয়োগ হোক, তা যেন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার একই জায়গায়। সেটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে কীভাবে কাজ করা হবে, কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী জুলাইয়ে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী-২০২৪ এর আয়োজিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বাজুস জানায়, দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন তিন দিনব্যাপী জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী আগামী ৪, ৫ ও ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বাজুস আশা করছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আধুনিক মেশিনারিজের সঙ্গে পরিচিতি ঘটবে। ফলে নতুন নতুন জুয়েলারি শিল্প কারখানা স্থাপনে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবে।
শিল্প কারখানা স্থাপনের ফলে জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানির দুয়ার উন্মোচিত হবে। এ দেশে স্বর্ণ শিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে। এ দেশের কারিগর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ডিজাইনের গয়না তৈরি করতে সক্ষম হবে।
এই প্রদর্শনীতে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান তাদের মেশিনারিজ প্রদর্শন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনছে সরকার
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইজি জেনারেল ট্রেডিং, নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে এই ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা। আগের ক্রয় মূল্য ছিল ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব জানান, ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি: ডোনাল্ড লু
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েও সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের প্রত্যাশা করছেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ডোনাল্ড লু বলেন, গত দুদিন আমি বাংলাদেশ সফর করছি। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতেই আমার এ সফর। গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক উত্তেজনা ছিল। এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন আমরা নতুন একটি অধ্যায় প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে আমরা একটি উপায় বের করতে চাচ্ছি। সম্পর্কের অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেই আমি আজ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের মধ্যে অনেকগুলো অস্বস্তিকর বিষয় আছে, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, শ্রম আইন সংশোধন, মানবাধিকার ও ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার ইত্যাদি।
লু বলেন, অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়েও সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের আরও বেশি শিক্ষার্থী যাতে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়েও কথা বলেছি। কীভাবে এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তা বলেছি।
তিনি বলেন, এ ছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে কীভাবে একসঙ্গে লড়াই করতে পারি, মন্ত্রীর সঙ্গে সে বিষয়ে আমি আলাপ করেছি। সরকারে স্বচ্ছতা ও কর্মকর্তাদের জবাবদিহি বাড়াতে অনেক কাজ করার বাকি আছে।
এমআই