জাতীয়
সংসদের ১২ স্থায়ী কমিটি গঠন, সদস্য হলেন যারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় বৈঠকে ৫০টি সংসদীয় কমিটির মধ্যে ১২টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি সংসদ সম্পর্কিত এবং বাকি ছয়টি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে কার্যউপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ কমিটি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই ঘোষণা করেন। অন্যগুলো সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এবারও নিজ হাতে ৫০টি কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের নাম লিখে জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটি গঠন করে চমক সৃষ্টি করেছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ হাতে লেখা কমিটির নামের খাতাটি সংসদের আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
কার্য উপদেষ্টা কমিটি
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কার্য উপদেষ্টা কমিটির নাম ঘোষণা করেন। এ কিমিটির সভাপতি- স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিজেই। সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, রাশেদ খান মেনন, গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪৪), শামসুল হক টুকু, দীপু মনি, নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (বগুড়া-৪)।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), সদস্য- আহম মুস্তাফা কামাল (কুমিল্লা-১), মোস্তাফিজুর রহমান (দিনাজপুর-৫), কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), ফয়জুর রহমান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), মজিবুল হক (কিশোরগঞ্জ-৩), জাহিদ মালেক (মানিকগঞ্জ-৩), সুরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (নওগাঁ-৩), নূর মোহাম্মদ (জামালপুর-১), আখতারউজ্জামান (গাজীপুর-৫) এবং এস এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১)।
সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি
সভাপতি- আবুল কালাম আজাদ (জামালপুর-৫), মোরশেদ আলম (নেয়াখালী-২), আশরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোনা-২), সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম (কক্সবাজার-১), আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (ফেনী-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নাটোর-৪) ও আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংহী-২)।
অনুমিত হিসাব কমিটি
সভাপতি- ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), সদস্য- নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), সালমান ফজলুর রহমান (ঢাকা-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), রশীদুজ্জামান (খুলনা-৪), মো. নজরুল ইসলাম (নরসিংদী-১), প্রাণ গোপাল দত্ত (কুমিল্লা-৭), আব্দুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫) ও শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬)।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: মোহাম্মদ সাদিক (সুনামগঞ্জ- ৪), সদস্য- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (ফরহাদ হোসেন), নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১), বীরেন সিদকার (মাগুরা-২), শরীফ আহমেদ (ময়মনসিংহ-২), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), শাহদাব আকবর (ফরিদপুর-২), আসাদুজ্জামান আসাদ (রাজশাহী-৩) ও শাহ সারোয়ার কবীর (গাইবান্ধা-২)।
সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটি
সভাপতি: মহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), সদস্য- মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), রফিকুল ইসলাম (চাদঁপুর-৫), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), শফিকুর রহমান (চাদঁপুর-৪), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১) ও কে এম এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১)।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), সদস্য- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (জাহাঙ্গীর কবির নানক), আনোয়ারুল আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪), আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২), আব্দুল মোমিন মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), ওয়াকিল উদ্দিন (ঢাকা-১১), খান আহমেদ শুভ (টাঙ্গাইল-৭), রাগিবুল আহসান রিপু (বগুড়া-৬) ও মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (ঝিনাইদহ-২)।
বেসামিরক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি: সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪), সদস্য: ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (মুহম্মদ ফারুক খান), আশেকুল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), আনোয়ার হোসেন খান (লক্ষ্মীপুর-১), শেখ তন্ময় (বাগেরহাট-২), মহিউদ্দিন বাচ্চু (চট্টগ্রাম-১০), মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (মৌলভীবাজার-৩) ও খসরু চৌধুরী (ঢাকা-১৯)।
শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি: আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠী-২)। সদস্য হিসেবে রয়েছেন- ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/ প্রতিমন্ত্রী (নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), আবদুদ ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৪), মুহিতুর রহমান (ময়মনসিংহ-৪), এবিএম আনিসুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৭)।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি
সভাপতি শফিকুল ইসলাম (সিরাজগঞ্জ-৪)। সদস্য হিসেবে আছেন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (তাজুল ইসলাম), আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ (বরিশাল-১), সাঈদ খোকন (ঢাকা-৬), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), মতিয়ার রহমান (লালমনিরহাট-৩), ইকবাল হোসেন (ময়মনসিংহ-২), রেজাউল হক চৌধুরী (কুষ্টিয়া-১), মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালী-৬)।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
সভাপতি: শাজাহান খান (মাদারীপুর-২)। সদস্য: ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী (সাধন চন্দ্র মজুমদার), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), মোস্তফা আলম (বগুড়া-৭), আবুল কালাম মো. আহসানুল আলম (রংপুর-২), এস এম কামাল হোসেন (খুলনা-৩), এ কে একরামুজ্জামান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), খান মো. সাইফুল্লাহ আল মেহেদি (বগুড়া-৩)।
সংসদ কমিটি
সভাপতি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (মাদারীপুর-১)। সদস্য হিসেবে আছেন- র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩), আশেক উল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), সাজ্জাদুল হাসান (নেত্রকোনা-৪), এস এম শাহজাদা (পটুয়াখালী-৩) ও এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১)।

জাতীয়
ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সড়কের পাশাপাশি রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে এ অবরোধের ঘোষণা দেয়।
আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়া বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পুনর্বিন্যাসের নামে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা সালথা) সঙ্গে সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের এ অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা দুই ইউনিয়নবাসী রাজপথে অবস্থান করেছি। আমাদের অব্যাহত আন্দোলনের ফলে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচন কমিশনের তরফ হতে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমাদের আহ্বান পরিষ্কার, এ জনপদের মানুষ কোনোভাবেই তাদের ভূখণ্ড ভাঙ্গা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। দুই ইউনিয়নের সীমানা ভাঙ্গা উপজেলার সঙ্গে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এ অঞ্চলের মানুষের দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই।
আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ভৌগোলিক দিক দিয়ে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা, ভাঙ্গা উপজেলা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। ফরিদপুর-২-এর সঙ্গে দুই ইউনিয়নের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যোগাযোগের কোনোটাই সম্পর্ক নেই। নির্বাচন কমিশন তদন্ত ও যাচাই-বাছাই না করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা এ দুই ইউনিয়নবাসীর জন্য বিপর্যয় নেমে আসবে।
কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, রোববার থেকে টানা তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) সড়ক পথ ও রেলপথ অবরোধ করা হবে। অবরোধের স্থান হচ্ছে—ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড, ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা হাসপাতাল গেট, হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও রেলপথের পুখুরিয়া রেল ক্রসিং। তিন দিন পর প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি পেশ, এরপর নির্বাচন কমিশনের সামনে মানববন্ধন।
জাতীয়
যারা রাস্তা অবরোধ করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারও নেই। তারা লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পূজা এবং ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ফরিদপুরের এই দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কের সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।
জাতীয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক আজ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংলাপে বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৈঠকে অংশ নিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে দলটির প্রেস উইং।
জুলাই সনদ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ঠিক করতে পারেনি কমিশন। এরইমধ্যে গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রস্তাবনা দিয়েছে ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এসব বিষয় নিয়ে সবশেষ ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিশন।
জাতীয়
লন্ডনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টার নিন্দা জানাল সরকার

লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের গাড়িবহরে হামলার চেষ্টার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সরকারের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
প্রেস উইং জানায়, লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (SOAS) ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সেমিনার থেকে বের হওয়ার সময় একদল বিক্ষোভকারী বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ করে এবং কিছু সময়ের জন্য পথ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই সময় গাড়ির ভেতরে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ছিলেন না।
বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, উপদেষ্টার কর্মসূচি চলাকালে তাকে ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। এর আগে, নিউইয়র্কে সরকারি কাজে থাকাকালে মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা কনস্যুলেট ভবনে ডিম ও বোতল নিক্ষেপ করে কাচের দরজা ভেঙে ফেলে। পরে মিশনটি স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ ধরনের প্রকাশ্য হয়রানির নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমাদের সরকার, বাংলাদেশের জনগণ এবং আয়োজক দেশের কর্তৃপক্ষ সভ্য মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দুর্বৃত্তরা বর্বরতা ও উৎপীড়নের জগতে বসবাস করছে।
সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সহিংসতা কখনো প্রতিবাদ নয়, ভয়ভীতি প্রদর্শন বাকস্বাধীনতা নয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গণতন্ত্রের ভিত্তি, তবে তা অবশ্যই দায়িত্বশীল ও মর্যাদাপূর্ণ হতে হবে।
বিবৃতিতে কনস্যুলার যানবাহনে হামলাকে আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গের শামিল বলে উল্লেখ করে অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে, প্রবাসী রাজনৈতিক নেতা ও সংগঠনগুলোকে সহিংসতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়।
সরকার বলেছে, ডিম, মুষ্টি ও ভাঙচুর কোনো যুক্তি প্রতিষ্ঠা করে না; বরং এটি প্রমাণ করে যে যুক্তি ফুরিয়ে গেছে। আন্দোলনের শক্তি পরিমাপ হয় শৃঙ্খলা, মর্যাদা ও দায়িত্ববোধ দিয়ে, সহিংসতা দিয়ে নয়।
জাতীয়
ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

বরেণ্য লোকসংগীতের শিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধক নানা ধরনের গান করলেও শ্রোতাদের কাছে ফরিদা পারভীনের পরিচিতি ‘লালনকন্যা’ হিসেবে।
পাঁচ দশক ধরে তার কণ্ঠে লালন সাঁইয়ের গান মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। তার গান আমাদের সংস্কৃতির অন্তর্লীন দর্শন ও জীবনবোধকেও নতুন মাত্রায় তুলে ধরেছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গান থেকে দূরে থাকেননি ফরিদা পারভীন। সংগীতের প্রতি তার এই অনুরাগ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ফরিদা পারভীনের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, একুশে পদকপ্রাপ্ত এ গুণী শিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে যে অবদান রেখেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিত্যনতুন চিন্তা ও সৃষ্টির খোরাক জোগাবে।
শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া দশটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফরিদা পারভীন। মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী এবং ৪ সন্তান রেখে গেছেন।