পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার বড় অর্থায়নের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার বড় ধরণের অর্থায়নের সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র। সুনীল অর্থনীতির সফল প্রজেক্টের জন্য ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হলে বিএসইসি পরিবেশবান্ধব প্রজেক্টে অর্থায়নের সুযোগকে কাজে লাগাতে সব ধরণের সহযোগিতা করবে। সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে জিডিপিতে অবদান রাখতে সকলকে ব্লু বন্ড, গ্রীণ বন্ড নিয়ে ভাবার অনুরোধ জানান তিনি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘ব্লু ইকোনমি: ফান্ডিং প্রসপেকটস অব ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কক্সবাজারে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে সকাল ১১টায় সেমিনারটি শুরু হয়।
বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
সুনীল অর্থনীতিতে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ তুলে ধরে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিদেশী কোম্পানিগুলো দেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অংশগ্রহণ করতে চায়। আপনাদের গবেষণা করতে হবে কীভাবে সমুদ্রের সম্পদ ব্যবহার করা সম্ভব, কাজে লাগানো সম্ভব। সবকিছুর মধ্যেই সম্পদ রয়েছে, আমাদের খুঁজে বের করতে হবে সম্পদের মাঝে থাকা সম্ভাবনাকে এবং সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অপার সম্ভবনাময় দেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ ভূমির সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকা পাওয়া সম্ভব হয়েছ। সুনীল অর্থনীতির জন্য বেসরকারি খাত ও পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক অর্থায়ন সারা পৃথিবীতে হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে সফল করার মাধ্যমে আইডিয়াকে কাজে লাগাতে পারলে সরকারের অর্থায়নের উপর নির্ভরতা কমে আসবে এবং বেসরকারি খাতে অর্থায়নের সুযোগ বহুগুণে বাড়বে। বড় ধরণের অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র। বাণিজ্যিকভাবে সফল প্রজেক্টের জন্য ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হলে বিএসইসি পরিবেশবান্ধব প্রজেক্টে অর্থায়নের সুযোগকে কাজে লাগাতে সব ধরণের সহযোগিতা করবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক দেশে সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে অন্যতম বাধা হিসেবে দেখা যায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা রয়েছে সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটানোর। সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন ও অর্থায়নে এই ক্ষেত্রটিতে প্রাইভেট সেক্টরের অন্তর্ভুক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং প্রাইভেট সেক্টরকে অন্তর্ভুক্তি না করতে পারলে শুধুমাত্র সরকারের উপর নির্ভর করে এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের ব্লু ইকোনমির উন্নয়নে প্রায় ২০ টি মন্ত্রণালয় জড়িত রয়েছে। উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে সকল পক্ষগুলোর মধ্যে সমন্বয়সাধন প্রয়োজন। বাংলাদেশে পলিসি ও আইনগত কার্যক্রম ইতোমধ্যে অনেকটা এগিয়েছে এবং বর্তমানে পলিসি অনুযায়ী বাস্তবায়ন প্রয়োজন। শুধু রপ্তানিকেন্দ্রিক না হয়ে দেশের ব্লু ইকোনমির উৎপাদনকে আরো নানা ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব বন্ডের জন্য গাইডলাইনগুলো তৈরিতে বিএসইসি আইএফসির সাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
সেমিনারের সভাপতি অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ ‘বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা এবং সুনীল অর্থনীতি উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা প্রদান করেন। তিনি প্রেজেন্টেশনে সুনীল অর্থনীতি, বিভিন্ন অর্থনীতিতে ব্লু-ইকোনমির অবদান, সুনীল অর্থনীতির বৈশ্বিক অবস্থা, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতির অর্থনৈতিক মূল্য, সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ, বাংলাদেশে উপকূল এলাকা ও সুনীল অর্থনীতি নিয়ে সরকারের গৃহীত জাতীয় পরিকল্পনা ও সুনীল অর্থনীতির কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ওশেনোগ্রাফ্রিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম ও পদক্ষেপ, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সুনীল অর্থনীতি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এ সুনীল অর্থনীতি পরিকল্পনা ইত্যাদি উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে ‘ব্লু ইকোনমি: ফান্ডিং প্রসপেকটস অব ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুনীল অর্থনীতির নানাদিক তুলে ধরেন। বিশ্বজুড়ে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্র এবং বাংলাদেশে তার সম্ভাবনাসমূহ তথ্য-উপাত্তসহকারে উপস্থাপন করেন তিনি। তিনি দেশের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কীভাবে দেশের পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করা সম্ভব তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক মো. নুরুন নেওয়াজের নিকট কোম্পানিটির ২ কোটি ৬২ লাখ ০৭ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ছিলো। এরমধ্যে থেকে তিনি ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
বর্তমান বাজার মূল্যে ব্লক মার্কেটে উল্লেখিত পরিমান শেয়ার বিক্রয় করেছেন এই উদ্যোক্তা। এরআগে গত ২০ মে শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এসএম
পুঁজিবাজার
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আর্গুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’রেটিং হয়েছে।
কোম্পানির ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত ও চলতি হিসাববছরের সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
নর্দার্ণ জুটের সর্বোচ্চ দরপতন

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার কমেছে। এদিন দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৪ জুন) কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সাফকো স্পিনিংয়ের দর কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, গ্রীণডেল্টা মিউচুয়াল ফান্ড, বে লিজিং এবং ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইল

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (০৪ জুন) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে থাকা এস.আলম কোল্ড রোল্ডের শেয়ার দর ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা তিতাস গ্যাসের দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, এম.এল ডায়িং, এইচ.আর টেক্সটাইল, শাইনপুকুর সিরামিক, এপেক্স ট্যানারি, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং লাভেলো আইসক্রিম।
এসএম
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

ঈদুল আজহার ছুটি পূর্ববর্তী শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ বুধবার (০৪ জুন) কোম্পানিটির ২২ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির আজ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার।
আর ১০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফাইন ফুড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্কয়ার ফার্মা, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সি পার্ল বিচ, উত্তরা ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, মালেক স্পিনিং এবং বিএটিবিসি।
এসএম